খেসারি ডালের উপকারিতা - খেসারি ডালের ক্ষতিকর দিক
সূচিপত্রঃ খেসারি ডালের যাবতীয় গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
খেসারি ডালের উপকারিতা
খেসারি ডালের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা খেসারি ডালের যাবতীয় ভালো দিকগুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। খেসারি ডালের বেশ কিছু ভালো দিক রয়েছে সেগুলোর নিচে আলোচনা করা হলোঃ
- খেসারি ডাল দাঁতের মাড়ির জন্য ভালো উপকারি হতে পারে। কেননা খেসারি ডালে রয়েছে ক্যালসিয়াম। এই উপাদানটি দাঁতের মাড়ির স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- খেসারি ডাল ত্বকের জন্য ব্যাপক উপকারি হতে পারে। কেননা এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে খনিজ পদার্থ। এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলোই ত্বকের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
- যারা শরীরের ওজন বাড়াতে চাচ্ছেন। তাদের জন্য খেসারি ডাল সহায়ক হতে পারে। এটি খাওয়ার ফলে শরীরে উচ্চ ক্যালোরি যোগ করা সম্ভব হয়। আর এর ফলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
- যাদের মাঝেমাঝে খাবারের প্রতি অরুচি ভাব তৈরি হয়, তারা চাইলে খেসারি ডাল খাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন। কেননা এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। সেই সঙ্গে রয়েছে ক্যালোরি যা মুখের অরুচি ভাব দূর করার কাজে সহায়তা করে থাকে।
- যাদের ডায়বেটিসের সমস্যা রয়েছে, তারাও চাইলে খেসারি ডাল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। কেননা এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। যেটি মূলত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- আপনাদের যদি হাড় কিংবা গ্যাঁটের ব্যাথা হয়, তাহলে খেসারি ডালের উপর আস্থা রাখতে পারেন। এই ডাল খাওয়ার ফলে এ ধরনের যাবতীয় ব্যথা নির্মূল হয়ে থাকে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা তৈরি হলে আপনারা খেসারি ডাল খেতে পারেন। এজন্য আপনারা রাতে খেসারি ডাল পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানিটুকুতে লবণ মিশিয়ে পান করতে পারেন। এতে করে পায়খানা পরিষ্কার হবে।
- খেসারি ডাল অন্যান্য ডালের তুলনায় অনেক বেশি সস্তা। যার কারণে এটি গরিব দুঃখী মানুষ খুব সহজে বাজার থেকে কিনে খেতে পারে। এতে করে তারা অল্প টাকায় এই ডাল থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পেতে পারে।
- খেসারি ডাল হজমের জন্য বেশ উপকারি হতে পারে। কেননা এতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ফাইবার। যেটি হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলার জন্য সহায়তা করে থাকে। যার ফলে গ্যাস্ট্রিক, এসিডিটি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
- খেসারি ডাল সংরক্ষণ করে অনেকদিন যাবত খাওয়া যেতে পারে। এই ডাল যদি আপনারা রোদে শুকিয়ে ফেলেন। তারপর যে কোন একটি পাত্রে রেখে দেন তাহলে এটি সহজে নষ্ট হবে না। দীর্ঘকালীন সময় ধরে এটি অনায়াসেই খেতে পারবেন।
খেসারি ডালের ক্ষতিকর দিক
খেসারি ডালের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা খেসারি ডালের যাবতীয় ক্ষতিকর দিকগুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। খেসারি ডালের যেমন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি এর বেশ কিছু অপকারিতাও রয়েছে। এসকল অপকারিতাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি অপকারিতা হলো ওজন বৃদ্ধি পাওয়া।
অর্থাৎ যেহেতু খেসারি ডাল অধিক পরিমাণে ক্যালরি সমৃদ্ধ। যার ফলে এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এছাড়াও এতে যেহেতু পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। তাই এটি খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা সমস্যা তৈরি হতে দেখা যায়। এটি খাওয়ার ফলে কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এলার্জির সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর অ্যালার্জির সমস্যা তৈরি হলে চুলকানি, ফুসকুড়ি এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।
খেসারি ডালে এক ধরনের ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে। এই উপাদানটির নাম হলো গ্লাইকোপ্রোটিন। এই উপাদানটি থাকার কারণে এটি খাওয়ার ফলে মাথা ব্যাথা, ডায়রিয়া, জ্বর ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাগুলো যাতে না হয়। এই জন্য খেসারি ডাল পরিমাণ মতো খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাছাড়াও খেসারির ডাল অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে একটি ভয়াবহ রোগের আবির্ভাব হয়।
এ রোগটির নাম হচ্ছে ল্যাথিরিজম। এটি একটি স্নায়ুবিক রোগের নাম। এই রোগটি হলে প্রথম অবস্থায় হাঁটাচলা করতে সমস্যা তৈরি হয়। এরপর ধীরে ধীরে পা অবশ হয়ে যায়। তারপর অনেক সময় দেখা যায় এর কারণে প্যারালাইসিস হয়ে যাচ্ছে। এজন্য এই রোগটি থেকে বাঁচতে আপনারা খেসারি ডালকে একদিন সারাদিন ভিজিয়ে রাখবেন।
এরপর এই ভিজিয়ে দেওয়া পানি ফেলে দিয়ে ডালগুলোকে উচ্চ তাপমাত্রায় ভেজে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। তারপর তা রান্না করে পরিবেশন করবেন। এতে করে এই ভয়াবহ রোগটি হওয়া থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হবে। আশা করছি এই নিয়ম গুলো মেনে খেসারি ডাল খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও আপনারা উপরের আলোচনা থেকে খেসারি ডালের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
খেসারি ডালে কি এলার্জি আছে
খেসারি ডালে কি এলার্জি আছে এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা খেসারি ডালে এলার্জি আছে কিনা অর্থাৎ এই ডাল খাওয়ার ফলে এলার্জির সমস্যা তৈরি হবে কিনা সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। হ্যাঁ, খেসারি ডাল খাওয়ার ফলে এলার্জির সমস্যা তৈরি হতে পারে। এর বিশেষ কিছু কারণ রয়েছে।
এ সকল কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হলো ল্যাথিরিজম। এটি এক ধরনের রোগ। এই রোগটি হয়ে থাকে খেসারি ডাল বেশি খাওয়ার ফলে। এই রোগটি হলে মানুষ হাঁটাচলা করতে পারে না। তাছাড়াও খেসারি ডাল খাওয়ার ফলে কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এলার্জির যেসব লক্ষণ আছে যেমন চুলকানি, ফুসকুড়ি ইত্যাদি নানা লক্ষণ প্রতিফলিত হয়।
এজন্য এই ডাল খাওয়ার সময় এটি যাতে অতিরিক্ত না খাওয়া হয় সেইদিকে নজর রাখতে হবে। এছাড়াও এই ডাল রান্না করার সময় রান্না করার আগেই ভালোভাবে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং এ ডাল যাতে খুব ভালোভাবে সিদ্ধ হয় সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
এমনটা হলে এই ডাল থেকে যাবতীয় ধরনের ক্ষতিকর টক্সিন উপাদান বের হয়ে যাবে। ফলে এলার্জি ভাব তৈরি হওয়ার আশঙ্কা কমে আসবে। খেসারি ডাল গর্ভবতী মায়েদের কিংবা শিশুদের না খাওয়াই উত্তম হবে। এছাড়াও যারা এমনিতেই দুর্বল তাদেরও এটি না খাওয়াই উত্তম হবে বলে মনে করি।
খেসারি ডাল খাওয়ার নিয়ম
খেসারি ডাল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা এই ডাল নিয়ম না মেনে খেলে লাভের তুলনায় ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই এই ডালের খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে অবগত হওয়া প্রয়োজন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
- খেসারি ডাল অল্প পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এটি কখনোই অতিরিক্ত খাওয়ার চেষ্টা করা যাবে না। এটি দিনে সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম খাওয়া নিরাপদ হতে পারে। এছাড়াও এই ডাল রান্না করার আগে কয়েক ঘণ্টার মতো পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর এই ডালটিকে ভালোভাবে সিদ্ধ করে খেতে হবে। এতে করে এই ডালে থাকা যাবতীয় ধরনের ক্ষতিকর উপাদান বের হয়ে আসবে।
- খেসারি ডাল বিভিন্নভাবে বিভিন্ন কিছুর সাথে খাওয়া যেতে পারে। এটি এমনিতেই সাধারণ ডাল হিসেবে রান্না করে ভাতের সাথে খাওয়া যেতে পারে। কিংবা এটি পরোটার সাথে ডাল হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও এটিকে খিচুড়ির সাথে মিস করে খুব সুস্বাদুভাবে খাওয়া যেতে পারে। এমনকি আপনারা এই ডালের পকোড়া বাসায় তৈরি করেও খেতে পারেন।
খেসারির ডাল বেশি খেলে কি রোগ হয়
খেসারির ডাল বেশি খেলে কি রোগ হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা খেসারি ডাল বেশি খাওয়ার ফলে কি রোগ হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো।চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। খেসারি ডাল বেশি খাওয়ার ফলে একটি রোগ তৈরি হয়। এই রোগটির নাম হলো ল্যাথিরিজম।
এর কারণে আপনার পা প্রায় দুর্বল হয়ে পড়বে। আর পায়ের দুর্বলতা তৈরি হলে আপনি ধীরে ধীরে চলাফেরার করার আপনার যে ক্ষমতা তা হারিয়ে ফেলবেন। এ রোগটি যে সকল মানুষের ক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে সকল মানুষগুলো হলো যারা এ ডালটি দীর্ঘদিন ধরে একটানা খেয়ে যাচ্ছেন।
তাদের এই রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও যারা অপুষ্টিতে ভুগেন অথচ এই ডাল খান, তাদেরও এই রোগটি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও এমন একটি এলাকা, যেখানকার মানুষজন খুবই হতদরিদ্র এবং এই ডালটি সহজেই সস্তা দামে কেনা যায়। সে সকল মানুষদের এ রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এই ডালটি ওই সকল এলাকায় সস্তা হওয়ার কারণে তারা নিয়মিত এই ডালটি খেয়ে থাকে।
যা তাদের এই রোগ হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হবে। এই ডালটি খাওয়া তখনই নিরাপদ হবে যখন আপনি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন না এবং এটি যখন রান্না করবেন তখন এটি আগে থেকে ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে সিদ্ধ করে খাবেন। এছাড়াও আপনারা যদি এই ডালটিকে অন্যান্য ডালের সঙ্গে কিংবা প্রোটিন সমৃদ্ধ এমন কোন খাবারের সাথে মিস করে খান, তাহলে এই ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
খেসারি ডালের দাম
খেসারি ডালের দাম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা খেসারি ডালের দাম কেমন হতে পারে তা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। খেসারি ডাল স্বাস্থ্যের জন্য বেশ কিছু উপকারিতা বয়ে আনে। তবে শুধু এটি উপকারিতাই বয়ে আনে না এর পাশাপাশি কিছু ক্ষতিও বয়ে আনে।
তাই দেখে শুনে এই ডাল খাওয়া উচিত। এখন প্রশ্ন হলো এই ডালের দাম কেমন সেই সম্পর্কে আমরা অনলাইনের একটি ওয়েবসাইট থেকে এই ডালের দাম জানতে পারি প্রতি এক কেজি ডালের দাম ১০০ টাকা করে। আমরা আরো একটি সোর্স থেকে খেসারি ডালের দাম জানতে পারি প্রতি কেজি ডালের দাম ১১৫ টাকা করে।
এই ডালের দাম সাধারণত এরকমই হয়ে থাকে। তবে জায়গা বুঝে কিংবা কোন বিশেষ কারণে এই ডালের দাম কম বেশি হতে পারে। আশা করছি আপনারা খেসারি ডালের দাম কত হতে পারে সেই সম্পর্কে একটা ধারণা পেয়েছেন। এছাড়াও আপনারা উপরের আলোচনা থেকে খেসারি ডালের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
খেসারি ডাল অতিরিক্ত খাওয়া কি
খেসারি ডাল অতিরিক্ত খাওয়া কি এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা খেসারি ডাল অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে কি ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। খেসারি ডাল অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে সবচাইতে বড় যে ক্ষতিটি হয় তা হলো ল্যাথিরিজম।
অর্থাৎ এটি একটি স্নায়ুবিক রোগের নাম। এ রোগটি হলে হাঁটাচলা করতে সমস্যা তৈরি হয়। যার কারণে ধীরে ধীরে আপনার হাঁটা চলা করার ক্ষমতা হারিয়ে যায়। এছাড়াও অতিরিক্ত ডাল খাওয়ার ফলে এই ডালে থাকা এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ কিডনির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাছাড়াও এটি যদি বাচ্চারা অতিরিক্ত খায় তাহলে তাদের মানসিক এবং শারীরিক বিকাশে বাধা তৈরি হতে পারে।
এছাড়াও এটি খাওয়ার ফলে অনেক গবেষণায় দেখা যায় পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এছাড়াও এটি যদি দীর্ঘকালীন যাবত একটানা খাওয়া যায়। তাহলে তা চোখের স্বাস্থ্যের উপরও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এই ডাল অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। একই সঙ্গে এই ডালটি খাওয়ার সময় আগে ভালোভাবে ভিজিয়ে রেখে তারপর তা ভালো করে সিদ্ধ করে খেতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে এই ডালের সাথে অন্য ডালের সংমিশ্রণ করে খাওয়ার। তাহলেই এই রোগ গুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
খেসারি ডাল খেলে কি প্যারালাইসিস হয়
খেসারি ডাল খেলে কি প্যারালাইসিস হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা খেসারি ডাল খাওয়ার ফলে প্যারালাইসিস হয় কিনা তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। এই ডাল খাওয়ার ফলে প্রথমেই যে প্যারালাইসিস হয়ে যাবে এমনটা নয়। বরং এ ডাল যদি অতিরিক্ত পরিমাণে দীর্ঘকালীন যাবত একটানা খাওয়া হয়।
তবে আপনারা যদি এটি অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমাপ মতো খাওয়ার চেষ্টা করেন। তাহলে দেখা যাবে এ ধরনের কোন সমস্যা তৈরি হচ্ছে না। তাহলে আপনারা সহজেই বুঝতে পারলেন কিভাবে এটি খাওয়ার ফলে এ ধরনের সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে। এই নিয়ম গুলো মেনে এই ডাল খেলে এ ধরনের সমস্যা সহজে হবে না।
খেসারির ডালের পুষ্টিগুণ কী কী
খেসারির ডালের পুষ্টিগুণ কী কী এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা খেসারি ডাল খাওয়ার ফলে কি কি ধরনের পুষ্টিগুণ পাওয়া সম্ভব হবে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। খেসারি ডাল খাওয়ার ফলে বেশ কিছু পুষ্টিগুণ শরীরে ধারণ করা যায়। নিচে এ সকল পুষ্টিগুণ গুলোর নাম তুলে ধরা হলোঃ
প্রতি ১০০ গ্রাম খেসারির ডালে
ভিটামিন সি রয়েছে ১০ মিলিগ্রাম, ক্যালরি রয়েছে ৩৪৫, ক্যালসিয়াম রয়েছে ৯০
মিলিগ্রাম, আয়রন রয়েছে ৯ মিলিগ্রাম, ফাইবার রয়েছে ২.৩
মিলিগ্রাম, প্রোটিন রয়েছে ২৮ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট রয়েছে ৫৬ গ্রাম,
শর্করা রয়েছে ৫০ থেকে ৬০ গ্রাম, চর্বি রয়েছে ১ থেকে ২ গ্রাম।
রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url