২০ হাজার টাকায় ২৫টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া জানুন

২০ হাজার টাকায় ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। কেননা বর্তমানে সফল একটি বিজনেস শুরু করার জন্য আগে আপনি কোন বিজনেসটা করতে যাচ্ছেন সেই সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে।

২০-হাজার-টাকায়-২৫-টি-ব্যবসার-আইডিয়া২০ হাজার টাকায় ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্নসহ করে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই ২৫টির মতো বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ ২০ হাজার টাকায় ২৫টি ব্যবসায়িক আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 

২০ হাজার টাকায় ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া 

২০ হাজার টাকায় ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ২০ হাজার টাকার মধ্যে ২৫টি লাভজনক ব্যবসার ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। ২০ হাজার টাকার মধ্যে অনেকগুলো ছোট ছোট ব্যবসা করা যায়। আর এইগুলো থেকে বেশ ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।

এজন্য আপনার দরকার মৌলিক দক্ষতা, সৃজনশীল চিন্তা এবং ব্যবসাকে সফল করে তোলার জন্য প্রচন্ড পরিমাণে অধ্যাবসায়। এক্ষেত্রে আপনার যে ব্যবসার উপর বিশেষ জ্ঞান বা দক্ষতা এবং আগ্রহ আছে সেই ব্যবসাটা শুরু করলে কম সময়ে ভালো পরিমাণে লাভ করা যাবে। আমরা আর কথা না বাড়াই। নিচের আলোচনায় ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া দেয়া হলো যেগুলো ২০ হাজার টাকা থেকেই শুরু করা যায়।

কুরিয়ারের ব্যবসা করার আইডিয়া

আপনি চাইলে কুরিয়ারের ব্যবসা করার আইডিয়া নিতে পারেন। এজন্য আপনাকে প্রথমে জায়গা নির্ধারণ করতে হবে। এমন জায়গায় আপনার অফিসটা হওয়া দরকার যে জায়গায় গ্রাহকরা সহজেই পৌঁছাতে পারে। আপনার অফিস যদি কোন বড় শপিংমল, হসপিটাল কিংবা পার্কে হয় তাহলে আপনার গ্রাহক সহজেই আপনার অফিসটা খুঁজে পাবে। এরপর আপনাকে সরকারি লাইসেন্স নিতে হবে।

কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবসা করতে হলে অবশ্যই আপনাকে সরকারি লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক। তারপর আপনাকে আপনার কাজের জন্য বিশ্বাসযোগ্য কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে। কেননা কুরিয়ার সার্ভিসের কাজই হলো এক গ্রাহক থেকে জিনিসপত্র সংগ্রহ করে অন্য আরেক গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। বিশ্বাসযোগ্য কর্মচারী নিয়োগ দিলে জিনিসপত্রের সুরক্ষা থাকে, দ্রুত ডেলিভারি করা সম্ভব হয়, জিনিসপত্র চুরি হওয়ার আশঙ্কা থেকে মুক্ত হওয়া যায় এবং ব্যবসার সুনাম বৃদ্ধি পায়।

কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে আগে দেখে নিতে হবে গ্রাহকদের চাহিদা কোন দিকে। অর্থাৎ গ্রাহকরা কোন জিনিস সবচাইতে বেশি দেওয়া নেওয়া করতে পছন্দ করে সেই জিনিসের উপর আপনার টার্গেট রাখতে হবে। আর এই ব্যবসা করার জন্য অবশ্যই গ্রাহকদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। তাদের মালামাল দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিতে হবে।

এরপর সর্বশেষ কাজ হলো আপনাকে মালামাল এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পৌঁছানোর জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে মালামাল গুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ভালোভাবে পৌঁছে যায়। এই কাজগুলো মাথায় রেখে আপনি কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

পর্যটন ব্যবসা করার আইডিয়া 

আপনি চাইলে পর্যটন ব্যবসা করার আইডিয়া নিতে পারেন। পর্যটন ব্যবসাটা হলো আপনি কিছু মানুষকে নিয়ে বাংলাদেশের ভেতর দর্শনীয় কিছু স্থান যেমন কক্সবাজার, জাফলং, সিলেট, সুন্দরবন, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, সেন্ট মার্টিন সহ আরো নানা জায়গায় ঘুরতে নিয়ে গেলেন। তাদের খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে যাওয়া আসা দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়ানো সবকিছুর দায়িত্ব আপনি নিলেন।

এভাবে আপনি পর্যটন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে প্রথমে একটি ফেসবুক পেজ খুলতে হবে। তারপর সেখানে আপনি যে জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যাবেন সেই জায়গার একটি ভালো মানের ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে এড দিবেন। সেখান থেকে আপনি দর্শনার্থী পেয়ে যাবেন। আর এই কাজ শুরু করার আগেই আপনি যে জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যাবেন, সেই জায়গায় আপনি নিজে গিয়ে সবকিছুর অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবেন।

অর্থাৎ সেখানে যেতে কত টাকা লাগে, কত টাকা খাওয়া খরচ হয়, কত টাকা ঘুরতে লাগে, কোথায় থাকবেন তার সবকিছু আপনাকে আগে থেকে বিস্তারিত নিয়ে রাখতে হবে। আর ফেসবুকে আপনার আশেপাশের মানুষজনদের মাঝে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। তাহলে বেশি সংখ্যক দর্শনার্থী পাওয়া যাবে। সর্বশেষ এই ব্যবসা করতে চাইলে যারা এ ধরনের ব্যবসা করে তাদের সাথে কথা বলে এই ব্যবসা সম্পর্কে সবকিছু জেনে নিতে পারেন।

ড্রপশিপিং বিজনেস করার আইডিয়া

আপনি চাইলে ড্রপশিপিং বিজনেস করার আইডিয়া নিতে পারেন। সাধারণত ই-কমার্স ব্যবসায়িক মডেল এর নাম হচ্ছে ড্রপশিপিং। ড্রপশিপিং ব্যবসা করতে হলে আপনাকে প্রথমে অনলাইন স্টোর তৈরি করে নিতে হবে। অর্থাৎ আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকবে। যেখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য থাকবে। এই পণ্যগুলো আপনি আপনার গ্রাহকদের সামনে প্রদর্শন করবেন।

ড্রপশিপিং বিজনেসের একটি ভালো দিক হলো এখানে আপনার নিজস্ব কোন পণ্য থাকবে না। আপনার ওয়েবসাইটে যে সকল পণ্যগুলো পদর্শিত হবে সেগুলোর সম্পূর্ণই পাইকারার হবে। ড্রপ শিপিং বিজনেসে একজন গ্রাহক যখন আপনার ওয়েবসাইটের যে কোন একটি পণ্য নিতে আগ্রহী হবে। তখন সেই পন্য সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আপনি সরাসরি পাইকারকে দেবেন। সেই পাইকার তখন আপনার গ্রাহকের কাছে পণ্যটি পাঠিয়ে দিবে।

অর্থাৎ ড্রপশিপিং বিজনেসে আপনার কাজ হলো গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্ডার নেওয়া। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের ফোন আছে। সেই ফোন গুলোর একটি কোন গ্রাহক অর্ডার দিল। তখন আপনি গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিলেন। অর্থাৎ ফোনটির পাইকারি দাম যদি ২০ হাজার হয় তাহলে আপনি সেই গ্রাহকের কাছ থেকে ২১ হাজার বা ২২ হাজার মানে আপনার লাভ রেখে টাকা নিয়ে নিবেন। এরপর এই ফোন সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পাইকারকে দিলে পাইকার নিজে থেকেই সরাসরি গ্রাহকের কাঙ্খিত ফোনটি পৌঁছে দিবে।

ফটোগ্রাফি ব্যবসা করার আইডিয়া

আপনি চাইলে ফটোগ্রাফি ব্যবসা করার আইডিয়া নিতে পারেন। ফটোগ্রাফি ব্যবসা করার জন্য আপনাকে প্রথমে মোটামুটি ভালো মানের ছবি তোলা যায় এমন একটি ক্যামেরা কিনতে হবে। ক্যামেরা কেনার পর কিভাবে ভালো মানের ছবি তোলা যায় সেই দিকে নজর দিতে হবে। আপনাকে প্রথমে সুন্দর সুন্দর ছবি তোলা প্র্যাকটিস করতে হবে। আপনি যখন খুব ভালো মানের ছবি তুলতে দক্ষ হয়ে উঠবেন, তখন আপনি শুরু করতে পারেন ফটোগ্রাফি ব্যবসা।

সাধারণত মানুষজন যে সকল জায়গাগুলোতে ঘুরতে যাই ওই সকল জায়গা গুলোতে আপনি মানুষের ফটো তুলে দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। একটি ফটো তোলার জন্য আপনি ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকাও নিতে পারেন। এছাড়াও আপনি কোন বিয়ের ফটোসেশনে ছবি তুলে দিয়ে বেশ কয়েক হাজার টাকা উপার্জন করতে পারেন। এভাবে আপনি ফটোগ্রাফি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।  এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ২০ হাজার টাকায় ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

কফি শপের ব্যবসা করার আইডিয়া

আপনি চাইলে কফি শপের ব্যবসা করার আইডিয়া নিতে পারেন। কফি শপের ব্যবসা শুরু করার আগে ভালোভাবে কপি তৈরি করতে শিখতে হবে। এজন্য আপনি প্রথমে যারা ভাল মানের কপি তৈরি করতে পারে তাদের সাহায্য নিয়ে খুব দারুণ কফি তৈরি করার টেকনিক আয়ত্ত করে নিতে পারেন।
 
কফি শপের-ব্যবসা-করার-আইডিয়াআপনি যখন খুব ভালো মানের কপি তৈরি করতে পারবেন তখন রাস্তার আশেপাশে অথবা কোন একটি ভালো জায়গা দেখে আপনার কফি শপের দোকান দিয়ে দিতে পারেন। আপনার কফি শপে শুধুমাত্র কফি থাকবে। তাহলে মানুষজন খুব সহজে আপনার দোকানের প্রতি আকৃষ্ট হবে।
আর আপনি যদি খুব ভালো মানের কফি তৈরি করতে পারেন, তাহলে তো কোন কথাই নেই। প্রতি কাপ কফির দাম ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা নিতে পারেন। কিছু জনপ্রিয় কফির নাম হলো এসপ্রেসো, ক্যাপুচিনো, লাতে, ফ্র্যাপুচিনো, মোকা, অ্যামেরিকানো, আফোগাতো ইত্যাদি। এভাবে আপনি আপনার কফি শপের ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন।

ফাস্ট ফুড কর্নার এর ব্যবসা করার আইডিয়া

আপনি চাইলে ফাস্ট ফুড কর্নার এর ব্যবসা করার আইডিয়া নিতে পারেন। ফাস্ট ফুড কর্নার এর ব্যবসা শুরু করার আগে এগুলো কিভাবে তৈরি করে তা ভালোভাবে আপনাকে আয়ত্ত করে নিতে হবে। এরপর আপনি আপনার আশেপাশের কোন ভালো জায়গায় অথবা রাস্তার আশেপাশের কোন জনবহুল জায়গায় ফাস্ট ফুড কর্নার এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনার ফুড কর্নার এর ব্যবসা সম্পর্কে প্রচারণা, ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিং করে নিতে হবে।

আপনার ফাস্ট ফুড কর্নার সম্পর্কে মানুষ যত বেশি জানবে আপনার ইনকাম তত বেশি বৃদ্ধি পাবে। কাস্টমার কেমন ধরনের ফাস্টফুড পছন্দ করে সেই বিষয়ে আগে জেনে নিতে হবে। তারপর সেই রকম ফাস্টফুড তৈরি করতে হবে। তাহলে আপনি আপনার কাস্টমারের কাঙ্ক্ষিত চাহিদা পূরণ করতে পারবেন এবং ভালো পরিমাণে উপার্জন করতে পারবেন।

কিছু জনপ্রিয় ফাস্টফুড এর মধ্যে অন্যতম হলো মিনি চিকেন প্যাটিস, বিফ সসেজ ডিলাইট, চিকেন সসেজ ডিলাইট, মিষ্টি প্যাটিস, মিনি পিজ্জা, এক্সট্রা লং জুসি চিকেন, চীজ বার্গার চিকেন, শর্মা, ভেজিটেবল প্যাটিস, ভেজিটেবল রোল, স্পাইরাল চিকেন রোল, চিকেন রোজ বান, চিকেন বান ইত্যাদি। এভাবে আপনি শুরু করতে পারেন ফাস্ট ফুড কর্নার এর ব্যবসা।  এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ২০ হাজার টাকায় ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

খেলনার দোকানের ব্যবসা করার আইডিয়া

আপনি চাইলে খেলনার দোকানের ব্যবসা করার আইডিয়া নিতে পারেন। কেননা শিশুরা অনেক বেশি খেলনা পছন্দ করে। যদি খেলনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন, তাহলে এখান থেকে প্রতিমাসে বেশ মোটা অংকের টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। এই ব্যবসা করার আগে কোথা থেকে পাইকারি দামে খেলনা নিবেন তা আগে জেনে নিন। সাধারণত ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে পাইকারি দামে খেলনা পাওয়া যায়। এছাড়াও চীন থেকে খুব অল্প টাকা দামে অনেক বেশি খেলনা আমদানি করা যায়।

পুরনো খেলনার পরিবর্তে বর্তমানে যে সকল খেলনা গুলো শিশুরা বেশি পছন্দ করে যে সকল খেলনা গুলো আপনাকে নিতে হবে। কেননা মাথায় রাখতে হবে আপনার একমাত্র ক্রেতা শিশু। বাবা-মা শিশুর জন্যই মূলত খেলনা কিনে থাকে। খেলনার দোকানের ব্যবসা করার জন্য এমন একটি স্থান নির্বাচন করুন যাতে বাবা-মা সহজেই সেখানে গিয়ে তার সন্তানের জন্য পছন্দমত খেলনা কিনতে পারে। এভাবে আপনি খেলনার দোকানের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

জুসবারের ব্যবসা করার আইডিয়া 

আপনি চাইলে জুসবারের ব্যবসা করার আইডিয়া নিতে পারেন। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ায় যখন শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন এক গ্লাস ঠান্ডা জুস মন প্রাণকে তৃপ্তি করে দেয়। জুস বারের ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে ভালোভাবে জুস তৈরি করার কৌশল শিখে নিতে হবে।
 
জুসবারের-ব্যবসা-করার-আইডিয়াএমন কিছু আয়ত্ত করতে হবে যা অন্যান্য জুসবারের থেকে আপনার জুস বারকে আলাদা করে। এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনি কোন জায়গায় এই ব্যবসা করবেন সেই জায়গা নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়াও আপনাকে সুপরিকল্পিত প্লান তৈরি করতে হবে। আপনার জুসবারে যেন কয়েক ধরনের জুস থাকে। এতে করে কাস্টমাররা তাদের পছন্দমত জুস খেতে পারবে।
আপনি বিভিন্ন ধরনের জুস তৈরি করতে পারেন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো গাজরের জুস, লিচুর জুস, পাকা আমের জুস, মাল্টার জুস, কাঁচা আমের জুস, তরমুজের জুস, বিভিন্ন ফলের মিশ্রণে তৈরি জুস, কমলার জুস, টক ঝাল জাম্বুরার জুস, আনারস জুস, ডালিমের জুস ইত্যাদি। এভাবে আপনি জুসবারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।  এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ২০ হাজার টাকায় ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া এবং কুরিয়ারের ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। 

স্কুল খুলে ব্যবসা করার আইডিয়া

আপনি চাইলে স্কুল খুলে ব্যবসা করার আইডিয়া নিতে পারেন। আপনি অল্প টাকার ভেতর বিভিন্ন ধরনের ছোটখাট স্কুল খুলতে পারেন। এ সকল স্কুল গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কিন্ডার গার্ডেন স্কুল, আর্ট স্কুল, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ইত্যাদি। এ সকল স্কুলগুলো খোলার মাধ্যমে আপনি ভালো পরিমানে টাকা আয় করতে পারবেন। এ সকল স্কুল খুললে দুইটি লাভ হয়। একটি হলো আপনি সম্মানের পাত্র হন। আরেকটি লাভ হলো আর্থিকভাবে আপনি উন্নতি লাভ করেন।

তাই এ সকল স্কুল খোলার জন্য একটি ভালো পরিবেশ আছে এমন জায়গা নির্ধারণ করুন। স্কুলের আশেপাশের মানুষজনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন। আর আপনার স্কুলে পর্যাপ্ত সংখ্যক ছাত্রছাত্রী আনার জন্য মার্কেটিং শুরু করুন। স্কুল খোলার ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে ভালো পরিমাণে ইনকাম হওয়া শুরু হয়। এভাবে এই সকল স্কুল গুলো খুলে আপনি আপনার ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ২০ হাজার টাকায় ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

ঘরের তৈরি জিনিসপত্রের ব্যবসা করার আইডিয়া

আপনি চাইলে ঘরের তৈরি জিনিসপত্রের ব্যবসা করার আইডিয়া নিতে পারেন। আমরা সাধারণত বাড়িতে অনেক ধরনের জিনিসপত্র তৈরি করে থাকি। সেটা হতে পারে বিভিন্ন ধরনের মজার মজার খাবার দাবার। আবার নানা ধরনের আসবাবপত্র। ঘরে তৈরি হয় এমন সকল খাবারের নাম হলো বিভিন্ন ধরনের আচার, বিভিন্ন ধরনের চাটনি, দুধে তৈরি নানা রকম মজাদার খাবার, ঘি, বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু পিঠা, জেলি ইত্যাদি।

আর আসবাবপত্রের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বাসের তৈরি বসার টুল, চেয়ার, টেবিল সহ আরো নানা জিনিস। ঘরে তৈরি এই সকল নানা জিনিস আপনি অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও যে সকল দোকানগুলোতে এসকল জিনিসের চাহিদা বেশি রয়েছে সে সকল দোকানের মালিকের সাথে যোগাযোগ করে পাইকারি মূল্যে আপনার ঘরের তৈরি জিনিস গুলো বিক্রি করে ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারেন। এভাবে আপনি খুব সহজেই ঘরের তৈরি নানা জিনিস বিক্রি করে ব্যবসা করতে পারেন।

আরো গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি ব্যবসায়িক আইডিয়া

নিচের আলোচনায় আরো গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি ব্যবসায়িক আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হলো। যেগুলো করার মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। আর এ সকল ব্যবসা গুলো ২০ হাজার বা তার বেশি টাকা পুঁজি নিয়ে খুব সহজেই করা সম্ভব হবে। চলুন সে সকল ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি।

বৈদ্যুতিক পণ্যের আমদানি ব্যবসাঃ  আপনি চাইলে বিদেশ থেকে বিভিন্ন বৈদ্যুতিক পণ্য আমদানি করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বৈদ্যুতিক পণ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো টিভি, ওভেন, আইরন, ফ্রিজ, ফ্যান, হিটার, এয়ার কন্ডিশন, মশা নিধনকারী, সাউন্ড বক্স সহ আরো নানা বৈদ্যুতিক পণ্য। এ সকল পণ্যগুলো আপনি বিভিন্ন বড় বড় দেশ থেকে আমদানি করতে পারেন।

এ সকল দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ভারত, চীন, জাপান, মালয়েশিয়া ইত্যাদি। আপনি এ সকল দেশগুলো থেকে এ সকল বৈদ্যুতিক পণ্য আমদানি করে নিজেই সরাসরি নিজের শোরুম, অনলাইন প্লাটফর্মে বিক্রি করতে পারেন। অথবা আপনি চাইলে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে পাইকারি দামে বিক্রি করতে পারেন। এভাবে আপনি বৈদ্যুতিক পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করে ব্যবসা করতে পারেন।

কৃষি ব্যবসাঃ  আপনি চাইলে গ্রামে কৃষি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কারণ বর্তমান সময়ে কৃষি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যবসা হিসেবে পরিগণিত হয়। আপনি গ্রামে বিভিন্ন ধরনের ধান চাষ করতে পারেন, রবি ফসল উৎপন্ন করতে পারেন, মাছের চাষ করতে পারেন, হ্যাচারি তৈরি করতে পারেন, বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি লাগিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। এ সকল যাবতীয় কাজগুলো আপনি গ্রামে বসেই খুব সহজেই শুরু করতে পারেন।

অনলাইনে বইয়ের ব্যবসাঃ  আপনি চাইলে খুব সহজেই অনলাইনে বইয়ের ব্যবসা করতে পারেন।আমাদের বাংলাদেশে বইয়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বই পড়ার প্রতি মানুষের ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু একজন পাঠক তার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক বই সঠিক সময় পাই না। তাই এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে আপনি সেই পাঠকের কাছে তার প্রয়োজনীয় বই সরবরাহ করতে পারেন। এজন্য আপনি অনলাইনে এমন একটি আপস বা ওয়েবসাইট তৈরি করুন। যেখানে পাঠকের যাবতীয় বই অল্প টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। এভাবে আপনি অনলাইনে বইয়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

অনলাইনে কাপড় বিক্রির ব্যবসাঃ  বর্তমান সময়ে অনলাইন অনেক বেশি জনপ্রিয়। এখন মানুষ আর শপিংমলে গিয়ে কাপড়চোপড় কিনে না। এখন ঘরে বসেই তাদের পছন্দমত যে কোন কাপড় চোপড় অনলাইনে অর্ডার দিয়ে সরাসরি পেয়ে যায়। তাই এই সুযোগটাকে আপনি কাজে লাগাতে পারেন। এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে আপনি অনলাইনে মহিলাদের বিভিন্ন পোশাক, শিশুদের বিভিন্ন পোশাক, ফ্যাশনের নানা জিনিসপত্র, পুরুষদের টি-শার্ট, পাঞ্জাবি সহ আরও না কাপড় চোপড় বিক্রি করে ব্যবসা করতে পারেন।

মোবাইল ও ইলেকট্রনিকের ব্যবসাঃ  বর্তমান সময়ে মোবাইল ও ইলেকট্রনিক জিনিসগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক বেসি গুরুত্বপূর্ণ। বলতে গেলে এ সকল জিনিসগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই আপনি বিভিন্ন ধরনের নতুন পুরাতন মোবাইল, হেডফোন চার্জার, মাউস, কিবোর্ড সহ নানা ইলেকট্রনিক জিনিস অনলাইনের মাধ্যমে অথবা নিজের ছোটখাট দোকানের মাধ্যমে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।

পোল্ট্রি ফার্ম এর ব্যবসাঃ  আপনি চাইলে পোল্ট্রি ফার্মের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটি বাংলাদেশের মতো দেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনি পোল্ট্রির ব্যবসা শুরু করলে এখান থেকে আপনি পোল্ট্রি মুরগির ডিম পেয়ে যাবেন। যেখান থেকে আপনি আরো বেশি পরিমাণে পোল্ট্রির পাশাপাশি এর ডিম বেচেও মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। এজন্য এ ব্যবসা শুরু করার আগে যাদের পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে তাদের সাথে কথা বলে এই ব্যবসা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে নিন। এমন জায়গায় এই ব্যবসা শুরু করুন যেখানে খুব সহজেই ট্রাক বা অন্যান্য যানবাহন আপনার ফার্মে প্রবেশ করে পোল্ট্রি নিয়ে যেতে পারে। এভাবে আপনি পোল্ট্রি ফার্ম এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

ইভেন ম্যানেজমেন্ট এর ব্যবসাঃ  আপনি চাইলে ইভেন ম্যানেজমেন্ট এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আমাদের সমাজে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠান সংগঠিত হয়ে থাকে। এ সকল অনুষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অর্থাৎ একটি বিয়ে বা জন্মদিনের অনুষ্ঠানের ডেকোরেশন থেকে শুরু করে যাবতীয় কার্যক্রম যত বেশি আকর্ষণীয় হবে তত বেশি সেই অনুষ্ঠানটা সুন্দর হবে। তাই আপনি চাইলে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসা করতে কি কি প্রয়োজন তা কোন একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর ব্যবসা করা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই সম্পর্কে ভালোভাবে তথ্য জেনে এই ব্যবসায় নেমে যেতে পারেন।

রান্নার ব্যবসাঃ  আপনি চাইলে রান্নার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কেননা বড় কোন শহরে বিশেষ করে যে সকল জায়গাগুলোতে ছাত্র-ছাত্রী মেসে থাকে সে সকল জায়গা গুলোতে খাবার সাপ্লাই দিয়ে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। অর্থাৎ আপনি যদি রান্নায় দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে খাবার সাপ্লাই দিয়ে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর আপনি যদি রান্না করতে না পারেন তাহলে একজন রাঁধুনিকে রেখে দিতে হবে। সেই রান্না করবে আর আপনি তা বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে সাপ্লাই করবেন। এভাবে আপনি রান্নার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

মোবাইল মেরামতের ব্যবসাঃ  আপনি চাইলে মোবাইল মেরামতের বিজনেস করতে পারেন। বর্তমান সময়ে আমাদের প্রত্যেকের হাতেই কোন না কোন ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন রয়েছে। এই মোবাইল ফোনগুলো ব্যবহারের সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এই সমস্যাগুলো মেরামত করার জন্য একজন দক্ষ মোবাইল সার্ভিসার প্রয়োজন। তাই আপনি এই বিজনেস শুরু করার আগে মোবাইল মেরামতের যাবতীয় কৌশল কয়েক মাস প্র্যাকটিস করে শিখে নিতে পারেন। এরপর যে সকল জায়গাতে মানুষের আনাগোনা বেশি হয়, সেই জায়গাতে মোবাইল ফোনের মেরামতের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। চাইলে আপনি একটি ছোট দোকানঘর ভাড়া নিয়ে এই ব্যবসা চালু করতে পারেন।

রাইড শেয়ার ড্রাইভিং এর ব্যবসাঃ  আপনি চাইলে রাইড শেয়ার করে ব্যবসা করতে পারেন। এজন্য আপনার যদি পার্সোনাল মোটরসাইকেল বা কার থাকে। তাতে করে আপনি এই ব্যবসা চালু করতে পারেন। এছাড়াও আপনার যদি নিজস্ব কোন মোটরসাইকেল বা কার না থাকে তাহলে আপনি কোম্পানির মোটরসাইকেল বা কার ভাড়া নিয়ে রাইড শেয়ার ব্যবসা করতে পারেন। এই ব্যবসার কাজ হলো যাত্রীকে তার গন্তব্য স্থানে সঠিক সময়ে পৌঁছে দেওয়া। এই ব্যবসায় তেমন কোন ঝুঁকি নেই। এই ব্যবসা করে মোটামুটি ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। 

লন্ড্রি ব্যবসাঃ  আপনি চাইলে লন্ড্রি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বিশেষ করে শহরের মানুষজন অনেক বেশি ব্যস্ত থাকে। তারা তাদের জামা কাপড় ঠিকমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার সময় পায়না। তাই এই সুযোগটাকে আপনি কাজে লাগাতে পারেন। আপনি ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সকল পেশার মানুষের কাপড় চোপড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে ইস্ত্রি করে দিয়ে লন্ড্রি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনি প্রথমে আপনার শহরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে আপনার গ্রাহকদের আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানাতে পারেন। তারপর অর্ডার সংগ্রহ করে কাজে নেমে যেতে পারেন। 

টিউটরিং পরিষেবাঃ  আপনি চাইলে টিউটরিং পরিষেবা চালু করতে পারেন। বর্তমান সময়ে পড়ালেখার চাহিদা অনেক বেশি। যার কারণে টিউটরিং পরিষেবা বর্তমান সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিশেষ করে গণিত, পদার্থ, রসায়ন, ইংরেজি এ সকল বিষয়গুলোর জন্য টিউটরিং পরিষেবা চালু রয়েছে। আপনি চাইলে আপনার শহরে টিউটরিং পরিষেবা চালু করে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এই সেবা চালু করার জন্য আপনাকে আগে এ সকল বিষয়ে দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। তারপর আপনার টিউটরিং পরিষেবা সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রীদের জানাতে হবে। আপনি চাইলে অনলাইন, অফলাইন দুই জায়গায়ই আপনার টিউটরিং পরিষেবা সম্পর্কে অবগত করতে পারেন।

ঘরের তৈরি খাবারের ব্যবসাঃ  আপনি চাইলে ঘরের তৈরি বিভিন্ন খাবার অনলাইন এর মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। সাধারণত আমরা ঘরে বিভিন্ন মজার মজার খাবার তৈরি করে থাকি। এ সকল খাবার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বিরিয়ানি, মোরগ পোলাও, চটপটি, হালিম, খিচুড়ি, দই, রসমালাই, ফুচকা, মেজবানি গরুর মাংস, কাবাব, মাংসের কালাভুনা, পিঠা, পায়েস, বোরহানি, লাচ্ছি ইত্যাদি।

এ সকল খাবারগুলোই আপনি চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন। এই ব্যবসায় অল্প পুঁজি নিয়ে খুব ভালো পরিমাণে টাকা উপার্জন করা সম্ভব। এজন্য আপনি প্রথমে একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে আপনার মজার মজার খাবার গুলোর ছবি বা ভিডিও দিয়ে নিয়মিত আপলোড করতে পারেন। সেখান থেকে আপনি প্রয়োজনীয় সংখ্যক কাস্টমার পেয়ে যাবেন। এভাবে আপনি ঘরের তৈরি খাবারের ব্যবসা চালু করতে পারেন। 

হাতের তৈরি পণ্যের ব্যবসাঃ  আপনি যদি হাতের তৈরি পণ্য তৈরি করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এই ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন। বিশেষ করে আপনি যদি হাত দিয়ে গহনা তৈরি করতে পারেন, কার্ড তৈরি করতে পারেন, পেন্টিং করতে পারেন এবং হস্তশিল্প জাতীয় জিনিস তৈরি করতে পারেন তাহলে এই ব্যবসাটা আপনার জন্যই। আপনি এ সকল জিনিস হাতে তৈরি করে অনলাইনের মাধ্যমে বা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন। হাতে তৈরি করা যায় এমন আরো পণ্যের মধ্যে রয়েছে ব্যাগ, ফুলদানি, নকশি কাঁথা, মাটির তৈরি থালা-বাসন, বাঁশের তৈরি চেয়ার, টেবিল, ঝুড়ি ইত্যাদি। এজন্য আপনি অল্প টাকা ইনভেস্ট করে এসকল জিনিস তৈরি করার উপকরণ কিনে কাজে নেমে যেতে পারেন। 

মোবাইল রিচার্জ/ব্যালেন্স ট্রান্সফার এর ব্যবসাঃ  আপনি চাইলে গ্রাহকদের মোবাইল রিচার্জ করে কিংবা গ্রাহকদের ব্যালেন্স ট্রান্সফার করে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে আমরা সবাই বিকাশ, নগদ, উপায় এর মতো জনপ্রিয় ব্যাংকিং সেবা নিয়ে থাকি। আপনি যদি একটি ছোট দোকান দিয়ে মোবাইল রিচার্জ বা বিকাশ, নগদ বা রকেটে সেড মানি, ক্যাচ আউট করে থাকেন, তাহলে এখান থেকে ব্যবসা করে ইনকাম করতে পারবেন। কেননা প্রতিটি রিচার্জ, ক্যাশ আউট বা সেন্ড মানিতে কোম্পানি থেকে আপনি কমিশন পাওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করে থাকবেন। 

লেখকের শেষ কথা

আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ২০ হাজার টাকায় ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন। এছাড়াও আপনারা কুরিয়ারের ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে পারেন। আমি উপরের আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ২৫টি বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এ সকল বিজনেস সম্পর্কে আপনারা আইডিয়া নিয়ে শুরু করতে পারেন।

বর্তমান সময়ে একটি সফল বিজনেস দাঁড় করানোর জন্য সেই বিজনেস সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অন্বেষণ করা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি উপরে যে কয়টি বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে আলোকপাত করেছি আপনি প্রথমে আপনার পছন্দমত একটি বিজনেস আইডিয়া পছন্দ করবেন।

এরপর সেই বিজনেস সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান আহরণ করবেন। আপনার বিজনেসটা করার জন্য যা যা কিছু প্রয়োজন সবকিছুর ব্যবস্থা নিবেন। তারপর আপনি শুরু করে দিতে পারেন আপনার স্বপ্নের বিজনেস। আশা করছি উপরের আলোচনাটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url