5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায় জেনে নিন ১৯টি আইডিয়া
5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে
পারেন। আজকাল অল্প টাকা দিয়েই লাভজনক ব্যবসা শুরু করা যায়। ব্যবসা শুরু করতে
প্রথম অবস্থায় অনেক বেশি টাকার প্রয়োজন পড়ে না।
সূচিপত্রঃ ৫০০০ টাকায় কি কি ব্যবসা করা যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
- 5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায়
- আচারের ব্যবসা করে ইনকাম করার উপায়
- চা পাতার ব্যবসা করে ইনকাম করার উপায়
- চুলের জন্য প্রাকৃতিক তেল তৈরির ব্যবসা
- দেয়ালে বিভিন্ন নকশা তৈরি করে ইনকাম
- অনলাইনে পুরাতন বই বিক্রির ব্যবসা
- ঝাল মুড়ি বিক্রির ব্যবসা করে ইনকাম
- কাগজের ব্যাগ বা ঠোঙ্গা তৈরির ব্যবসা
- ফুচকা ও চটপটির ব্যবসা করে ইনকাম
- চায়ের দোকানের ব্যবসা করে ইনকাম
- ফলের রসের ব্যবসা করে ইনকাম
- ৫০০০ টাকায় আরো ৯টি ব্যবসায়িক আইডিয়া
- লেখকের শেষ কথা
5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায়
5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায় এ সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই
পর্বে আমরা 5000 টাকার ভিতর কি কি ব্যবসা করা যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। আসলে ব্যবসা করতে অনেক টাকার প্রয়োজন পড়ে না। এমন
কিছু ব্যবসা রয়েছে যেগুলো অল্প টাকা থেকেই শুরু করা যায়। কম টাকা
দিয়ে ব্যবসা শুরু করে ধীরে ধীরে বেসি মুনাফা হলে আরো বেশি টাকা ইনভেস্ট করে আরো
বড় ব্যবসা গড়ে তোলা সম্ভব।
এজন্য আপনাকে আগে ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করতে হবে। কারণ আপনি একবারই বড়
ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবেন না। কারণ আপনার বড় ব্যবসা গড়ে তোলার মতো
পর্যাপ্ত পুঁজি আপনার নেই। তাই আপনাকে ছোট ব্যবসা থেকেই শুরু করতে হবে। চলুন
নিচের আলোচনা থেকে এমন বেশ কয়েকটি ব্যবসা সম্পর্কে জেনে নেই। যা আপনি
৫ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করতে পারবেন।
আচারের ব্যবসা করে ইনকাম করার উপায়
আপনি চাইলে আচারের ব্যবসা করে ইনকাম করার উপায় জেনে নিতে পারেন। কেননা
বাংলাদেশে আচারের ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসার মধ্যে পড়ে। বাংলাদেশের
মানুষ বিভিন্ন ধরনের আচার খেতে ভালোবাসে। এই খাবারটি অনেক লোভনীয় হওয়ায়
মেয়েদের এই খাবারটির প্রতি একটি বাড়তি আকর্ষণ থাকে। এছাড়াও দেশের বাইরেও
আচারের ব্যবসা খুব ভালো চলে।
বাংলাদেশের ভেতর নানা আচারের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু তারা ভালো মানের আচার
সরবরাহ করে না। তাদের আচার দেখা যায় ভেজাল যুক্ত। তাই আপনি আচারের
ব্যবসা শুরু করতে পারেন। চলুন আপনি কিভাবে আচারের ব্যবসা শুরু
করবেন তা ধাপে ধাপে জেনে নেই।
আচার তৈরির নিয়মঃ
আচারের ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে আগে আচার সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে
হবে। কত ধরনের আচার হয় সেই সম্পর্কে ধারনা রাখতে হবে। এছাড়াও আপনাকে
বিভিন্ন আচার তৈরির কৌশল অবলম্বন করতে হবে। গুণগতমানের আচার তৈরি করতে পারলেই
কাস্টমাররা আপনার আচারের প্রতি আগ্রহী হবে। আপনার ব্যবসা দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে।
আর আপনি যদি একজন নারী উদ্যোক্তা হয়ে থাকেন। তাহলে তো কোন কথাই নেই।
বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়াঃ
আচারের ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে আগে এর বাজার সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে
হবে। অর্থাৎ আপনি যে আচার তৈরি করবেন তা আপনি কোথায় বিক্রি করবেন, কার কাছে
বিক্রি করবেন, কিভাবে বিক্রি করবেন এর সবকিছু আপনাকে আগে থেকেই ধারণা রাখতে হবে।
আপনি চাইলে যারা আচারের সাথে যুক্ত অর্থাৎ আচারের ব্যবসা করে তাদের কাছ থেকে
এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রিঃ
আপনি চাইলে আচার বাড়িতে তৈরি করে অনলাইনের মাধ্যমেও বিক্রি করতে পারেন। এজন্য
আপনি একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে আপনার বিভিন্ন ধরনের আচার সম্পর্কে মানুষকে
জানাতে পারেন। মানুষ আপনার আচারের প্রতি আগ্রহী হলে নিয়মিত আপনি অর্ডার পেতে
থাকবেন। প্রথম অবস্থায় একটু অর্ডার কম পেলেও ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি পাবে। এভাবে
আপনি অল্প টাকার ভেতর খুব সহজেই আচারের ব্যবসা করে লাভবান হতে পারেন।
আচারের ব্যবসা শুরু করতে খরচঃ
আচারের ব্যবসা শুরু করতে আনুমানিক ৩,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা খরচ হবে।
আচারের ব্যবসা করে প্রতি মাসে আয়ঃ
আচারের ব্যবসা করে প্রতি মাসে আনুমানিক ১০,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।
চা পাতার ব্যবসা করে ইনকাম করার উপায়
আপনি চাইলে চা পাতার ব্যবসা করে ইনকাম করার উপায় জেনে নিতে পারেন। এটি আপনি অল্প
টাকার ভেতর শুরু করতে পারেন। এটি শুরু করার জন্য আপনার আহামরি অনেক টাকার
প্রয়োজন পড়বে না। আপনি প্রথমে পাইকারি দামে চা-পাতা কিনে নিবেন। চায়ের পাতা
কিনে নেওয়া হলে এগুলোকে এবার প্যাক করতে হবে।
প্যাকেট করা হয়ে গেলে এবার আপনি এগুলো বিক্রি করতে পারেন। আপনি বিক্রি করার জন্য
গ্রামে বা শহরের যে জায়গা গুলোতে চায়ের দোকান রয়েছে, সেখানে যেতে পারেন। তারপর
তাদের সাথে অর্থাৎ যারা চা বিক্রি করে তাদের সাথে কথা বলে তারা কত টাকা দামে
চায়ের পাতা সংগ্রহ করে তা জেনে নিয়ে তাদের কাছে কম মূল্যে আপনার চায়ের পাতা
বিক্রির প্রস্তাব দিতে পারেন।
তারা যদি কম মূল্যে চায়ের পাতা পাই। তবে অবশ্যই আপনার চায়ের পাতা নিতে আগ্রহী
হবে। যেহেতু বাংলাদেশের চায়ের কদর অনেক বেশি। তাই আপনি যদি চায়ের পাতার ব্যবসা
শুরু করতে পারেন। তাহলে আপনি এখান থেকে অবশ্যই প্রতি মাসে ভালো টাকা ইনকাম করতে
পারবেন।
চা-পাতার ব্যবসা শুরু করতে খরচঃ
চা-পাতার ব্যবসা শুরু করতে আনুমানিক ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা খরচ হবে।
চা পাতার ব্যবসা করে প্রতি মাসে আয়ঃ
চা-পাতার ব্যবসা করে প্রতি মাসে আনুমানিক ১৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা আয় করা
সম্ভব।
চুলের জন্য প্রাকৃতিক তেল তৈরির ব্যবসা
আপনি চাইলে বাড়িতে বসেই চুলের জন্য প্রাকৃতিক তেল তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে চুলের সঠিক যত্নের জন্য তেলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
চুলকে সঠিক পুষ্টি যোগিয়ে চুলকে আরো বেশি ঘন, উজ্জ্বল করে তুলতে তেলের কোন
বিকল্প নেই। কিন্তু বর্তমানে অনেক তেল পাওয়া যায় যেগুলো চুলের জন্য অনেক বেশি
ক্ষতিকর।
তাই আপনি যদি চুলের জন্য উপকারী প্রাকৃতিক তেল তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন, তাহলে
প্রতি মাসে ভালো টাকা ইনকাম করা যাবে। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে আগে
প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে তেল তৈরি করতে হয় তার সম্পর্কে জেনে নিতে
হবে। তারপর এই তেল তৈরি করতে হবে। আপনার তেল তৈরি হয়ে গেলে স্থানীয় বাজারে
যারা তেলের ব্যবসা করে তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাছে আপনি আপনার
প্রাকৃতিক তেল বিক্রি করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি চাইলে ফেসবুকে একটি পেজ খুলে সেই পেজে আপনার প্রাকৃতিক তেলের
উপকারিতা গুলো ভালোভাবে কাস্টমারকে বুঝিয়ে তাদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। এভাবে
আপনি খুব সহজেই চুলের জন্য প্রাকৃতিক তেল তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
চুলের জন্য তেলের ব্যবসা শুরু করতে খরচঃ
চুলের জন্য তেলের ব্যবসা শুরু করতে আনুমানিক ৫,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা খরচ
হবে।
চুলের জন্য তেলের ব্যবসা করে প্রতি মাসে আয়ঃ
চুলের জন্য তেলের ব্যবসা করে প্রতি মাসে আনুমানিক ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা আয়
করা সম্ভব।
দেয়ালে বিভিন্ন নকশা তৈরি করে ইনকাম
আপনি চাইলে দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের নকশা তৈরি করে ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি আঁকা
আঁকি করতে পছন্দ করেন। তাহলে এই বিজনেসটি আপনার জন্যই। আজকের মানুষজন তাদের
বাড়ি ঘরের দেয়ালে অনেক ধরনের ফুল, নানা ধরনের ডিজাইন তৈরি করার প্রতি আগ্রহী
হয়। তারা এ সকল জিনিস অনেক বেশি পছন্দ করে। তাই আপনি এই সুযোগটি কাজে লাগাতে
পারেন।
আপনি একটি ফেসবুক পেজ খুলে বাড়ির বিভিন্ন দেয়ালে ডিজাইন তৈরির ভিডিও আপলোড করতে
পারেন। এ সকল ভিডিও ফেসবুকের পাশাপাশি আরো নানা সামাজিক প্ল্যাটফর্মে আপলোড করতে
পারেন। আপনার এ সকল ভিডিও যখন কাস্টমাররা দেখবে তখন আপনি কাজের অর্ডার পাবেন।
এছাড়াও এখানে আরো একটি ইনকাম সোর্স তৈরি হবে। অর্থাৎ যখন আপনি এ সকল ভিডিও
ফেসবুক ইউটিউবে ছাড়বেন একসময় ফেসবুক ইউটিউব থেকেও ইনকাম করতে পারবেন। এভাবে
আপনি খুব সহজেই মানুষের বাড়ির দেওয়ালে বিভিন্ন ডিজাইন তৈরি করে ইনকাম করতে
পারেন।
নকশা তৈরির কাজ শুরু করতে খরচঃ
নকশা তৈরির কাজ শুরু করতে আনুমানিক ৫,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা খরচ
হবে।
নকশা তৈরির কাজ করে প্রতি মাসে আয়ঃ
নকশা তৈরির কাজ করে প্রতি মাসে আনুমানিক ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা আয় করা
সম্ভব।
অনলাইনে পুরাতন বই বিক্রির ব্যবসা
আপনি চাইলে অনলাইনে বিভিন্ন পুরাতন বই বিক্রির ব্যবসা চালু করতে
পারেন। কারণ বর্তমান সময়ে মানুষজন অনেক বেশি বই পড়ার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ
করে। তারা বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে থাকে। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের একাডেমিক বই পড়ে।
যারা চাকরি প্রার্থী আছে তারা চাকরির বই পড়ে।
প্রথমে আপনাকে বিভিন্ন লাইব্রেরীতে গিয়ে পুরাতন বইয়ের খোঁজ করতে হবে। তারপর
সেখান থেকে পুরাতন বই কিনতে পারবেন। এছাড়াও যে সকল জায়গায গুলোতে পুরাতন বই
পাওয়া যায়। সেই সকল জায়গায় গুলো থেকে পুরাতন বই কিনে আপনি বিক্রি করতে পারেন।
তবে পুরাতন বই কেনার আগে আপনার মাথায় রাখতে হবে আপনার কাস্টমাররা কোন বইয়ের
প্রতি বেশি আগ্রহী।
অর্থাৎ আপনি যখন একটি ফেসবুক পেজ খুলে বিভিন্ন বইয়ের ছবি দিবেন, তখন আপনার
কাস্টমাররা নানা ধরনের কমেন্ট করবে। এই কমেন্ট থেকে বুঝতে পারবেন আপনি কোন ধরনের
বই আপনার কাস্টমাররা পছন্দ করে। আপনার কাস্টমারের পছন্দ অনুযায়ী বই কিনে এই
ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
পুরাতন বই বিক্রির ব্যবসা শুরু করতে খরচঃ
পুরাতন বই বিক্রির ব্যবসা শুরু করতে আনুমানিক ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা খরচ
হবে।
পুরাতন বই বিক্রির ব্যবসা করে প্রতি মাসে আয়ঃ
পুরাতন বই বিক্রির ব্যবসা করে প্রতি মাসে আনুমানিক ৮,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা আয়
করা সম্ভব।
ঝাল মুড়ি বিক্রির ব্যবসা করে ইনকাম
আপনি চাইলে ঝাল মুড়ি বিক্রির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কারণ বর্তমান সময়ে ঝাল
মুড়ির ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা। এই ব্যবসা করে আপনি প্রতি মাসে
ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবেন। বাংলাদেশের মতো দেশে ঝালমুড়ির
চাহিদা অনেক বেশি রয়েছে। তাই আপনি চাইলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।
পুঁজির ব্যবস্থাঃ
ঝাল মুড়ির ব্যবসা শুরু করার আগে পুঁজির ব্যবস্থা করতে হবে। আপনার কাছে যদি
মিনিমাম ৫০০০ টাকা থাকে, তাহলেই আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। যখন আপনার
ব্যবসা ধীরে ধীরে বড় হবে। তখন আরো টাকা ইনভেস্ট করে আরো লাভ করতে পারবেন।
জায়গা নির্ধারণঃ
ঝালমুড়ির ব্যবসা করার আগে আপনাকে জায়গা নির্ধারণ করতে হবে। এমন একটি
জায়গায় ঝালমুড়ির ব্যবসা শুরু করতে হবে, যাতে সেই জায়গায় লোকের ভিড় বেশি
থাকে। এমন জায়গা নির্বাচন করুন যেখানে মানুষজন ঘুরতে পছন্দ করে। কারণ সাধারণ এ
সকল জায়গা গুলোতে মানুষ ঘুরতে এসে ঝালমুড়ি খেয়ে থাকে।
অভিজ্ঞতা অর্জনঃ
ঝালমুড়ির ব্যবসা শুরু করার আগে ঝালমুড়ির ব্যবসা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে
হবে। অর্থাৎ যারা এ ব্যবসা করে তাদের কাছ থেকে এই ব্যবসা সম্পর্কে
যাবতীয় তথ্য নিয়ে নিতে হবে। ঝালমুড়ি যেহেতু একটি খাবারের নাম তাই এটি
কিভাবে তৈরি করতে হয় এই সম্পর্কে আপনাকে বিস্তারিত জ্ঞান থাকতে হবে। এমন ভাবে
ঝালমুড়িটা তৈরি করতে হবে, যাতে কাস্টমাররা খেয়ে আবার খেতে চাই। আপনার ঝাল মুড়ি
টেস্ট যত ভালো হবে আপনার ব্যবসা তত উন্নতির পথে এগিয়ে যাবে।
ঝাল মুড়ির ব্যবসা শুরু করতে খরচঃ
ঝাল মুড়ির ব্যবসা শুরু করতে আনুমানিক ৩,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা খরচ হবে।
ঝাল মুড়ির ব্যবসা করে প্রতি মাসে আয়ঃ
ঝাল মুড়ির ব্যবসা করে প্রতি মাসে আনুমানিক ১০,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা আয় করা
সম্ভব।
কাগজের ব্যাগ বা ঠোঙ্গা তৈরির ব্যবসা
আপনি চাইলে কাগজের ব্যাগ বা ঠোঙ্গা তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমান
সময়ে আমরা কোন পণ্য বা খাবার দোকান থেকে আনতে গেলে দোকানদার আমাদের সেই পণ্য বা
খাবার গুলো একটি কাগজের ব্যাগে দিয়ে থাকে। তাহলে বুঝতেই পারছেন কাগজের ব্যাগ বা
ঠোঙ্গা তৈরির ব্যবসা কতটা লাভজনক একটি ব্যবসা। এই ব্যবসাটা শেষ হয়ে যাওয়ার
ব্যবসা নয় অর্থাৎ প্রতিনিয়ত মানুষজনের খাবার নেওয়ার প্রয়োজন
হয়। আর খাবার নিতে হলে কাগজের ব্যাগ প্রয়োজন হয়।
তাই আপনি চাইলে এই ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটা শুরু করতে হলে আপনার
কাছে যদি ৫০০০ হাজার টাকার মতো থাকে তাহলেই শুরু করতে পারবেন। আপনি প্রথমে বাজার
থেকে পাইকারি দামে কাগজ কিনে নিয়ে আসবেন। এমন কাগজ কিনে আনতে হবে যাতে এ কাগজটা
দিয়ে একটি কাগজের ঠোঙ্গা বা ব্যাগ তৈরি করা যায়। দুর্বল কাগজ হলে হবে না। একটু
মোটা টাইপের কাগজ দরকার। কাগজের ঠোঙা কিভাবে তৈরি করতে হয় তা আপনি ইউটিউব ভিডিও
দেখে খুব সহজেই শিখে যেতে পারেন।
এ সকল কাজগুলো শেষ হলে আপনার এবার কাজ হবে আপনার কাগজের ঠোঙ্গা সম্পর্কে
দোকানদারদের জানানো। অর্থাৎ যারা বিভিন্ন খাবার দাবার বিক্রি করে তাদের সাথে আপনি
যোগাযোগ করে তাদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে কাগজের ঠোঙ্গা বিক্রি করতে পারেন। এভাবে
আপনি খুব সহজেই কাগজের ঠোঙ্গা তৈরি করে বিক্রি করার মাধ্যমে প্রতি মাসে ভালো
পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
কাগজের ঠোঙ্গা তৈরির ব্যবসা শুরু করতে খরচঃ
কাগজের ঠোঙ্গা তৈরির ব্যবসা শুরু করতে আনুমানিক ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা
খরচ হবে।
কাগজের ঠোঙ্গা তৈরির ব্যবসা করে প্রতি মাসে আয়ঃ
কাগজের ঠোঙ্গা তৈরির ব্যবসা করে প্রতি মাসে আনুমানিক ১৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা
আয় করা সম্ভব।
ফুচকা ও চটপটির ব্যবসা করে ইনকাম
আপনি চাইলে ফুচকা ও চটপটির ব্যবসা করে ইনকাম করতে পারেন। বর্তমান সময়ে
এই ব্যবসাটি অনেক লাভজনক ব্যবসা মধ্যে পড়ে। কেননা আজকাল মানুষজন কোথাও ঘুরতে
গেলে বা বাজারে গেলে ফুচকা অথবা চটপটি অবশ্যই খাবে। বিশেষ করে শিশু এবং নারীরা
ফুচকা ও চটপটি খেতে সবচাইতে বেশি ভালোবাসে। তাই আপনি চাইলে এই ব্যবসাটি শুরু করতে
পারেন।
পুঁজির ব্যবস্থাঃ
এই ব্যবসাটা শুরু করতে প্রথম অবস্থায় ৫০০০ টাকা পুঁজি হলেই চলবে। পরে যখন আপনার
ব্যবসা আরো বড় হবে তখন আপনি আরো টাকা ইনভেস্ট করে আরও বড় পরিসরে এই ব্যবসা শুরু
করতে পারেন।
জায়গা নির্ধারণঃ
যেহেতু আপনার কাছে পুঁজির পরিমাণ কম তাই আপনি চাইলেই একটি ভাল দোকান দেখে ফুচকা ও
চটপটির ব্যবসা দিতে পারবেন না। তাই প্রাথমিক অবস্থায় আপনাকে এমন একটি জায়গা
নির্ধারণ করতে হবে যে জায়গাতে মানুষের ভিড় অনেক থাকে এবং একই সাথে জায়গাটা যেন
একটি দর্শনীয় স্থান বা মানুষের বিনোদন মূলক জায়গায় হয়ে থাকে। অর্থাৎ এখানে
যেন মানুষজন ছেলে মেয়ে স্ত্রী পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসে। এ সকল জায়গায় এই
ব্যবসাটা দিলে সবচাইতে বেশি লাভ হবে।
অভিজ্ঞতা অর্জনঃ
ফুচকা ও চটপটির ব্যবসা দেওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়ে জ্ঞান থাকতে
হবে। অর্থাৎ ফুচকা ও চটপটি বানাতে যা যা লাগে তা সম্পর্কে আপনাদের জানতে
হবে। ফুচকা ও চটপটি কিভাবে টেস্টি করে তৈরি করতে হয় তার কৌশল জানতে হবে। কারণ
আপনার কাস্টমার যদি আপনার ফুচকা ও চটপটি খেয়ে মজা পাই। তাহলে তারা আবার আসবে।
এতে করে আপনার ব্যবসার পরিসর দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাবে। এভাবে আপনি চটপটি ও ফুচকার
ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ফুচকা ও চটপটির ব্যবসা শুরু করতে খরচঃ
ফুচকা ও চটপটির ব্যবসা শুরু করতে আনুমানিক ৫,০০০ থেকে ৭,০০০
টাকা খরচ হবে।
ফুচকা ও চটপটির ব্যবসা করে প্রতি মাসে আয়ঃ
ফুচকা ও চটপটির ব্যবসা করে প্রতি মাসে আনুমানিক ১৫,০০০ থেকে ২৫,০০০
টাকা আয় করা সম্ভব।
চায়ের দোকানের ব্যবসা করে ইনকাম
আপনি চাইলে চায়ের দোকানের ব্যবসা করে ইনকাম করতে পারেন। বর্তমান সময়ে
আপনি যেখানেই থাকেন না কেন শহরে অথবা গ্রামে সব জায়গাতেই চায়ের ব্যাপক চাহিদা
রয়েছে। মানুষ জন প্রতিদিন গড়ে দুই তিন কাপ চা খেয়ে থাকে। তাহলে বুঝতেই পারছেন
এই ব্যবসাটা কতটা জনপ্রিয় ব্যবসা। আপনার কাছে যদি ৫০০০ হাজার টাকা থাকে, তাহলে
আপনি খুব সহজেই এই ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটা শুরু করার আগে ভালো
মানের চা কিভাবে তৈরি করতে হয় তা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।
অর্থাৎ চা বানাতে দক্ষ হতে হবে। এমনভাবে চা বানাতে হবে যাতে একজন কাস্টমার একবার
খেয়ে আবার খেতে চায়। আপনার চায়ের দোকানে আপনি বিভিন্ন ধরনের চা রাখতে পারেন।
যেমন লেবু চা, দুধ চা, লাল চা, হোয়াইট টি, গ্রিন টি, ওলং টি, ব্ল্যাক টি, হারবাল
টি, রুইবস টি, মেট টি, ব্লুমিং টি, মাকাইবারি টি ইত্যাদি। এমন সকল ভিন্ন
ভিন্ন চায়ের ব্যবস্থা রাখবন। তাহলে আপনার কাস্টমাররা সহজেই আকৃষ্ট হবে। এভাবে
আপনি খুব সহজেই চায়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
চায়ের ব্যবসা শুরু করতে খরচঃ
চায়ের ব্যবসা শুরু করতে আনুমানিক ৩,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা খরচ হবে।
চায়ের ব্যবসা করে প্রতি মাসে আয়ঃ
চায়ের ব্যবসা করে প্রতি মাসে আনুমানিক ১০,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।
ফলের রসের ব্যবসা করে ইনকাম
আপনি চাইলে ফলের রসের ব্যবসা করে ইনকাম করতে পারেন। দেখুন ফল আমাদের স্বাস্থ্যের
জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু আমরা হয়তো সব সময় ফল
কিনতে পারি না। টাকা থাকলেও কেনা হয় না। তাই আপনি যদি একটি ফলের রসের ব্যবসা
শুরু করতে পারেন তাহলে অনেক মানুষই এক গ্লাস ফলের রস খাবে কোন প্রকার ঝামেলা
ছাড়াই। তাই এ ব্যবসা আপনি শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার ৫০০০
টাকা পুঁজি থাকলেই হবে।
আপনাকে প্রথমে একটি ফলের রস তৈরি করার জন্য মেশিন কিনতে হবে। তারপর ফলের রস তৈরি
করার কৌশল জানতে হবে। ফলের রসের সাথে আরো কোন কিছু এক্সট্রা যোগ করে দিতে পারেন।
এতে করে ফলের রস খাওয়ার টেস্ট আরো দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। এমন একটা জায়গা নির্ধারণ
করবেন যে জায়গায় মানুষের সমাগম বেশি হয়ে থাকে।
এই জায়গায় যদি আপনি ফলের রসের ব্যবসা শুরু করতে পারেন, তাহলে বেশি লাভ হবে।
আপনি বিভিন্ন ধরনের ফলের রস তৈরি করতে পারেন। যেমন কমলার, পেয়ারার, ডালিমের,
আপেলের, আনারসের, আঙ্গুরের, লিচুর, মালটার ইত্যাদি। এভাবে আপনি ফলের রসের ব্যবসা
শুরু করে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ফলের রসের ব্যবসা শুরু করতে খরচঃ
ফলের রসের ব্যবসা শুরু করতে আনুমানিক ৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা খরচ
হবে।
ফলের রসের ব্যবসা করে প্রতি মাসে আয়ঃ
ফলের রসের ব্যবসা করে প্রতি মাসে আনুমানিক ৩০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা আয় করা
সম্ভব।
৫০০০ টাকায় আরো ৯টি ব্যবসায়িক আইডিয়া
গাছের ব্যবসাঃ
আপনি চাইলে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে গাছের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এ
ব্যবসাটি লাভজনক একটি ব্যবসা। আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছে যারা গাছ লাগাতে
ভালোবাসে। তাই আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। নার্সারি থেকে বিভিন্ন ধরনের
গাছ পাইকারি দামে কিনে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন।
মধুর ব্যবসাঃ
আপনি চাইলে ৫০০০ টাকার মধ্যে মধুর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মধু আমাদের
শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারী। তাই মানুষ আজকাল প্রায় মধু খেয়ে থাকে। তাই
আপনি এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের মধু সূর্যমুখী
ফুলের মধু, সরিষার ফুলের মধু ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্রি করে ইনকাম করতে
পারেন।
গুড়ের ব্যবসাঃ
আপনি চাইলে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে গুড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। গুড় গ্রাম
বাংলার ঐতিহ্য বহন করে। বাংলাদেশে গুড়ের চাহিদা ব্যাপক রয়েছে। তাই আপনি এই
সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে গুড়ের বিজনেস চালু করতে পারেন। গ্রাম বাংলার যেসকল
জায়গা গুলোতে গুড় তৈরি করা হয় সেই সকল জায়গা থেকে গুড় পাইকারি দামে কিনে
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে কাস্টমারের কাছে বিক্রি করতে পারেন।
ভাজাপোড়ার ব্যবসাঃ
আপনি চাইলে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ভাজাপড়ার ব্যবসা গড়ে তুলতে
পারেন।রাস্তার আছে পাশে ছোটখাটো একটি দোকান দিয়ে সেখানে পিয়াজি, বেগুনি,
সিঙ্গারা, আলুর চপ, ডিমের চপ ইত্যাদি নানা ভাজাপোড়া বিক্রি করতে পারেন। হালকা
খাবার হিসেবে বাংলাদেশ এসব খাবারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই ব্যবসা করে
প্রতি মাসে ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসাঃ
আপনি চাইলে ৫ হাজার টাকার মধ্যে মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা করতে পারেন। শহর অঞ্চলে
পানির স্তর অনেক নিচে থাকায় সহজে টিউবওয়েল বা মটার বসানো যায় না। যার কারণে
বিশুদ্ধ পানির ঘাটতি পরে। এই সুযোগটাকে আপনি কাজে লাগিয়ে বাড়িতে বাড়িতে
মিনারেল ওয়াটারের ড্রাম পৌঁছে দিতে পারেন। এই কাজটি একটু কষ্টসাধ্য হলেও বাড়িতে
বাড়িতে মিনারেল ওয়াটারের ড্রাম পৌঁছে দিয়ে প্রতি মাসে লাভজনক ইনকাম করতে
পারেন। এছাড়াও আপনারা উপরের আলোচনা থেকে 5000 টাকায় কি ব্যবসা করা
যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যেতে পারবেন।
মেকআপ আর্টিস্ট এর কাজঃ
আপনি চাইলে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে মেকআপ আর্টিস্ট এর কাজ করতে পারেন। আপনি যদি
মেকআপ করতে দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে বিভিন্ন বিয়েতে কন্যাকে সাজগোজ করানোর
মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। আপনি 5000 টাকার মধ্যে মেকআপ করার জন্য যা কিছু কিনা
লাগে তা কিনে নিতে পারেন। তারপর আপনি যে একজন দক্ষ মেকআপ আর্টিস্ট সেটা মানুষকে
জানাতে হবে। এজন্য আপনি একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে আপনার মেকাপের ভিডিওগুলো
ছবিগুলো নিয়মিত শেয়ার করতে হবে। তাহলে এখান থেকে আপনি কাস্টমার পেয়ে যাবেন।
দর্জির দোকান দিয়ে ইনকামঃ
আপনি চাইলে ৫০০০ টাকার মধ্যে বাড়ির আশেপাশে ছোটখাটো দোকান দিয়ে দর্জির কাজ করতে
পারেন। দর্জির কাজ শুরু করার আগে আপনাকে আগে দর্জির কাজ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে
নিতে হবে। অর্থাৎ দর্জির কাজগুলো ভালোভাবে জেনে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। এজন্য আপনি
চাইলে একজন দর্জির সাথে পাঁচ থেকে ছয় মাস কাজ করতে পারেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই
দর্জির কাজে দক্ষ হয়ে যাবেন। এরপর আপনি দোকান দিয়ে বিভিন্ন কাপড়চোপড় কাটাকাটি
থেকে শুরু করে নতুন পোশাক তৈরি সহ নানা দর্জির কাজ করতে সক্ষম হবেন।
খাবার হোম ডেলিভারির কাজঃ
আপনি যদি শহরে থাকেন তাহলে ৫০০০ টাকার মধ্যে খাবার হোম ডেলিভারির কাজ শুরু করতে
পারেন। কারণ শহর অঞ্চলে অনেক ছাত্র-ছাত্রী কিংবা নানা কর্মজীবী মানুষ রান্না করার
সুযোগ পায় না। তাই আপনি তাদের খাবার রান্না করে হোম ডেলিভারি দিয়ে আসবেন। এর
বিনিময়ে আপনি প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এ কাজ করার
জন্য আপনাকে রান্না বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। প্রথম অবস্থায় আপনি নিজেই রান্না করতে
পারেন। পরবর্তীতে ব্যবসা বড় হলে একজন রাধুনী রাখতে পারেন। খাবারের মান যাতে ভালো
হয় সেই দিকে নজর রাখতে হবে। অনলাইন এর মাধ্যমে আপনি কিংবা অফলাইনের মাধ্যমে
আপনার ব্যবসা সম্পর্কে মানুষকে জানাবেন। এভাবে আপনি খাবার হোম ডেলিভারিরব কাজ
করতে পারেন।
ব্যবহৃত জিনিসপত্র বিক্রির ব্যবসাঃ
আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের ব্যবহৃত জিনিসপত্র কম দামে কিনে নিয়ে আপনার লাভ রেখে
বিক্রি করতে পারেন। আমাদের এমন অনেক জিনিসপত্র আছে যা আর তেমন ব্যবহার হয় না।
আপনি এই জিনিসপত্রকে কিনে নিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারেন। অনলাইনে
পুরাতন জিনিসপত্র বিক্রির জন্য ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন bikroy.com, clickdhaka.com
ইত্যাদি। এ সকল ওয়েবসাইট গুলোতে আপনি পুরাতন জিনিসপত্র বিক্রি করে ইনকাম করতে
পারেন। তাছাড়াও আপনি এই পুরাতন জিনিসপত্রের বিজ্ঞাপন তৈরি করে এগুলোকে বিক্রি
করে ইনকাম করতে পারেন।
লেখকের শেষ কথা
আমরা উপরের আলোচনা থেকে 5000 টাকায় কি ব্যবসা করা যায় এই সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরও জানতে সক্ষম হয়েছি আচারের ব্যবসা করে ইনকাম করার
উপায় সম্পর্কেও। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছি যারা হয়তো পড়াশোনা করছি
কিন্তু আমরা এখন ভাবছি পড়াশোনার পাশাপাশি অল্প টাকা দিয়ে যদি কোন একটা বিজনেস
করা যায়। এই প্রশ্নটা হয়তো আপনাদের মধ্যেও এসেছে।
তাই আপনারা জিজ্ঞেস করেছেন 5000 টাকার মধ্যে কোনো ভালো বিজনেস করা যায় নাকি।
হ্যাঁ, ৫০০০ টাকার মধ্যে অনেক ভালো ভালো বিজনেস করা যায়। আমি উপরের আলোচনায়
পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে কি কি বিজনেস করা যায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা
করার চেষ্টা করেছি। আপনারা সেই আলোচনা থেকে ব্যবসা করার আইডিয়া নিয়ে এই ব্যবসা
গুলো শুরু করতে পারেন। আশা করছি আপনারা উপরের আলোচনাটি পড়ার মাধ্যমে উপকৃত হতে
পারবেন।
রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url