চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনাদের জানা প্রয়োজন। কেননা
চোখের ছানি পড়া সমস্যা একটি মারাত্মক সমস্যা। এই সমস্যা মোকাবেলা করা তাই অনেক
গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর এই জন্য এই বিষয়ে জানা দরকার।
চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের
দেওয়া লেখা গুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই মূলত আপনারা
চোখের ছানি পড়া সমস্যা প্রতিরোধ করার যাবতীয় উপায় জানতে পারবেন।
সূচিপত্রঃ চোখের ছানি সমস্যা প্রতিরোধে যাবতীয় তথ্য বিস্তারিতভাবে জেনে
নিন
চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায়
চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই
পর্বে চোখের ছানি কিভাবে খুব সহজেই ঘরোয়া উপায়ে দূর করা যায় তা
সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
আপনারা জানতে চেয়েছেন চোখের ছানি দূর করতে কি কি ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করা যায় তা সম্পর্কে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে আপনার চোখের ছানি সমস্যা কোনোমতেই দূর হবে না। চোখের ছানি দূর করার জন্য অবশ্যই আপনার অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজন পড়বে। তবে আপনি সাধারণত কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন। যেগুলো আপনার চোখের ছানি পুরোপুরি রোধ করতে না পারলেও কিছুটা করবে এবং একই সাথে এটি হওয়া থেকে আপনার চোখকে দূরে রাখবে।
সূর্যের আলো রোধ করাঃ
চোখে ছানি পড়ার অন্যতম কারণ হলো সূর্যের আলো চোখে পড়া। এজন্য আপনারা অতিরিক্ত রোদে বের হলে সানগ্লাস ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এতে করে সূর্যের রশ্মি আপনার চোখে পরবে না। এতে করে আপনার চোখের লেন্স সূর্যের রশ্মি থেকে মুক্তি পাবে। এছাড়াও আপনারা চোখের ছানি পড়ার ভাব অনুভব করলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। তাহলে আগে থেকেই চোখের ছানি পড়া সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।
ধূমপান এড়িয়ে চলাঃ
চোখের ছানি পড়ার আরো একটি কারণ হলো ধূমপান অথবা অ্যালকোহল জাতীয় জিনিস খাওয়া। এ সকল ক্ষতিকর জিনিস খাওয়ার ফলে আপনার চোখের লেন্স মারাত্মকভাবে ক্ষতি সাধন হয়। যার কারণে চোখের ছানি পড়ে থাকে। তাই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করাঃ
চোখের ছানি পড়লে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারেন। কেননা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার চোখের ছানি প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনারা চোখের ছানি পড়া সমস্যায় পড়লে চক্ষু ডাক্তারের পরামর্শ মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করবেন।
রসুন খাওয়াঃ
চোখের ছানি প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে রসুন খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। কেননা চোখের ছানি পড়া সমস্যায় রসুন বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনারা চেষ্টা করবেন প্রতিদিন ১ থেকে ২ টি রসুনের কোয়া খাওয়ার। এটি আপনার চোখের ছানি দূর করার কাজে সহায়তা করবে।
কাঁচা শাকসবজি খাওয়াঃ
চোখের ছানি দূর করার ক্ষেত্রে বিটা ক্যারোটিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। আর এ সকল উপাদান সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে কাঁচা শাকসবজি। এগুলো খাওয়ার ফলে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলো পাওয়া যায়। তাছাড়াও কাঁচা শাক সবজি খাওয়ার ফলে ভিটামিন এ নামক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পাওয়া যায়। যা মূলত চোখের ছানি দূর করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
পেঁপে খাওয়াঃ
চোখের ছানি দূর করার ক্ষেত্রে পেঁপে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কেননা পেঁপেতে থাকে এক ধরনের এনজাইম। এই উপাদানটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হজম করার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এর ফলে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হজম হতে সমস্যা তৈরি হয় না। যার ফলে প্রোটিন জমা হয়ে চোখের গোড়ায় ছানি পড়ে না।
গ্রিন টি খাওয়াঃ
চোখের ছানি পড়া সমস্যায় ভুগলে নিয়মিত গ্রিন টি খেতে পারেন। গ্রিন টি খাওয়ার ফলে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এই উপাদানটি চোখের সজীবতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই চোখে ছানি পড়লে গ্রিন টি খেতে পারেন।
দুধ ও কাজু বাদাম ব্যবহার করাঃ
চোখে ছানি পড়লে দেখা যায় যে চোখ চুলকাচ্ছে। আর চোখ চুলকালে চোখ লাল হয়ে যায়। এই সমস্যা প্রতিরোধ করার জন্য আপনারা রাতে দুধে কাজুবাদাম যোগ করে দিতে পারেন। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে কাজুবাদাম ভেজানো দুধ চোখের পাতায় লাগালে চোখের চুলকানি ভাব এবং লাল হয়ে যাওয়া দূর হয়ে যায়। চোখের ছানি পড়লে এই কাজটি করতে পারেন।
চোখের ছানি কেন হয়
চোখের ছানি কেন হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা
চোখের ছানি কি কি কারনে পড়ে থাকে তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে
নেওয়া যাক।
নানা কারণে চোখের ছানি পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সকল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হলো বয়স হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ যখন একজন মানুষের পর্যাপ্ত বয়স হয়ে যায়। তখন লেন্সের যে প্রোটিন থাকে তা মূলত ভেঙে যায়। আর এর কারণে চোখের ছানি পড়ে থাকে। এছাড়াও সাধারণত কারো যদি দীর্ঘ সময় ধরে ডায়াবেটিস রোগটা হয়ে থাকে। তাহলে তার ক্ষেত্রেও চোখের ছানি পড়া দেখা যায়।
চোখের ছানি পড়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো ভিটামিন সি এবং একই সাথে ভিটামিন ই এর অভাব হলে। এমনকি যদি এন্টিঅক্সিডেন্টের অভাব হয়। তাহলেও চোখের ছানি পড়তে দেখা যায়। তাছাড়াও চোখের ছানি পড়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো পরিবারের কেউ যদি চোখের ছানি পড়া সমস্যায় আক্রান্ত হয়। তাহলে দেখা যায় বংশগত কারণেও চোখের ছানি পড়া সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এ সকল কারণগুলোর জন্যই মূলত চোখের ছানি পড়ে থাকে।
চোখে ছানি পড়ার লক্ষণ
চোখে ছানি পড়ার লক্ষণ সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা
চোখের ছানি পড়ার যাবতীয় লক্ষণগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন
তাহলে জেনে নেওয়া যাক। চোখে ছানি পড়ার সাধারণত কিছু লক্ষণ রয়েছে। নিচের আলোচনায় এগুলো আলোচনা করা হলোঃ
যদি আপনি দেখেন রাতে ঠিকমতো দেখতে পাচ্ছেন না অথবা যে জায়গায় কম আলো আছে। সেই জায়গা ভালোভাবে দেখতে পাচ্ছেন না। এমনটা যদি হয়, তাহলে বুঝে নিবেন আপনার চোখে ছানি পড়েছে। এছাড়াও যদি দেখেন যে কোন জিনিসের রং খুব হালকাভাবে চোখে পড়ছে। এমনটা যদি হয় তাহলেও বুঝে নিবেন আপনার চোখে ছানি পড়েছে।
চোখে ছানি পড়লে যেকোনো জিনিস ভালো ভাবে দেখতে পাবেন না। চোখের ছানি পড়া বোঝার জন্য সূর্যের আলোর দিকে তাকাতে পারেন। যদি দেখেন আপনার চোখে অনেক বেশি আলো আসার কারণে সমস্যার মধ্যে পড়ছেন। তাহলে বুঝে নিবেন আপনার চোখে ছানি পড়েছে। আপনারা যদি দেখেন একটি চশমা পরিবর্তন করার পরেও চোখের উন্নতি হচ্ছে না। তাহলে বুঝে নিবেন আপনার চোখে ছানি পড়েছে।
চোখের ছানি সমস্যা বুঝার জন্য আরো একটি বিষয় এর দিকে লক্ষ্য রাখতে পারেন। সেটি হলো চোখের ছানি পড়লে একটি চোখ দিয়ে যে কোন জিনিস দুটি দেখতে পাবেন। যদি এমনটা হয় তাহলে বুঝে নিবেন আপনার চোখে ছানি পড়েছে। এছাড়াও আপনার যদি একটি চোখে দেখতে সমস্যা তৈরি হয়। তাহলেও বুঝে নিবেন আপনার চোখে ছানি পড়েছে। এই সমস্যাগুলো দেখতে পেলে বুঝে নেবেন চোখে ছানি পড়েছে।
চোখে ছানি পড়ার কারণ কি
চোখে ছানি পড়ার কারণ কি এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে
আমরা চোখে ছানি পড়ার যাবতীয় কারণগুলো খুব অল্প কথার মাধ্যমে ভালোভাবে আপনাদের
বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক।
- বয়স হলে চোখে ছানি পড়ে।
- চোখে কোন আঘাত লাগলে ছানি পড়ে।
- ডায়াবেটিস হলে চোখে ছানি পড়ে।
- বংশগত কারণে চোখে ছানি পড়ে।
-
সূর্য রশ্মির অতিরিক্ত প্রভাব চোখে পড়লে ছানি পড়ে।
- ধূমপান করলে চোখে ছানি পড়ে।
- মদ্যপান করলে চোখে ছানি পড়ে।
- চোখে কোন ইনফেকশন হলে চোখে ছানি পড়ে।
- পুষ্টির অভাব হলে চোখে ছানি পড়ে।
- চোখে কোন প্রদাহ হলে ছানি পড়ে।
- পূর্বে চোখে সার্জারি করলে ছানি পড়ে।
- হাই মায়োপিয়ার অসুখ হলে চোখে ছানি পড়ে।
চোখে ছানি পড়ার চিকিৎসা খরচ
চোখে ছানি পড়ার চিকিৎসা খরচ সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে
আমরা চোখে ছানি পড়ার জন্য আপনাদের কেমন ধরনের চিকিৎসা খরচ বহন করতে হতে পারে
তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। চোখে ছানি পড়া একটি
গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এই সমস্যাটা মোকাবেলা করা তাই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর এই
সমস্যাটা কোন ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে ঠিক করা সম্ভব হয় না। এটি ঠিক করার
জন্য অবশ্যই চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
আর চিকিৎসা করতে হলে টাকা প্রয়োজন হবে। এখন আপনাদের প্রশ্ন হলো কত টাকা
লাগতে পারে। আমি অনলাইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা স্বাস্থ্য ওয়েবসাইট
থেকে জানতে পারি চোখের ছানি চিকিৎসা করার জন্য ৩০ হাজার থেকে শুরু করে ২ লাখ
টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। কত টাকা খরচ হবে এটি নির্ভর করবে আপনার চোখের
ছানি সমস্যাটা কি রকম তার ওপর।
চোখের ছানি সমস্যা কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। এ ধরনের উপর নির্ভর করে টাকার
প্রয়োজন হবে। আর এই চিকিৎসাটা ভারতে সম্পন্ন হয়ে থাকে। যার খরচ এরকম হতে
পারে। এছাড়াও আমাদের বাংলাদেশে যদি কোন ডাক্তার এটি চিকিৎসা করে। তাহলে
টাকার পরিমাণ আরো কম হতে পারে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং চোখের ছানি কেন হয় এই সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।
চোখের ছানি অপারেশন না করলে কি হবে
চোখের ছানি অপারেশন না করলে কি হবে এ সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই
পর্বে আমরা চোখের ছানি অপারেশন না করলে কি হতে পারে তা আপনাদের বিস্তারিত ভাবে
জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
চোখের ছানি অপারেশন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি যদি অপারেশন না করা হয়। তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হবে। এই সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সমস্যা হলো অন্ধ হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ আপনি যদি চোখের ছানি সমস্যায় অপারেশন না করেন। তাহলে একসময় আপনি আর দেখতে পাবেন না। চোখে ঝাপসা দেখতে লাগবেন। এছাড়া আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হলো দূরের জিনিস ভালোভাবে দেখতে সক্ষম হবেন না।
তাছাড়াও কাছের জিনিসগুলোও ভালোভাবে দেখতে পাবেন না। যা চোখ থেকেও চোখ না থাকার মতো অবস্থা হবে। ধরেন আপনার একটি চোখে ছানি পড়েছে। এটির কারণে আপনার দ্বিতীয় চোখটিতেও ছানি পড়ে যাবে। আর চোখে কম দেখতে পেলে দৈনন্দিন এর যাবতীয় কাজকর্ম করতে বিঘ্ন ঘটবে। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হলো চোখের ছানি পড়া সমস্যা তৈরি হলে খুব দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
চোখে ছানি পড়ার চিকিৎসা
চোখে ছানি পড়ার চিকিৎসা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এ পর্বে আমরা
চোখে ছানি পড়ার চিকিৎসা কিভাবে করা হয় তা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন
তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
চোখের ছানি পড়ার সমস্যায় ডাক্তারের কাছে গেলে, ডাক্তার যদি পরীক্ষা করে বলে তেমন বড় কোন ছানি পড়ার সমস্যা তৈরি হয়নি। তাহলে সাধারণত রোগীকে ডাক্তার চোখের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকে। সেই সাথে যদি চশমা ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। তাহলে কোন ধরনের চশমা ব্যবহার করতে হবে তা বলে দেয়।
এছাড়াও চোখের ছানি পড়া দূর করার জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়ে থাকে। চোখের ছানি পড়া সমস্যা দূর করার জন্য এটিেই মূলত সবচাইতে কার্যকরী পদ্ধতি। অর্থাৎ রোগীকে সার্জারি প্রয়োগের মাধ্যমে এ কাজটি করে থাকে। তাছাড়াও অস্ত্রোপচার করার পরেই চোখের দৃষ্টিকে উন্নত করতে নকল ধরনের লেন্স ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
যা রোগীকে ভালোভাবে যে কোন জিনিস দেখতে সহায়তা করে। এ সকল পদ্ধতি অবলম্বন করে চোখের ছানি পড়া চিকিৎসা করা হয়। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।
চোখের ছানি অপারেশন করলে কি লেন্স লাগাতে হয়
চোখের ছানি অপারেশন করলে কি লেন্স লাগাতে হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে
চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা চোখের ছানি অপারেশন করার সময় লেন্স লাগাতে হয়
কিনা তা ভালোভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। হ্যাঁ,
এই কথাটি একদম সত্য। কেননা একজন চোখের ছানি পড়া রোগীকে যখন অস্ত্রপচার করার
মাধ্যমে চোখের ছানি পড়া চিকিৎসা করা হয়। তখন সাধারণত নকল এক ধরনের লেন্স
পড়ানো হয়ে থাকে।
এটি রোগীকে যেকোনো জিনিস খুব ভালোভাবে দেখতে সাহায্য প্রদান করে থাকে।
যেহেতু এটি চোখের ভেতর খুব ভালোভাবে লাগানো হয়ে থাকে। তাই আলাদা করে আর কোন
ধরনের চশমার প্রয়োজন হয় না। তাহলে আপনারা খুব সহজে বুঝতে পেরেছেন একজন
চোখের ছানি রোগীকে অপারেশন করার সময় এক ধরনের নকল লেন্স লাগানো হয়ে থাকে
যেটিকে আপনারা সহজ কথায় কৃত্রিম লেন্স বলতে পারেন। আশা করছি প্রশ্নের উত্তর
পেয়েছেন।
চোখের ছানি কতদিন থাকতে পারে
চোখের ছানি কতদিন থাকতে পারে এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই
পর্বে আমরা চোখের ছানি কতদিন থাকতে পারে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা
করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। চোখের ছানি একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এই
সমস্যাটা তাই মোকাবেলা করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চোখের ছানি সমস্যা তৈরি হলে
অবশ্যই অপারেশন করার চেষ্টা করতে হবে।
কেননা এটি অপারেশন না করে ঠিক করা যায় না বললেই চলে। এখন আপনাদের প্রশ্ন হলো চোখের ছানি কতদিন থাকতে পারে তা সম্পর্কে। চোখের ছানি সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে
রয়ে যেতে পারে। আর এটি যদি দীর্ঘ সময় থাকতে শুরু করে। তাহলে একসময় আপনি চোখে
ঝাপসা দেখতে শুরু করবেন। দুরের এবং কাছের জিনিস খুব ভালোভাবে দেখতে পাবেন না।
তাই সময় থাকতে একজন ভাল ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এটি অপারেশন করার ব্যবস্থা
করতে হবে। তাহলেই চোখের ছানি পড়া সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। আশা করি সঠিক
উত্তর পেয়েছেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে চোখের ছানি দূর
করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।
লেখকের শেষ কথা
উপরের আলোচনা থেকে আমরা চোখের ছানি দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি চোখের ছানি কেন হয় তা
সম্পর্কে। চোখের ছানি পড়া বিভিন্ন কারণে সংঘটিত হয়ে থাকে। এটি প্রতিরোধ করা
খুবই জরুরী একটি বিষয়। কেননা এটি যদি আপনি ঠিক না করেন অর্থাৎ সঠিক চিকিৎসা না
নেন।
তাহলে দিন যত যাবে আপনি ততই কম দেখতে পাবেন। আর আপনি কম দেখতে পেলে দৈনন্দিন
দিনের যাবতীয় কাজে বাঁধাগ্রস্ত হবেন। তাই আপনার উচিত চোখে কম দেখার আগেই এটি
সঠিকভাবে সমাধান করে নেওয়া। আর তা না করা হলে দূরের জিনিস ভালো ভাবে দেখতে পাবেন
না। এমনকি কাছের জিনিসও ভালোভাবে দেখতে পাবেন না।
আমি উপরের আলোচনায় চোখের ছানির যাবতীয় প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা যদি উপরের আলোচনাটি ভালোভাবে পড়েন।
তাহলে অবশ্যই এখান থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন তা জানতে পারবেন।
রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url