ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে

ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে এ সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। বর্তমান সময়ে বেশ কিছু অনলাইন বা অফলাইন প্লাটফর্ম রয়েছে যেগুলো থেকে প্যাসিভ ইনকামের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।

ঘরে-বসে-প্যাসিভ-ইনকাম-করুন-৭টি-উপায়েঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইলে নিচের আলোচনাটি খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই প্যাসিভ ইনকাম করার প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ প্যাসিভ ইনকাম করার বিভিন্ন প্লাটফর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন  

ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে 

ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করার ৭টি গুরুত্বপূর্ণ উপায় আলোচনা করার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। প্যাসিভ ইনকাম বলতে বুঝায় ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা আয় করার পদ্ধতিকে। অর্থাৎ আপনি কোন প্রকার কাজ ছাড়াই ইনকাম করতে পারবেন। ব্যাপারটা আরো পরিষ্কার করি খুব বেশি কাজ না করে বা শক্তি প্রয়োগ না করেই ইনকাম করার পদ্ধতি হচ্ছে প্যাসিভ ইনকাম।

আরেকভাবে বলা যায় আপনি আগে পরিশ্রম করবেন কোন প্রকার টাকা পাবেন না কিন্তু পরবর্তী সময়ে খুব একটা কাজ না করেও অনাসে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। এই ইনকামটা আপনার মূল ইনকামের পাশাপাশি এক্সট্রা ইনকাম হিসাবে আপনি করতে পারেন। অনেকগুলো প্যাসিভ ইনকাম করার পদ্ধতি রয়েছে। আজকের এই পর্বে আমরা এমন গুরুত্বপূর্ণ ৭টি প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে আলোচনা করবো যা আপনি খুব সহজেই করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করতে পারবেন।

কোর্স বিক্রি করে ইনকাম করার উপায়

কোর্স বিক্রি করে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আপনি চাইলে জেনে নিতে পারেন। আজকের বাংলাদেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে নানাভাবে আয় করা যায়। কোর্স বিক্রি তার মধ্যে অন্যতম একটি সেরা আয়। আপনি চাইলে এটি শুরু করতে পারেন। তবে এটি শুরু করার আগে আপনাকে কোন একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। তাহলে আপনি সে সকল বিষয়ের উপর কোর্স তৈরি করে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আসুন আমরা জেনে নেই আপনি কোন কোন বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করে কোর্স তৈরি করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোর্স তৈরিঃ

আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স তৈরি করতে পারেন। বর্তমান সময়ে এটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এখনকার ছাত্রছাত্রীরা পড়ালেখার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতে অনেক বেশি আগ্রহী। আপনাকে এমন বিষয়ের উপর কোর্স তৈরি করতে হবে যার চাহিদা সবচাইতে বেশি রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং কোর্স তার মধ্যে একটি। এই কোর্স তৈরি করার আগে আপনাকে আগে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তারপর আপনি এই কোর্স তৈরি করে অনলাইনে দিতে পারেন।

ব্লগিং কোর্সঃ

আপনি চাইলে ব্লগিং কোর্স তৈরি করতে পারেন। ব্লগিং কোর্স হলো গুগলে বিভিন্ন আর্টিকেল লেখা। আপনি যখন গুগলে বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল লিখবেন তখন সেখানে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের বিজ্ঞাপন দিবে। আর এই বিজ্ঞাপন থেকেই আয় হবে। বর্তমানে এই ব্লগিং এর চাহিদা অত্যন্ত ব্যাপক। তাই আপনি চাইলে ব্লগিং সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করে ব্লগিংয়ের উপর কোর্স তৈরি করতে পারেন।

ইউটিউব কোর্সঃ

আপনি চাইলে ইউটিউব কোর্স তৈরি করতে পারেন। আপনি জানেন আজকের দুনিয়ায় ইউটিউব এর চাহিদা কতটা রয়েছে। অর্থাৎ আমরা প্রতিনিয়ত নানান ভিডিও ইউটিউব থেকেই দেখে থাকি। তাই এর চাহিদা আকাশচুম্বী। এজন্য আপনি ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয়, ভিডিও কিভাবে তৈরি করতে হয়, কোন বিষয়ে ভিডিও বানালে ভালো ইনকাম হয় এ সকল যাবতীয় বিষয়ে কোর্স তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। এই কোর্স তৈরি করার আগে আপনাকে এই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্সঃ

আপনি চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোর্স তৈরি করতে পারেন। বর্তমান সময়ে এর চাহিদাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ অন্যের পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে কমিশন ভিত্তিক ইনকাম হয়ে থাকে। তাই আপনি অ্যাফিলেট মার্কেটিং সম্পর্কে দক্ষত অর্জন করে অনলাইনে এর উপর একটি কোর্স তৈরি করতে পারেন।

ভিডিও এডিটিং কোর্সঃ

আপনি চাইলে ভিডিও এডিটিং কোর্স তৈরি করতে পারেন। বর্তমান সময়ে ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক অনেক জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হওয়ার কারণে এগুলো থেকে সরাসরি ইনকাম করা যায় কিংবা স্পন্সরের মাধ্যমে ভালো পরিমাণে টাকা উপার্জন করা যায়। তাই প্রতিনিয়ত এ সকল প্লাটফর্ম গুলোতে মানুষদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সকল প্লাটফর্মে ভিডিও বানানোর জন্য প্রয়োজন ভিডিও এডিটিং দক্ষতা। এ দক্ষতা ছাড়া ভালো মানের ভিডিও তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই আপনি ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করে এই বিষয়ের উপর অনলাইনে কোর্স তৈরি করতে পারেন।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা SEO কোর্সঃ

বর্তমান সময়ে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর চাহিদা অনেক বেশি। কেননা আপনি যখন গুগল এ আপনার কোন আর্টিকেল লিখবেন, তখন সেই আর্টিকেলটিকে সবার আগে নিয়ে আসার জন্য এসইও করা প্রয়োজন। অর্থাৎ এসইও এর মাধ্যমে আপনি আপনার আর্টিকেলটিকে সবার উপরে আনতে পারবেন। যা সহজেই অডিয়েন্স পড়তে পারবে। এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সময় আপনার আর্টিকেলটি সবার আগে আসলে সহজে কাস্টমার আর্টিকেল পড়ার সময় অন্য কোম্পানির কোন পণ্য কিনে ফেলবে। আর এখান থেকে তখন কমিশন ভিত্তিক ইনকাম হবে। তাই আপনি এর উপর দক্ষতা অর্জন করে কোর্স চালু করতে পারেন।

সিলাই ও ফ্যাশন ডিজাইন কোর্সঃ

আজকের সময়ে সেলাই শেখার প্রতি অনেক মানুষেরই আগ্রহ রয়েছে। যখন কোথাও বিয়ে হয় তখন কন্যার শাড়ির ব্লাউজ, কাপড়ের পাড় সেলাই করার প্রয়োজন হয়। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের ড্রেস তৈরি করার জন্য সিলাই ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাই এটার উপর আপনি কোর্স তৈরি করতে চাইলে আগে আপনি নিজে ভালোভাবে এর উপর দক্ষতা অর্জন করে নিন। তারপর এই বিষয়ে খুব ভালোভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় বিষয় নিখুঁতভাবে বুঝিয়ে কোর্স চালু করতে পারেন।

কোর্সের দাম নির্ধারণঃ

প্রথমে আপনি চেষ্টা করবেন কোর্সের দাম তুলনামূলকভাবে কম রাখার। কারণ আপনাকে কোর্সের দাম রাখতে হবে সকল শ্রেণী পেশার মানুষের জন্য বিবেচনা করে। যাতে আপনার এই কোর্সটি প্রায় সকলেই কিনতে পারে। তবে কোর্সের দাম কম থাকলে অনেকেই এর কোয়ালিটি নিয়ে সন্দেহ করে। তাই কম টাকায় কোর্স বিক্রি করার আগে আপনার কোর্সের কোয়ালিটি যাতে সবচাইতে ভালো হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। এছাড়াও আপনি চাইলে বাজারে যারা কোর্স বিক্রি করে তাদের দেখে আপনি জেনে নিতে পারেন।

গ্রহদের আস্থা তৈরি করুনঃ

প্রথম অবস্থায় আপনি কিছু গ্রাহককে ফ্রি অফার দিতে পারেন। অর্থাৎ আপনি প্রথম ৫০ জনকে ফ্রি কোর্স দিতে পারেন। তারপর তাদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত মতামত সংগ্রহ করতে পারেন। তাদের কোর্সটি যদি ভালো লাগে তাহলে তাদের কাছ থেকে ছবি বা ভিডিও নিয়ে আপনি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করতে পারেন। আপনার প্রচার যত বেশি হবে আপনার কোর্স বিক্রির সংখ্যা তত বেশি বৃদ্ধি পাবে।

মার্কেটিং করার উপায়ঃ

কোর্স বিক্রির আগে আপনার সমস্ত ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থাকা লাগবে। যেমনঃ ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি। এ সকল প্লাটফর্ম গুলোতে আপনি আপনার কোর্সের বিষয় সম্পর্কে আপনার অডিয়েন্সকে বিস্তারিত জানাবেন। নিয়মিত বিজ্ঞাপন দেওয়ার চেষ্টা করবেন। মাঝে মাঝে বিভিন্ন ধরনের অফার দিবেন যাতে আপনার অডিয়েন্সরা খুব সহজেই এই অফার লুফে নিতে পারে। পেমেন্ট সিস্টেম সহজ রাখার চেষ্টা করবেন। যাতে আপনার অরিয়েন্সরা সহজেই বিকাশ, নগদ, রকেটের মাধ্যমে কোর্সের টাকা পেমেন্ট করে কোর্সটি কিনতে পারেন।

কোর্স বিক্রি থেকে যেভাবে প্যাসিভ ইনকাম হবেঃ

আপনি যখন একটি বিষয়ের উপর কোর্স তৈরি করে অনলাইন প্লাটফর্মে দিয়ে দিবেন। তখন আর আপনার কোন কাজ করা লাগবে না। অর্থাৎ আপনার কাজ শেষ। যারা এই কোর্স নিতে আগ্রহী হবে, তারা খুব সহজেই অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে আপনাকে পেমেন্ট করার মাধ্যমে তারা এই কোর্স কিনে নিবে। আপনাকে এক্সট্রা কোন কাজ আর করা লাগবে না। আপনার এই কোর্সের চাহিদা যতদিন থাকবে ততদিন আপনি এখান থেকে প্রতিমাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এভাবে কোর্স বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়।

ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং করে ইনকামের উপায়

আপনি চাইলে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন। ইনস্টাগ্রাম একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। প্রতিনিয়ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিংবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ইনস্টাগ্রাম এর চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বলতে গেলে প্রতি মাসে ইনস্টাগ্রাম সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ১.৪ মিলিয়নের বেশি ব্যবহারকারি একটিভ থাকে।

যার কারণে বর্তমান সময়ে ইনস্টাগ্রাম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগানোর মাধ্যমে দেশের কিংবা বিদেশের ব্যাপক মানুষ এখান থেকে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে। এই প্লাটফর্মে যেহেতু ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই এই প্লাটফর্মে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের নানা পণ্যের বিজ্ঞাপন ছবি বা ভিডিও দেওয়ার মাধ্যমে আপনার প্রতিষ্ঠানের বিক্রির পরিমাণ বহু গুণে বৃদ্ধি করতে পারেন।

ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর মাধ্যমে যে কেউ অন্য প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে কমিশন ভিত্তিক ইনকাম করতে পারে। এভাবে আপনি ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং করে কোনপ্রকার ঝামেলা ছাড়াই বিজ্ঞাপন দেয়ার মাধ্যমে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা প্যাসিভ ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

বাড়ি বা ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম

আপনি চাইলে বাড়ি বা ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। আপনার যদি নিজস্ব কোন বাড়ি বা ফ্ল্যাট থাকে তাহলে সে সকল জায়গাতে আপনি ভাড়াটিয়া তুলে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন। কিংবা আপনি যদি এখনো কোন বাড়ি বা ফ্ল্যাট তৈরি করে না থাকেন। তাহলে তৈরি করে ফেলতে পারেন। কেননা আপনি যদি একবার বাড়ি বা ফ্ল্যাট তৈরি করে ফেলতে পারেন।

তাহলে আপনাকে আর কোন ঝামেলা ছাড়াই আপনার বাড়ি বা ফ্ল্যাটে কাউকে ভাড়া দেয়ার মাধ্যমে এখান থেকে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বাড়ি বা ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়া একটি প্যাসিভ ইনকামের মধ্যে পড়ে। কেননা আপনি আর কোন কাজ করছেন না আপনি শুধু বাড়ি বা ফ্ল্যাট তৈরি করে অন্যকে ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে ভাড়া তুলে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন। এভাবে আপনি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।

ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করার উপায়

আপনি চাইলে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করার উপায় জানতে পারেন। বর্তমান সময়ে ব্লগিং এর চাহিদা অনেক বেশি। মানুষ এখন যে কোন জিনিস জানার জন্য গুগল এ সার্চ করে। আর এর মাধ্যমে তার অজানা তথ্য জানতে সক্ষম হয়। ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়। আজকের এই পর্বে আমরা ব্লগিং করে কিভাবে প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা যায় তা ধাপে ধাপে জেনে নিবো। চলুন তাহলে জেনে নেই।

ওয়েবসাইট তৈরিঃ 

ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনার প্রথমে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। তারপর সেই ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ক্যাটাগরির আর্টিকেল আপনি লিখতে হবে। আর্টিকেলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্টিকেল, লাইফস্টাইল বিষয়ক আর্টিকেল, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল, অনলাইন ইনকাম বিষয়ক আর্টিকেল, খেলাধুলা বিষয়ক আর্টিকেল, সাম্প্রতিক তথ্য বিষয়ক আর্টিকেল ইত্যাদি।

বিজ্ঞাপন দেওয়াঃ 

আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ক্যাটাগরির আর্টিকেল লিখবেন, তখন আপনার এই সকল আর্টিকেলগুলোতে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমেই ব্লগিং থেকে আয় করা যায়। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দিবেন। এই সকল বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট থেকে প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ

আপনি যে সকল আর্টিকেল আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করবেন সেখানে আপনি যদি অন্য কোম্পানির কোন প্রোডাক্ট আপনার অডিয়েন্সকে সুপারিশ করেন এবং আপনার অডিয়েন্স যদি সে সকল প্রোডাক্ট কিনে থাকে, তাহলে আপনি সে কোম্পানি থেকে কমিশন ভিত্তিক ইনকাম করতে পারবেন। এটাই হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

দক্ষতা অর্জনঃ

ব্লগিং শুরু করার আগে অনলাইন বা অফলাইন থেকে কোর্স করার মাধ্যমে আপনি এই বিষয়ে দক্ষ হয়ে যাবেন। তারপর এটি শুরু করবেন। এছাড়াও আপনি চাইলে ইউটিউবের নানা ভিডিও দেখে ব্লগিং বিষয়ে দক্ষ হতে পারেন। এই উপায় গুলো অবলম্বন করে ব্লগিং শিখতে পারেন।

প্যাসিভ ইনকাম যেভাবে হবেঃ

আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ক্যাটাগরির আর্টিকেল লিখবেন তখন লেখার সাথে সাথে আপনি ইনকাম করতে পারবেন না। অর্থাৎ ধরুন আপনি ৫০০ পোস্ট লিখলেন এরপর এই পোস্টগুলো সময় নিয়ে যখন গুগলের র‍্যাংকিং এ যাবে। তখন পর্যাপ্ত সংখ্যক অডিয়েন্স আপনার এই পোস্টগুলো সহজে পড়তে পারবে। আর পোস্ট পড়তে আসলে তাকে অ্যাড দেখাবে। আর আপনার ইনকাম হতে থাকবে। এভাবে আপনার প্যাসিভ ইনকাম হবে।

ড্রপশিপিং বিজনেস করে ইনকাম করার উপায়

আপনি চাইলে ড্রপশিপিং বিজনেস করে ইনকাম করার উপায় জেনে নিতে পারেন। এখানে আপনি কোন প্রকার ইনভেস্ট না করেই প্যাসিভ ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। এই কাজটি করার জন্য আপনার নিজের কোন প্রোডাক্টের স্টক থাকা লাগবে না। এ কাজটি করার জন্য আপনি অন্যের মাধ্যমে প্রোডাক্ট নিয়ে তার মাধ্যমেই আবার ডেলিভারি দিতে পারেন।
 
ড্রপশিপিং-বিজনেস-করে-ইনকাম-করার-উপায়ব্যাপারটা আরো পরিষ্কার করি। আপনি ধরেন পাইকারের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রোডাক্ট সম্পর্কে জেনে নিয়ে তা বিভিন্ন সোশ্যাল প্লাটফর্মে ছবি বা ভিডিও দিয়ে মার্কেটিং করলেন। এরপর কোন কাস্টমার আপনার কাছে এই প্রোডাক্টটি কিনতে চাইলো। তখন আপনি তার কাছে তার যাবতীয় ইনফরমেশন নিয়ে আপনার পরিচিত পাইকারদের কাছে দিয়ে দিবেন।
পাইকার তখন সেই ঠিকানায় তার পণ্যটি পাঠিয়ে দিবে। পণ্যটির দাম যদি পাইকারি দাম ১০০০ টাকা হয়। তাহলে আপনি সেই পণ্যটি আপনার কাস্টমারের কাছে ১২০০ বা ১৫০০ টাকায় বিক্রি করতে পারেন। এই যে অতিরিক্ত ২০০ বা ৫০০ টাকা বেশি নিলেন। এটাই হলো আপনার লাভের অংশ। এভাবে আপনি ড্রপশিপিং বিজনেস চালু করতে পারেন।

চালু করতে যা প্রয়োজনঃ

এই বিজনেস চালু করার আগে আপনার নিজস্ব ব্লগিং সাইট কিংবা ই-কমার্স ওয়েবসাইট থাকা লাগবে। যেখানে আপনি আপনার প্রোডাক্টগুলো আপনার নিজস্ব ইচ্ছা অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করতে পারবেন। এভাবে আপনি ঘরে বসে কোন প্রকার ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া ড্রপসিপিইং বিজনেসের মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল খুলে ইনকাম করার উপায়

আপনি চাইলে ইউটিউব চ্যানেল খুলে ইনকাম করার উপায় জেনে নিতে পারেন। বর্তমান সময়ে সবচাইতে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্মের নাম হলো ইউটিউব। এই প্লাটফর্মে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ভিডিও তৈরি করে প্রতি মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়। তাই আজকের এই পর্বে আমরা ইউটিউব চ্যানেল খুলে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় তার বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

ইউটিউব চ্যানেল তৈরিঃ

ইউটিউব থেকে ইনকাম করার আগে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে। ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলতে হয় এ বিষয়ে আপনি ইউটিউব থেকে নানা ভিডিও দেখে শিখে নিতে পারেন। ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর এখানে আপনার প্রোফাইল পিকচার, কভার ফটো দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে। সেগুলোও ভালোভাবে ইউটিউব থেকে শিখে নিয়ে আপলোড দিতে পারেন।

ভিডিও এডিটিংঃ

ইউটিউব চ্যানেল খোলার আগে আপনার ভিডিও এডিটিং শিখে নিতে হবে। কেননা ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করার জন্য ভিডিও এডিটিং দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। আপনার ভিডিও এডিটিং যত বেশি আকর্ষণীয় হবে। আপনার শ্রোতা ততো আপনার ভিডিও দেখার প্রতি আকৃষ্ট হবে। ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স রয়েছে। সেখান থেকে আপনি শিখে নিতে পারেন। কিংবা আপনি চাইলে ইউটিউবের নানা ভিডিও দেখে খুব সহজেই ভিডিও এডিটিং দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।

বিষয়বস্তু নির্ধারণঃ

এ সকল যাবতীয় কাজ সম্পূর্ণ হলে আপনি কোন বিষয়ে ভিডিও বানাতে চান সেই বিষয়টা নির্ধারণ করতে পারেন। আপনি চাইলে ঘরে বসে রান্না করার ভিডিও, মোটিভেশনাল ভিডিও, ফানি ভিডিও, ছবি তৈরির ভিডিও, শিক্ষামূলক ভিডিও সহ নানা রকম ভিডিও তৈরি করতে পারেন। তাই ভিডিও তৈরি করার আগে আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়ে অনুযায়ী ভিডিও তৈরি করতে পারেন।

প্যাসিভ ইনকাম যেভাবে হবেঃ

আপনার ভিডিওগুলো যতদিন ইউটিউব এ থাকবে ততদিন আপনি এখানে থেকে প্যাসিভ ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। এভাবে আপনি খুব সহজে ইউটিউব চ্যানেল খুলে ভিডিও বানিয়ে প্যাসিভ ইনকাম করার মাধ্যমে প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায়

আপনি চাইলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করার উপায় জেনে নিতে পারেন। বর্তমান সময়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর চাহিদা অনেক বেশি। এটি একটি জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম প্লাটফর্ম। সঠিকভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারলে এখান থেকে ভালো কিছু করা সম্ভব হবে। আজকের এই পর্বে আমরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় এর ভালো দিক, খারাপ দিক সহ এর যাবতীয় বিষয়বলী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক।
 
অ্যাফিলিয়েট-মার্কেটিং-করে-ইনকাম-করার-উপায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিঃ

বর্তমান সময়ে যতভাবে মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায় তার মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় একটি অনলাইন মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। কোন কোম্পানির পণ্য প্রচার করার, বিক্রি করার মাধ্যমে সেই কোম্পানির পক্ষ থেকে কমিশন ভিত্তিক যে ইনকাম হয়ে থাকে সেটিই মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। সহজ ভাবে বলতে গেলে অন্য জায়গায় মার্কেটিং করতে গেলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়।

যার কারণে আপনি যদি আপনার প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির পণ্য যারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে তাদের কাছে কমিশন ভিত্তিক দিয়ে দিলে তারা আপনার সেই পন্যটির বিক্রির ব্যবস্থা করে দিবে। অথবা প্রচারের ব্যবস্থা করে দিবে। এভাবে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের বিক্রি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি করতে পারবেন। বিশ্বের নামকরা সব প্রতিষ্ঠান যেমন amazon, aliba অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার উপায়ঃ

আপনি বিভিন্ন প্লাটফর্মে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিচালনা করতে পারেন। নিজের আলোচনায় বেশ কিছু জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম দেখানো হলো যে সকল প্লাটফর্ম গুলোতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ভালোভাবে করতে পারলে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে টাকা আয় করা যায়।

ওয়েবসাইট তৈরিঃ

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিচালনা করার জন্য আপনার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকা লাগবে। বিশেষ করে আপনার যদি ব্লগিং ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সবচাইতে বেশি ভালো হয়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইটি হিসেবে ব্লগিং ওয়েবসাইট ব্যাপকভাবে পরিচিত। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি যাদের ব্লগ ওয়েবসাইট রয়েছে তাদেরকে তাদের প্রোডাক্টগুলো মার্কেটিং করার জন্য বেশি সুযোগ দিয়ে থাকে।

তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এরপর একটি নির্দিষ্ট নিশের আন্ডারে পোস্ট লিখতে হবে। আপনার যখন পোষ্টের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে তখন আপনার পোস্ট পড়ার জন্য অনেক বেশি ভিজিটর আসবে। আর আপনার ওয়েবসাইটে যখন ভিজিটোর আসা শুরু করবে তখন আপনি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন।

ইউটিউব চ্যানেল তৈরিঃ

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেও আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিচালনা করতে পারেন। আপনার যদি একটি ভালো সাবস্ক্রাইবার অর্জন করা ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহলে আপনি এখান থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্টিন এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। মানুষ আজকাল পড়ার চাইতে সামনা সামনি যে কোন পণ্য দেখে কিনতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। আপনি যদি কোন কোম্পানির বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য সম্পর্কে ভিডিও বানিয়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন হিসেবে দিতে পারেন এবং সেখান থেকে যদি কাস্টমার এই কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্যটি কিনে তাহলে আপনি কোম্পানি থেকে কমিশন ভিত্তিক ইনকাম করতে পারবেন।

ইমেইল মার্কেটিংঃ

ইমেল মার্কেটিং এর মাধ্যমেও আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিচালনা করতে পারবেন। ফ্রি ইমেইল সার্ভিস ব্যবহার করে খুব সহজেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়। এভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার আগে আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হবে। এরপর আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাস্টমারদের ইমেইল ঠিকানা সংগ্রহ করতে হবে।

এরপর আপনি যে প্রতিষ্ঠানের পণ্য প্রচার বা বিক্রি করতে যাচ্ছেন তার অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরি করে ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করে নিয়ে উক্ত ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করবেন। ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিচালনা করার জন্য আপনার সৃজনশীলতার প্রয়োজন পড়বে।

ভিডিও কনটেন্ট তৈরিঃ

ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করার মাধ্যমেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা যায়। আপনি যদি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে শর্ট বা লং ভিডিও তৈরি করে থাকেন, তাহলে আপনিও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিচালনা করে এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির কোন পণ্য আপনার ভিডিওতে ভালোভাবে প্রচার করে যদি বিক্রি করে দিতে পারেন। তাহলে আপনি সেই কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে কমিশন ভিত্তিক ইনকাম করতে পারবেন। এভাবে বিভিন্ন সোশ্যাল প্লাটফর্মে ভিডিও তৈরি করার মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা যায়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভালো দিকঃ

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকামের মাধ্যমে প্রতিমাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করা যায়। এছাড়াও এখানে যেহেতু পণ্য তৈরি করার কোন ঝামেলা নেই। তাই আপনি খুব সহজেই অন্য কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে কমিশন ভিত্তিক ইনকাম করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিচালনা করার জন্য নির্দিষ্ট কোন সময়ের বাধ্যবাধকতা নাই। এখানে আপনি স্বাধীনভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পরিচালনা করে ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর খারাপ দিকঃ 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের খারাপ দিক হলো এই সেক্টরে অনেক বেশি প্রতিযোগিতা রয়েছে। যার কারণে এখান থেকে কম পরিমাণ মানুষ সফল হতে পারে। যেহেতু এখানে পণ্য বিক্রি হলে কমিশন ভিত্তিক ইনকাম হয় তাই পণ্য বিক্রি না করা পর্যন্ত কোন প্রকার কমিশন পাওয়া যাবে না। যেহেতু এখানে পণ্য বিক্রি করতে পারলে কমিশন ভিত্তিক আয় হয় তাই কোন কারণে পণ্য বিক্রি কম হলে আয় এর পরিমাণ কম হবে। এছাড়াও আপনারা উপরের আলোচনা থেকে ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। 

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে এসেছি। এছাড়াও আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি কোর্স বিক্রি করে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কেও। বর্তমান সময়ে প্যাসিভ ইনকামের অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। অর্থাৎ অনলাইনের বা অফলাইনের নানা জায়গা থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করা যায়।

প্যাসিভ ইনকামের সবচাইতে বড় সুবিধা হলো প্রথম অবস্থায় ভালো পরিমানে কাজ করে দিতে পারলে আর তেমন কোন কাজ করা লাগে না। করতে হলেও হালকা করা লাগে। আর সারা জীবন এখান থেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা যায়। উপরের আলোচনায় তাই আমি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্যাসিভ ইনকাম প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা যদি উপরের আলোচনাটি ভালোভাবে পড়তে পারেন। তাহলে এখান থেকে ভালো পরিমানে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url