ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি বিস্তারিত জানুন

ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। কেননা আপনি কোন কাজে নিয়োজিত হবেন সে কাজ সম্পর্কে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ জানতে পারলে নিশ্চিন্তে সে কাজে নিয়োজিত হতে পারবেন।
 
ভবিষ্যতে-কোন-কাজের-চাহিদা-বেশিভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই ভবিষ্যতের জন্য কোন কাজগুলোর চাহিদা সবচাইতে বেশি তা জানতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ ভবিষ্যতের জন্য কোন কাজের চাহিদা বেশি তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 

ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি

ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ভবিষ্যতের জন্য কোন কাজ গুলো আপনাদের বেছে নেওয়া উচিত হবে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। দিন যত যাচ্ছে কাজের চাহিদা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন কাজের উদ্ভব হচ্ছে।

তাই অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন এমন কিছু কাজের সন্ধান নিয়ে যেগুলো ভবিষ্যতে ব্যাপক চাহিদা থাকবে। অর্থাৎ এখন থেকে সে সকল কাজের প্রস্তুতি নিতে পারলে ভবিষ্যতের জন্য খুবই উপকার হবে। এটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত। আজকের পর্বে তাই আমি ভবিষ্যতের জন্য কোন কাজগুলো সবচাইতে বেশি চাহিদার হবে তার সম্পর্কে নিচের আলোচনায় বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। যার ফলে আপনারা ভবিষ্যতের চাহিদা সম্পন্ন কাজ সম্পর্কে আগাম জানতে পারবেন।

স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত কাজের চাহিদা

ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত কাজের চাহিদা সবচাইতে বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নানা ধরনের স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত কাজগুলো রয়েছে, যেগুলো সম্পর্কে আপনি এখন থেকেই বিস্তারিত জেনে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে পারেন। নিচে এমন বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কাজের নাম দেওয়া হলো।

নার্সিং এর কাজঃ

ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে নার্স হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে ভালো জায়গায় যাওয়া যাবে। কেননা দিন যত যাচ্ছে নার্সদের কাজের সংখ্যা তত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নার্সদের কাজের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ হলো প্রতিনিয়ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নানা ধরনের মহামারীর দেখা দিচ্ছে। যার কারণে এ সকল প্রতিকূল অবস্থায় সেবা দেয়ার জন্য নার্সদের প্রয়োজন। তাই আপনি যদি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেন তাহলে নার্সের পেশাতে যুক্ত হতে পারেন। ভবিষ্যতে এর কাজের চাহিদা ব্যাপক রয়েছে।

মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞঃ

ভবিষ্যতের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কেননা প্রতিনিয়ত মানসিক রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু এখন না এটা আগামীতেও থাকতে পারে। যার কারণে ভবিষ্যতের জন্য মানসিক রোগীর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ হতে পারলে অনেক বেশি লাভবান হওয়া যাবে।

টেলিমেডিসিন সেবা প্রদানকারীঃ

টেলিমেডিসিন সেবা প্রদানকারীর চাহিদা দিন যত যাচ্ছে ঠিক ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেননা এখন কোন রোগী অসুস্থ হলে হাসপাতাল যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এখন খুব সহজেই টেলিমেডিসিন সেবা থাকায় রোগীরা ঘরে বসেই এই সেবা নিতে পারছেন। যার কারণে হাসপাতালে গিয়ে অনেক সময় বসে থাকা কিংবা টাকা খরচ করার প্রয়োজন পড়ছে না। আর এ সকল কারণগুলোর জন্যই ভবিষ্যতে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদানকারীর চাহিদা আকাশচুম্বি।

চিকিৎসা সহকারীঃ

দিন যত যাচ্ছে চিকিৎসরের কাজে সহায়তা কারীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভবিষ্যতের জন্য এই পেশাটি একটি লাভজনক পেশা হবে বলে বোঝা যাচ্ছে। কারণ একজন চিকিৎসকের পক্ষে সব কিছু সামাল দেওয়া সম্ভব হয় না। যার কারণে একজন চিকিৎসক তার সহকারী হিসেবে কাউকে না কাউকে নিয়োগ দিয়ে থাকে। তাই বলা যায় ভবিষ্যতের জন্য চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে পেশা গ্রহণ করা একটি লাভজনক পেশা হিসেবে বিবেচিত হবে।

শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিষয়ক কাজের চাহিদা

ভবিষ্যতে শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিষয়ক কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে। তাই আপনি এ সকল কাজগুলো আগাম ভালোভাবে শিখে নিতে পারেন। শিক্ষা ও প্রযুক্তি বিষয়ক নানা কাজ রয়েছে নিচের আলোচনায় এ সকল কাজ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোকপাত করা হলো।

অনলাইনে শিক্ষার্থী পড়ানোঃ

বর্তমান যুগ ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগ হওয়ার কারণে এখন আর ছাত্রছাত্রী স্যারের কাছে গিয়ে পড়তে রাজি নয়। তারা এখন নিজে নিজেই অনলাইন এর বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে কোর্স কিনে অথবা ভিডিও দেখে তাদের প্রয়োজনীয় পড়ালেখাগুলো খুব সহজেই করে নিচ্ছে। দিন যত যাবে অনলাইনে ক্লাসের সংখ্যা তত বৃদ্ধি পাবে।

অর্থাৎ ভবিষ্যতের জন্য এ কাজের চাহিদা অনেক বেশি হবে। তাই আপনি যদি কোন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে অনলাইনে কোর্স বিক্রি করতে পারেন। অথবা অনলাইনের ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ছাত্রদের পড়ানোর কাজ শুরু করতে পারেন। ভবিষ্যতের জন্য এই কাজটি একটি চাহিদা সম্পন্ন কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।

শিক্ষা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞঃ

সময় যত যাচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার হচ্ছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। এ সকল প্রযুক্তির ব্যবহার জানতে শিক্ষা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন রয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহার করে শিক্ষার মানকে আরো কিভাবে উন্নত করা যায় তা নিয়ে শিক্ষা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা প্রতিনিয়ত চিন্তা ভাবনা করে। তাই বলা যায় যে ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের চাহিদা আকাশচুম্বি। 

সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত কাজের চাহিদা

ভবিষ্যতের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত কাজের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ এখন আর চাকরির পিছনে না ছুটে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে। নিচের আলোচনায় এমন বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো ভবিষ্যতের জন্য ব্যাপক কার্যকরী কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।

কনটেন্ট ক্রিয়েটরঃ

বর্তমানে সময়ে অনেক ছাত্রছাত্রীরা পড়ালেখার পাশাপাশি ফেসবুকে, ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে। ভবিষ্যতের জন্য এ কাজটি ব্যাপক কার্যকরী হবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। মানুষজন এখন আর চাকরির পিছনে সময় নষ্ট না করে নিজেদের মেধা অনুযায়ী একেক জন এক এক রকম কন্টেন্ট বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে তৈরি করে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। তাই বলা যায় যে ভবিষ্যতের জন্য একটি জনপ্রিয় কাজ হলো কন্টেন্ট ক্রিয়েটরের কাজ।

গ্রাফিক্স ডিজাইনারঃ

প্রতিনিয়ত গ্রাফিক্স ডিজাইনারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেননা যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া পারফর্মে লোগো, কভার ফটো সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার জন্য একজন দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রয়োজন। এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কাজের নানা ডিজাইন তৈরি করার জন্য দক্ষ গ্রাফিক্স ডিজাইনার খোঁজ করে থাকে। তাই বলা যায় যে এই কাজটি ভবিষ্যতের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হিসেবে বিবেচিত হবে।

ভিডিও এডিটরঃ

অনেক কোম্পানি বা কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের ভিডিওগুলো খুব আকর্ষণীয় করে এডিটিং করে নেওয়ার জন্য একজন দক্ষ ভিডিও এডিটর খোঁজ করে থাকে। দিন যত যাবে ভিডিও এডিটরের কাজের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। কারণ আগামীতে ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে দক্ষ হতে পারলে অনেক বেশি কাজের সন্ধান পাওয়া যাবে।

যা আপনাকে অন্যদের তুলনায় অনেক গুণ বেশি এগিয়ে রাখতে সহায়তা করবে। আর আপনি যদি ভিডিও এডিটিং এ দক্ষ হতে পারেন। তাহলে আপনিও নিজের তৈরি নানা ভিডিও এডিটিং করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে পাবলিশ করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

কন্টেন্ট রাইটিংঃ

যেহেতু বিভিন্ন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরা বিভিন্ন ধরনের গবেষণামূলক বা ইনফরমেটিভ ভিডিও বানিয়ে থাকে। তাই তাদের ভিডিওর স্ক্রিপ্ট তৈরি করার জন্য একজন দক্ষ কন্টেন্ট রাইটারের প্রয়োজন হবে। যে তাদের ভিডিওর জন্য ইনফরমেটিভ তথ্য রিসার্চ করে তাদের ভিডিওর জন্য বানিয়ে দিবে। এছাড়াও ইনফরমেটিভ তথ্য রিসার্চ করার দক্ষতা অর্জন করতে পারলে ব্লগিং এ বিভিন্ন কনটেন্ট লিখে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তাই ভবিষ্যতের জন্য কন্টেন্ট রাইটিং এর ব্যাপক চাহিদা আছে বলে মনে করি।

সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে এড বুস্ট করাঃ

আজকাল যারা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নানা ধরনের পণ্য বিক্রি করে থাকে তারা তাদের পণ্য মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য অ্যাড দিয়ে থাকে। কিন্তু সবাই এই এড দিতে পারেনা। তাই আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে একজন এড স্পেশালিস্ট হতে পারেন।

তাহলে ভবিষ্যতের জন্য লাভজনক একটি কাজ হবে। আপনি মানুষদের নানা পণ্যের তৈরিকৃত এড বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে বুষ্ট করার মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। ফলে তাদের ইনকাম দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে আপনি এ কাজের জন্য সম্মানজনক মুনাফা পাবেন।  

AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাজের চাহিদা

ভবিষ্যতে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে। কেননা বর্তমান যুগ এআই নির্ভর জুগ। এখন মানুষ নানা রকম কাজকর্ম এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমতাকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজে করে নিতে পারছে। তাই এর চাহিদা বর্তমান সময়ে যেমন আকাশচুম্বি।
 
AI-বা-কৃত্রিম-বুদ্ধিমত্তার-কাজের-চাহিদাঠিক একইভাবে আগামী দিনেও এর চাহিদা দ্বিগুণ গতিতে বৃদ্ধি পাবে। আজকের এই পর্বে আমরা এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি? কিভাবে কাজ করে তার যাবতীয় তথ্য বিস্তারিতভাবে নিচের আলোচনায় আলোচনা করার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিঃ

এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলতে বুঝায় মানুষের চিন্তা শক্তি বা বুদ্ধিমত্তাকে কৃত্রিম উপায়ের মাধ্যমে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের সাহায্যে প্রকাশ করার প্রক্রিয়াকে। কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখার নাম এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এখানে মূলত মানুষের চিন্তাশক্তি ও বুদ্ধিমত্তাকে কম্পিউটারের মাধ্যমে অনুকরণ করা হয়ে থাকে।

এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন একাডেমিক ক্ষেত্রে ব্যাপক ঝড় তুলেছে। এক কথায় বলতে গেলে বলা যায় যে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো এমন এক ধরনের প্রযুক্তি যা কম্পিউটার বা মেশিনকে মানুষের মতো চিন্তা করা, শিখা কিংবা যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে দক্ষ করে তোলা।

এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাজ করার ধরনঃ

এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যালগরিদম ও মেশিন লার্নিং এর সুবিধা গুলোকে কাজে লাগিয়ে বিশাল তথ্য ভান্ডার অনুসন্ধান করে ফলাফল ও অনুমান জানাতে সক্ষম হয়। এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিরতির কোন প্রয়োজন পড়ে না। একসাথে অনেকগুলো কাজ কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে খুব সহজে করা যায়। যা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়।

কারণ মানুষ বেশি কাজ করলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই মানুষের কাজের সুবিধার্থে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আবির্ভাব। এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে একই টাইমে হাজার হাজার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব। এছাড়াও এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমতাকে কাজে লাগিয়ে অল্প সময়ের ভেতর নানা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব।

বর্তমান সময়ে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে মানুষ তাদের নানা ধরনের জটিল কাজগুলো খুব সহজেই করে নিচ্ছে। তাই দিন যত যাচ্ছে এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চাহিদাও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আশা করছি আপনি যদি এই বিষয়ে দক্ষ হতে পারেন। তাহলে ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে পারবেন। 

মেশিন লার্নিং এর কাজের চাহিদা

ভবিষ্যতে মেশিন লার্নিং এর কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে। আজকের এই পর্বে আমরা মেশিন লার্নিং কি? কিভাবে কাজ করতে পারে তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে নিচের আলোচনা থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা নিয়ে আসি।

মেসিন লার্নিং কিঃ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখার নাম মেশিন লার্নিং। মূলত মেসিন লার্নিং প্রোগ্রাম নিজেই নিজেকে প্রশিক্ষণ করতে পারে এবং প্রোগ্রামের উপর নির্দিষ্ট কাজ করে সম্ভাব্য ফলাফলের ধারণা নিতে পারে। চলুন এবার উদাহরণের মাধ্যমে মেসিন লার্নিং কিভাবে কাজ করে তা বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি।

উদাহরণ ১ঃ

ফেসবুকে ফটো ট্যাগিং এর সময় মেশিন লার্নিং ব্যবহার হয়ে থাকে। আপনি যখন আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ছবি তুলে পোস্ট করেন। তারপর বিভিন্নজনকে ট্যাগ করেন। তখন মেশিন লার্নিং আপনার ছবিতে ব্যবহৃত মুখগুলোকে খুব সহজেই চিনে নেই। এই জায়গাতে এভাবে মেশিন লার্নিং ব্যবহার হয়ে থাকে।

উদাহরণ ২ঃ

আমরা যখন কোন বিষয়ে কথা বলি, টেক্সট করি, সার্চ করি তখন আমাদের নিউজ ফিডে সে সংক্রান্ত যাবতীয় বিজ্ঞাপন চলে আসে। অর্থাৎ আমরা যে বিষয়ের উপর ইন্টারনেটে বেশি সার্চ করি সে সকল বিষয়ে যত ধরনের বিজ্ঞাপন রয়েছে তা আমাদের সামনে প্রদর্শিত হয়।

আসলে এটা কিভাবে হয় আপনার কি মাথায় একবারও প্রশ্ন এসেছে? এটা আসলে মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করার ফলে হয়ে থাকে। বিশ্বের যত দামি নামি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেমনঃ amazon, facebook তারা মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে।

মেশিন লার্নিং এর গুরুত্বঃ

আমরা এখন যে সময়ে বাস করছি তা মূলত ডাটার যুগ। এখানে প্রতিনিয়ত বিপুলসংখ্যক ডাটা তৈরি হচ্ছে। এই ডাটা গুলোকে সঠিকভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও সিদ্ধান্ত নিতে মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ডাটা বিশ্লেষণের প্রক্রিয়াকে মেসির লার্নিং প্রযুক্তি খুব সহজভাবে উপস্থাপন করে থাকে। মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। তাই এই বিষয়ে দক্ষ হতে পারলে চাকরির বাজারে নিজেকে একধাপ এগিয়ে নিতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজের চাহিদা

ভবিষ্যতে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে। আজকের এই পর্বে আমরা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার ভবিষ্যতের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং এর সুবিধা কি কি রয়েছে তার বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারঃ

বর্তমান সময়ে যাবতীয় কাজকর্মগুলো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। যেকোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণার জন্য বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। মানুষ এখন আগেকার মতো টেলিভিশন, রেডিও কিংবা সংবাদপত্রের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে না।

তারা দিনের একটি বড় সময় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে একটিভ থাকে। তাই যেকোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলো ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা, ব্যান্ডিং, মার্কেটিং করার জন্য তাই একজন দক্ষ সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের প্রয়োজন হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ার ম্যানেজারের কাজঃ

একজন প্রফেশনাল সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কার্যাবলী হলো আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা, মার্কেটিং, ব্র্যান্ডিং সহ নানা কার্যাবলী পরিচালনা করবে। তিনি আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে গ্রাহকদের কাছে সঠিক তথ্য দিয়ে গ্রাহকদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে সহায়তা করবে।

একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ কাস্টমারদের যে কোন প্রশ্ন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে উত্তর দেওয়া এবং কাস্টমাররা আপনার প্রতিষ্ঠানের কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে যা যা জানতে আগ্রহী তা একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার খুব ভদ্র ভাবে তাদের সাথে সে সম্পর্কে তথ্য দিবে। এটাই একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ।

প্ল্যাটফর্ম নির্ধারণঃ

একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার আপনার প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বা ব্র্যান্ডিং কোন প্লাটফর্মে করলে সহজে কাস্টমার পাওয়া যাবে তা দেখাশোনা করে থাকে। যে প্ল্যাটফর্ম গুলোতে মার্কেটিং করলে বেশি কাস্টমার পাওয়া যাবে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার সেসকল প্লাটফর্মে মার্কিং বা ব্যান্ডিং করে আপনার প্রতিষ্ঠানের বিক্রির পরিমাণ দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি করে থাকে।

ব্যবসায়িক পরিকল্পনার আইডিয়াঃ

একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় দিক দেখভাল করে। তিনি চিন্তা করে আপনার প্রতিষ্ঠানেকে কিভাবে ভাল পজিশনে নিয়ে যেতে পারবে? কিভাবে বিজ্ঞাপন তৈরি করলে কাস্টমাররা সহজেই আকৃষ্ট হবে? কিভাবে ভিডিও এডিটিং করে ভালো ছবি বসিয়ে কাস্টমারদের সামনে উপস্থাপন করলে কাস্টমার খুশি হয়ে প্রোডাক্ট নিতে আগ্রহী হবে। তার যাবতীয় কাজকর্ম একজন প্রফেশনাল সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার করে থাকে।

এসিও করার দক্ষতাঃ

একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারকে এসইও সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকতে হবে। কেননা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কোন কন্টেন্টকে সবার উপরে আনতে গেলে এসইও করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। ধরুন একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার আপনার প্রতিষ্ঠানের কোন প্রোডাক্ট সম্পর্কে ইউটিউবে একটি ভিডিও বানালেন এবং আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট এর যাবতীয় ভালো দিক খারাপ দিক সুন্দরভাবে বর্ণনা করলেন।

এবার আপনার নিয়োগ করা সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার যদি ইউটিউবের সেই ভিডিওটি এসিও করার মাধ্যমে সবার প্রথমে আনতে পারে। তাহলে কাস্টমাররা সহজেই সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কিত ভিডিওটি দেখতে পাবে। আর ভিডিওটি দেখার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার প্রতিষ্ঠানের সেই পণ্যটি কিনতে আগ্রহী হবে।

তাই একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারকে আপনার প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়ার আগে তিনি এসিও বিষয়ে দক্ষ কিনা তা জেনে নিতে হবে। তাই আপনি যদি একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হওয়ার জন্য যা যা দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন তা যদি অর্জন করতে পারেন। তাহলে ভবিষ্যতের চাকরির বাজারে সবার চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে থাকবেন।

UX ডিজাইনারের কাজের চাহিদা

ভবিষ্যতের জন্য UX ডিজাইনারের কাজের চাহিদা ব্যাপক পরিমাণে রয়েছে। UX ডিজাইনারের কাজের চাহিদা বর্তমান সময়েও ব্যাপক জনপ্রিয়। আজকের এই পর্বে আমরা UX ডিজাইনারের কাজ কি? কিভাবে এটি ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তার যাবতীয় তথ্য বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

UX ডিজাইনারের কাজঃ

UX ডিজাইনারের প্রধান কাজ হচ্ছে এফেক্টিভ এড এবং গুড ইউজার এক্সপেরিয়েন্স দিয়ে যে কোন একটি প্রোডাক্টকে খুব সুন্দর ভাবে ডিজাইন করা। কাস্টমারদের সবচাইতে ভালো এক্সপিরিয়েন্স সরবরাহ করাই হচ্ছে UX ডিজাইনারের কাজ। একজন UX ডিজাইনার ব্যবহারকারীর এক্সপেরিয়েন্স অনুভব করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর জন্য তাদের কাঙ্ক্ষিত চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলি তাদের মনের মতন করে তৈরি করে দেই।

তাই বলা যেতে পারে প্রযুক্তি কিংবা ডিজিটাল পণ্য ব্যবহারের এক্সপেরিয়েন্স উন্নত করার জন্য UX ডিজাইনারের ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।  UX ডিজাইনারের চাহিদা বর্তমান সময়ে যেমন রয়েছে। ঠিক তেমনি ভবিষ্যতেও এর চাহিদা দ্বিগুণ গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে UX ডিজাইনারের চাহিদা আকাশচুম্বি। তাই আপনি চাইলে UX ডিজাইনারের কোর্স করে নিয়ে এই বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন।

সফটওয়্যার এবং অ্যাপ ডেভলপার এর চাহিদা

ভবিষ্যতে সফটওয়্যার এবং অ্যাপ ডেভলপার এর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বর্তমান সময়ে পুরো বিশ্ব জুড়ে সফটওয়্যার এবং অ্যাপ ডেভলপার সেক্টরগুলো দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কোন দিক থেকেই পিছিয়ে নেই।
 
সফটওয়্যার-এবং-অ্যাপ-ডেভলপার-এর-চাহিদাবাংলাদেশের তরুণরা বাংলাদেশের যতগুলো আইটি সেক্টর রয়েছে সেগুলোতে কাজ করার পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতেও দিন দিন তাদের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আসুন আজকে আমরা কোন কোন বিষয়গুলোতে দক্ষতা অর্জন করলে ভবিষ্যতের চাকরিবাজারে অন্যদের থেকে এক ধাপ এগিয়ে থাকা যাবে সেই সকল প্লাটফর্ম সম্পর্কে জেনে নিই।
মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্টঃ

বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি বিশেষ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। শিক্ষা, বিনোদন, ব্যবসা সহ যাবতীয় কাজগুলো এখন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ব্যবসায়িক কার্যক্রম কিংবা ব্যক্তিগত জীবন সহজ করে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মোবাইল অ্যাপ ডেভলপারের মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির সেবা, পণ্য গ্রাহকদের কাছে সরাসরি পৌঁছানো সম্ভব হয়।

ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ

যারা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করে তাদের ওয়েব ডেভেলপার বলা হয়। একজন ওয়েব ডেভলপারের প্রধান কাজ হলো ওয়েবসাইট তৈরি করা এবং তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। একজন দক্ষ ওয়েব ডেভলপার এমনভাবে একটি পণ্য তৈরি করে যার প্রতি ক্লায়েন্ট কিংবা কাস্টমারের চাহিদা যাতে সবচাইতে বেশি থাকে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এসইও এক্সপার্টদের চাহিদা

ভবিষ্যতের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এবং এসইও এক্সপার্টদের চাহিদা ব্যাপক রয়েছে। বাংলাদেশের মতো দেশে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন ব্যবসা দ্রুত সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। যার কারণে এ দেশের বিভিন্ন কোম্পানির পাশাপাশি বাইরের দেশেরও ক্লায়েন্টদের জন্য এসও এক্সপার্ট কিংবা ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্টদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আপনি যদি ভবিষ্যতে চাকরি বাজারে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চান, তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে এবং এসইও বিষয়ে দক্ষ হতে পারেন।

বিজ্ঞাপন পরিচালনাঃ

আজকাল দেশীয় বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের প্রোডাক্ট অনলাইন এর মাধ্যমে বিক্রি করে তাদের সেলকে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি করছে। তাই আপনি যদি বিজ্ঞাপন পরিচালনা করতে দক্ষ হতে পারেন। তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য বিজ্ঞাপন দেয়ার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে সাধারণত বিজ্ঞাপন প্রচলিত হয়ে থাকে। এ সকল প্লাটফর্ম গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি।

এসইও এক্সপার্টঃ

আপনি যদি একজন এসইও এক্সপার্ট হতে পারেন। তাহলে দেশের বিভিন্ন কোম্পানির পাশাপাশি বাইরের দেশের বিভিন্ন ক্লাইন্টের এসইও করে দিয়ে প্রতিমাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারেন। তাই নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতে চাইলে এসিও বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করুন। এসিও বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারলে দেশের পাশাপাশি বাইরের ক্লায়েন্টের ভিডিও, কনটেন্ট এসইও করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের চাহিদা

ভবিষ্যতের জন্য সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান প্রযুক্তি দিনদিন যত উন্নত হচ্ছে ততই সাইবার হামলা বা তথ্য চুরির ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে। যার কারণে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ব্যাংক, সরকারি সংস্থা কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের নেটওয়ার্ক সিস্টেম এবং অ্যাপ্লিকেশন সমূহের সম্ভবত দুর্বলতা খুঁজে বের করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়। নিচের আলোচনায় একজন সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের দায়িত্ব দেয়া হলোঃ

সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের দায়িত্বঃ

একজন সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের নেটওয়ার্ক সিস্টেমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়। এছাড়াও তাদের সাইবার হুমকি ও দূর্বলতার কারণ খুঁজে তা বিচার বিশ্লেষণ করতে হয়। তাছাড়াও সাইবার এক্সপার্টদের নতুন ধরনের নিরাপত্তা প্রযুক্তি প্রেরণ করতে হয়। এ সকল কাজগুলো ছাড়াও সাইবার নিরাপত্তা কর্মীদের আরো নানা ধরনের দায়িত্ব পালন করতে হয়।

সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের প্রয়োজনীয় দক্ষতাঃ

সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের নেটওয়ার্ক বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা রাখতে হয়, যে কোন ধরনের ঝুঁকি মূল্যায়ন করার ব্যবস্থা রাখতে হয়, ঘটনা তদন্ত করার প্রয়োজন পড়ে। এছাড়াও সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের নিরাপত্তা নীতিমালা তৈরি, টিমওয়ার্ক, প্রতিবেদন তৈরি, সাইবার হুমকি বিশ্লেষণ, সমস্যা সমাধানসহ আরো নানা প্রয়োজনীয় কাজে দক্ষতা অর্জন করতে হয়।

তাই বলা যেতে পারে যে ভবিষ্যতের সাইবার হামলা কিংবা তথ্য চুরির ঘটনা রোধ করতে সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্টদের চাহিদা অনেক বেশি। তাই আপনি চাইলে নিজেও সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট হওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা ভবিষ্যতে কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি স্বাস্থ্য সেবা সংক্রান্ত কাজের চাহিদা সম্পর্কেও। বর্তমান সময়ে অনেকগুলো কাজের চাহিদা রয়েছে। যেগুলো আপনি যদি ভালোভাবে শিখতে পারেন, তাহলে এগুলো বর্তমানের পাশাপাশি ভবিষ্যতেও সমানভাবে চাহিদা থাকবে।

আমি উপরের আলোচনায় এমন বেশ কয়েকটি কাজের সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। যেগুলো বর্তমানের পাশাপাশি ভবিষ্যতেও ব্যাপক চাহিদা থাকবে। আমার দেখানো কাজগুলো থেকে আপনার যে কাজটি ভালো লাগে সেই কাজটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিয়ে ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করে আপনিও কাজে নেমে যেতে পারেন। আশা করছি উপরের আলোচনাটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url