মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার ১০টি সেরা উপায়

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা বর্তমান সময়ে অনেক জনপ্রিয় কাজ বা প্লাটফর্ম রয়েছে, যেগুলোতে ঠিকঠাক পরিশ্রম করলে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়।

মাসে-৩০-হাজার-টাকা-আয়-করার-উপায়মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখা গুলো খুব যত্ন সহকারে করার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই মূলত আপনারা প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার সেরা কিছু উপায় জেনে নিন 

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা প্রতি মাসে কিভাবে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করা যায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। বর্তমান বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। বাংলাদেশে এখন ৩০ হাজার টাকা প্রতি মাসে উপার্জন করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। কেননা বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইন বিভিন্ন সোশ্যাল প্লাটফর্ম অনেক বেশি জনপ্রিয়।

বর্তমানে বাংলাদেশের কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যাক্তিরাও অনলাইনকে কাজে লাগিয়ে প্রতি মাসে ৩০ হাজার কিংবা তার বেশি টাকা ইনকাম করছে। এছাড়াও বাংলাদেশে বিভিন্ন ছোট ব্যবসা করেও মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। আজকের এই পর্বে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করা যায় এমন সেরা ১০টি উপায় সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। 

১/ ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম করার উপায়

ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া উচিত। কেননা বর্তমানে একটি ফেসবুক পেজ থাকা অনেক বেশি জরুরী। বর্তমান বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ায় এখন ফেসবুকে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিডিও বানিয়ে মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি ইনকাম করা যায়। কিভাবে আপনি মাসে ৩০ হাজার টাকা ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম করতে পারেন সেই সম্পর্কে চলুন আমরা দেখে আসি।

ফেসবুক আইডিঃ  এজন্য আপনি প্রথমে একটি ফেসবুক আইডি খুলবেন। এরপর নতুন ফেসবুক আইডিতে কভার ফটো এবং প্রোফাইল ফটো দিবেন। কভার ফটো এবং প্রোফাইল ফটো গুলো যেন নতুন হয়। অর্থাৎ আপনি এই ফটোগুলো আগে অন্য কোথাও শেয়ার করেননি এমনটা যেন হয়। এরপর আপনি আপনার আইডিতে যাবতীয় ইনফরমেশন দিয়ে ফেসবুক আইডিটি প্রস্তুত করবেন।

ফেসবুক পেজ তৈরিঃ  ফেসবুক আইডি প্রস্তুত হলে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করবেন। তারপর সেখানেও নতুন একটি কভার ফটো এবং নতুন একটি প্রোফাইল ফটো যোগ করবেন। এমন ফটো দেওয়ার চেষ্টা করবেন যা এর আগে অন্য কোন প্লাটফর্মে শেয়ার করেন নি। এরপর পেজের যাবতীয় ইনফরমেশন দিয়ে আপনার ফেসবুক পেজটি প্রস্তুত করবেন। ফেসবুক পেজ খোলার সময় ফেসবুকের মেইন প্রোফাইল থেকে না খুলে ফেসবুক লাইট ব্যবহার করে খুলবেন।

ভিডিও এডিটিংঃ  ভিডিও বানানোর আগে আপনাকে আগে ভিডিও এডিটিং ভালোভাবে শিখে নিতে হবে। ভালো ভিডিও এডিটিং করতে পারলেই আপনার ভিডিও বেশি পরিমাণে ভিউ হবে। আর বেশি পরিমাণে ভিউ হলে আপনার ইনকাম বেশি হবে। আপনি যদি মোবাইল থেকে ভিডিও এডিটিং করতে চান, তাহলে Capcut, Kinemaster, Inshot এই সকল জনপ্রিয় অ্যাপস গুলো ব্যবহার করতে পারেন। আর আপনি যদি পিসি দিয়ে ভিডিও এডিটিং করতে চান, তাহলে Adobe premiere pro, Openshot, Hitfilm express ইত্যাদি সফটওয়্যার গুলোর মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং শিখে নিতে পারেন।

ভিডিও তৈরিঃ  ফেসবুক পেজ, ভিডিও এডিটিং এ সকল কাজগুলো সম্পন্ন করার পর এবার আপনি ভিডিও তৈরি করার জন্য প্রস্তুত। এখন আপনি কি ভিডিও বানাবেন এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আপনার উপর। আপনি চাইলে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিডিও বানাতে পারেন যেমনঃ ফানি ভিডিও, ফুড ব্লগিং, ইসলামিক কনটেন্ট, ট্রাভেল ব্লগিং, রান্নার ব্লগিং, দৈনন্দিন জীবনের যাবতীয় ঘটনা নিয়ে ভিডিও। এছাড়াও আপনি যে পেশায় আছেন সে পেশা সম্পর্কিত ভিডিও। এছাড়াও আপনি অনলাইনে ক্লাস নিয়ে ভিডিও বানাতে পারেন।

২/  ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করার উপায়

ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে ইনকাম করা অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু ব্লগিং করেও যে মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করা যায় তা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। আজকের এই পর্বে আমরা ব্লগিং করে কিভাবে প্রতি মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করা যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

ওয়েবসাইট তৈরিঃ  ব্লগিং করে আয় করার জন্য প্রথমে আপনার একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। ওয়েবসাইট তৈরি করার পর এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখতে পারেন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ইসলামিক আর্টিকেল, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আর্টিকেল, লাইফ স্টাইল সম্পর্কিত আর্টিকেল, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল এবং অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত আর্টিকেল। অর্থাৎ গুগলে যেসব বিষয় নিয়ে মানুষ বেশি সার্চ করে সে সকল বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখতে পারেন।

এডসেন্স অ্যাপ্রুভঃ  আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করার পর এখানে বিভিন্ন ক্যাটাগরির উপর ১৫০ থেকে ২০০ আর্টিকেল পাবলিশ করার পর যখন দেখবেন আপনার ওয়েবসাইটে প্রত্যেকদিন ১০০ করে ভিজিটর আসছে। তখন আপনি গুগল এডসেন্সের জন্য এপ্লাই করতে পারেন। গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ হলে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনার লেখা আর্টিকেলগুলোতে গুগল কর্তৃপক্ষ এড চালু করে দিবে। আর সেখান থেকে আপনার ইনকাম হবে। কোন কারনে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ না হলে এর বিকল্প adsterra অ্যাড নেটওয়ার্কিং আপনার ওয়েবসাইটে চালু করতে পারেন। সেখান থেকেও আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে। এভাবে আপনি খুব সহজেই ব্লগিং করে মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করতে পারেন।

৩/ ফেসবুক পেজে প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয়

ফেসবুক পেজে প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয় করা বর্তমানে সবচাইতে বেশি জনপ্রিয় একটি কাজ। এখনকার দিনে মানুষ মার্কেটে গিয়ে কোন প্রোডাক্ট না কিনে ঘরে বসে খুব সহজেই অনলাইনে অর্ডার করে প্রোডাক্ট কিনতে বেশি আগ্রহী। তাই আপনি যদি এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে পারেন। তাহলে খুব সহজেই প্রতি মাসে ৩০ হাজার কিংবা তার বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই আজকের এই পর্বে আমরা চেষ্টা করবো ফেসবুক পেজে প্রোডাক্ট বিক্রি করে কিভাবে আয় করা যায় তার বিস্তারিত আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

ফেসবুক পেজ তৈরিঃ  এজন্য প্রথমে আপনার একটি ফেসবুক পেজ ভালোভাবে খুলে নিতে হবে। ফেসবুক পেজ খোলা হয়ে গেলে এরপর আপনার কাজ হবে আপনি যে প্রোডাক্টগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে চান ফেসবুক পেজ ব্যবহার করে সেগুলো আগে আপনাকে কালেক্ট করতে হবে। অথবা যারা পাইকারি রেটে প্রোডাক্ট বিক্রি করে তাদের সাথে আপনাদের যোগাযোগ থাকতে হবে।

ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করেঃ  আপনি আপনার প্রোডাক্টটি ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে বিক্রি করতে পারেন। ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এ কিছু প্রোডাক্ট বাদে সবগুলো প্রোডাক্টটিই বিক্রি করা যায়। কোন প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করা যায় না সেগুলো জেনে যেগুলো যায় সেগুলো বিক্রি করবেন। ফেসবুক মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে পণ্য বিক্রি করে বেশ ভালো টাকাই ইনকাম করা যাবে।

অ্যাড রান করেঃ  ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ইনকামের সবচাইতে ভালো পদ্ধতি হলো এড চালু করা। অর্থাৎ আপনি যে প্রোডাক্টটি বিক্রি করতে চাচ্ছেন সেই প্রোডাক্টটির উপর একটি বিজ্ঞাপন তৈরি করে অর্থাৎ ভালোভাবে সে প্রোডাক্টের একটি ভিডিও বানিয়ে ফেসবুক পেজে আপলোড দিবেন। তারপর সেটিকে বুস্ট করবেন। আর বুস্ট করলে ডলারের প্রয়োজন হবে। এজন্য আপনারা আগেই একটি কার্ড করে নিবেন। যাতে আপনারা ফেসবুক পেজে কোন প্রোডাক্ট এর ভিডিও দিয়ে বুস্টের মাধ্যমে এড চালু করতে পারেন। আর এড চালু হলে এই অ্যাড অনেক মানুষের কাছে পৌঁছাবে। যেখান থেকে আপনি মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

গ্রাহক সেবা প্রদান করুনঃ  যে প্রোডাক্টটি আপনি ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিক্রি করবেন, সেই প্রোডাক্টটি নিতে যখন কোন কাস্টমার আগ্রহী হবে। তখন যাতে আপনার সাথে খুব সহজে যোগাযোগ করতে পারে সেইদিকে বিশেষ নজর রাখবেন। গ্রাহকের যেকোনো প্রশ্নের উত্তর খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং তাদের যে কোন সমস্যা সমাধান করার জন্য চেষ্টা করবেন। সর্বশেষ তাদের কাছ থেকে প্রোডাক্টের রিভিউ নিবেন এবং রেটিং সংগ্রহ করবেন।

৪/ কোচিং সেন্টার খুলে ইনকাম করার উপায়

কোচিং সেন্টার খুলে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া উচিত। কেননা আপনি খুব সহজেই কোচিং সেন্টার খুলে প্রতি মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করতে পারেন। এজন্য আপনার প্রথমে কিছু টাকা ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হবে। আজকের এই পর্বে আমরা কোচিং সেন্টার খুলে কিভাবে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করা যায় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

জায়গা নির্ধারণঃ  প্রথমে আপনাকে কোচিং সেন্টার খোলার জন্য জায়গা নির্ধারণ করতে হবে অর্থাৎ আপনি যদি আপনার নিজস্ব জায়গায় কোচিং সেন্টার চালু করতে চান তাহলে সেই জায়গাটা নির্বাচন করতে হবে। কিংবা আপনি যদি কারো কোন জায়গায় আপনার কোচিং সেন্টার চালু করতে চান তাহলে সেই জায়গাটা তাদের কাছ থেকে ভাড়া নিতে পারেন। তবে সবচাইতে ভালো হয় আপনি যদি কোন স্কুলের বা কলেজের কোন রুম ভাড়া নেন। স্কুল কলেজের রুম ভাড়া নিলে আপনার স্টুডেন্টদের জন্য বসার চেয়ার টেবিলের প্রয়োজন হবে না।

মার্কেটিং করাঃ  কোচিং সেন্টার প্রস্তুত করে আপনার প্রথমে যে কাজটি হবে সেটি হলো মার্কেটিং করা। অর্থাৎ আপনার কোচিং সেন্টার সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের জানানো। এজন্য আপনারা আপনাদের কোচিং সেন্টারের পোস্টার তৈরি করে বিভিন্ন স্কুল কলেজের আশেপাশে বা যে জায়গা গুলোতে স্টুডেন্ট সংখ্যা বেশি সে জায়গাগুলোর দেয়ালে পোস্টার লাগাতে পারেন। এছাড়াও আপনারা বিভিন্ন স্কুল কলেজে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে আপনাদের কোচিং সেন্টারের লিফলেট বিতরণ করতে পারেন। এভাবে খুব সহজে আপনারা আপনাদের কোচিং সেন্টারের জন্য ছাত্র-ছাত্রী সংগ্রহ করতে পারেন।

শিক্ষক নিয়োগঃ  আপনার কোচিং সেন্টারে যে সকল বিষয়গুলোর উপর ক্লাস নেওয়া হবে সে সকল বিষয়গুলোর উপর শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। সাধারণত ছাত্রছাত্রীরা ইংরেজি, গণিত, রসায়ন, পদার্থ, জীববিজ্ঞান এ সকল বিষয়গুলোতে দুর্বল হয়ে থাকে। তাই তারা এ সকল বিষয়গুলোর উপর বেশি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। তাই আপনাদের এই সকল বিষয়গুলোর উপর কোন দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। এভাবে আপনারা একটি কোচিং সেন্টার দাঁড় করিয়ে সহজেই প্রতি মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

৫/  ইমেইল মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায়

ইমেইল মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে যতগুলো প্ল্যাটফর্মে কাজ করে ভালো পরিমাণ ইনকাম করা যায় তার মধ্যে ইমেইল মার্কেটিং অন্যতম। আপনি চাইলে খুব সহজেই ঘরে বসে প্রতি মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি ইমেইল মার্কেটিং করে উপার্জন করতে পারেন। কিভাবে প্রতি মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করা যায় তার সম্পূর্ণ ইনফর্মেশন থাকছে আজকের এই পোস্টে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
 
ইমেইল-মার্কেটিং-করে-ইনকাম-করার-উপায়ইমেইল মার্কেটিং কিঃ  কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পণ্য, সেবা, অফার এবং প্রমোশন সহ আরো নানা জিনিসের মার্কেটিং ইমেইলের মাধ্যমে করা হলে তাকে ইমেইল মার্কেটিং বলে। অর্থাৎ ইমেইল মার্কেটিং এর কাজ হলো ইমেইলের মাধ্যমে সেলস জেনারেট করা। একজন কাস্টমারকে বিভিন্ন পণ্যের সঠিক তথ্য ইমেইলের মাধ্যমে প্রদান করা ইমেইল মার্কেটিং এর কাজ। ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় এবং প্রচার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
ইমেইল মার্কেটিং করার নিয়মঃ  ইমেইল মার্কেটিং করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। এটি অত্যন্ত সহজ কাজ। এটি সঠিকভাবে করতে পারলে আপনি দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার ব্যবসাকে খুব ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারবেন। ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে প্রথমে ইমেইল সাবস্ক্রাইবার লিস্ট তৈরি করতে হবে। এরপর আপনার যেসব গ্রাহক রয়েছে, তাদের ইমেইল আইডি সংগ্রহ করতে হবে।

গ্রাহকের ইমেইল আইডি বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট এবং নানা ধরনের চ্যানেল থেকে পাওয়া যাবে। এরপর আপনাকে ইমেইল কনটেন্ট ডিজাইন করতে হবে। এটি করার সময় মনে রাখতে হবে যাতে এটি খুবই আকর্ষণীয় হয় এবং আপনার কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী যাতে হয়। আর এই কন্টেন্ট অবশ্যই সহজ ভাষায় এবং সংক্ষিপ্ত হতে হবে। যাতে আপনার কাস্টমার খুব সহজেই বুঝতে পারে।

ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য ইমেইল অটোমেশন টুলস প্রয়োজন। এই টুলস গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো Mailchimp, Sendinblue, Hupspot এই টুলসগুলো আপনাকে সঠিক সময় ইমেইল পাঠানো, ট্র্যাকিং করা সহ আরো নানা প্রসেস অটোম্যাট করতে সহায়তা করে থাকবে। ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে ইমেইল ক্যাম্পেইন রেজাল্ট খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। ওপেন রেট, ক্লিক রেট, কনভার্সন রেট ভালোভাবে পর্যক্ষণ করে এগুলোর কেমন পরিবর্তন আনা দরকার তা নির্ধারণ করে ফেলতে হবে।

ইমেইল কন্টেন্ট কাস্টমাইজ করার জন্য গ্রাহকের নাম এবং তাদের কোন বিষয়ে আগ্রহ রয়েছে সেই দিক বিবেচনা করে ইমেইল কাস্টমাইজ করতে হবে। নিয়মিত আপনাকে আপনার ইমেইল আইডি আপডেট করে নিতে হবে। আর এখানে যে সকল ইমেইল গুলো ভুল বা নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে সেগুলো বাদ দিয়ে দিতে হবে।

সর্বশেষ ইমেইল পাঠানোর সময় আপনার ইমেইল যাতে ইমেইল স্প্যাম ফিল্টারে না পরে সেদিকে নজর রাখতে হবে। এজন্য আপনি ইমেইলের বিষয়বস্তু এবং লিংকগুলো খুব ভালোভাবে চেক করে নিয়ে ইমেইল পাঠাবেন। তাহলে ইমেইল স্প্যাম লিস্টে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে না। এই নিয়মগুলো অনুসরণ করে মূলত ইমেইল মার্কেটিং করা হয়ে থাকে।

ইমেল মার্কেটিং করে আয়ঃ  ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে আপনি যদি বেশ দক্ষ হয়ে ওঠেন, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা তাদের ইমেইল ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য দক্ষ ইমেইল মার্কেটার নিয়োগ দিয়ে থাকে। এমন কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে বিভিন্ন প্লাটফর্মে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।

এই প্লাটফর্ম গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো Upwork, Fiverr, PeoplePerHour, Linkedin, Truelancer এই সকল প্লাটফর্মে আপনি ইমেইল মার্কেটিং করে প্রতি মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা উপার্জন করতে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি একজন দক্ষ ইমেইল মার্কেটার হতে পারেন, তাহলে আপনি খুব সহজেই নিজে কোর্স তৈরি করে তা নানা ধরনের অনলাইন প্লাটফর্মে বিক্রি করে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

৬/  ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ইনকাম করার উপায়

ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আপনার জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা বর্তমান সময়ে যতগুলো অনলাইনে কাজ রয়েছে তার মধ্যে সবচাইতে সহজ কাজ হলো ডাটা এন্ট্রি। এই কাজটির প্রথম অবস্থায় কম কাজ পেলেও কাজ পেতে শুরু করলে একের পর এক কাজ পেতে থাকবেন।

ডাটা এন্ট্রির কাজ করার জন্য আপনার অবশ্যই ল্যাপটপ বা পিসি, মোবাইল ফোন, কম্পিউটারের বেসিক স্কিল, Ms Excel, Google Docs, Ms Word এ ভালো দক্ষতা, টাইপিং স্পিড, ভালো ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। ডাটা এন্ট্রির কাজ আপনি অনলাইনের বিভিন্ন কোর্স থেকে শিখে নিতে পারেন।

ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো কি কিঃ  বিভিন্ন ধরনের ডাটা এন্ট্রির কাজ রয়েছে। এ সকল কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম কাজগুলো হলো সার্ভে পূরণ করা, কপি পেস্ট জব, ক্যাপচা পূরণ করা, ফর্ম ফিলাপ করার কাজ, কনটেন্ট ক্রিয়েশন এর কাজc, ডাটা প্রসেসিং, ডাটা ক্লিনজিং, ট্রান্সক্রিপশন, ডাটা মাইনিং, ইমেজ ট্যাগিং, অ্যাপ টেস্টিং, ট্রান্সলেশন, কনটেন্ট মডেরেশন, ওয়েব রিসার্চ, বিটুবি লিড জেনারেশন ইত্যাদি।

ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়ার উপায়ঃ  ডাটা এন্ট্রির কাজ আপনি অনলাইন মার্কেটপ্লেসে করতে পারবেন। আপনি যদি ডাটা এন্ট্রিতে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে খুব সহজেই মার্কেটপ্লেস এ কাজ পেয়ে যাবেন। প্রথম কাজ পেতে হয়তো সময় লাগবে। কিন্তু আপনি যখন ভালো মানের কাজ করতে থাকবেন ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ভালো হবে। তখন আপনার রেটিং বেড়ে যাবে। রেটিং বেড়ে গেলে তখন আর কাজ পেতে তেমন সমস্যা হবে না। ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়ার জন্য ফাইবার, আপ-ওয়ার্ক, কে-ওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার এ সকল ওয়েবসাইট গুলোতে কাজ করে আপনি প্রতি মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

মার্কেটপ্লেসের বাইরে ইনকামঃ  আপনি মার্কেটপ্লেসের বাইরে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। যেমন ধরুন আপনি কোথাও ঘুরতে গিয়েছেন। সেখানকার আপনার ভালো একটি অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বই তৈরি করতে পারেন। তারপর সেই বইটা অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও আপনি কোন একটি বিষয়ে অনেক দক্ষ। তাই সেই বিষয়ের উপর একটি কোর্স তৈরি করে সেটাও অনলাইনে বিক্রি করে মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করতে পারেন।

৭/  ইউটিউব চ্যানেল খুলে ইনকাম করার উপায়

ইউটিউব চ্যানেল খুলে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা বর্তমান সময়ে একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রতি মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি ইনকাম করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়। আপনার কাছে যদি একটি মোটামুটি ভিডিও করা যায় এমন একটি ফোন থাকে।

তাহলে আপনি আপনার যে কোন পছন্দ মতো ভিডিও করে ইউটিউবে আপলোড করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। আজকের এই পর্বে আমরা কিভাবে ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে প্রতিমাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করা যায় তার বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক।

ইউটিউব চ্যানেল তৈরিঃ  ভিডিও করার আগে একটি প্রফেশনাল লেভেলের ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো আপনি ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে তৈরি করবেন? ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে তৈরি করতে হয় সেই সম্পর্কে ইউটিউবে নানা ভিডিও রয়েছে। আপনি সেগুলো থেকে আপনার যেটা পছন্দ হয় সেই ভিডিওটা দেখে প্রফেশনাল লেভেলের একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে নিবেন।

ভিডিও এডিটিংঃ  ভিডিও তৈরীর আগে আপনাকে আগে ভালোভাবে ভিডিও এডিটিং শিখতে হবে। কারণ একটি ভিডিও যত বেশি প্রফেশনাল লেভেলের এডিটিং হবে। সেই ভিডিও আপনার অডিয়েন্সের কাছে তত বেশি আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হবে। তাই একটি ভিডিও প্রফেশনাল লেভেলের এডিটিং করার জন্য প্রফেশনাল লেভেলের এডিটিং শিখা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি মোবাইল থেকে ভিডিও এডিটিং করতে চান, তাহলে Capcut, Kinemaster, Inshot এসকল অ্যাপসগুলো ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি আপনি পিসি থেকে ভিডিও এডিট করতে চান, তাহলে Adobe premiere pro, Openshot, Hitfilm express এ সকল সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করতে পারেন।

ভিডিও তৈরিঃ  ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার পর আপনার প্রথম কাজ হবে আপনি কোন বিষয়ের উপর ভিডিও বানাতে চাচ্ছেন সেটা নির্বাচন করা। ইউটিউবে সাধারণত লং ভিডিও বেশি চলে। তাই আপনি চেষ্টা করবেন লং ভিডিও তৈরি করার। আপনি বিভিন্ন ক্যাটাগরির উপর ভিডিও তৈরি করতে পারেন। সেটা হতে পারে রান্না করার ভিডিও, ভ্রমণ করার ভিডিও, খাবারের ভিডিও, শিক্ষামূলক ভিডিও, বিনোদনমূলক ভিডিও, ইসলামিক ভিডিও সহ দৈনন্দিন জীবনে যা ঘটছে তাই নিয়ে ভিডিও। এ সকল ক্যাটাগরির মধ্যে যেকোনো একটি ক্যাটাগরি নির্বাচন করে ভিডিও বানা শুরু করতে হবে।

৮/ কোর্স বিক্রি করে ইনকাম করার উপায়

কোর্স বিক্রি করে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা বর্তমান সময় ইন্টারনেটের যুগ। আর ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করা অনেক বেশি সহজ। আজকের এই পর্বে আমরা কোর্স বিক্রি করে প্রতি মাসে কিভাবে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করা যায় সেই সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
 
কোর্স-বিক্রি-করে-ইনকাম-করার-উপায়কোর্স তৈরিঃ  অনলাইনে কোর্স বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম করার আগে আপনাকে আগে কোর্স তৈরি করতে হবে। এখন আপনি কিসের উপর কোর্স তৈরি করবেন? সেটা সিলেক্ট করতে হবে। আপনি যে বিষয়ের উপর দক্ষ অর্থাৎ ধরুন আপনি ইংরেজি বিষয়ের উপর অনেক বেশি দক্ষ এবং আপনি খুব ভালোভাবে ইংরেজি ভাষায় কথা বলতে পারেন।
 
এখন আপনি ইংরেজি ভাষার শিক্ষার উপর একটি কোর্স তৈরি করতে পারেন। কেননা বর্তমানে ইংরেজি ভাষা শিখার প্রতি ছাত্র-ছাত্রী অনেক বেশি আগ্রহী। এছাড়াও আপনি যদি রসায়ন, পদার্থ, গণিত ,জীববিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ের উপর এইচএসসি বা এসএসসি ব্যাচের জন্য কোর্স তৈরি করতে পারেন। তাহলেও এখান থেকে প্রতি মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করতে পারেন। কেননা এখনকার এইচ এস সি বা এসএসসি ব্যাচ তারা স্যারের কাছে সরাসরি পড়তে না গিয়ে তারা অনলাইন থেকেই যে কোন বিষয়ের উপর কোর্স কিনে নিতে বেশি আগ্রহী।

কোর্স বিক্রিঃ  কোর্স তৈরি করা হয়ে গেলে এবার আপনাকে তা বিক্রি করতে হবে। এখন প্রশ্ন হলো আপনি এটি কিভাবে বিক্রি করবেন? আপনি ফেসবুকে অ্যাড দেওয়ার মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন, ইউটিউবে এড দেয়ার মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন, কিংবা আপনার নিজস্ব ই-কমার্স ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে তাদের হালকা কমিশন দিয়ে তাদের মাধ্যমে আপনার এই কোর্সটি বিক্রি করতে পারেন। মনে রাখবেন কোর্স বিক্রি করতে হবে অল্প টাকার ভিতরে। ৩০০ বা ৭০০ টাকার মধ্যে হলে সবচাইতে বেশি ভালো হয়। আপনাকে এমন ভাবে কোর্সের ফি নির্ধারণ করতে হবে যাতে সকল শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রী সেটি কিনতে পারে।

৯/ এসইও করে ইনকাম করার উপায়

এসইও করে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের জানা উচিত। কেননা বর্তমান সময়ে এসইও খুবই জনপ্রিয়। দক্ষ এসইও এক্সপার্ট হতে পারলে খুব সহজেই প্রতি মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। আজকের এই পর্বে আমরা কিভাবে এসইও করে টাকা ইনকাম করতে পারেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

আপনি একটি ওয়েবসাইট খুলে বিভিন্ন ক্যাটাগরির আর্টিকেল লিখে গুগল এডসেন্স পেতে পারেন। আর সেখান থেকে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করতে পারেন। এখানে মূলত এসইওর কাজ হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটে থাকা আর্টিকেলটিকে গুগলে ভালো পজিশনে র‍্যাংক করে দেওয়া। আপনার প্রতিটি আর্টিকেল যদি গুগলের ভালো পজিশনে র‍্যাংক করে, তবে অনেক বেশি ট্রাফিক জেনারেট করা যায়। আর যত বেশি ট্রাফিক আপনার ওয়েবসাইট পাবেন তত বেশি গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হবে।

এজন্য এসইও এক্সপার্ট হওয়া অনেক বেশি জরুরী। আপনি চাইলে অনলাইন এর বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে এসইও নিয়ে একটি কোর্স করে নিতে পারেন। এসইওতে এক্সপার্ট হতে পারলে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারবেন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারবেন, বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এমনকি লোকাল মার্কেটেও এসইও করে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

১০/  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় কিভাবে করতে হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। কেননা বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বেস জনপ্রিয় একটি কাজ হয়ে উঠেছে। এই কাজটি করে খুব সহজেই প্রতি মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আজকের এই পর্বে আমরা কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করা যায় তার বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে বোঝায় নিজের ওয়েবসাইটে অন্যের যে কোন পন্য প্রমোট করে বিক্রি করে দেওয়া। অর্থাৎ ধরুন আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে আপনি এই ওয়েবসাইটে লেখালেখি করেন বা যে কোন কাজ করেন। এখন আপনি যদি কোন একটি কোম্পানির বা প্রতিষ্ঠানের কোন প্রোডাক্ট প্রমোট করে বিক্রি করে দিতে পারেন।

তাহলে সেই কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান আপনাকে একটি কমিশন দিয়ে থাকবে। আর এভাবে আপনার ইনকাম হতে থাকবে। আপনি যত বেশি প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিতে পারবেন, তত বেশি কমিশন পাবেন। আর এটি করার জন্য আপনার নিজস্ব কোন ওয়েবসাইট থাকা লাগবে বা ইউটিউব চ্যানেলে থাকা লাগবে বা ফেসবুক পেজ থাকা লাগবে। সাধারণত এগুলোর মাধ্যমেই অন্যের প্রোডাক্ট প্রমোট করে বিক্রি করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা হয়ে থাকে।

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কেও। প্রতি মাসে ৩০ হাজার বা তার বেশি টাকা ইনকাম করতে হলে এ সকল প্লাটফর্ম গুলোকে বেছে নিতে পারেন। কারণ বর্তমান সময়ে এ সকল প্লাটফর্ম বা কাজগুলো অনেক বেশি জনপ্রিয়। আর এগুলো থেকে বেশ ভালো পরিমানে ইনকাম জেনারেট করা যায়।

আমি উপরের আলোচনায় প্রায় ১০ টি সেরা অনলাইন প্লাটফর্ম বা কাজ সম্পর্কে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেছি। আপনারা আপনাদের পছন্দমত অর্থাৎ আপনাদের যে কাজটা করতে সুবিধা হয় সেই কাজটা ভালোভাবে শিখে পোপার রিচার্জ করে কাজে লেগে যেতে পারেন। আশা করছি এখান থেকে খুব ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url