কর্পূর আর ন্যাপথলিন কি এক জানুন আসল তথ্য

কর্পূর আর ন্যাপথলিন কি এক এ সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা ন্যাপথালিন এবং কর্পূর দুইটি জিনিসই দৈনন্দিন জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহায়তা করে। তাই এর সম্পর্কে জানা দরকার।

কর্পূর-আর-ন্যাপথলিন-কি-এক
কর্পূর আর ন্যাপথলিন কি এক এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই মূলত আপনারা কর্পূর এবং ন্যাপথালিন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ কর্পূর এবং ন্যাপথলিন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন 

কর্পূর আর ন্যাপথলিন কি এক

কর্পূর আর ন্যাপথলিন কি এক এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা কর্পূর এবং ন্যাপথালিন এই দুইটি জিনিস এক কিনা তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। না, কর্পূর এবং ন্যাপথালিন এক জিনিস না। এই দুইটি জিনিস ভিন্ন ভিন্ন ধরনের। অর্থাৎ এটির কাজ সম্পন্ন রূপে আলাদা ধরনের। এদের দুইটির মাঝে গন্ধের মিল থাকলেও অন্য সবকিছুতেই যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। নিচে সেগুলো দেখানো হলোঃ

কর্পূরঃ

এটি মূলত এক ধরনের প্রাকৃতিক জৈব যৌগ। এটি সাধারণত কর্পূর গাছ থেকে পাওয়া যায়। এছাড়াও এটি বর্তমানে কৃত্রিমভাবেও তৈরি করা হয়ে থাকে। এটি বিভিন্ন অসুখ-বিসুখে ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। যেমন ধরেন, ঠান্ডা লাগলে এটি সহায়তা করে। সর্দি লাগলে এটি সহায়তা করে।

এমনকি ব্যথা হলেও এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এর গন্ধ সাধারণত ঝাঁঝালো ধরনের হয়ে থাকে। সেই সঙ্গে এর গন্ধ শীতল অনুভূতি দেওয়ার কাজে সহায়তা করে থাকে। এটি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে, গন্ধ ছড়ানোর কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে এবং হিন্দুদের পূজা পার্বণের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এর বিষাক্ততা সাধারণত নিরাপদ হয়ে থাকে।

ন্যাপথালিনঃ

ন্যাপথলিন মূলত এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ। এটি সাধারণত কয়লা কিংবা পেট্রোলিয়াম থেকে তৈরি হতে দেখা যায়। এটিকে বাজারে ছোট ছোট সাদা বলেন নায় পাওয়া যায়। এই ছোট ছোট সাদা বলগুলো কাপড়ের পোকা তাড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এর গন্ধ সাধারণত ধোঁয়ার মতো হয়ে থাকে। এমনকি এর গন্ধ শক্ত ধরনের হয়ে থাকে। ন্যাপথালিন ব্যবহার করা হয় পোকামাকড় ধ্বংস করার জন্য। কিংবা কাপড়কে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। এটি সাধারণত বিষাক্ত ধরনের হয়ে থাকে। যার ফলে এটি ত্বকে স্পর্শ করা ক্ষতিকারক। সেই সঙ্গে এটি খাওয়া ব্যাপক বিষাক্তকর।

ন্যাপথলিন এর উপকারিতা

ন্যাপথলিন এর উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ন্যাপথালিনের যাবতীয় উপকারিতা গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। ন্যাপথালিনের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা রয়েছে। এ সকল উপকারিতা গুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিচে সেই উপকারিতা গুলো দেওয়া হলোঃ

  • ন্যাপথালিন কাপড় চোপড় সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এটি কাপড় চোপড়কে তেলাপোকা, উইপোকা সহ আরো অন্যান্য পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। তাই আপনারা কাপড়ের সঠিক যত্নে ন্যাপথলিন ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহারে সমস্ত ধরনের পোকামাকড় হাত থেকে কাপড়চোপড়কে রক্ষা করা যায়।
  • আপনারা যখন কাপড়চোপড়কে ট্রাঙ্ককে রাখবেন কিংবা আলমারিতে রাখবেন, তখন চেষ্টা করবেন এর সাথে ন্যাপথালিন যুক্ত করে দেওয়ার। কেননা এটি যুক্ত করার ফলে কাপড়ের গন্ধ ঠিক থাকে। সেই সঙ্গে এটি দীর্ঘ সময় ধরে ভালো থাকে। এজন্য আপনারা কাপড়কে গন্ধযুক্ত এবং ভালো রাখার ক্ষেত্রে ছোট ছোট সাদা বল অর্থাৎ ন্যাপথালিন ব্যবহার করতে পারেন।
  • অনেক সময় জুতা গন্ধ হতে দেখা যায়। এজন্য আপনারা এই জুতার মধ্যে ছোট ছোট ন্যাপথালিন বল গুলো রেখে দিবেন। এতে করে জুতার গন্ধ গুলো দূর করতে এটি সহায়তা করে থাকবে। একই সঙ্গে এটি জুতার ভেতরে ব্যাকটেরিয়া জন্মানো থেকে সাহায্য করে থাকবে।
  • টয়লেটের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য ন্যাপথালিন ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহার করার ফলে টয়লেটের দুর্গন্ধ দূর হওয়ার পাশাপাশি এখানে জন্মানো যাবতীয় পোকামাকড় দূর করা সম্ভব হবে। এমনকি আপনারা ড্রেনের দুর্গন্ধ এবং পোকামাকড় দূর করার জন্যও ন্যাপথলিন ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এক্ষেত্রেও এটি বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • যেকোনো ধরনের পুরনো বই, পেপার পত্রিকা, প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংরক্ষণের কাজে আপনারা নির্দ্বিধায় ছোট ছোট সাদা রংয়ের ন্যাপথলিন ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহার করার ফলে এগুলোতে পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারে না। ফলে এগুলো অনেক দিন ভালো ভাবে রাখা যায়।
  • ন্যাপথালিন আপনারা ঘরের কোনায় ব্যবহার করতে পারেন, রান্না ঘরে ব্যবহার করতে পারেন, এমনকি আপনারা বেসিন পরিষ্কার করার কাজেও ব্যবহার করতে পারেন। এসব জায়গাগুলোতে ব্যবহার করার ফলে এসব জায়গাগুলোতে থাকা ক্ষতিকর পোকা, ব্যাকটেরিয়া কিংবা পিঁপড়া তাড়াতেও এটি সহায়তা করে থাকে।
  • সংরক্ষণ করা ধান, চাল কিংবা অন্যান্য শস্য পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যও ন্যাপথলিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি ব্যবহার করার ফলে কোন ধরনের ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ এগুলো নষ্ট করতে পারে না। তাই আপনারা এসব জিনিস সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ন্যাপথলিন ব্যবহার করতে পারেন।

কর্পূর এর উপকারিতা

কর্পূর এর উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা কর্পূরের যাবতীয় উপকারিতা গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। কর্পূরের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিচে সেগুলো আলোচনা করা হলোঃ

  • মাথার উকুন দূর করার কাজে কর্পূর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এজন্য আপনারা নারকেল তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মত কর্পূরের তেল ভালোভাবে মিস করে মাথায় দিয়ে দিন। এরপর কিছুক্ষণ রেখে তা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে দেখবেন মাথার উকুন ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাচ্ছে।
  • ব্যথা দূর করার কাজে কর্পূর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এজন্য যে জায়গায় ব্যথা রয়েছে, সেই জায়গায় কর্পূরের তেল ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে ব্যথা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
  • অনেক সময় দেখা যায় সর্দির কারণে নাক বন্ধ হয়ে গেছে। এই সমস্যাটা আপনারা কর্পূরের সাহায্যে দূর করে ফেলতে পারেন। এজন্য আপনারা কর্পূরের ঝাঁজালো গন্ধ নাক দিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও গরম সরিষার তেলের সঙ্গে কর্পূর এর তেল মিশিয়ে নাকের চারপাশে মালিশ করতে থাকতে হবে। এমনকি আপনার বুকেও মালিশ করতে হবে। তাহলে আপনার বন্ধ নাক খুব সহজেই খুলে যাবে।
  • কোন কারনে কেটে যাওয়া বা ছিঁড়ে যাওয়ার ফলে যে ক্ষত সৃষ্টি হয় তা নিরাময় করার জন্য কর্পূর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কেননা এর রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক গুনাগুন। যা ক্ষত নিরাময় করার জন্য পর্যাপ্ত ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • শ্বাসকষ্টের সমস্যায় কর্পূর সহায়তা করে থাকে। এর শক্ত গন্ধ শ্বাসনালির পথকে সহজ করে তোলে। যার ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা প্রতিরোধ হয়ে থাকে। তাই আপনারা শ্বাসকষ্টের সমস্যায় কর্পূর ব্যবহার করতে পারেন। ফলে আপনারা সহজেই শ্বাস নিতে পারবেন।

ন্যাপথলিন এর গন্ধ শুকলে কি হয়

ন্যাপথলিন এর গন্ধ শুকলে কি হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ন্যাপথলিনের গন্ধ শুকলে কি হতে পারে তা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। ন্যাপথালিন মূলত একটি রাসায়নিক পদার্থ। এটি ব্যবহার করা হয় বাসা বাড়ির বিভিন্ন পোকামাকড় দূর করার কাজে।

কিংবা কাপড়কে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। এটি যদি আপনারা বেশিক্ষন যাবত নাক দিয়ে এর গন্ধ শুকেন, তাহলে বেশ কিছু ক্ষতি হতে পারে। এসকল ক্ষতিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ক্ষতি হলো মাথা ব্যাথা করা। এটি অনেকক্ষণ নাক দিয়ে এর গন্ধ শুকলে মাথা ঘোরার মত সমস্যা তৈরি হতে পারে। এমনকি এটি অনেকক্ষণ যাবৎ নাক দিয়ে শুকলে বমি ভাব তৈরি হতে পারে।

তাছাড়াও এর গন্ধ নাক বা চোখ জ্বালাপোড়ার কারণ হতে পারে। এছাড়াও যাদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এটি নাক দিয়ে শুকলে সবচাইতে বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে। এটি মূলত স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি নয় বরং এটি দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যা দূর করার কাজে সহায়তা করে। তাই এটির গন্ধ নাক দিয়ে না শুকাই নিরাপদ হবে। 

কর্পূরের গন্ধ শুকলে কি হয়

কর্পূরের গন্ধ শুকলে কি হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা কর্পূরের গন্ধ শুকার ফলে কি হতে পারে তা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। কর্পূরের গন্ধ সঠিকভাবে নেওয়ার ফলে বেশ কিছু উপকার হয়ে থাকে।

কর্পূরের-গন্ধ-শুকলে-কি-হয়
এ সকল উপকারের মধ্যে অন্যতম একটি উপকার হলো নাক বন্ধ হওয়া সমস্যা দূর হয়। অর্থাৎ কর্পূরের তীব্র গন্ধ সর্দির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া নাক খোলা সম্ভব হয়। এমনকি এর গন্ধ নেওয়ার ফলে শ্বাসনালীর দার উন্মুক্ত হয়। যার ফলে সহজে শ্বাস নেওয়া যায়। তবে এর গন্ধ যদি অতিরিক্ত নেওয়া হয়, তাহলে বেশ কিছু ক্ষতি হতে পারে। এ সকল ক্ষতিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ক্ষতি হলো মাথা ঘোরার সমস্যা তৈরি হওয়া।

এটির গন্ধ অতিরিক্ত নিলে মাথা ঘোরার মতো সমস্যা তৈরি হয়। এমনকি বমি বমি ভাব তৈরি হতেও দেখা যায়। এছাড়াও এর গন্ধ অতিরিক্ত নিলে চোখ বা নাক জ্বালাপোড়া করতে পারে। বিশেষ করে এটি শিশুদের ক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে এর গন্ধ অধিক নেওয়ার ফলে। তাই তাদের এই গন্ধ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এজন্য এর গন্ধ অতিরিক্ত না নিয়ে বিশেষ সুবিধার জন্য কেবল হালকাভাবে নেওয়া যায়।

ন্যাপথালিন কিভাবে ব্যবহার করতে হয়

ন্যাপথালিন কিভাবে ব্যবহার করতে হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ন্যাপথালিন কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। ন্যাপথলিন সাধারণত দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এটি বিশেষ করে কাপড়কে সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এজন্য আপনারা যখন কাপড়চোপড় ভালোভাবে পরিষ্কার করে সুকেশ কিংবা আলমারিতে ভরে রাখবেন, তখন তার আশেপাশে সাদা ছোট ছোট ন্যাপথালিন বল রেখে দিবেন। এটি যাতে সরাসরি কাপড়ের সঙ্গে স্পর্শ না করে এমন জায়গায় রাখবেন।

তাহলে আপনাদের কাপড় খুব ভালোভাবে সংরক্ষণ করা যাবে। এতে করে কাপড়ের গন্ধ নষ্ট হবে না। একই সঙ্গে কাপড়ের আশেপাশে ন্যাপথালিন থাকলে কোন ধরনের পোকামাকড়ের আক্রমণে আপনার কাপড়ের কোন ক্ষতি হবে না। এছাড়াও আপনি যেখানে জুতা বা স্যান্ডেল রেখে দেন অনেকদিন যাবত ধরে। সে সকল জায়গায় ন্যাপথালিনের বল রেখে দিতে পারেন।

এতে করে সেই জায়গায় বাজে গন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না। একই সঙ্গে এটি বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়ের আক্রমণ মুক্ত থাকবে। তাছাড়াও আপনার বাড়ির আশেপাশে যে সকল জায়গায়গুলোতে পোকামাকড়ের আক্রমণ বেশি হয় সেই জায়গায় এটি রেখে দিতে পারেন। এতে করে এ সকল পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকবেন। এভাবে আপনারা খুব সহজে ন্যাপথলিনকে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে কর্পূর আর ন্যাপথলিন কি এক এবং ন্যাপথলিন এর উপকারিতা সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

কর্পূর কি কাজে ব্যবহার হয়

কর্পূর কি কাজে ব্যবহার হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা কর্পূর কি কি কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। কর্পূর নানা কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়াও এটি ব্যবহারে স্বাস্থ্যের নানা উপকার হয়ে থাকে। নিচের আলোচনায় সেগুলো পয়েন্ট আকারে দেখানো হলোঃ

  • ছারপোকা তাড়ানোর কাজে ব্যবহার হয়।
  • ত্বকে চুলকানির সমস্যায় ব্যবহার হয়।
  • মশা তাড়াতে ব্যবহার হয়।
  • রুম ফ্রেশ করতে ব্যবহার করা হয়।
  • শিশুর বুকে কফ জমার সমস্যায় ব্যবহার হয়।
  • সর্দিতে নাক বন্ধ হলে ব্যবহার করা হয়।
  • ত্বকের ব্রণ দূর করতে ব্যবহার হয়।
  • চুল ঝরার পরিমাণ কমাতে ব্যবহার হয়।
  • চুলের খুশকি সমস্যা দূর করতে ব্যবহার হয়।
  • শরীরের ব্যথা দূর করতে ব্যবহার হয়।
  • মাথার উকুন দূর করতে ব্যবহার করা হয়।
  • মুখমণ্ডলের ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে ব্যবহার হয়।
  • ঘরবাড়ি পরিষ্কারে ব্যবহার করা হয়।
  • কর্পূরের গন্ধ মনকে প্রশান্তিময় করতে সহায়তা করে।

ন্যাপথলিন এর গন্ধ কি ক্ষতিকর

ন্যাপথলিন এর গন্ধ কি ক্ষতিকর এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ন্যাপথালিনের গন্ধ ক্ষতিকর কিনা তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। ন্যাপথলিন একটি রাসায়নিক পদার্থ এদের সংস্পর্শে আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে থাকেন, তাহলে আপনার ক্ষতি হতে পারে।

ন্যাপথলিন-এর-গন্ধ-কি-ক্ষতিকর
এর গন্ধ যদি আপনার শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে ভিতরে ঢুকে, তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই সমস্যা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মাথা ঘোরা, সমস্যা, বমি বমি ভাব তৈরি হওয়া, শ্বাসকষ্ট নিতে সমস্যা তৈরি হওয়া ইত্যাদি। এছাড়াও এটি যদি চোখের সংস্পর্শে আসে, তবে চোখ জ্বালাপরার সমস্যা তৈরি হতে পারে।

এটি সাধারণত শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি সমস্যা হতে পারে। এমনকি গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রেও বেশি সমস্যা হতে পারে। তাই তাদের এটি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়াও আপনারা এর গন্ধ সরাসরি নাকে নেওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন। এই নিয়মগুলো মেনে ন্যাপথালিন আপনারা ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে কর্পূর আর ন্যাপথলিন কি এক এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

চুলে কর্পূর দিলে কি হয়

চুলে কর্পূর দিলে কি হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা চুলে কর্পূর দেওয়ার ফলে কি হতে পারে তা সম্পর্কে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। চুলের যত্নে কর্পূরের তেল বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি ব্যবহার করার ফলে চুল ঝরে পড়া রোধ হয়ে থাকে।

এমনকি চুলের খুশকি সমস্যাও প্রতিরোধ হয়ে থাকে। এজন্য আপনারা নিয়মিত মাথায় যে তেলটি ব্যবহার করেন তার সাথে কর্পূরের গুড়া মিস করে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে ব্যবহার করার ফলে চুল ঝরে পড়ার সম্ভাবনা ধীরে ধীরে কমে যাবে। এছাড়াও আপনারা যদি শ্যাম্পু করার আগে কর্পূরের তেল মাথায় ভালোভাবে মালিশ করতে পারেন।

তাহলে আপনাদের খুশকির সমস্যা নাই হয়ে যাবে। খুশকির সমস্যা দূর করতে আরো একটি কাজ করতে পারেন। নারিকেল তেলের সঙ্গে কর্পূরের গুড়া মিস করার পর তেলটাকে হালকা ভাবে গরম করে মাথার স্কাল্পে লাগিয়ে দিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিতে পারেন।

এরপর তা শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এতে করে চুলের খুশকি সমস্যা খুব ভালোভাবে দূর হয়ে থাকবে। এভাবে আপনারা চুলের যত্নে কর্পূরকে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে কর্পূর আর ন্যাপথলিন কি এক এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা 

উপরের আলোচনা থেকে কর্পূর আর ন্যাপথলিন কি এক এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি ন্যাপথলিন এর উপকারিতা সম্পর্কেও। এই দুইটি জিনিসই দৈনন্দিন জীবনে নানা কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। ন্যাপথালিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে দৈনন্দিন জীবনের এমন সকল প্রয়োজনে যা জিনিসপত্রকে ভালো রাখতে পারে।

এটি ব্যবহার করে কাপড়চোপড়, টয়লেট, বাড়িঘর পোকামাকড় কিংবা ক্ষতিকর জীবাণুন হাত থেকে রক্ষা করা যায়। আর কর্পূর স্বাস্থ্যের নানা কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। এটি ব্যবহার করে সর্দির কারণে বন্ধ নাক খোলা সম্ভব হয়। এছাড়াও এটি দৈনন্দিন জীবনের আরো নানা কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে।

আমি উপরের আলোচনায় ন্যাপথলিন এবং কর্পূর কোথায় এগুলো ব্যবহার করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা যদি উপরের আলোচনাটি ভালোভাবে পড়ে থাকেন। তাহলে ন্যাপথলিন এবং কর্পূর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url