কোন ভিপিএন সবচেয়ে ভালো জেনে নিন ১৭টি সেরা VPN সম্পর্কে
কোন ভিপিএন সবচেয়ে ভালো এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে পারেন। কেননা
বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের VPN রয়েছে। সেগুলোর মধ্য থেকে আপনার কোনটা
প্রয়োজন সেটা জানতে ভিপিএন গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।
সূচিপত্রঃ সবচাইতে ভালো VPN সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
- কোন ভিপিএন সবচেয়ে ভালো
- Privado ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
- Proton ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
- TunnelBear ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
- Radmin ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
- Express ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
- Atlas ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
- Hotspot Shield ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
- Viper ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
- Nord ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
- Wind-Scribe ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
- আরো ৭টি VPN এর ব্যবহার
- লেখকের শেষ কথা
কোন ভিপিএন সবচেয়ে ভালো
কোন VPN সবচেয়ে ভালো এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা
কোন VPN গুলো সবচাইতে ভালো সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা
করবো। VPN এর পূর্ণরূপ হচ্ছে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক। মূলত
VPN এর মাধ্যমে নিরাপদে তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব হয়। ইন্টারনেট যেহেতু
একটি কাল্পনিক নেটওয়ার্ক।
তাই এখানে বিশ্বের প্রত্যেকটি মানুষ এর সাথে সরাসরি সংযুক্ত। আর যার কারণে এখানে
সরাসরি তথ্য আদান প্রদান করার সুযোগ থাকে। যেটা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হওয়ার ঝুঁকি
বাড়িয়ে দেয়। আর এজন্যই ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত তথ্যচুরির
ঝুঁকি এড়াতে VPN ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট
স্পনসরসিপ ডেটা নিরাপত্তা, কান্ট্রি রেস্ট্রিকশন এবং অন্যান্য নিরাপত্তার জন্য
VPN ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কিছু কোম্পানি VPN তৈরি করে থাকে। এর মধ্যে কিছু ভিপিএন আছে সেগুলো কিনতে
হয় এবং কিছু ভিপিএন আছে যেগুলো ফ্রিতে পাওয়া যায়। আজকের এই পর্বে আমরা ফ্রিতে
পাওয়া যায় এবং কিনতে হয় এমন বেশ কিছু সবচাইতে ভালো VPN নিয়ে আলোচনা
করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
Privado ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
Privado ভিপিএন ব্যবহার করার উপায় সম্পর্কে আপনারা জেনে নিতে পারেন। বর্তমান
সময়ে এই VPN টা ফ্রিতে ব্যবহার করা যায়। এছাড়াও প্রিভাডো VPN এর
প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন রয়েছে, আপনি চাইলে পরবর্তী সময়ে প্রিভাডো VPN এর
প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজটি কিনে নিতে পারেন। প্রিভাডো VPN
আনলিমিটেড স্পিড দিয়ে থাকে। যার কারণে এই VPN টি সবচাইতে জনপ্রিয় একটি
VPN।VPN মূলত ব্যবহার করা হয়ে থাকে নিরাপত্তার জন্য।
কিন্তু বেশিরভাগ VPN ফ্রি হলেও ঠিকঠাক স্পিড দেয় না। কিন্তু প্রিভাডো VPN
ফ্রি হওয়া সত্ত্বেও আনলিমিটেড স্পিড দিতে সক্ষম। যার কারণে এটি সবার থেকে
আলাদা। প্রিভাডো VPN আপনি প্রিমিয়াম নেন কিংবা ফ্রিতে চালান সব ক্ষেত্রে এটি
সবচাইতে ভালো নিরাপত্তা এবং ভালো স্পিড দিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকবে।
আপনি যদি প্রিভাডো VPN এর ডিজাইনের দিকে লক্ষ্য করেন, তাহলে এর ডিজাইন দেখবেন
বেশ হালকা ও সরল। আর এটি ব্যবহার করতে বেশ সহজ মনে হবে।
এই VPN ব্যবহারের সবচাইতে ভালো দিক হলো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অর্থাৎ আপনি
এই VPN ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনার যাবতীয় তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত
করতে পারবেন। বিশ্বের প্রায় ৪৫টির মতো দেশে প্রিভাডো VPN এর সার্ভার
রয়েছে। প্রিভাডো VPN আপনি যদি বিনামূল্যে চালাতে চান, তাহলে আপনার জন্য কেবল
৯টি সার্ভার উন্মুক্ত রয়েছে। এছাড়াও এই VPN এর আরও একটি সুবিধা হলো
প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ১০ গিগাবাইট ডাটা প্রিভাডো VPN এর মাধ্যমে এক্সেস নিতে
পারবেন।
এর বেশি পারবেন না। কারণ প্রিভাডো VPN বিনামূল্যে ব্যবহার করলে ১০ গিগাবাইট
ডাটা ব্যবহারের লিমিট থাকবে। এভাবে আপনি এ নিয়মগুলো মেনে প্রিভাডো VPN
বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনি যদি প্রিভাডো VPN এর প্রিমিয়াম
সাবস্ক্রিপশন নিতে চান, তাহলে আপনার ডাটা বা সার্ভার ব্যবহারের ক্ষেত্রে
কোন সীমাবদ্ধ থাকবে না। ইচ্ছেমতো আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
Proton ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
Proton ভিপিএন ব্যবহার করার উপায় সম্পর্কে আপনি জেনে নিতে পারেন।
এই VPN টি ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তাকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।
যার কারণে এই VPN টি ব্যবহারকারীদের আইপি এড্রেস এবং ব্রাউজিংয়ের
হিস্টরি সহ অন্যান্য কোন ডাটাই সংগ্রহ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে না। প্রোটন
VPN মূলত বিশ্বব্যাপী তাদের সার্ভার নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে থাকে।
আপনি যদি এই VPN এর সুবিধা গুলো বিনামূল্যে ব্যবহার করতে চান, তাহলে এর
সুবিধা গুলো সীমিত আকারে পেতে পারেন। তাই আপনার যদি এই VPN এর সবগুলো
সুবিধা নিতে হয়, তাহলে এর প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনটি কিনে নিতে হবে। তাহলেই এর
যাবতীয় সুবিধাগুলো একসঙ্গে পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের মতো দেশে এই VPN অনেক
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যার কারণে এই VPN বাংলাদেশীদের কাছে
একটি সেরা VPN হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
TunnelBear ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
TunnelBear ভিপিএন ব্যবহার করার উপায় সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত
জেনে নিতে পারেন। কেননা বর্তমান সময়ে যতগুলো VPN রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম
একটি সেরা ভিপিএন হলো টানেল বিয়ার VPN। টানেল বিয়ার VPN এর ডিজাইনের দিকে
লক্ষ্য করলে দেখা যায় এর ডিজাইন বেস হালকা এবং সিম্পল। এ VPN ব্যবহার
করতেও বেশ সহজ মনে হয়।
এ VPN এর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী হলো নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ শক্ত।
অর্থাৎ এটি আপনার যাবতীয় ডাটা সুরক্ষিত রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকবে।
এই VPN টি বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যাবে। বিনামূল্যে এই
ভিপিএনটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কিছু লিমিটেশন রয়েছে।যেগুলো মেনে আপনাকে এই
ভিপিএনটি ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই VPN টি সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন।
Radmin ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
Radmin ভিপিএন ব্যবহার করার উপায় সম্পর্কে আপনারা চাইলে জানতে
পারেন। এই VPN টিও অন্যান্য VPN এর তুলনায় বেশ ভালো। এই VPN টি
আইটি পেশাদারদের জন্য ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই
VPN টির উচ্চগতি সাধারণত ১০০ এমবিপি/সেকেন্ড পর্যন্তও হয়ে থাকতে
দেখা যায়।
এই VPN টির সবচেয়ে কার্যকরী গুনাবলী হলো এটি আনলিমিটেড সার্ভিস দিতে
সক্ষম। যার কারনে এটি যদি ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করে তাহলে তারা খুবই সুবিধা জনক
সুবিধা গুলো পাবে। এই VPN টি ১০০% সেবা দিতে মুখ্যম ভূমিকা পালন করে থাকে।
এছাড়াও এই VPN টি বিনামূল্যে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনকি এর কোন
প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন অপশন চালু নেই। তাই আপনি চাইলে র্যাডমিন VPN টি
বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারেন।
Express ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
Express ভিপিএন ব্যবহার করার উপায় সম্পর্কে আপনারা জানতে পারেন। এই
VPN টি সাধারণত বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় না। এই VPN টি ব্যবহার
করতে হলে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন কিনার প্রয়োজন পড়ে। তবে আপনি যদি এর
প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবশন প্যাকেজটি কিনতে পারেন, তাহলে এর যাবতীয় সুবিধা গুলো
একসাথে পেতে পারবেন। এই VPN টি অন্যান্য VPN এর তুলনায় ব্যয়াবহুল হয়ে
থাকে। এই VPN টি মূলত বিভিন্ন সার্ভারে প্রবেশ করতে পারে।
এক্সেস VPN এর কমপক্ষে ১ হাজারেরও বেশি সার্ভার থাকতে দেখা যায়। এই
সার্ভারগুলো বিশ্বের প্রায় ৯৪টি দেশের মতো দেশ কাভার করে ফেলে। এর মধ্যে
উল্লেখযোগ্য কিছু বড় বড় দেশের নাম হলো চীন। রাশিয়া, তুরস্ক। এই
VPN ব্যবহার করলে ব্যবহারকারীরা একসাথে ৩টি ফোনকে কানেক্ট করতে পারে। যা
VPN এর একটি বড় সুবিধা।
এই VPN টির একটি খারাপ দিক হলো যে এটি ব্যবহার করতে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন
নিতে হয়। আপনি যদি এই VPN এর প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনটি একবার নিয়ে ফেলেন
এবং কোন সমস্যা তৈরি হয়। আর আপনি এটি ফেরত দিতে চান, তবে এটি কিনার ৩০ দিনের
ভেতর ফেরত দেওয়ার অপশন থাকবে। এভাবে আপনি এই VPN টির যাবতীয় নিয়ম মেনে
ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে কোন ভিপিএন সবচেয়ে ভালো এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।
Atlas ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
Atlas ভিপিএন ব্যবহার করার উপায় সম্পর্কে আপনারা চাইলে জেনে নিতে
পারেন। যতগুলো ফ্রি VPN রয়েছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি সেরা
VPN হলো অ্যাটলাস VPN। এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক উন্নত। যার কারণে এর
নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই।

বিনামূল্যে ব্যবহারের ক্ষেত্রে অ্যাটলাস VPN এর সবচাইতে জনপ্রিয় ফিচারটি
হলো ট্র্যাকার ব্লকার এবং ব্রিচ মনিটর। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় কেউ যখন
কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করতে যায় তখন তার ডাটা ট্রাক করে নেওয়া হয়। তাই সে কথা
বিবেচনা করে অ্যাটলাস VPN ট্র্যাকার ব্লকার চালু রেখেছে। এ টুলটি
স্বয়ংক্রিয়ভাবে ট্র্যাকার গুলোকে ব্লক করতে সক্ষম। যার কারণে ব্যবহারকারীরা
কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করতে গেলে ওয়েবসাইট গুলো ব্যবহারকারীর ডাটা ট্রাক করতে
পারবে না। যার ফলে ব্যবহারকারীর ডাটা নিরাপদ ও সুরক্ষিত থাকবে।
অ্যাটলাস VPN এর প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন রয়েছে, আপনি চাইলে সেটাও নিতে
পারেন। অল্প টাকার মধ্যে এই প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনটি নেওয়া যায়। এছাড়াও
অ্যাটলাস VPN এর বিভিন্ন সার্ভিস রয়েছে। যেমন ভিন্ন ভিন্ন
টেনেলিংয়ের সুবিধা সহ স্ট্রিমিং সার্ভিস এর ব্যবস্থা। এ VPN এর আরও
একটি বিশেষ সুবিধা হলো এটি ব্যবহার করে নেটফ্লিক্স সহ আরো নানা ধরনের ভিডিও
স্ট্রিমিং সাইটে স্টিম করার সুবিধা। তাই বলা যায় যে অন্যান্য VPN এর
তুলনায় অ্যাটলাস VPN সবচাইতে সেরা VPN এর কাতারে থাকবে।
Hotspot Shield ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
Hotspot Shield ভিপিএন ব্যবহার করার উপায় সম্পর্কে আপনারা চাইলে বিস্তারিত
জেনে নিতে পারেন। যতগুলো VPN বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় সেগুলোর মধ্যে অন্যতম
হলো Hotspot Shield ভিপিএন। এই VPN ব্যবহার করে যথেষ্ট ভালো পরিমাণে নিরাপত্তা
পাওয়া যায়। এমনকি এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ব্যবহারকারীরা বেশ ভালো সুযোগ
সুবিধা পেয়ে থাকে।
এই VPN এর আরো একটি দারুণ সুবিধা হলো এই VPN ব্যবহার করলে এটি কোন ধরনের অনলাইন
অ্যাক্টিভিটির রেকর্ড রাখে না। সেই সাথে এই VPN ব্যবহারে প্রতিদিন ৫০০ মেগাবাইট
ডাটা ব্যবহারের দুর্দান্ত সুযোগ সুবিধা রয়েছে। বর্তমান বিশ্বের প্রায় ৫০
কোটিরও বেশি ব্যবহারকারী Hotspot Shield ভিপিএন ব্যবহার করে থাকে। Hotspot
Shield ভিপিএন এর প্রায় ৮০টির মতো দেশে ১৮ শতাধিকেরও বেশি সার্ভার চালু রয়েছে
বলে জানা যায়।
এই VPN এর আরো একটি বিশাল সুবিধা হলো এই VPN ব্যবহার করলে টরেন্ট এবং
নেটফ্লিক্স এর এক্সেসও পাওয়া যায়। তবে এই VPN ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি
সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেটি হলো এই VPN ব্যবহারে প্রতি সেকেন্ডে ২ মেগাবাইট এর
স্পিড লিমিট রয়েছে। তবে সব দিক বিবেচনা করলে বলা যায় যে বিনামূল্যে VPN
ব্যবহার করার ক্ষেত্রে Hotspot Shield ভিপিএন সবচাইতে ভালো পরিষেবা দিবে বলে
আশা রাখা যায়। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে কোন ভিপিএন সবচেয়ে ভালো এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।
Viper ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
Viper ভিপিএন ব্যবহার করার উপায় সম্পর্কে আপনারা চাইলে বিস্তারিত জেনে নিতে
পারেন। Viper ভিপিএন সবচেয়ে দ্রুতগতির ভিপিএন সার্ভিস দিয়ে থাকে এবং সেই সাথে
এটি খুবই বিশ্বস্ত। Viper ভিপিএন সার্ভিসটি চালু করেছে গোল্ডেন ফ্রগ কোম্পানি।
এই ভিপিএনটি মূলত মোবাইলের জন্য সবচাইতে ভালো হয়ে থাকে। এই ভিপিএন এর আরও একটি
গুরুত্বপূর্ণ কার্যাবলী হলো কোন প্রকার থার্ড পার্টি ছাড়াই নেটওয়ার্ক রান
করতে সক্ষম।
আর এ কারণেই একজন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত কোন ডাটা অন্য কারো কাছে শেয়ার করার
অপশন থাকে না। এই ভিপিএন এ বিভিন্ন রকমের 50টি সার্ভার রয়েছে। এছাড়াও এই VPN
এর বিশেষ সুবিধা হলো এটি ব্যবহার করার সুবিধা। অর্থাৎ এটি ব্যবহার করলে নানান
সুবিধা পাওয়া যায়। এই ভিপিএন এর সবচাইতে বড় সুবিধা টা হলো এটি প্রতিমাসে
ফ্রিতে ৫০০ মেগাবাইট পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। তাই আপনারা চাইলে ভিপিএনটি
ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারেন।
Nord ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
Nord ভিপিএন ব্যবহার করার উপায় সম্পর্কে আপনারা চাইলে জেনে নিতে পারেন। এই VPN
টি বিনামূল্যে পাওয়া যায় না। এই VPN টি ব্যবহার করার জন্য প্রিমিয়াম
সাবক্রিপশন কিনার প্রয়োজন পড়ে। তবে সবচাইতে মজার ব্যাপার হলো এর প্রিমিয়াম
সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজটি ক্রয় করতে পারলে এর দুর্দান্ত সব ফিচারগুলো ব্যবহার
করতে পারবেন।

যারা কোথাও ঘুরতে গেলে বা স্ট্রিম করার জন্য প্রিমিয়াম ফিচার ব্যবহার
করতে চাই তাদের জন্য এই ভিপিএনটি অত্যন্ত কার্যকরী। এই VPN টি নিরাপত্তা
দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই VPN টির আরও একটি
গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো VPN টি ব্যবহার করে আপনি যে কোন জায়গা থেকে আপনার
পছন্দের টিভি শো, যে কোন সিরিজ স্ট্রিম করার সুবিধা পাবেন। আপনি VPN
টি ব্যবহার করে দেশভিত্তিক ব্লক করা প্রায় ৪০০ টিরও বেশি স্ট্রিম
প্লাটফর্মে এক্সেস পেতে পারেন।
এছাড়াও এই VPN টি ব্যবহার করার ফলে আরো যে সকল সুবিধা পেতে পারেন তার মধ্যে
অন্যতম হলো P2P সার্ভারের মাধ্যমে টরেন্টিং করার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও
আরও যে সকল সুবিধা গুলো পাবেন অ্যাড ব্লক করা, Onion Over VPN, ডেডিকেটেড আইপি
এড্রেস ইত্যাদি। তাই এই VPN এর এ সকল সুবিধা গুলো নেয়ার জন্য Nord ভিপিএনটি
ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে কোন ভিপিএন সবচেয়ে ভালো এবং Privado ভিপিএন ব্যবহার করার উপায় সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।
Wind-Scribe ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
Wind-Scribe ভিপিএন ব্যবহার করার উপায় সম্পর্কে আপনারা জেনে নিতে পারেন. এই
VPN টি ফ্রিতে ব্যবহার করা যায়। এই VPN টি কানাডা ভিত্তিক একটি জনপ্রিয় VPN
এই VPN ব্যবহার করে প্রতি মাসে ১০ জিবির মতো ডেটা ব্যবহার করা যায়। এই
VPN টি ব্যবহার করে ১০টি দেশের সার্ভার ব্যবহার করার সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে।
এই VPN টি ব্যবহার করে আনলিমিটেড সংখ্যক ডিভাইস কানেক্ট করা যাবে। এই VPN টিতে
রয়েছে শক্তিশালী এন্ড ক্রিপশন।
এছাড়াও এই VPN টি ব্যবহার করার ফলে বিভিন্ন ধরনের এড ব্লক করার সুবিধা পাওয়া
যাবে এবং সেইসাথে ফায়ারওয়াল সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। তবে এই ভিপিএনটি
ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এর কিছু সার্ভার ব্যবহার করার সময়
অনেক বেশি ধীরগতির হয়ে থাকে। এই VPN টি ব্যবহার করে স্ট্রেমিং করা যাবে সীমিত
আকারে। তাই আপনি Wind-Scribe ভিপিএন এর সকল সুযোগ-সুবিধা গুলো জেনে এই VPN টি
ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে কোন
ভিপিএন সবচেয়ে ভালো এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।
VPN নির্বাচনের সময় গুরুত্বপূর্ণ যে সকল বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবেঃ
VPN নির্বাচনের আগে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে এই ভিপিএনটি আপনার নিরাপত্তা
কেমন দিবে তা সম্পর্কে। একটি VPN ব্যবহার করার আগে দেখে নিতে হবে এই
VPN টি শক্তিশালী এনক্রিপশন এবং কিল সুইচ অফার করে কিনা তা
সম্পর্কে। আপনার নিরাপত্তা রাখতে পারে এমন ভিপিএন নির্বাচন করতে হবে।
এছাড়াও যে কোন ভিপিএন নির্বাচন করার আগে দেখে নিতে হবে এর স্পিড কেমন রয়েছে তা
সম্পর্কে।
যেহেতু অনেক ভিপিএন কিনার প্রয়োজন পড়ে তাই আপনার বাজেট অনুযায়ী সবচাইতে ভালো
VPN টি কিনার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও কোন ভিপিএন নির্বাচনের আগে ব্যবহারকারীর
ইন্টারফেস এবং সহায়তা পরিষেবা কেমন তা জেনে নিবেন। তাছাড়াও যে সকল
VPN গুলোর সার্ভার বিভিন্ন দেশে রয়েছে। সেগুলো আপনার জন্য সুবিধা হতে পারে।
তাই এমন ভিপিএন নির্বাচন করার চেষ্টা করবেন। এ সকল বিষয়গুলো মাথায় রেখে একটি
ভালো ভিপিএন নির্বাচন করার চেষ্টা করবেন।
আরো ৭টি VPN এর ব্যবহার
WARP 1. 1. 1. 1 ভিপিএনঃ
এই VPN টি তৈরি করেছে ক্লাউডফ্লেয়ার। এই VPN টি একটি মোবাইল
অ্যাপ। এই VPN টি ব্যবহার করে নিজের গোপনীয়তা নিশ্চিত
করা যায়। অর্থাৎ এটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুবই ভালো। সেই সাথে এই VPN টি
ব্যবহারে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়। এজন্য আপনারা নিরাপদ
ব্রাউজিং এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে এই এই VPN টি ব্যবহার করতে
পারেন।
এই এই VPN টি ক্লাউডফ্লেয়ার এর গ্লোবাল নেটওয়ার্কের
সুবিধা দিয়ে থাকে। এই VPN টি ব্যবহার করে আপনি যে সব সুবিধা
পাবেন এমনটা নয়। তবে অন্যান্য যত মোবাইল অ্যাপ VPN রয়েছে যেগুলো ফ্রিতে
সার্ভিস দিয়ে থাকে। সেগুলোর তুলনায় এই VPN টি অনেক ভালো।
যেহেতু ফ্রি VPN ব্যবহারে নানা ধরনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই যেকোন ফ্রি
VPN ব্যবহারের আগে সতর্ক থাকতে হবে।
Hide.me ভিপিএনঃ
এই VPN টি ব্যবহারে আপনি প্রতি মাসে ২ জিবি করে ডাটা সুবিধা পাবেন। এই
VPN টির ৫টি দেশের ফ্রি সার্ভার সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও এই VPN টির
রয়েছে শক্তিশালী এনক্রিপসন এবং মাল্টিপল প্রটোকল এর ব্যবস্থা। তাছাড়াও এই
VPN টি ব্যবহার করার ফলে ব্যবহারকারীরা যে কোন ব্রাউজিং এর জন্য দ্রুত স্পিড
পাওয়ার সক্ষমতা রাখবে।
তাছাড়াও এই ভিপিএনটি ব্যবহার করে একজন ব্যবহারকারী Huluc, iplayer, Amazon Prime
Vedeo, HBO GO স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে কাজ করার বিশেষ সুবিধা পাবে। এছাড়াও
এই এই VPN টি ব্যবহার করলে Windows, macOS, iOS, Android,
Linnux, Chrome Firefox, Amazon Fire TV এই সকল অপারেটিং সিস্টেমগুলো সহজে
সাপোর্ট করাতে পারবে। তাই এই ভিপিএন এর এ সকল সুবিধা গুলো নেয়ার জন্য চাইলে আপনি
এই ভিডিওটি ব্যবহার করতে পারেন।
Opera ভিপিএনঃ
এই VPN টি ব্যবহার করার ফলে নানা ধরনের ফিচার পাওয়া যাবে। এই ফিচারগুলোর
মধ্যে অন্যতম হলো আনলিমিটেড ডাটা ও ব্র্যান্ডউইথ সুবিধা পাওয়া যাবে।
এছাড়াও এই VPN টি ব্যবহার করার ফলে বিল্ট ইন অ্যাড ব্লকার এবং
সেই সাথে ম্যালওয়্যার ব্লকারের যাবতীয় সুবিধা পাওয়া যাবে। এই এই
VPN টি ব্যবহার করতে হলে কোন ধরনের রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন হবে না।
রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে। এটি ব্যবহার করার ফলে Windows, macOS,
iOS, Android, Linnux এসকল অপারেটিং সিস্টেমগুলো সহজেই সাপোর্ট করাতে পারবেন। তাই
আপনি চাইলে এ সকল সুবিধা গুলো পাওয়ার জন্য এই VPN টি ব্যবহার করে দেখতে
পারেন।
Speedify ভিপিএনঃ
এই VPN টি ব্যবহার করার ফলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচার পাওয়া যাবে।
এ সকল ফিচারগুলোর মধ্যে অন্যতম কিছু ফিচার হলো প্রতি মাসে ২ জিবি করে ডাটা
ব্যবহার করার সুযোগ থাকছে। এছাড়াও এই VPN টির বিশ্বের প্রায় ৫০ টি
লোকেশনে ২০০ টিরও বেসি সার্ভার চালু রয়েছে। তাছাড়াও এই VPN টির
সবচাইতে বড় সুবিধা হলো Channel Bonding টেকনোলজির মাধ্যমে নিরাপদ এবং
বিশ্বস্ত ইন্টারনেট কানেকশন দিয়ে থাকে।
যা এই VPN টির একটি বড় সুবিধা বললেই বলা যায়। এছাড়াও এই VPN টি
ব্যবহার করলে পাওয়া যাবে Cha Cha এনক্রিপসনের বাড়তি সুবিধা। এই
VPN টি ব্যবহার করার মাধ্যমে বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম সাপোর্ট করে
থাকে। এ সকল অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো Windows, macOS, iOS,
Android, Linnux ইত্যাদি। তাই আপনি চাইলে এই VPN টি ব্যবহার করে দেখতে
পারেন।
Avira Phantom ভিপিএনঃ
যতগুলো ভালো ভিপিএন রয়েছে সেগুলোর মধ্যে একটি হলো Avira Phantom ভিপিএন। এই
VPN টির একটি বড় সুবিধা হলো এটি আপনি ফ্রিতে ব্যবহার করতে পারবেন। আর
ফ্রিতে ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে ৫০০ মেগাবাইট ব্রাউজিং ডাটা পেয়ে
থাকবেন। এই VPN টি আপনি আপনার পিসি কিংবা মোবাইলে দুটোতেই সমানতালে
ব্যবহার করতে পারবেন। তাই আপনি চাইলে এই VPN টি ব্যবহার করে দেখতে
পারেন।
Surfshark ভিপিএনঃ
এই VPN টি শক্তিশালী এবং সাশ্রয়ী পরিষেবা প্রদান করে থাকে। এই
VPN টি ব্যবহার করে আনলিমিটেড ডিভাইস কানেক্ট করার সুবিধা পাওয়া যায়।
এছাড়াও এই VPN টির আরও একটি বিশেষ সুবিধা হলো এর ইউজার ইন্টারফেস ব্যাপক
সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো রয়েছে। এই VPN টি ব্যবহার করার ফলে একজন
ব্যবহারকারী নিশ্চিন্তে তার গোপনেতা নিরাপদ রাখতে পারে।
এই VPN টি ব্যবহার করার জন্য প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন এর প্রয়োজন
পড়ে। তবে এর ফি তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এই VPN টি ব্যবহার করার
মাধ্যমে নানা ধরনের ফিচার পাওয়া যায়। তাই আপনি চাইলে এই VPN টি ব্যবহার
করে দেখতে পারেন।
CyberGhost ভিপিএনঃ
এই ভিপিএনটি ব্যবহারকারীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় একটি ভিপিএন। কেননা এই ভিপিএনটি
সারা বিশ্বে বিশ্বস্ত একটি VPN হিসেবে পরিচিত। এই ভিপিএনটির একটি বড় সুবিধা
হলো এর উন্মুক্ত ও নিজস্ব ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। সেই সাথে এর যে সকল ফিচারগুলো
রয়েছে সেগুলো অত্যাধুনিক সিকিউরিটি সম্পন্ন।
আপনার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই ভিপিএনটি কাজ করে থাকে। এই
VPN টির সবচাইতে বড় সুবিধা হলো এটি বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। তবে এর
সার্ভার খুব একটা বেশি দেশে নেই। কিছু দেশেই এর সার্ভার রয়েছে। যা এই
VPN টির একটি সীমাবদ্ধতা। কিন্তু তারপরও এই VPN টি একটি ভালো
ভিপিএন হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
লেখকের শেষ কথা
উপরের আলোচনা থেকে আমরা কোন ভিপিএন সবচেয়ে ভালো এই সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনে এসেছি। আমরা আরও জানতে সক্ষম হয়েছি Privado ভিপিএন ব্যবহার করার উপায়
সম্পর্কেও। বর্তমান সময়ে অনেকগুলো ভালো মানের ভিপিএন রয়েছে। যেগুলো দুই ভাবেই
পাওয়া যায়। একটি হলো ফ্রিতে এবং অন্যটি হলো প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নেওয়ার
মাধ্যমে।
অর্থাৎ টাকা দিয়ে কিনে নিতে হয়। যে সকল VPN গুলো টাকা দিয়ে কিনে নিতে হয়
সেই সকল ভিপিএন গুলোতে নানা ধরনের ফিচার পাওয়া যায়। যা ফ্রি ভিপিএন গুলোতে
পাওয়া যায় না। এছাড়াও ফ্রি ভিপেন গুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা
রয়েছে। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট লিমিটের বাইরে ব্যবহার করা যাবে না। তাই আপনার যদি
খুব কঠিন কাজ হয় তাহলে আপনি প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন নেওয়ার মাধ্যমে কাজ করতে
পারেন।
আর যদি আপনার হালকা কোন কাজের জন্য ভিপিএন ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়ে তাহলে আপনি
ফ্রি ভিপিএন গুলো ব্যবহার করতে পারেন। আমি উপরের আলোচনায় বেশ কয়েকটি ভালো
ভিপিএন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনারা যদি উপরের আলোচনাটি
ভালোভাবে পড়তে পারেন, তাহলে কোন ভিপিএনটি আপনার জন্য ভালো হবে তা আপনি জেনে নিতে
পারবেন। আশা করছি উপরের আলোচনাটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন।
রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url