গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় জেনে নিন ২০টি লাভজনক আইডিয়া

গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় এ সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা আমরা এমন অনেকে আছি যারা গ্রামে কি ব্যবসা করা যায় এই বিষয় নিয়ে অনেক বেশি ভাবনার মধ্যে থাকি।

গ্রামে-কিসের-ব্যবসা-করা-যায়গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিজের দেওয়া লেখা গুলো খুব যত্ন সহকারে করার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই আপনারা গ্রামে কি কি হব্যবসা করা যায় জানতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায়

গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা গ্রামে থেকে কি কি ব্যবসা করা যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। বর্তমানে একটি ভাল চাকরি পাওয়া অনেক বেশি কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই আপনি এই চাকরির পিছনে সময় নষ্ট না করে অল্প টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। কোন ব্যবসাকে ছোট না মনে করে শুরু করে দিতে পারেন। আজকের এই আর্টিকেলে আপনি সেরা ১০ টি ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারবেন। যে ব্যবসা গুলো করে আপনি আপনার ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে পারবেন। সমাজে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে পারবেন। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক। 

ফলের দোকানের ব্যবসা করে আয়

আপনি চাইলে গ্রামে ফলের দোকানের ব্যবসা করে আয় শুরু করতে পারেন। বর্তমান সময়ে ফলের ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা। ফলের ব্যবসা করে সহজেই আপনি উন্নতি লাভ করতে পারবেন। কেননা ফল কতটা জরুরী তা আমরা সবাই জানি। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ফলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই মানুষের ফলের প্রতি বাড়তি আগ্রহ রয়েছে। তাহলে চলুন আমরা দেখে নিই আপনি গ্রামে থেকে কিভাবে ফলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন সেই সম্পর্কে। 

পুঁজির ব্যবস্থাঃ  ফলের ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার প্রথমে পুঁজির ব্যবস্থা করতে হবে। আপনাকে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা জোগাড় করতে হবে। কারণ কোন কিছু করতে হলে অবশ্যই আগে বিনিয়োগের প্রয়োজন পড়ে। তাই আপনাকে এই টাকাটা সংগ্রহ করতে হবে।

অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করুনঃ  ফলের ব্যবসা করার আগে আপনাকে আগে ফলের ব্যবসা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। আপনি যদি ফলের ব্যবসা কিভাবে করতে হয়, কোথা থেকে পেতে হয় এই সম্পর্কে ধারণা না রাখেন। তাহলে আপনি আপনার ব্যবসায় উন্নতি করতে পারবেন না। তাই আপনি ফলের ব্যবসা সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জেনে নিবেন।

যারা এই ব্যবসা করে তাদের কাছ থেকে আপনি ফলের ব্যবসা সম্পর্কে সবকিছু তথ্য জেনে নিতে পারেন। এছাড়াও সবচাইতে বেশি ভাল হয় ফলের ব্যবসা করার আগে যারা ফলের ব্যবসা করে তাদের সাথে কাজ করা। আপনি যদি তাদের সাথে পাঁচ ছয় মাস বা এক বছর কাজ করতে পারেন। তাহলে আপনি খুব সহজে বুঝে যেতে পারবেন কিভাবে ফলের ব্যবসা করলে সবচাইতে বেশি লাভ করা যায়।

জায়গা নির্ধারণঃ  ফলের ব্যবসা শুরু করার আগে জায়গা নির্ধারণ করতে হবে। আপনি কোথায় ফলের ব্যবসা করবেন সেই সম্পর্কে আপনার আগাম ধারণা রাখা লাগবে। আপনি যদি কোন দোকান নিয়ে ব্যবসা করতে চান, তাহলে খরচ একটু বেশি হতে পারে। আমার পরামর্শ আপনি যেহেতু নতুন তাই কোন প্রকার দোকান না নিয়ে রাস্তায় আশপাশে একটি ভালো জায়গা দেখে ফলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। প্রথমে আপনি আপেল, ডালিম, আঙ্গুর, কমলা, খেজুর দিয়ে আপনার ফলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এরপর ধীরে ধীরে আপনার ব্যবসা বড় হলে তরমুজ, কলা, আনারস, নারকেল, নাশপাতি সহ আরো ফল যোগ করতে পারেন। 

দুধের ব্যবসা করে আয় 

আপনি চাইলে গ্রামে দুধের ব্যবসা করে আয় করতে পারেন। দুধ মানুষের শরীরের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দুধে এমন কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান থাকে যা শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই মানুষের দুধের প্রতি চাহিদা অনেক বেশি। গ্রাম থেকে দুধের ব্যবসা করা খুবই সহজ কাজ। কেননা গ্রাম থেকেই আপনি খুব সহজে দুধ সংগ্রহ করতে পারবেন। আপনি প্রথমে গ্রাম থেকে অল্প টাকায় দুধ কিনে নিয়ে শহরে গিয়ে ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন।

আপনি চাইলে শহরে যে সকল দুধের বড় দোকান রয়েছে অর্থাৎ যে সকল দোকানগুলোতে দুধের অনেক চাহিদা রয়েছে, সে সকল দোকানদারের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারেন। তাদের মাধ্যমে আপনি আপনার সংগৃহীত দুধগুলো বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে দুধের তৈরি নানা জিনিস যেমন পনির, দই, ঘি, এবং মিষ্টি জাতীয় নানা জিনিস বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন। এভাবে আপনি খুব সহজেই দুধের ব্যবসা করে লাভবান হতে পারেন।

হাঁস মুরগির খামারের ব্যবসা

আপনি চাইলে হাঁস-মুরগির খামারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। হাঁস-মুরগির ব্যবসা করার আগে যারা হাঁস-মুরগির ব্যবসা করে তাদের কাছ থেকে হাঁস-মুরগির ব্যবসা করার যাবতীয় নিয়ম-কানুন জেনে নিবেন। তাহলে আপনার ব্যবসা করতে সুবিধা হবে। এটি সাধারণত গ্রাম্য পরিবেশেই করা সবচাইতে ভালো হয়। আপনি প্রথমে এই ব্যবসা করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পুঁজির ব্যবস্থা করবেন। পুঁজির ব্যবস্থা করা হলে আপনি এরপর একটি জায়গা নির্ধারণ করবেন।

যে জায়গাটাতে আপনি খুব সহজেই একটি খামার দিতে পারেন। তারপর খামার তৈরি করবেন। খামার তৈরি করা হয়ে গেলে যে সকল জায়গা গুলোতে হাঁস-মুরগির বাচ্চা পাওয়া যায় যে সকল জায়গাগুলো থেকে হাঁস-মুরগির বাচ্চা সংগ্রহ করবেন। তারপর সেগুলোকে সঠিক যত্নের মাধ্যমে বড় করে তুলবেন। হাঁস-মুরগিগুলো বড় হয়ে গেলে বিভিন্ন খুচরা, পাইকারি বিক্রেতার কাছে বিক্রি করে দিবেন। এভাবে আপনি খুব সহজেই হাঁস মুরগির খামারের ব্যবসা চালু করতে পারেন। 

মুদির দোকানের ব্যবসা করে আয়

আপনি চাইলে গ্রামে মুদির দোকানের ব্যবসা করে আয় করতে পারেন। মুদির দোকান গ্রাম কিংবা শহর সব জায়গাতেই ভালো চলে। কেননা নিত্য প্রয়োজনীয় যা কিছু আছে তা মুদির দোকান থেকেই পাওয়া যায়। আর মানুষের প্রত্যেকদিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চাহিদা অনেক বেশি। তাই আপনি এই ব্যবসা আপনার গ্রামে চালু করতে পারেন। এ ব্যবসা করার জন্য পুঁজির প্রয়োজন পড়বে।

কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে এই ব্যবসা চালু করতে পারেন। পুঁজির ব্যবস্থা হয়ে গেলে জায়গা নির্ধারণ করতে হবে। অর্থাৎ গ্রামের এমন একটি জায়গা নির্ধারণ করতে হবে যে জায়গাতে মানুষের ভিড় থাকে এবং গ্রামের মানুষজন যাতে সেখানে খুব সহজই যেতে পারে।

আপনি আপনার মুদির দোকানে নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পূণ্য যেমন আলু, পেঁয়াজ, তেল, রসুন, আদা, জিরা, কাঠ মসলা, বিস্কুট, কলম, খাতা, ছোট বাচ্চাদের খেলনা সহ নিত্য প্রয়োজনীয় আরো নানা জিনিস রাখতে পারেন। মুদির দোকানের ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা যা থেকে প্রতিদিনই ভালো পরিমাণে ইনকাম হয়ে থাকে। তাই আপনার যদি চার পাঁচ লাখ টাকার পুঁজি থাকে, তাহলে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এছাড়াও আপনার চাইলে উপরের আলোচনা থেকে গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়ে ইনকাম করা 

আপনি চাইলে আপনার গ্রামে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়ে ইনকাম করার উপায় জেনে নিতে পারেন। বর্তমান সময়ে গ্রামের ছেলে-মেয়ে কম্পিউটার শিখতে অনেক বেশি আগ্রহী। কারণ বর্তমান সময় ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগ। আজকের বর্তমান পৃথিবী প্রযুক্তির কল্যাণে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
 
কম্পিউটার-প্রশিক্ষণ-দিয়ে-ইনকাম-করাআর আজকাল কম্পিউটার বিষয়ে দক্ষ হতে পারলে নিজেকে এই সময়ের সাথে মানিয়ে নিতে পারা যায়। বিভিন্ন চাকরি ক্ষেত্রে কম্পিউটার বিষয়ে দক্ষ হলে অনেক ভালো করা যায়। তাই গ্রামে আপনি ছেলেমেয়েদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিতে পারেন। এই পেশাই আসার আগে আপনাকে আগে ভালোভাবে কম্পিউটার বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। আপনি যখন কম্পিউটার বিষয়ে দক্ষ হয়ে উঠবেন। তখন আপনি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলতে পারেন।
ভালো একটি জায়গা দেখে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলবেন। এরপর আপনার কাজ হবে আপনার কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সম্পর্কে ছেলে মেয়েদের জানানো। এ জন্য আপনি আপনার কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সম্পর্কে মার্কেটিং করবেন। আপনি চাইলে ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজের সামনে গিয়ে তাদের স্কুল কলেজ ছুটি হওয়ার পর তাদের হাতে আপনার কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের লিফলেট দিতে পারেন।
 
এছাড়াও আপনি আপনার গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে আপনার কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের লিফলেট দিতে পারেন। এছাড়াও আপনি আপনার গ্রামে মাইক দিয়ে আপনার কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সম্পর্কে প্রচার করতে পারেন। এভাবে আপনি খুব সহজেই গ্রামে বসেই ছেলেমেয়েদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। এছাড়াও আপনার চাইলে উপরের আলোচনা থেকে গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

সার বীজ ও কীটনাশকের ব্যবসা

আপনি চাইলে আপনার গ্রামে সার বীজ ও কীটনাশকের ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন। বিশেষ করে গ্রামে এই ব্যবসাটা সবচাইতে বেশি লাভজনক ব্যবসা। করে? কারণ গ্রামে যারা বাস করে তাদের বেশিরভাগ মানুষই কৃষি কাজের সাথে জড়িত। কৃষি কাজ করেই তারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। আর কৃষি কাজ করতে সার বীজ ও কীটনাশকের প্রয়োজন পড়ে।

ধরেন আপনি একটি ধানের জমি তৈরি করলেন। এবার আপনার ধানের জমির উর্বরতা জন্য স্যার প্রয়োজন। আপনি আপনার জমিতে সার প্রয়োগ করলে আপনার ধানের ফসল অনেক ভালো হবে। আবার আপনি যদি বিভিন্ন শাকসবজি জমিতে চাষ করতে চান। তাহলে বীজের প্রয়োজন হবে। আর আপনার ধানের জমি অথবা শাকসবজির ফসলকে পোকামাকড়মুক্ত করার জন্য কীটনাশকের প্রয়োজন হবে।

আর এজন্যই গ্রামে সার বীজ ও কীটনাশকের ব্যবসা অনেক বেশি লাভজনক। এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে ভালো পরিমানে পুজির ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর একটি জায়গা নির্ধারণ করতে হবে। যে জায়গায় আপনি একটি ভালো মানের দোকান দিবেন। এরপর যারা এ ধরনের ব্যবসা করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং জানতে হবে কোথা থেকে এ সকল জিনিসগুলো পাইকারি দামে কিনে আনা হয়, কিভাবে বিক্রি করতে হয় ইত্যাদি। এভাবে আপনি গ্রামে থেকেই খুব সহজেই সার বীজ ও কীটনাশকের ব্যবসা করে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। 

সবজির দোকান দিয়ে ব্যবসা

আপনি চাইলে আপনার গ্রামে সবজির দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। গ্রামের মানুষজন নিয়মিত মাছ-মাংসের পাশাপাশি সবচাইতে বেশি সবজি খেয়ে থাকে। অর্থাৎ প্রতিদিন প্রায় গ্রামের বাড়িগুলোতে সবজি রান্না করা হয়। তাহলে বুঝতে পারছেন সবজির চাহিদা কত? সবজির ব্যবসা করে আপনি লাভজনক ইনকাম করতে পারেন। সবজির ব্যবসা করার জন্য আপনার পুঁজির প্রয়োজন পড়বে। এই ব্যবসা করতে গেলে সাধারণত ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার প্রয়োজন পড়ে।

এরকম টাকা থাকলেই আপনি সবজির ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। পুঁজির ব্যবস্থা হয়ে গেলে আপনাকে একটি জায়গা নির্ধারণ করতে হবে। যে জায়গায় আপনি সবজির দোকান দিতে পারেন। আপনি চাইলে রাস্তার পাশে অথবা ভালো একটা সবজি বাজার দেখে সেখানে সবজির দোকান নিতে পারেন। এরপর আপনি সবজি আরত থেকে পাইকারি দামে সবজি কিনে নিয়ে এসে বিক্রি করা শুরু করবেন।

এছাড়াও আপনার যদি নিজস্ব কোন জমি থাকে সেই জায়গাতেও নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি উৎপাদন করে বাজারে বিক্রি করতে পারেন। এক্ষেত্রে লাভ বেশি হবে। সবজি ব্যবসা শুরু করার আগে যারা সবজি ব্যবসা করে তাদের কাছে সবজি ব্যবসা কিভাবে করতে হয়, কোথা থেকে আনলে ভালো হয়? তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। এভাবে আপনি খুব সহজে গ্রামে বসেই সবজির ব্যবসা চালু করতে পারেন। এছাড়াও আপনার চাইলে উপরের আলোচনা থেকে গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন। 

ধান চাষের ব্যবসা করে টাকা ইনকাম

আপনি চাইলে গ্রামে থেকে ধান চাষের ব্যবসা করে টাকা ইনকাম করার উপায় জানতে পারেন। ধান এ ফসলটি বছরের প্রায় সময় হয়ে থাকে। গ্রামের মানুষজন ধান উৎপাদন করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। আপনি চাইলে ধান চাষের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
 
ধান-চাষের-ব্যবসা-করে-টাকা-ইনকামকেননা ধান থেকে যে চাল হয় তা আমরা ভাত হিসেবে খেয়ে থাকি। আর শহর অঞ্চলের মানুষজন গ্রামের মানুষের ধানের উপর নির্ভরশীল। কারণ তারা যদি ধান উৎপাদন বন্ধ করে দেয়, তাহলে শহরের মানুষজন ভাত খেতে পারবে না। তাই আপনি চাইলে এই সুযোগটাকে কাজে লাগাতে পারেন। আপনার যদি নিজের ১০ থেকে ১৫ বিঘা জমি থাকে, তাহলে সেই জমিতে ধান চাষ করতে পারেন। তারপর সেই ধান থেকে চাল করে শহরে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। 
ব্যবসা শুরু করার নিয়মঃ 

এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে প্রথমে এমন জমি নির্বাচন করতে হবে যা ধান চাষের জন্য উপযোগী। এরপর আপনাকে কৃষি প্রযুক্তি এবং আধুনিক সেচ ব্যবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এরপর কোথায় বিক্রি করতে হবে? কোথায় বিক্রি করলে ভালো টাকা ইনকাম করা যাবে? সেই বাজার সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। এরপর ধান উৎপাদন করার জন্য প্রয়োজনে যন্ত্রপাতি ও শ্রমিক নিয়োগ দিতে হবে। এভাবে আপনি গ্রামে ধান চাষ করে তা শহরের অঞ্চলগুলোতে বিক্রি করে অধিক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।

হস্তশিল্প ও স্থানীয় উৎপাদনের ব্যবসা

আপনি চাইলে হস্তশিল্প ও স্থানীয় উৎপাদন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। গ্রামে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে এই ব্যবসাটি একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। বাংলাদেশের মধ্যে এমন অনেক গ্রাম রয়েছে যেসকল গ্রামগুলোতে হাতের তৈরি নানা জিনিস উৎপন্ন করা হয়ে থাকে। এসকল জিনিস গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো নকশি কাঁথা, চামড়ার জুতা, গহনা, ঝুড়ি, মাটির তৈরি বাসন, সরা, জামদানি শাড়ি, ফুলদানি, বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করা নানা আসবাবপত্র, বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পাত্র, পাটের তৈরি ব্যাগ ইত্যাদি।

এ সকল নিত্যনতুন হস্তশিল্প জাতীয় পণ্য উৎপাদন করে খুব সহজে দেশের বাজারে এবং বিদেশে রপ্তানি করে অধিক পরিমাণে মুনাফ অর্জন করা যায়। গ্রামের মানুষজন এ সকল জিনিস তৈরি করার ব্যাপারে খুবই দক্ষ। এখন প্রশ্ন হলো আপনি এই ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন। আসুন জেনে নিই।

ব্যবসা শুরু করার নিয়মঃ

এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার প্রথমে হস্তশিল্প উৎপাদন এবং স্থানীয় কুটির শিল্প সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে হবে। এরপর এ সকল জিনিসগুলো উৎপাদন করার জন্য দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তারপর এ সকল জিনিস উৎপাদন শুরু করতে হবে। হস্তশিল্প উৎপাদন করা হয়ে গেলে স্থানীয় বাজারে এ সকল পণ্যগুলো বিক্রি করার জন্য যোগাযোগের ব্যবস্থা গড়ে তুলুন।

এছাড়াও আপনি চাইলে অনলাইনে আপনার এ সকল পণ্যগুলো বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে মেলা, প্রদর্শনী কিংবা যে সকল জায়গাগুলোতে হস্তশিল্প বিক্রি করা হয় এমন জায়গাতে আপনার উৎপাদিত হস্তশিল্প গুলো নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে পারেন। আপনি যখন পণ্যগুলো তৈরি করবেন, তখন অবশ্যই পণ্যের মান যাতে গুণগত হয় সেই দিকে নজর রাখবেন। এভাবে আপনি হস্তশিল্প জাতীয় পণ্যের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

মাছের ব্যবসা করে ইনকাম করার উপায়

মাছের ব্যবসা করে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আপনারা জেনে নিতে পারেন। কেননা গ্রামে থেকে কোন ব্যবসা করতে চাইলে মাছের ব্যবসা করা যেতে পারে। কেননা গ্রামের মানুষ তাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অবশ্যই মাছ রাখে। কারণ বাঙ্গালি হলো মাছে ভাতে বাঙালি। অর্থাৎ তাদের যতই যা দাও না কেন তাদের মাছ এবং ভাত লাগবেই। তাহলে বুঝতেই পারছেন মাছের কি পরিমাণ চাহিদা রয়েছে। তাই গ্রামে বসে আপনি খুব সহজেই মাছের ব্যবসা করতে পারেন। এখন চলুন মাছের ব্যবসা করতে কি কি প্রয়োজন হবে তা আমরা জেনে নেই।

পুঁজি সংগ্রহঃ মাছের ব্যবসা করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে মোটা অংকের পুঁজি। আপনি যদি নিজের পুকুরে মাছ চাষ করতে চান তাহলে পুঁজির পরিমাণ কম লাগবে। আর আপনি যদি মানুষের পুকুর ভাড়া করে মাছের ব্যবসা করতে চান তাহলে পুঁজির পরিমাণ বেশি লাগতে পারে।

মাছের যত্নঃ মাছ চাষ করার আগে যারা মাছ চাষ করে তাদের কাছে জেনে নিতে হবে কিভাবে মাছের চাষ করতে হয়। অর্থাৎ মাছ চাষ করতে কি কি প্রয়োজন পড়ে এর সবকিছু বিস্তারিত আপনাকে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। তারপর এই ব্যবসা শুরু করতে হবে।

বাজার নির্ধারণঃ  মাছ চাষ করার আগে আপনাকে আগে ভালোভাবে বাজার নির্ধারণ করতে হবে। কোন বাজারে সবচাইতে বেশি দামে আপনি মাছ বিক্রি করতে পারবেন, সেই দিকে নজর রাখতে হবে।
পরিবহন ব্যবস্থাঃ  মাছ চাষ করার পর বাজারে মাছ নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিবহন প্রয়োজন পড়বে। এজন্য আপনি পরিবহনের ব্যবস্থা করবেন।

গ্রামে থেকে করা যায় এমন আরো ১০টি ব্যবসা 

হোটেলের ব্যবসাঃ  আপনি চাইলে গ্রামে হোটেলের ব্যবসা চালু করতে পারেন। কেননা গ্রামের মানুষজন শহরের মানুষজনের মতো এত বেশি সচ্ছল নয়। যার কারণে তারা রেস্টুরেন্টের খরচ বহন করতে পারবে না। তাই আপনি গ্রামে ছোটখাটো হোটেল দিয়ে সেখানে বিভিন্ন ধরনের খাবার যেমন চা, কফি, ভাত, সবজি, ডিম, মাছ, মাংস, বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি, সিঙ্গারা, সামুচা, হালিম, খিচুড়ি, দই, রসমালাই, মাংসের কালাভুনা রাখতে পারেন। গ্রামে একটি হোটেল দেওয়ার মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে লাভজনক ব্যবসা করতে পারবেন।

কোচিং সেন্টার এর ব্যবসাঃ  আপনি যদি আপনার গ্রামে কোচিং সেন্টারের ব্যবসা চালু করতে পারেন তাহলে এখান থেকে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই ব্যবসা চালু করার আগে আপনাকে নিজেকে শিক্ষিত হতে হবে। কারণ আপনি যদি শিক্ষিত না হন তাহলে এই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন না।

আপনি গ্রামে একটি কোচিং সেন্টার খুলে সেখানে গণিত, ইংরেজি, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান, সাবজেক্ট এর উপর শিক্ষাদান করবেন। এজন্য আপনি প্রত্যেক বিষয়ের উপর আলাদা আলাদা শিক্ষক নিয়োগ দিবেন। এছাড়াও আপনার কোচিং সেন্টারে এস এস সি পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়াতে পারেন। এভাবে আপনি গ্রামে একটি কোচিং সেন্টার খোলার মাধ্যমে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বইয়ের দোকানের ব্যবসাঃ  আপনি চাইলে আপনার গ্রামে একটি বইয়ের দোকান দিতে পারেন। কারণ গ্রামের ছাত্র ছাত্রীদের বইয়ের প্রয়োজন রয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় পড়ালেখা করে। আর এই পড়ালেখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বই প্রয়োজন হতে পারে। একাডেমিক বা অন্য কিছু। আপনি আপনার বইয়ের দোকানে সকল ক্লাসের একাডেমিক বই রাখতে পারেন। এছাড়াও আপনি উপন্যাস, গল্প, কবিতা, বিজ্ঞান গল্প কাহিনী সহ নানা আরো বই রাখতে পারেন। 

বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জিং ব্যবসাঃ  আপনি চাইলে আপনার গ্রামের বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ করার ব্যবসা করতে পারেন। সাধারণত গ্রামে অনেক গাড়ি রয়েছে। যেগুলোতে বৈদ্যুতিকভাবে চার্জ করা লাগে। কিন্তু অনেক গাড়ির ড্রাইভার রয়েছে চার্জ করার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা পায় না বা বিদ্যুৎ পায়না। তাই আপনি তাদের একটা নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে তাদের গাড়ি চার্জ করে দিয়ে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

চায়ের দোকানের ব্যবসাঃ  আপনি চাইলে আপনার গ্রামের ভিতর একটি ভাল জায়গা দেখে চায়ের দোকান দিতে পারেন। কারণ গ্রামের মানুষ দিনে অন্তত এক কাপ চা খাবে না এটা কখনোই হতে পারে না। তারা দিনে অন্তত দুই তিন কাপ চা খেয়ে থাকে। এক কথায় তাদের চা খাওয়াই লাগবে। তারা চায়ের স্টলে আড্ডা দিতে দিতে চা খেয়ে থাকে। তাই আপনি অল্প টাকা বিনিয়োগ করে চায়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যা থেকে আপনি প্রতি মাসে বেশ ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

বেকারির ব্যবসাঃ  আপনি চাইলে বেকারির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে এই ক্ষেত্রে একটি শর্ত রয়েছে। আপনাকে অবশ্যই রুটি, কেক, কুকিজ, বিস্কুট, মাফিন, রোল সহ আরো যত ধরনের বেকারি খাবার রয়েছে তা তৈরি করতে দক্ষ হতে হবে। আপনি যদি এ সকল খাবার গুলো তৈরি করতে দক্ষ হন। তবেই আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে আগে জেনে নিতে হবে আপনি এগুলো তৈরি করে কোথায় বিক্রি করবেন। অর্থাৎ আপনাকে আগে এর বাজার সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। তারপর আপনি বাড়িতে বসে কিংবা আপনার সেই পরিমাণ পুঁজি থাকলে ভালো একটি কারখানা তৈরি করে এই ব্যবসা চালু করতে পারেন। গ্রামে এই সকল বেকারি জিনিসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এভাবে এই ব্যবসা করে আপনি প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

সেলাই মেশিনের ব্যবসাঃ  সেলাই মেশিনের ব্যবসা বলতে বুঝাচ্ছি আপনি মানুষের জামা কাপড় তৈরি করে দিবেন। তার বিনিময়ে আপনার ইনকাম হবে। আমরা দেখেছি সাধারণত মা-বোনেরা গ্রামে বসে মানুষের বিভিন্ন ধরনের কাপড় তৈরি করে দেয়। আপনি চাইলেও এই ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কাপড় চোপড় তৈরি করার জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হবে। প্রশিক্ষণ নেওয়া শেষ হলে একটি সেলাই মেশিন কিনে গ্রামের মা বোনদের জানাতে হবে। যে আমি সেলাই মেশিনের কাজ জানি। এভাবে আপনি সেলাই মেশিনের ব্যবসা করতে পারেন।

আইসক্রিমের দোকানের ব্যবসাঃ  আপনি চাইলে গ্রামে একটি আইসক্রিমের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কারণ গ্রামের ছেলে মেয়েরা স্কুল ছুটির পর আইসক্রিম খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আইসক্রিমের প্রতি তাদের একটি বিশেষ চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও ইয়াং যুবকদের মাঝেও আইসক্রিম খাওয়ার প্রতি আগ্রহ রয়েছে। তাই আপনি গ্রামের বাজারে একটি আইসক্রিম দোকান দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এমন জায়গায় দোকান দেওয়ার চেষ্টা করবেন যাতে সেই জায়গার আশেপাশে বিভিন্ন স্কুল কলেজ থাকে। তাহলে ছেলেমেয়েরা খুব সহজেই আপনার দোকান থেকে আইসক্রিম কিনে খেতে পারব। আর এতে আপনার ব্যবসাও বৃদ্ধি পাবে।

লন্ড্রির ব্যবসাঃ  আপনি চাইলে আপনার গ্রামে লন্ড্রির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটাও অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা। গ্রামের মানুষজনরা খুব বেশি নিজে নিজেই কাপড় চোপড় লন্ড্রি করে না। তারা বাজার থেকে কাপড় চোপড় লন্ড্রি করে নিয়ে আসে। তাই আপনি এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে ভালো একটি জায়গা দেখে লন্ড্রির দোকান দিতে পারেন। যেখান থেকে খুব সহজেই গ্রামের মানুষজন তাদের দৈনন্দিনীর কাপড়চোপড় লন্ড্রি করে নিতে পারবে।

সেলুনের দোকানঃ  আপনি চাইলে গ্রামে একটি সেলুনের দোকান দিতে পারেন। এটি একটি লাভজনক ব্যবসা। আপনি এই সেলুনের দোকানে অনেক ধরনের পরিষেবা চালু রাখতে পারেন। সেলুনের দোকানের পরিষেবা গুলো চুল ও দাড়ি কাটা, বডি মাসাজ, চুলের রং করা, স্কিনকেয়ার ইত্যাদি। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমে আপনার একটি জায়গা নির্ধারণ করতে হবে। তারপর চুল কাটার দক্ষ কারিগর নিয়োগ দিতে হবে। এভাবে সেলুনের ব্যবসা করে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনায় গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। এছাড়াও আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি ফলের দোকানের ব্যবসা করে আয় করার উপায় সম্পর্কেও। বর্তমান সময়ে চাকরির বাজার খুবই দুর্লভ। দিন দিন ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় চাকরি পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে গেছে। তাই আপনি এই সময়ে চাকরির পিছনে না ছুটে আপনি গ্রামে বসেই বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

আপনার যদি অল্প পুঁজি থাকে, তাহলেই এ সকল ব্যবসাগুলো শুরু করা যায়। আমি উপরের আলোচনায় গ্রামে থেকে ব্যবসা করা যায় এমন বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা উপরের আলোচনাটি ভালোভাবে পড়ে আপনার যে ব্যবসাটা পছন্দ হয় সেই ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন। এভাবে আপনি একটি ব্যবসা শুরু করে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন। আশা করছি উপরের আলোচনাটি পড়ার মাধ্যমে আপনাদের উপকার হবে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url