ব্ল্যাক কফি খাওয়ার ১২টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা এটি খাওয়ার ফলে শরীরের নানা রকম উপকারিতা সাধিত হয়ে থাকে। তাই এর যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে জেনে নেওয়া অতীব জরুরি।

ব্ল্যাক-কফি-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই মূলত আপনারা ব্ল্যাক কফি খাওয়ার যাবতীয় গুণাবলী জানতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ ব্ল্যাক কফি খাওয়ার যাবতীয় গুণাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ব্ল্যাক কফির যাবতীয় ভালো দিকগুলো এবং খারাপ দিকগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক।

ব্ল্যাক কফির উপকারিতা গুলোঃ

  • ব্ল্যাক কফিতে প্রদাহ প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যার কারণে এটি ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনারা ক্যান্সারের ঝুকিয়ে এড়াতে এই কফি পান করতে পারেন।
  • ব্ল্যাক কফি খাওয়ার ফলে ত্বকের অনেক ধরনের উপকার হয়ে থাকে। কেননা এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি ত্বকের সুরক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই ত্বকের যত্নে ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন।
  • অনেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগি। তাদের জন্য ব্ল্যাক কফি হতে পারে একটি আদর্শ উপায়। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় ভুগলে নিয়মিত ব্ল্যাক কফি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। আশা করছি নিয়মিত এটি খাওয়ার ফলে দুশ্চিন্তার সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
  • ব্ল্যাক কফি খাওয়ার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। তাই যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রয়েছেন। তারা এই কফি খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • ব্ল্যাক কফিতে রয়েছে ক্লোরোজেনিক এসিড। আর এই এসিড শরীরের মেদ কমাতে সহায়তা করে থাকে। যার কারণে আপনারা ওজন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই কফি খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন।
  • ব্ল্যাক কফি খাওয়ার ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। কেননা অনেক কারণে দুশ্চিন্তা করার জন্য স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়ে যায়। যার কারণে আপনারা এই কফি খেতে পারেন। এটি আপনাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে স্মৃতিশক্তি চাঙ্গা করতে সহায়তা করে থাকবে।
  • নিয়মিত নিয়ম মাফিক ব্ল্যাক কফি খাওয়ার ফলে সিরোসিস হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। কেননা এটি মূলত যকৃতের ক্যান্সার, ফ্যাটি লিভার, হেপাটাইটিস এবং অ্যালকোহলের কারণে হয়ে থাকে। এছাড়াও এই কফি যকৃতের ক্ষতিকারক এনজাইম এর মাত্রা কমাতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • ব্ল্যাক কফি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকারক উপাদান ও ব্যাকটেরিয়া এটি বের করে দিয়ে আমাদের পাকস্থলীকে পরিষ্কার করতে সহায়তা প্রদান করে। তাই পাকস্থলীকে পরিষ্কার রাখতে এই কফি খেতে পারেন।
  • ব্ল্যাক কফি খাওয়ার ফলে এটি রক্তে অ্যান্ড্রেনালিনের মাত্রাকে প্রভাবিত করে শরীরকে তীব্র শারীরিক পরিশ্রম করার সক্ষমতা তৈরি করে দেয়। তাই শরীরকে অতিরিক্ত পরিশ্রম সহ্য করার সক্ষমতা তৈরি করতে এই কফি খেতে পারেন।
  • হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন। এটি এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • ব্ল্যাক কফি খাওয়ার ফলে প্রসাবের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর এতে করে আমাদের শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে এটি সহায়তা করে থাকে। তাই আপনারা নিয়মিত এই কফি খেতে পারেন।
  • অনেকে মানসিক চাপ অথবা ডিপ্রেশনের সমস্যায় ভুগে থাকেন। তারা এই সমস্যা গুলো প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত ব্ল্যাক কফি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এটি এ ধরনের সমস্যা থেকে আরোগ্য দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ব্ল্যাক কফির অপকারিতা গুলোঃ
  • ব্ল্যাক কফি অতিরিক্ত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব বয়ে আনে।
  • ব্ল্যাক কফি ঘুমানোর আগে পান করলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
  • ব্ল্যাক কফি দুধ ও চিনি দিয়ে খেলে ক্যালোরি যুক্ত হয়ে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
  • ব্ল্যাক কফি ক্যাফেইন যুক্ত হওয়ার কারণে এটি পেটের সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়া এবং কোষ্ঠকাঠিনের সমস্যা তৈরি করতে পারে।
  • অতিরিক্ত ব্ল্যাক কফি খেলে লৌহ, ক্যালসিয়াম এবং জিংক শরীর শোষণ করতে পারে না।
  • অতিরিক্ত ব্ল্যাক কফি খাওয়ার ফলে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বাড়ে।

ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম

ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ব্ল্যাক কফি খাওয়ার মাধ্যমে কিভাবে ওজন কমাতে পারবেন তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

  • ব্ল্যাক কফি সকলে খালি পেটে খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কেননা সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ব্ল্যাক কফি খেলে এসিডিটি সমস্যা তৈরি হতে পারে। এজন্য আপনারা সকালের নাস্তার পরেই এই কফি খাবেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে দুপুরের খাবার পর ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন। এছাড়াও আপনারা এই কফি খাওয়ার সময় এতে দুধ বা চিনি না দিয়েই খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ এই দুধ বা চিনি ক্যালোরি বাড়িয়ে তুলে। যা ওজন বাড়ার জন্য দায়ী।
  • আরো পড়ুনঃ পোস্ত খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 

  • ব্ল্যাক কফি খাবারের আধা ঘন্টা পর খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে যে খাবারটা খেলেন তা দ্রুত হজম হয়ে যাবে। এছাড়াও আপনারা এক থেকে দুই কাপের বেশি ব্ল্যাক কফি খাবেন না। যদি খান তবে রাতে ঘুমের সমস্যা হবে। এছাড়াও যদি আপনারা এই কফি ব্যায়াম করার আগে খেতে পারেন। তবে শরীরে এনার্জি পাবেন। আর এর ফলে শরীরের ফ্যাট ঝরে পড়বে। তাছাড়া আপনারা এই কফি খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করার চেষ্টা করবেন। এই নিয়ম গুলো মেনে কফি খেলে ওজন খুব অল্প সময়ের মধ্যে ওজন কমে আসবে।

ব্ল্যাক কফি খাওয়ার সঠিক সময়

ব্ল্যাক কফি খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ব্ল্যাক কফি খাওয়ার সঠিক সময়টা কখন তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া নেওয়া যাক।

  • ব্ল্যাক কফি সকালের নাস্তার আধা ঘন্টা পর খেতে পারেন। এতে করে আপনি সারাদিনের জন্য পুরো এনার্জি শক্তি পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনারা দুপুরের খাবারের আধা ঘন্টা পর এই কফি খেতে পারেন। এর ফলে খাবার খুব দ্রুত হজম হয়ে যাবে। সেই সাথে সারাদিনের যে ক্লান্তিনেস তা খুব সহজে দূর হয়ে যাবে।
  • তাছাড়াও আপনারা বিকালের নাস্তায় এই কফি খেতে পারেন। এতে করে পুনরায় চাঙ্গা হয়ে উঠবেন। সেই সাথে কাজের প্রতি অনেক বেশি দক্ষতা এবং মনোযোগ পাবেন। তাছাড়া আপনারা যখন ব্যায়াম করেন। তার আগেই এই কফি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে শরীরের শক্তি পাওয়া যায় এবং সেইসাথে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরে যায়।

ব্ল্যাক কফি বানানোর নিয়ম

ব্ল্যাক কফি বানানোর নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ব্লাক কপি বানানোর নিয়ম আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

  • এজন্য প্রথমে আপনাকে নারিকেল তেল ১ চামচ নিতে হবে, দারুচিনির গুঁড়া ১ চামচ নিতে হবে, কোকো পাউডার ১ চামচ নিতে হবে, জয়ফলের গুঁড়া ১ চামচ নিতে হবে, কফি পাউডার ১ চামচ নিতে হবে এবং সর্বশেষ পানি ১/২ কাপ নিতে হবে।
  • আরো পড়ুনঃ কাবাব চিনির ১০টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 

  • এবার আপনি প্রথমে একটি পাত্রে পানি গরম করে ফুটিয়ে নিবেন। এরপর তাতে কফি মিশিয়ে দিবেন। তারপর এতে জয়ফলের গুঁড়া, কোকো পাউডার এবং দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে দিবেন। এরপর এই মিশ্রণটি ভালো করে নাড়াচাড়া করে ব্লেন্ড করে নিবেন। এরপর এতে সর্বশেষ এক চামচ নারকেল তেল যোগ করবেন। তাহলেই হয়ে যাবে মজাদার ব্ল্যাক কফি। আর এভাবেই আপনারা ব্ল্যাক কফি তৈরি করতে পারেন।

ব্ল্যাক কফির দাম কত

ব্ল্যাক কফির দাম কত এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ব্লাক কফির দাম কেমন তা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। আমরা একটি নিউজ থেকে জানতে পারলাম ব্ল্যাক কফির দাম প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ব্ল্যাক-কফির-দাম-কত
তবে আমরা আরো একটি অনলাইন শপ দারাজ থেকে এ কফির দাম জানতে পারি ৩৪৯ টাকা করে। ব্ল্যাক কফির দাম সাধারণত এরকমই হয়ে থাকে। জায়গা বুঝে এ কফির দাম কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু কফির দাম এমনই হয়ে থাকে। তবে অনলাইনে দাম একটু বেশি হয়ে থাকে অফলাইনের তুলনায়। তাই আপনারা চাইলে আপনাদের নিকটস্থ কোন সপ থেকে এ কফি কিনতে পারেন।

ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম 

ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

  • ব্ল্যাক কফি আপনারা সকালের নাস্তার পর খাওয়ার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ সকালের নাস্তা করার আধা ঘন্টা পর এই কফি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে সারাদিনের জন্য এনার্জি শক্তি পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনারা দুপুরের খাবার পর এই কফি খেতে পারেন। এতে খাবার দ্রুত হজম হবে এবং সেই সাথে সারাদিনের যে ক্লান্তি তা দূর হবে।
  • আরো পড়ুনঃ মৌরি খাওয়ার ১৯টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন  

  • ব্ল্যাক কফি আপনারা দুধ বা চিনি ছাড়া খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে নিরাপদ থাকবেন। কেননা দুধ বা চিনি দিয়ে এই কফি খাওয়ার ফলে ক্যালোরি শরীরে বেশি যুক্ত হয়। যার ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও আপনারা যখন ব্যায়াম করবেন। তার আগেই এই কফি খেয়ে নেবেন। তাহলে বাড়তি শক্তি পাবেন এবং সেই সাথে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমে যাবে। আর খুব রাতে এই কফি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কেননা এতে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।

এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

সকালে ব্ল্যাক কফি খেলে কি হয়

সকালে ব্ল্যাক কফি খেলে কি হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা সকালে  ব্ল্যাক কফি খাওয়ার ফলে কি হতে পারে তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

  • সকালে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার ফলে এতে থাকা ক্যাফেইন মস্তিষ্কে উদ্দীপনা দিয়ে দেহে শক্তি ও কাজের ক্ষেত্রে মনোযোগী করে তুলতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এটি সকালে খাওয়ার ফলে দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরে পড়ে যাই। সেই সাথে মেটাবলিজম এর হার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও এটি স্নায়ুর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে ম্যাজ মেজেভাব দূর করতে সহায়তা করে।
  • ব্ল্যাক কফি সকালে খালি পেটে খেলে গ্যাস বা অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি হতে পারে। এছাড়াও এটি রক্তচাপ বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে থাকে। তাছাড়াও সকালে খালি পেটে এটি খুব বেশি খেলে এটে থাকা ক্যাফেইন রাতে ঘুমের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই আপনারা এটি সকালে নাস্তা করার পর খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

ব্ল্যাক কফি কখন খাওয়া ভালো

ব্ল্যাক কফি কখন খাওয়া ভালো এই সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা ব্ল্যাক কফি কখন খাওয়া ভালো হবে তা জেনে নেয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। ব্ল্যাক কফি সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করার পর অর্থাৎ আধা ঘন্টা পর এই কফি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার সারাদিনের জন্য যে ক্লান্তি ভাব তৈরি হয়।

ব্ল্যাক-কফি-কখন-খাওয়া-ভালো
তার আর তৈরি হবে না। অর্থাৎ আপনি সারাদিনের জন্য এনার্জি পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনারা দুপুরের খাবার গ্রহণের আধা ঘন্টা এক ঘন্টা পর এটি খেতে পারেন। এতে করে খাবারগুলো দ্রুত হজম হয়ে যাবে। তাছাড়া আপনারা বিকেলে এই কফি খেতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ শিমুলের মূল খাওয়ার ১৩টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন   

খুব রাতে এটি খাবেন না। এছাড়া আপনারা যখন ব্যায়াম করবেন ঠিক তার আগেই এই কফি খেতে পারেন। এতে করে দেহে শক্তি পাওয়া যাবে। সেই সাথে শরীরের অতিরিক্ত মেদ সরে যাবে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

ব্ল্যাক কফি কি এনার্জি বাড়ায়

ব্ল্যাক কফি কি এনার্জি বাড়ায় এই সম্পর্কে আপনারা প্রশ্ন করে থাকেন। আজকের এই পর্বে আমরা ব্ল্যাক কফি খাওয়ার ফলে এনার্জি বৃদ্ধি পায় কিনা তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। হ্যাঁ, ব্ল্যাক কফি খাওয়ার ফলে শরীরে এনার্জি পাওয়া যায়। আপনারা যদি এই কফি সকালে নাস্তা করার পর অর্থাৎ আধা ঘন্টা পর খান তবে সারাদিনের জন্য এনার্জি শক্তি পেয়ে যাবেন।

এছাড়াও দুপুরের খাবার গ্রহণের পর এই কফি খাওয়ার ফলে সারাদিনের ক্লান্তি ভাব খুব সহজে দূর হয়ে শরীরে এনার্জি পাবেন। এছাড়াও আপনারা যদি ব্যায়াম করার আগে এই কফি খান তবেও দেহে বাড়তি এনার্জি পাবেন।

তাই বলা যায় যে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার ফলে দেহে এনার্জি শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা  

উপরের আলোচনা থেকে আমরা ব্ল্যাক কফি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও। ব্ল্যাক কফি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের নানা উপকার হয়ে থাকে। সেই সাথে এই কফি খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে বাড়তি এনার্জি পাওয়া যায়।

অনেক সময় অনেক কাজ করার ফলে শরীরে ক্লান্তি ভাব তৈরি হয়। এই সময় যদি আপনারা এই কফি খেতে পারেন। তবে আপনাদের শরীরে এনার্জি শক্তি পাওয়া যাবে। আমি উপরের আলোচনায় এর যাবতীয় গুণাবলী গুলো আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা যদি উপরের আলোচনাটি ভালোভাবে পড়ে থাকেন। তবে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার যাবতীয় গুণাবলী গুলো জানতে সক্ষম হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url