অল্প টাকায় লাভজনক ২৪টি ব্যবসা করার আইডিয়া
অল্প টাকায় লাভজনক ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন। কেননা বর্তমান
সময়ে চাকরির বাজার অনেক কঠিন হওয়ার কারণে মানুষ এখন ব্যবসার পিছনে ছুটছে। তাই
বিভিন্ন ব্যবসার আইডিয়া জানতে পারেন।

সূচিপত্রঃ অল্প টাকায় লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- অল্প টাকায় লাভজনক ব্যবসা
- অনলাইন শিক্ষকতা করে আয় করার উপায়
- বিদেশি ভাষা শিখিয়ে ইনকাম করার উপায়
- চায়ের ব্যবসা করার আইডিয়া
- মোবাইল রিচার্জের দোকান দিয়ে আয় করার উপায়
- মিনারেল ওয়াটার এর ব্যবসা করে ইনকাম
- পোষা প্রাণীর পরিষেবা সংক্রান্ত ব্যবসা
- ইলেকট্রনিকের ব্যবসা করে আয় করার উপায়
- মোবাইল বিক্রির ব্যবসা করে আয়
- কসমেটিকস দোকান দিয়ে ব্যবসা করার উপায়
- ফার্মেসির দোকান দিয়ে ব্যবসা করার উপায়
- অল্প টাকায় লাভজনক আরো ১৪টি ব্যবসা
- লেখকের শেষ কথা
অল্প টাকায় লাভজনক ব্যবসা
অল্প টাকায় লাভজনক ব্যবসা কিভাবে করা যায় তার উপায় সম্পর্কে আপনারা জানতে
চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা অল্প টাকার ভিতরে সেরা ২৪টি বিজনেস আইডিয়া নিয়ে
আলোচনা করবো। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক। অল্প টাকার ভিতরে অনেকগুলো ব্যবসা করা
যায়। তবে এই ব্যবসা করে সফল হয়ে ওঠার জন্য আগে আপনাকে আপনি যে ব্যবসা করবেন সেই
ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত গবেষণা করতে হবে।
আপনার যে ব্যবসার প্রতি আগ্রহ বেশি রয়েছে, সেই ব্যবসায় বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
আপনি যদি আপনার ব্যবসার প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারেন। তাহলে অল্প
সময়ের ভেতর ভালো কিছু করতে পারবেন। আর কথা না বাড়াই। অল্প টাকার ভেতর লাভজনক
ব্যবসা নিচের আলোচনায় তুলে ধরা হলো।
অনলাইন শিক্ষকতা করে আয় করার উপায়
আপনি চাইলে অনলাইন শিক্ষকতা করে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
পারেন। কেননা বর্তমান সময় অনেক ডিজিটাল হয়ে যাওয়ার কারণে এখন
ছাত্র-ছাত্রী অনলাইনের প্রতি বেসি আগ্রহী।তারা এখন আর কষ্ট করে শিক্ষকের কাছে
প্রাইভেট পড়তে যায় না। তারা এখন খুব সহজেই ইউটিউব, ফেসবুক সহ আরো অন্যান্য
অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে তাদের প্রয়োজনীয় বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ করে। তাই
আপনি চাইলে অল্প টাকার ভেতর অনলাইন শিক্ষকতা শুরু করতে পারেন।
অনলাইনে শিক্ষকতা করার জন্য আপনার প্রথমে একটি ইউটিউব চ্যানেল লাগবে। যেখানে আপনি
ক্লাসের ভিডিও ছাড়বেন। ক্লাস ভিডিও ছাড়ার মাধ্যমে আপনি ইউটিউব চ্যানেল থেকে
ইনকাম করতে পারবেন। এখন আপনার প্রশ্ন হলো আপনি কোন ক্লাসের ভিডিও ছাড়বেন? দেখেন
আপনি যে বিষয়ের উপর বেশি দক্ষ সেই বিষয়ের উপর ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব চ্যানেলে
ছাড়তে পারেন।
ধরেন, আপনি ইংলিশ এ বেশি দক্ষ। আপনি অনলাইনে এইচএসসি ব্যাচ, এসএসসি ব্যাচ
কিংবা জিএসসি ব্যাচ এর উপর ক্লাস তৈরি করতে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি রসায়ন,
পদার্থ, জীববিজ্ঞান, গণিত বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন। তাহলে সেগুলোর উপরও ক্লাস
তৈরি করে ইউটিউব চ্যানেলে ছাড়তে পারেন।
তাছাড়াও আপনি অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স বিক্রি করেও ইনকাম করতে পারবেন। ধরেন, আপনি
ইংলিশ ভাষার উপর দক্ষ। এখন আপনি ইংলিশ ভাষা শেখার উপর ফুল একটি কোর্স তৈরি করলেন।
তারপর অনলাইনে দিয়ে দিলেন। অল্প টাকার ভেতর এই কোর্স অনলাইনে দেওয়ার চেষ্টা
করবেন।
কেননা আপনার মনে রাখতে হবে যাতে আপনার এই কোর্স সব শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী
কিনতে পারে। আপনি যদি এটি অল্প টাকার ভিতরে বিক্রি করেন, তাহলে খুব একটা লস হবে
না। কেননা সারা বাংলাদেশ থেকে আপনার এই কোর্সটি ছাত্র-ছাত্রী কিনবে। যা থেকে আপনি
ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বিদেশি ভাষা শিখিয়ে ইনকাম করার উপায়
আপনি চাইলে বিদেশি ভাষা শিখিয়ে ইনকাম করার উপায় জেনে নিতে পারেন। বর্তমান
সময়ে বিদেশি ভাষার চাহিদা অনেক রয়েছে। বিদেশি ভাষার মধ্যে রয়েছে ইংলিশ,
জাপানি, জার্মানি, কোরিয়ান ইত্যাদি নানান ভাষা। এই ভাষা গুলো শিখার জন্য
বাংলাদেশের অনেক মানুষ আগ্রহ প্রকাশ করে। কেননা এ সকল ভাষাগুলো শিখার মাধ্যমে
বিদেশে গিয়ে ভালো কিছু করতে পারবে।
এখন প্রশ্ন হলো আপনি এই কাজ কিভাবে শুরু করবেন? প্রথম কথা হলো আপনাকে আগে আপনি যে
ভাষা শিখাবেন তার প্রতি দক্ষ হতে হবে। অর্থাৎ আপনার সেই ভাষা সম্পর্কে যথেষ্ট
অভিজ্ঞতা থাকা লাগবে। মনে করুন ইংরেজি ভাষা। এই ভাষাটা আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে
পরিচিত। এই ভাষার প্রতি অন্যান্য ভাষার তুলনায় মানুষের আগ্রহ সবচাইতে বেশি।
এখন আপনি যদি ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি অনলাইন অফলাইন দুই
জায়গাতেই ইংরেজি ভাষা শেখার কোর্স চালু করতে পারেন। এছাড়াও আপনি যদি অন্যান্য
যে কোন একটি ভাষার প্রতি দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে সেই ভাষা শুরু করতে পারেন। ধরুন
আপনি কোরিয়ান ভাষা শিখে বিদেশে কাজের জন্য গিয়েছিলেন।
এখন কাজ শেষ করে আপনি বাড়িতে বসে আছেন। তাই আপনি বাড়িতে বসে না থেকে অনলাইনে
অফলাইনে কোরিয়ান ভাষা মানুষদের শিখিয়ে আপনি নিজেও ইনকাম করতে পারবেন। আবার যারা
কাজের জন্য কোরিয়া যেতে আগ্রহী। তারাও তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। এভাবে আপনি
খুব সহজে বিদেশি ভাষা শিখিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
চায়ের ব্যবসা করার আইডিয়া
আপনি চাইলে চায়ের ব্যবসা করার আইডিয়া গ্রহণ করতে পারেন। বর্তমান সময়ে এমন
খুব কম মানুষ আছে যারা দিনে এক কাপ চা না খেয়ে থাকে। অর্থাৎ বর্তমান সময়ে
প্রত্যেক ব্যক্তিই দিনে অন্তত এক বা দুই কাপ চা খেয়ে থাকে। তাহলে বুঝতেই
পারছেন চায়ের কি পরিমাণ কদর রয়েছে। তাই আপনি চাইলে চায়ের ব্যবসা শুরু করতে
পারেন।
চায়ের ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে আগে ভালো মানের চা তৈরি করার কৌশল জেনে
নিতে হবে। এরপর একটি ছোট দোকান বা স্টল নিয়ে চায়ের ব্যবসা শুরু করতে হবে।
আপনার দোকান বা স্টলটি এমনভাবে ডেকোরেট করতে হবে যাতে অন্যান্য চায়ের দোকানের
চেয়ে আপনার চায়ের দোকানের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি থাকে।
এছাড়াও অন্যান্য চায়ের তুলনায় আপনার চা একটু যেন ভিন্ন হয় সেই দিকে নজর
রাখতে হবে। এমন ভাবে চা তৈরি করতে হবে যাতে দূর দুরন্ত থেকে মানুষ আপনার চা
খেতে আসে। আর এই ব্যবসাটি আপনি অল্প টাকার ভেতর শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাতে
অল্প টাকা লাগলেও এখান থেকে লাভজনক ব্যবসা করা যাবে। এভাবে আপনি খুব সহজেই
চায়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এটি অল্প টাকার ভেতর একটি ভালো লাভজনক
ব্যবসা।
মোবাইল রিচার্জের দোকান দিয়ে আয় করার উপায়
আপনি চাইলে মোবাইল রিচার্জের দোকান দিয়ে আয় করার উপায় জেনে নিতে পারেন। কেননা
বর্তমান সময়ে আমরা কথা বলার জন্য মোবাইল রিচার্জ দিয়ে থাকি। আর এইটার এত বেশি
চাহিদা রয়েছে যে তা বলার কথা নয়। প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ মোবাইল রিচার্জ
নিয়ে থাকে। তাই আপনি যদি অল্প টাকার ভেতর লাভজনক ব্যবসা করতে চান, তাহলে এই
ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন।
প্রথমে একটি ছোটখাটো দোকান দিয়ে মোবাইল রিচার্জ করে ইনকাম করতে পারেন। মোবাইল
রিচার্জের পাশাপাশি আপনি টাকা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পাঠিও ইনকাম করতে
পারেন। যেমন বর্তমান সময়ে নগদ, বিকাশ, রকেট, উপায় এ সকল ব্যাংকিং সেবাগুলো চালু
রয়েছে। এ সকল ব্যাংকিং সেবা গুলোর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কারণ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় টাকা পাঠানো বর্তমান সময়ে অনেক বেশি জরুরি।
তাই এই ব্যাংকিং সেক্টরগুলোর চাহিদা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তাই আপনি নগদ, বিকাশ, রকেট, উপায়ে টাকা পাঠিয়েও কোম্পানি থেকে কমিশন পাওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করতে
পারেন। এভাবে আপনি অল্প টাকার ভেতর লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
মিনারেল ওয়াটার এর ব্যবসা করে ইনকাম
আপনি চাইলে মিনারেল ওয়াটার এর ব্যবসা করে ইনকাম করতে পারেন। বর্তমান সময়ে শহর
অঞ্চলগুলোতে পানির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি তো জানেনই পানির অপর নাম জীবন।
পানি ছাড়া আমরা চলতে পারি না। আর বর্তমানে শহর অঞ্চলগুলোতে মাটির অনেক নিচে পানি
থাকে।
এই কাজটি করার জন্য আপনাকে পানির ড্রাম এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় বয়ে নিয়ে
যেতে হবে। এটা কষ্টসাধ্য হলেও আপনি শুরু করতে পারেন। কারণ কষ্ট ছাড়া কোন কিছুই
অর্জন করা সম্ভব নয়। এভাবে আপনি বাড়িতে বাড়িতে বিশুদ্ধ মিনারেল ওয়াটারের
ড্রাম পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে প্রতি মাসে এখান থেকে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে
পারেন।
পোষা প্রাণীর পরিষেবা সংক্রান্ত ব্যবসা
আপনি চাইলে পোষা প্রাণীর পরিষেবা সংক্রান্ত ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমান
সময়ে প্রায় মানুষেরই কিছু পছন্দের পোষা প্রাণী রয়েছে। যাদেরকে তারা অনেক বেশি
ভালোবাসে কিন্তু বর্তমানের কর্ম ব্যস্ততার মাঝে তারা তাদের পছন্দের
পোষা প্রাণীকে যত্ন নিতে পারে না। তাই আপনি এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে পারেন।
আপনি কিভাবে এই ব্যবসাটা শুরু করবেন চলুন ধাপে ধাপে জেনে নিই। এজন্য আপনি প্রথমে
কিছু পরিষেবা গ্রহণ করবেন। কি সেই পরিষেবা নিচে দেখানো হলোঃ
পোষা প্রাণীটিকে হাঁটানো বা ভ্রমণ করানোঃ আপনি চাইলে
এই পরিষেবাটি চালু করতে পারেন। ধরেন কারো পোষা কুকুর রয়েছে, আপনি সেই
কুকুরকে নিয়মিত হাটাবেন বা বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করাবেন এমন একটি
পরিষেবা। অনেক মালেকই এই পরিষেবাটি পছন্দ করবে। কেননা তারা তাদের কর্মব্যস্ততার
জন্য ঠিকমতো কুকুরকে কোথাও নিয়ে যেতে পারে না। আপনি এই পরিষেবাটি চালু করলে তারা
অবশ্যই এটি নিতে আগ্রহী হবে।
বাড়িতে এসে পোষা প্রাণীর যত্ন নেওয়াঃ আপনি চাইলে এই
পরিষেবাটিও চালু করতে পারেন। ধরুন এই পরিষেবার মধ্যে থাকবে পোষা প্রাণীকে গোসল
করানো, নখ কেটে দেওয়া, পরিপাটি করে দেওয়া ইত্যাদি। কেননা অনেক মালেকই
তাদের শখের পোষা প্রাণীটিকে ঠিকমতো যত্ন নেওয়ার সুযোগ পায় না। তাই আপনি
যদি এই পরিষেবাটি চালু করেন তাহলে অনেক মালিকই তার পোষা প্রাণীটিকে যত্ন নেয়ার
জন্য আপনাকে ভাড়া করবে।
এই পরিষেবা গুলো চালু করার আগে আপনাকে ভালোভাবে পোষা প্রাণীদের কিভাবে যত্ন
নেওয়া যায় তা শিখে নিতে হবে। এই ব্যবসাতে আপনাকে এক কথায় পোষা প্রাণীর
যত্নে যা কিছু শিখা দরকার তার সবকিছুই ভালোভাবে আয়ত্ত করে নিতে হবে। সর্বশেষ
আপনি আপনার ক্লায়েন্ট পাওয়ার জন্য পোষা প্রাণীর হাসপাতালে কিংবা পোষা প্রাণী
রয়েছে এমন দোকানগুলোতে আপনার পরিষেবা সম্পর্কে আগে থেকে জানিয়ে রাখবেন।
তাহলে তাদের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ক্লায়েন্ট পেয়ে যাবেন। এছাড়াও ক্লায়েন্ট
পাওয়ার জন্য আপনি ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, টুইটার সহ নানা
প্ল্যাটফর্মে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে মানুষদের জানাতে পারেন। তাহলে সেখান থেকেও
আপনার ক্লাইন্ট পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে উপরের আলোচনা থেকে অল্প টাকায় লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়া এবং অনলাইন শিক্ষকতা করে আয় করার উপায় সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
ইলেকট্রনিকের ব্যবসা করে আয় করার উপায়
আপনি চাইলে ইলেকট্রনিকের ব্যবসা করে আয় করার উপায় জেনে নিতে পারেন। কেননা
বর্তমান সময়ে ইলেকট্রনিক পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি। আজকাল আমাদের দৈনন্দিন জীবনে
সুইচ, প্লাগ, তার, লাইট, ফ্যান, মাল্টি কুকার, রাইস কুকার সহ আরো নানা ইলেকট্রনিক
পণ্য ছাড়া আমাদের দিন চলে না। তাই আপনি নিঃসন্দেহে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
ইলেকট্রনিকের ব্যবসা দুইভাবে করা যেতে পারে। নিচের আলোচনাই তা দেখানো হলোঃ
ডিলারশিপ এর মাধ্যমে ব্যবসাঃ আপনি চাইলে কোন কোম্পানির পণ্য
বিক্রি করার দায়িত্ব নিতে পারেন। অর্থাৎ আপনি একটি কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ
হয়ে নির্দিষ্ট একটা এলাকায় সেই কোম্পানির পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে কোম্পানি
থেকে কমিশন নিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
খুচরা পণ্য বিক্রির মাধ্যমে ব্যবসাঃ আপনি চাইলে নিজেই একটি
দোকান দিয়ে সেই দোকানে নানারকম ইলেকট্রিক পণ্য সরাসরি খুচরা বিক্রেতার কাছে
বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি কোম্পানি থেকে পাইকারি দামে
ইলেকট্রিক পণ্য কিনে খুব সহজে ব্যবসা করতে পারেন।
ইলেকট্রনিকের ব্যবসা করার আগে আপনাকে ইলেকট্রনিক পণ্য সম্পর্কে ভালোভাবে
জ্ঞান অর্জন করে নিতে হবে। এছাড়াও এই ব্যবসা শুরু করার আগে মূলধনের যথেষ্ট
ব্যবস্থা রাখতে হবে। কেননা এই ব্যবসা করতে হলে দোকানের ভাড়া লাগবে, কর্মচারীর
বেতন লাগবে, পণ্যের দাম লাগবে এ সকল যাবতীয় বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। এছাড়াও
দোকানের নাম ঠিক করা থেকে দোকানের জন্য লাইসেন্স করা সবকিছু মাথায় রেখে আপনি এই
ব্যবসার শুরু করতে পারেন।
মোবাইল বিক্রির ব্যবসা করে আয়
আপনি চাইলে মোবাইল বিক্রির ব্যবসা করে আয় করতে পারেন। বর্তমান সময়ে প্রতিটি
যুবক যুবতীর হাতে একটি করে স্মার্টফোন রয়েছে। যতদিন যাচ্ছে স্মার্টফোনের
ব্যবহার তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হলো সময় থাকতে মোবাইল
বিক্রির ব্যবসা শুরু করা।

অনলাইনে ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে নিত্য নতুন ফোনের ছবি দিয়ে ফোনের যাবতীয়
ডিটেইলস বলে দিতে পারেন। এভাবেও আপনি মোবাইল বিক্রি করতে পারেন। তাছাড়াও আপনি
চাইলে পুরাতন মোবাইল কিনে নিয়ে তা বিক্রি করতে পারেন। এভাবে আপনি খুব সহজে
মোবাইল বিক্রির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে উপরের আলোচনা থেকে অল্প টাকায় লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
কসমেটিকস দোকান দিয়ে ব্যবসা করার উপায়
আপনি চাইলে কসমেটিকস দোকান দিয়ে ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।
কেননা বর্তমান সময়ে এই ব্যবসাটি অনেক বেশি জনপ্রিয়। প্রায়ই বেশিরভাগ যুবকই এই
ব্যবসা করে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। এই ব্যবসা থেকে ভালো পরিমাণে
লাভ হওয়ার কারণ মহিলাদের এ সকল জিনিসের প্রতি চাহিদা অনেক বেশি।
অর্থাৎ তারা তাদের দৈনন্দিন এর সাজগোজের জন্য বিভিন্ন কসমেটিকস জিনিসপত্র কিনে
থাকে। তাই আপনার কাছে যদি ভালো পরিমাণে পুঁজি থাকে, তাহলে এই ব্যবসাটা শুরু করতে
পারেন। এছাড়াও আপনাদের কাছে যদি যথেষ্ট পরিমাণ পুঁজি না থাকে, তাহলেও কয়েকজন
বন্ধু মিলে পুঁজি জোগাড় করে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আশা করছি এ ব্যবসা করে
আপনারা আপনাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে পারবেন।
ফার্মেসির দোকান দিয়ে ব্যবসা করার উপায়
আপনি চাইলে ফার্মেসির দোকান দিয়ে ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে
নিতে পারেন। কেননা বর্তমান সময়ে সবচাইতে বেশি লাভজনক ব্যবসা হলো
ফার্মেসির ব্যবসা। এমন দিন নাই যেদিনে ফার্মেসির ব্যবসা হয় না। অর্থাৎ
ধরতে গেলে প্রতিদিনই হাজার হাজার টাকার ওষুধ বিক্রি হয়ে থাকে।
যার কারণে এই ব্যবসা করে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করা যায়। এই
ব্যবসাটা লাভজনক হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হলো মানুষের প্রায় প্রতি দিনই
অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে। যার কারণে ওষুধের প্রয়োজন পড়ে। আর ওষুধের প্রয়োজন
পড়লে আপনাকে যেতে হবে ফার্মেসির দোকান। তাই আপনি খুব সহজেই চাইলে এই ব্যবসা শুরু
করতে পারেন।
এ ব্যবসাটা শুরু করার জন্য আপনাকে আগে এর উপর ডিগ্রী অর্জন করতে হবে। অর্থাৎ
কোন রোগের জন্য কোন ওষুধ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে তা আপনাকে ভালোভাবে জানতে
হবে। দোকান দেওয়ার পর দোকানের লাইসেন্স করতে হবে। এই ব্যবসা শুরু করার আগে
প্রথমে আপনি এই ব্যবসা সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জেনে নিবেন। তারপর এই ব্যবসাটা শুরু
করতে পারেন।
অল্প টাকায় লাভজনক আরো ১৪টি ব্যবসা
টি-শার্ট প্রিন্ট করার ব্যবসাঃ আপনি চাইলে টি-শার্ট প্রিন্ট
করার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমান সময়ে টি-শার্ট বা বিভিন্ন ক্লাবের
জার্সির পিছনে ব্যক্তির নিজস্ব নাম লেখার চাহিদা অনেক বেশি। তাই আপনি চাইলে
অল্প টাকা দিয়ে একটি টি-শার্ট প্রিন্ট করার মেশিন কিনে নিতে পারেন। তারপর
অনলাইনে অফলাইনে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
কাপড় সেলাইয়ের ব্যবসাঃ বর্তমান সময়ে কাপড় সেলাইয়ের
ব্যবসা অনেক বেশি জনপ্রিয়। এ ব্যবসা করে ভালো টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কেননা
বর্তমান সময়ে প্রত্যেকজনেই কোনো না কোন কাপড়-চোপড় দোকান থেকে কিনে এনে ফিট
না হওয়ায় তা সেলাইয়ের মাধ্যমে ফিট করে নেই। তাছাড়াও আনুষঙ্গিক নানা
কাপড়চোপড় সেলাই করে ইনকাম করা যায়। তাই আপনি চাইলে এই ব্যবসা শুরু করতে
পারেন।
এলইডি লাইটের ব্যবসাঃ আপনি চাইলে এলইডি লাইটের ব্যবসা শুরু
করতে পারেন। বর্তমান সময়ে এলইডি লাইটের চাহিদা অনেক বেশি। এ লাইটটি
প্লাস্টিকের হাওয়াই সহজেই ভেঙে যায় না। এছাড়াও কারেন্ট চলে গেলে বেশ
কয়েক ঘন্টা এই লাইট থেকে ব্যাকআপ পাওয়া যায়। তাই আপনি চাইলে পাইকারি দামে এই
লাইট কিনে অনলাইনে বা অনলাইনে ব্যবসা করতে পারেন।
স্টেশনারি ব্যবসাঃ আপনি চাইলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে এই ব্যবসাটার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ ব্যবসাটা থেকে বছরের
প্রায়ই প্রতিদিনই সমান হারে বিক্রি হয়ে থাকে। কারণ ছাত্র-ছাত্রীরা পেন্সিল
বক্স, জ্যামিতি বক্স, খাতা, কলম, ফাইল সহ আরো নানা স্টেশনারি কিনে থাকে। যার
কারণে এই ব্যবসার ইনকামের পরিমাণ বেশি। তাই আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
চিপস তৈরির ব্যবসাঃ আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের চিপস তৈরি করে
ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আমাদের দেশে ছোট ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বড়রাও এটি
খেতে ভালোবাসে। তাই আপনি বিভিন্ন ধরনের চিপস যেমন আলুর চিপস, কলার চিপস,
কাঁঠালের চিপস তৈরি করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে পারেন। এভাবে আপনি চিপসের
ব্যবসা করে ইনকাম করতে পারেন।
কাগজের প্যাকেটের ব্যবসাঃ আপনি চাইলে কাগজের প্যাকেটের
ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কেননা স্থানীয় বাজারে যে কোন জিনিস কিনলে অবশ্যই
কাগজের প্যাকেট প্রয়োজন পড়ে। তাই আপনি পুরনো পেপার পত্র অল্প টাকার ভেতর কিনে
নিয়ে তা দিয়ে বাড়িতে বসেই কাগজের প্যাকেট তৈরি করে খুচরা ও পাইকারি দামে
বিক্রি করতে পারেন। এভাবে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
মৌমাছি পালন করে ব্যবসাঃ আপনি চাইলে মৌমাছি পালন করে ব্যবসা
শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে আগে মৌমাছি পালন করে কিভাবে মধু
উৎপাদন করতে হয় সেই সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তারপরে এই ব্যবসা শুরু করতে
হবে। এই ব্যবসায় যত বেশি দক্ষ হতে পারবেন তত বেশি ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।
অনলাইনে পোশাক বিক্রির ব্যবসাঃ আপনি চাইলে অনলাইনে বিভিন্ন
ধরনের পোশাক বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন। এ ব্যবসা শুরু করার জন্য অল্প পুঁজি
হলেই চলবে। এ ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে আগে জেনে নিতে হবে কাস্টমারের কোন
পোশাকের প্রতি চাহিদা সবচাইতে বেশি রয়েছে। তারপর সেই পোশাক পাইকারি দামে কিনে
ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে বিক্রি করতে পারেন।
ফুলের ব্যবসাঃ আপনি চাইলে ফুলের ব্যবসা করে অল্প টাকায় অনেক
বেশি ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে ফুলের চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে। বিয়ে, ফুল
দিয়ে ঘর সাজানো, গাড়ি সাজানো, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য
ফুলের প্রয়োজন পড়ে। তাই আপনি রাস্তার পাশে অথবা ছোট একটি দোকান নিয়ে বিভিন্ন
তাজা ফুল উৎপাদকের কাছ থেকে পাইকারি দামি কিনে এনে ফুলের ব্যবসা শুরু করতে
পারেন।
কালোজিরার তেলের ব্যবসাঃ আপনি চাইলে কালোজিরার তেলের ব্যবসা
শুরু করতে পারেন। এজন্য আপনাকে প্রথমে কালোজিরা দিয়ে কিভাবে তেল বানাতে হয় তা
শিখে নিতে হবে। কালোজিরা দিয়ে তেল বানিয়ে স্থানীয় ফার্মেসি দোকানে বা অনলাইনের
মাধ্যমে আপনি কালোজিরার তেল বিক্রি করতে পারেন। কালোজিরা তেল নানা অসুখ-বিসুখের
মহা ঔষধ হওয়ায় কাস্টমাররা সহজেই এই তেল কিনতে আগ্রহী হবে। যা আপনার ব্যবসাকে
দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
বীজ ও সারের ব্যবসাঃ আপনি চাইলে গ্রামে বীজ ও সারের
ব্যবসা করতে পারেন। কেননা গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই কৃষি কাজের সাথে জড়িত।
তারা কৃষি কাজ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। আর কৃষি কাজ করার জন্য
বীজ ও সারের প্রয়োজন পড়ে। তাই আপনি অল্প পুঁজি দিয়ে বীজ ও সারের ব্যবসা চালু
করতে পারেন। বিশেষ করে গ্রামে এই ব্যবসাটি অনেক বেশি লাভজনক হয়ে থাকে।
মুরগি খামারের ব্যবসাঃ আপনি চাইলে গ্রামে মুরগি খামারের ব্যবসা
চালু করতে পারেন। কেননা এই ব্যবসাটি অল্প টাকা দিয়ে শুরু করা যায়। আর এই ব্যবসা
থেকে বেশ ভালো পরিমাণে ইনকাম করা সম্ভব হয়। প্রথমে আপনি ১৫ থেকে ২০টি মুরগি
দিয়ে শুরু করতে পারেন। তারপর ধীরে ধীরে আপনার লাভ অনুযায়ী বাণিজ্যিকভাবে মুরগি
পালন শুরু করতে পারেন।
গবাদি পশু পালনের ব্যবসাঃ আপনি চাইলে গবাদি পশু পালন করে
ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমান সময়ে গবাদি পশুর চাহিদা আকাশচুম্বী। এই
ব্যবসাটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা। এই ব্যবসাটা থেকে
সারা বছরই লাভজনক ইনকাম করা সম্ভব হয়। তাই আপনার কাছে যদি এক থেকে দুই লাখ টাকার
মতো পুঁজি থাকে, তাহলে আপনি এই ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটা শুরু
করার আগে যারা এ ধরনের ব্যবসা করে তাদের কাছে এই ব্যবসা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে
নিতে পারেন।
মাছের ব্যবসাঃ আপনি চাইলে মাছের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আমি এ
পর্যন্ত যতগুলো ব্যবসার নাম বললাম তার মধ্যে আমার কাছে সবচাইতে জনপ্রিয় ব্যবসা
হলো মাছের ব্যবসা। আপনি চিন্তা করেন বাঙালি মাছের ভাতে অভ্যস্ত। অর্থাৎ
তাদের মাছ এবং ভাত লাগবেই। তাই আপনার যদি বাড়ির আশেপাশে নিজস্ব পুকুর থাকে।
তাহলে আপনি সেই জায়গায় মাছের চাষ করতে পারেন। এছাড়াও আপনার যদি নিজের পুকুর না
থাকে, তাহলে অন্যের পুকুর ভাড়া নিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু
করার আগে যারা এ ধরনের ব্যবসা করে তাদের কাছে বিস্তারিত এ সম্পর্কে জেনে নিতে
পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে উপরের আলোচনা থেকে অল্প টাকায় লাভজনক ব্যবসা করার
আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
লেখকের শেষ কথা
উপরের আলোচনা থেকে অল্প টাকায় লাভজনক ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে আমরা
বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি অনলাইন শিক্ষকতা করে আয় করার
উপায় সম্পর্কেও। বর্তমানে চাকরির বাজার অনেক কঠিন হওয়ার কারণে মানুষ এখন চাকরির
পেছনে না ছুটে নিজে নিজে ব্যবসা করার চেষ্টা করছে।
তাই আপনি পিছিয়ে থাকবেন কেন? আপনার যদি সেই পরিমাণ পুঁজি থাকে তাহলে আপনিও এ সকল
লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে পারেন। প্রথমে অল্প টাকা দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে অনেক
বেশি টাকা ইনকাম করতে পারেন। মনে রাখতে হবে চাকরি করে বেশি বড় হওয়া যায় না।
বড় হতে গেলে অবশ্যই ব্যবসা করার প্রয়োজন হয়েছে। তাই উপরের আলোচনা থেকে আপনার
যে ব্যবসাটি সবচেয়ে পছন্দের সেই ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিয়ে আপনিও
শুরু করে দিতে পারেন। আশা করছি উপরের আলোচনাটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হতে
পারবেন।
রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url