১২টি উৎপাদনমুখী ব্যবসা যেগুলো ৫০০০ টাকায় করা যায়

উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় কোনগুলো তা সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। কারণ বর্তমান সময়ে উৎপাদনমুখী ব্যবসার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে উৎপাদনমুখী ব্যবসা লাভজনক হয়ে থাকে।

উৎপাদনমুখী-ব্যবসা-৫০০০-টাকায়উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় কিভাবে করতে হয় তার বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই মূলত আপনারা উৎপাদন মুখী ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ উৎপাদনমুখী ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন  

উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায়

উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় কোনগুলো তা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা উৎপাদন মুখী ব্যবসা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। যে সকল ব্যবসাগুলো মাত্র ৫ হাজার টাকা থেকেই শুরু করা যায়। একটি উৎপাদনমুখী ব্যবসা একটি দেশের অর্থনীতিকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

উৎপাদনমুখী ব্যবসায় আপনি নিজে কোন কিছু তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি যেমন নিজে সাবলম্বী হতে পারবেন। ঠিক একইভাবে আপনার দেশেও উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে সক্ষম হবে। উৎপাদনমুখী ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য পুঁজির পর্যাপ্ত প্রয়োজন রয়েছে।

পাঁচ হাজার টাকার ভেতর উৎপাদন মুখী ব্যবসা শুরু করা খুবই একটি চ্যানেলিং ব্যাপার। তারপরও আমি চেষ্টা করবো .৫০০০ বা তার বেশি পুঁজি নিয়ে কোন কোন উৎপাদনমুখী ব্যবসাগুলো শুরু করা যায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার। তাহলে চলুন নিচের আলোচনা থেকে তা দেখে আসি।

মধু উৎপাদন ব্যবসা করার উপায়

আপনি চাইলে মধু উৎপাদন ব্যবসা করার উপায় জানতে পারেন। আপনি চাইলে মৌমাছি পালন করে মধু উৎপাদন করতে পারেন। যদিও এই ব্যবসাটা অনেক পুরনো একটি ব্যবসা। এই ব্যবসাটা শুরু করার জন্য আগে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন। বাংলাদেশের মতো দেশে বর্তমানে এখন অনেক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। যেগুলো থেকে আপনি খুব সহজেই কিভাবে মৌমাছি চাষ করে মধু উৎপাদন করতে হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।

আপনি যখন মধু উৎপাদন করা শিখে নিতে পারবেন, তখন আপনি মধু উৎপাদন করতে পারবেন। মধু উৎপাদন শিখে নেয়ার পর এবার আপনার কাজ হবে মধু আপনি কোথায় বিক্রি করবেন অর্থাৎ মধুর বাজার সম্পর্কে ধারণা অর্জন করা। আপনি সাধারণত যারা মধু ব্যবসা করে তাদের সাথে কথা বলে মধু কোথায় বিক্রি করা যায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ অল্প টাকায় লাভজনক ২৪টি ব্যবসা করার আইডিয়া       

এছাড়াও আপনি অনলাইন এর মাধ্যমেও খাঁটি মধু বিক্রি করতে পারেন। আপনার মধু যেন ১০০% খাঁটি হয় সেই দিকে নজর রাখবেন। বাংলাদেশের মতো দেশে মধুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আপনার যদি মধু ১০০% খাঁটি হয় তাহলে কাস্টমাররা সহজেই আপনার মধু কিনতে আগ্রহী হবে। এভাবে আপনি খুব সহজেই মধু উৎপাদনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

  • প্রাথমিক অবস্থায় আনুমানিক পুঁজির প্রয়োজনঃ ৫,০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা।
  • প্রথম অবস্থায় আনুমানিক প্রতি মাসে ইনকাম ১০,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা।

জ্যাম ও জেলি তৈরির ব্যবসা করার উপায়

আপনি চাইলে জ্যাম ও জেলি তৈরির ব্যবসা করার উপায় জেনে নিতে পারেন। বর্তমান সময়ে এটিও একটি লাভজনক ব্যবসা। জ্যাম ও জেলি পাউরুটির সাথে মিস করে খাওয়া হয়। এছাড়াও এটি আরো নানাভাবে খাওয়া হয়। জ্যাম ও জেলি কিভাবে তৈরি করতে হয় তা আপনি চাইলে ইউটিউবের ভিডিও দেখে বাড়িতে বসেই খুব সহজে শিখে নিতে পারেন।

এছাড়াও আপনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে জ্যাম ও জেলি কিভাবে তৈরি করতে হয় তা ভালোভাবে শিখে নিতে পারেন। জ্যাম ও জেলি কিভাবে তৈরি করতে হয় তা সম্পূর্ণভাবে শিখা হয়ে গেলে এবার আপনারা এর বাজার সম্পর্কে ধারণা অর্জন করবেন। যারা জ্যাম ও জেলি বিক্রি করে তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাছে পাইকারি দামে বিক্রি করতে পারেন।

এছাড়াও ফেসবুকে একটি পেজ খুলে সেখানে জ্যাম ও জেলির নানা ভিডিও ছেড়ে মানুষদের জানাতে পারেন। এখান থেকেও আপনি প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্ডার পাবেন। প্রথম অবস্থায় অর্ডার পেতে সময় লাগলেও ধীরে ধীরে আপনি অনেক বেশি অর্ডার পেতে থাকবেন। এভাবে আপনি বাড়িতে বসেই জ্যাম ও জেলির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় কিভাবে করতে হয় তা সম্পর্কে জানতে পারেন।

  • প্রাথমিক অবস্থায় আনুমানিক পুঁজির প্রয়োজনঃ ৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা
  • প্রথম অবস্থায় আনুমানিক প্রতি মাসে আয়ঃ ১০,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা

বিস্কুট বা টোস্ট তৈরির ব্যবসা করার উপায়

আপনি চাইলে বিস্কুট বা টোস্ট তৈরির ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। বিস্কুট বা টোস্ট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ। আমরা প্রায় বেশিরভাগ মানুষই সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চায়ে বিস্কুট বা টোস্ট ভিজিয়ে খায়। এভাবেই আমাদের দিনের শুরুটা হয়ে থাকে। তাহলে বুঝতেই পারছেন বিস্কুট বা টোস্ট এর চাহিদা কেমন রয়েছে।

এখন এই ব্যবসাটা শুরু করতে হলে অনেক বেশি পুঁজির প্রয়োজন রয়েছে। এখন আপনার কাছে তো এত বেশি পরিমাণ পুঁজি নেই। তাহলে আপনি কিভাবে এটি শুরু করবেন। এজন্য আপনি বিস্কুট বা টোস্ট কিভাবে তৈরি করতে হয় তা বাড়িতে বসেই ইউটিউবের মাধ্যমেই শিখে নিবেন। এছাড়াও যে সকল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে আপনি চাইলে সে সকল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকেও বিস্কুট বা টোস্ট তৈরি করার প্রক্রিয়া ভালোভাবে আয়ত্ত করে নিতে পারেন।

আপনি যখন বিস্কুট বা টোস্ট ভালোভাবে তৈরি করতে পারবেন। তখন আপনাকে এর বাজার সম্পর্কে জানতে হবে। কিভাবে এটি বিক্রি করা হয়, কোথায় বিক্রি করা হয় তা ভালোভাবে জানতে হবে। আপনি প্রাথমিক অবস্থায় অল্প টাকা খরচ করে বিস্কুট বা টোস্ট তৈরি করে আপনার আশেপাশের বিস্কুট বা টোস্টের দোকান গুলোতে পাইকারি দামে বিক্রি করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ২০ হাজার টাকায় ২৫টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া জানুন            

এছাড়াও ফেসবুকে একটি পেজ খুলে সেখানে সাশ্রয়ী মূল্যে বিস্কুট বা টোস্টের ছবি ভিডিও দিয়ে মানুষদের জানিয়ে তাদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। এভাবে আপনি এ ব্যবসাটা চালু করতে পারেন। যখন আপনার ব্যবসা অনেক বড় হবে তখন একটি কারখানা দিয়ে আপনি আপনার ব্যবসা বৃহৎ পরিসরে শুরু করতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় কিভাবে করতে হয় তা সম্পর্কে জানতে পারেন।

  • প্রাথমিক অবস্থায় পুঁজির প্রয়োজনঃ ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা
  • প্রথম অবস্থায় প্রতি মাসে ইনকামঃ ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকা

মোমবাতি তৈরির ব্যবসা করার উপায়

আপনি চাইলে মোমবাতি তৈরির ব্যবসা করার উপায় জেনে নিতে পারেন। বর্তমান সময়ে মোমবাতির ব্যবসা একটি লাভজনক ব্যবসা। কেননা অনেক সময় বিদ্যুৎ চলে যায় বা বিদ্যুৎ চলে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ সময় পর আসে। এই সময় আপনি তো আর অন্ধকারে থাকবেন না। এ সময় মোমবাতির প্রয়োজন পড়বে। এছাড়াও আরো নানা কাজে মোমবাতির প্রয়োজন রয়েছে। তাই আপনি চাইলে মোমবাতি তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
 
মোমবাতি-তৈরির-ব্যবসা-করার-উপায়
মোমবাতি তৈরীর প্রক্রিয়াঃ 

মোমবাতি তৈরি করার জন্য আপনার প্রথমে মোমের প্রয়োজন হবে। প্রথম অবস্থায় আপনাকে ২৯০ ডিগ্রি বা ৩৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় মোমকে উত্তপ্ত করার প্রয়োজন পড়বে। এরপরে আপনার কাজ হলো মোমটি মোমবাতির আকারের মতো ছাঁচে ঢেলে দেওয়া। এরপর কিছু সময় অপেক্ষা করে এটিকে ঠান্ডা করে নেয়ার পর সুই দিয়ে এর ভেতর সুতা প্রবেশ করাতে হবে।

চাইলে আপনি ইউটিউবের ভিডিও দেখে আরো ভালো ভাবে শিখে নিতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকেও শিখে নিতে পারেন। মোমবাতি তৈরি করা হয়ে গেলে সেগুলোকে এবার প্যাকেটিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। প্যাকেটিং কিভাবে করতে হয়, কোথায় পাবেন এইগুলো সম্পর্কে আগে ভালোভাবে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। তাহলে আপনি খুব সহজেই নিজে নিজেই প্যাকেটিং করতে পারবেন।

বিক্রির প্রক্রিয়াঃ

মোমবাতি তৈরি করার কৌশল ভালোভাবে শিখে নিলে এবার আপনি মোমবাতি কোথায় বিক্রি করতে হয়, কিভাবে বিক্রি করতে হয় অর্থাৎ মোমবাতির বাজার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা অর্জন করবেন। যারা মোমবাতি বিক্রি করে তাদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করতে পারেন। এছাড়াও আপনি চাইলে অনলাইন এর মাধ্যমেও বিক্রি করতে পারেন। আপনি প্রথমে একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে আপনি মোমবাতির অ্যাড দিয়ে মানুষের কাছে মোমবাতি বিক্রি করতে পারেন। এভাবে আপনি খুব সহজেই মোমবাতির ব্যবসা গড়ে তুলতে পারেন।

  • প্রথম অবস্থায় পুঁজির প্রয়োজন পড়বেঃ ১০,০০০ হাজার টাকা থেকে ৩০,০০০ হাজার টাকা। 
  • প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি মাসে ইনকামঃ ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ হাজার টাকা।

কাপড় কাচার সাবান তৈরির ব্যবসা

আপনি চাইলে কাপড় কাচার সাবান তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমান সময়ে এই ব্যবসাটি একটি জনপ্রিয় ব্যবসা। আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাপড় চোপড় পরিষ্কার করার জন্য সাবান ব্যবহার করে থাকি। তাহলে বুঝতেই পারছেন সাবানের চাহিদা কিরকম রয়েছে। আপনি চাইলে খুব সহজেই কাপড় কাচার সাবান তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কিভাবে শুরু করবেন চলুন বিস্তারিত জেনে নিই।

প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহঃ 

কাপড় কাচার সাবান তৈরি করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকরণের প্রয়োজন রয়েছে। এ সকল উপকরণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সোডা পাউডার, এসিড ঘোল, সোডিয়াম সিলিকেট, রং, পারফিউম, পলিমার, ডলোমাইট পাউডার, এ ও এস ইত্যাদি। এ সকল প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো পাইকারি বাজার থেকে কিনে নিতে পারবেন। এ সকল উপকরণগুলো ছাড়াও কিছু মেশিনের প্রয়োজন রয়েছে। এই মেশিনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মিক্সার মাশিন, সোপ মেকিং মেশিন, ইত্যাদি।

সাবান তৈরির পদ্ধতিঃ 

সাবান তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমে মিক্সার মেশিন নিতে হবে। তারপর সেখানে ডলোমাইট পাউডার দিতে হবে। এরপর আরো দিতে হবে সোডা পাউডার, এসিড ঘোল, প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি, এ ও এস, সোডিয়াম সিলিকেট এবং সাবানের সুগন্ধ ছড়ানোর জন্য এর সাথে দিতে হবে পারফিউম। সর্বশেষ এর সাথে দিতে হবে রং এবং পলিমার।

এরপর সবগুলো উপকরণকে একসঙ্গে মিস করে নিতে হবে। এরপর এই মিশ্রণগুলোকে সাবানের আকার দিতে হবে। এভাবে সাবান তৈরি করতে হবে। সাবান তৈরি করা হয়ে গেলে সাবানের প্যাকেটিং করতে হবে। আপনি সাবান কিভাবে তৈরি করতে হয় এই সম্পর্কে আরো জানতে youtube-এ ভিডিও দেখতে পারেন বা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে কাপড় কাচার সাবান তৈরির কৌশল ভালোভাবে শিখে নিতে পারেন। 

বাজারজাতকরণঃ

কাপড় পরিষ্কার করার সাবান তৈরির ব্যবসা করার আগে এর বাজার সম্পর্কে ধারণা অর্জন করবেন।অর্থাৎ আপনি এটি কোথায় বিক্রি করবেন, কিভাবে বিক্রি করবেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবেন। যারা কাপড় পরিষ্কার করার সাবান তৈরির ব্যবসা করে তাদের কাছ থেকে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। আপনি এটি বিভিন্ন সাবানের দোকানে কিংবা অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। এভাবে আপনি সাবান তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

  • প্রথম অবস্থায় পুঁজির প্রয়োজন পড়বেঃ ৩,০০০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকা।
  • প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি মাসে লাভ হবেঃ ৮,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা।

বাচ্চাদের খেলনা তৈরির ব্যবসা

আপনি চাইলে বাচ্চাদের খেলনা তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বাংলাদেশের মতো দেশে বাচ্চাদের খেলনা তৈরির ব্যবসা অনেক বেশি জনপ্রিয়। আজকাল ছোট বাচ্চারা খেলনা জিনিসের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। যার কারণে বাবা-মারা তাদের বাচ্চাদের নানা ধরনের খেলনা জিনিসপত্র কিনে দেয়। তাই এর চাহিদা বর্তমানে ব্যাপক রয়েছে। কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো বাংলাদেশের মতো দেশে এখনো সেই পরিমাণ খেলনা উৎপাদন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে পারেনি।

গড়ে উঠলেও তেমন ভালো মানের হয় না। তাই বেশিরভাগ বাচ্চাদের খেলনা গুলো বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তাই এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে আপনি চাইলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে বাচ্চাদের খেলনা তৈরির ব্যবসা করার বিষয়ে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করে নিতে হবে।

আজো আপনি এই বিষয়ে আগ্রহী কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে। যারা বাচ্চাদের খেলনা তৈরির ব্যবসা করে তাদের সাথে কথা বলতে হবে। তারা কিভাবে প্রথম অবস্থায় এটি শুরু করেছিল কত টাকা হলে শুরু করা যাবে এ সকল যাবতীয় তথ্য আপনি তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করবেন।

আরো পড়ুনঃ গ্রামে কিসের ব্যবসা করা যায় জেনে নিন ২০টি লাভজনক আইডিয়া     

তারপরই আপনি চিন্তা করবেন এই ব্যবসা আপনি শুরু করবেন কিনা সেই সম্পর্কে। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথম অবস্থায় বেস মোটা অংকের টাকা ইনভেস্ট করার প্রয়োজন পড়বে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় কিভাবে করতে হয় এবং মধু উৎপাদন ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কেও জানতে পারেন।

  • প্রথম অবস্থায় পুঁজির প্রয়োজন পড়বেঃ ৮,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা।
  • প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি মাসে লাভ হবেঃ ১০,০০০ টাকা থেকে ২৫,০০০ টাকা

টি শার্ট পেইন্টিং এর ব্যবসা করার উপায়

আপনি চাইলে টি-শার্ট পেন্টিং এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমান সময়ে এই ব্যবসাটি একটি জনপ্রিয় ব্যবসা। আমরা সাধারণত যে সকল টি-শার্টগুলো পড়ে থাকি এই সকল টি সার্ট গুলোতে নানা রকম পেন্টিং থাকে। এ সকল পেন্টিং গুলো কাস্টমারদের সহজেই আকৃষ্ট করে। যার ফলে তারা এ সকল টি শার্ট গুলো কিনে থাকে। এ সকল প্রিন্টিংযুক্ত টি-শার্ট গুলোতে নানা ধরনের পেন্টিং করা থাকায় দেখতেও চমৎকার লাগে। তাই আপনি চাইলে টি শার্ট পেন্টিং এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
 
টি শার্ট-পেইন্টিং-এর-ব্যবসা-করার-উপায়
ব্যবসা শুরু করার নিয়মঃ 

প্রথমে আপনি পাইকারি  বাজার থেকে সাধারণ কটন বা পলেস্টার জাতীয় টি শার্টগুলো কিনে ফেলুন। যেহেতু মেশিন কিনতে অনেক টাকার প্রয়োজন পড়বে, তাই আপনি প্রাথমিক অবস্থায় হাতের তৈরি স্টিকার কিনতে পারেন। অথবা আপনি চাইলে ট্রান্সফার পেপার ব্যবহার করতে পারেন। টি শার্ট গুলোকে রং কিংবা ডিজাইন করার জন্য ভিনাইল বা হ্যান্ডপেইন্ট ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়াও আরও যে সকল মেটেরিয়াল ব্যবহার করতে পারেন তার মধ্যে অন্যতম হলো স্কিন বা DFT ইত্যাদি।

ডিজাইন তৈরি করার নিয়মঃ

আপনার টি-সার্ট গুলোকে ডিজাইন দেওয়ার জন্য আপনি চাইলে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। এ সকল সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো canva, photopia, adobi express ইত্যাদি। টি-শার্ট পেন্টিং করার জন্য আপনি চাইলে হিট প্রেস মেশিন ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়াও আপনার কাছে যদি স্টেনসিল কিংবা ফ্যাব্রিক পেইন্ট থেকে থাকে, তাহলে সেটাও ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়াও টি-শার্ট প্রিন্টিং করার জন্য ভিনাইল প্রিন্টিং বা স্কিন প্রিন্টিং ব্যবহার করা যেতে পারে।

বাজারজাতকরণঃ

টি-শার্ট গুলোকে এবার বিক্রির জন্য বাজার পর্যবেক্ষণ করুন। যে সকল ব্যবসায়ীরা টি-শার্ট বিক্রি করে থাকে। তাদের কাছে আপনি সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করে দিন। এছাড়াও আপনি অনলাইনের মাধ্যমেও বিক্রি করতে পারেন। আপনি একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেখানে আপনার তৈরি নতুন নতুন টি-শার্ট গুলোর ছবি ভিডিও আপলোড দিবেন। কাস্টমাররা সহজেই এগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হলে আপনি অর্ডার পাবেন। প্রথম অবস্থায় হয়তো অল্প অর্ডার আসলেও ধীরে ধীরে অর্ডার এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। এভাবে আপনি একটি টি-শার্টের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

  • প্রথম অবস্থায় আনুমানিক খরচঃ ৫,০০০ টাকা থেকে ৮,০০০ টাকা।
  • প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি মাসে ইনকাম হতে পারেঃ ১০,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা।

কাঁচামাল উৎপাদন করার ব্যবসা 

আপনি চাইলে কাঁচামাল উৎপাদন করার ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারেন। বর্তমান সময়ে এই ব্যবসাটি অনেক জনপ্রিয় একটি ব্যবসা। আমরা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অবশ্যই সাক-সবজি রাখি। আমাদের এমন একটা দিন নাই যে আমরা শাকসবজি ছাড়া ভাত খাই। অর্থাৎ আমাদের প্রত্যেক দিনই শাকসবজি খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে।

তাই বলাই যেতে পারে বর্তমান সময়ে কাঁচামাল উৎপাদনের ব্যবসা একটি লাভজনক এবং চাহিদা সম্পন্ন ব্যবসা। কাঁচামাল বলতে সাধারণত বুঝানো হয়ে থাকে নিত্য প্রয়োজনীয় নানা ধরনের কাঁচাবাজারকে। কাঁচাবাজারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মুলা, সবজি, আলু, টমেটো, গাজর, পেঁয়াজ, রসুন সহ আরো নানা নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল। আপনি যেহেতু নতুন অবস্থায় এই ব্যবসাটা শুরু করতে চাচ্ছেন, তাই প্রথমে অল্প টাকা দিয়েই শুরু করতে পারেন।
 
আপনার যদি নিজস্ব জমি থাকে তাহলে সেখানে এ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল উৎপাদন করে পাইকারি দামে বিক্রি করতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে প্রথমে কাঁচামাল কিভাবে উৎপন্ন করতে হয় তার যাবতীয় তথ্য ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। এরপর আপনাকে এটি কোথায় বিক্রি করতে হয়, কিভাবে বিক্রি করলে ভালো মুনাফ অর্জন করা যায় তার বিস্তারিত জ্ঞান রাখতে হবে। তাহলে আপনি কাঁচামাল উৎপাদন করে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

  • প্রথম অবস্থায় আনুমানিক খরচঃ ৫,০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা।
  • প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি মাসে ইনকাম হতে পারেঃ ১০,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা।

কোয়েল পাখির ব্যবসা করার উপায়

আপনি চাইলে কোয়েল পাখির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বর্তমান সময়ে এই ব্যবসাটা অনেক বেশি জনপ্রিয়। বাংলাদেশের মতো দেশে এখন অনেক নতুন উদ্যোক্তা কোয়েল পাখির ব্যবসা করছে। কোয়েল পাখির ব্যবসার অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে। আপনি যদি ভালো জাতের কোয়েল পাখির খামার গড়ে তুলতে পারেন, তাহলে বছরে ২৮০ থেকে ৩০০ টি ডিম পাবেন। এছাড়াও কোয়েল পাখির আরও একটি বড় সুবিধা হলো এটি একটানা ১৪ মাস ডিম পাড়তে পারে।

কোয়েল পাখির আকার অনেক ছোট হওয়ার কারণে এটি পালন করার জন্য বিশাল বড় জায়গার প্রয়োজন হয় না। অল্প জায়গার ভেতর অনেকগুলো কোয়েল পাখি পালন করা যায়। এছাড়াও কোয়েল পাখির ব্যবসা করার আরো একটি লাভ হলো এ পাখির তেমন কোন রোগ বালাই হয় না। একটি কোয়েল পাখির বয়স যখন ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ হয় তখন সে ডিম পারতে শুরু করে। আর এর ডিম খেতে অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হয়ে থাকে। তাই আপনি চাইলে কোয়েল পাখির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

কোয়েল পাখি পালনের খরচঃ

একটি কোয়েল পাখির বাচ্চা যার বয়স ১৫ থেকে ২০ দিন এর দাম পড়বে ২৫ থেকে ৩০ টাকা করে। কোয়েল পাখির খাবারের জন্য প্রতি কেজি খাবারে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা লাগবে। প্রতি মাসের হিসাবে কোয়েল পাখির খাবারের প্রয়োজন হবে ৫৫ থেকে ৬০ কেজি খাবার। তাই আপনি কোয়েল পাখির ব্যবসা করে প্রতি মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার বা তারও বেশি টাকা ইনকাম করতে পারেন।

আম বিক্রির মৌসুমী ব্যবসা

আপনি চাইলে আম বিক্রির মৌসুমী ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এ ব্যবসাটা অনেক লাভজনক হয়ে থাকে। অল্প দিনের ভেতর ভালো পরিমাণে টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি আমের মৌসুমে ৫০০০ হাজার টাকা দিয়ে আম সরাসরি গ্রামের বাগান থেকে পাইকারি দামে কিনে শহরের বড় বড় বাজারে কিংবা অনলাইনে বেশি টাকায় বিক্রি করতে পারেন। এই ব্যবসার মেয়াদ সাধারণত ২ থেকে ৩ মাস হয়ে থাকে। কারণ বছরের দুই থেকে তিন মাস সময় আমের মৌসুম হয়ে থাকে।

তাই আপনি চাইলে এই ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন। যখন আমের মৌসুম আসবে, তখন আপনি একটি ফেসবুকে পেজ খুলে গ্রামের বাগানগুলো থেকে অল্প টাকার বিনিময়ে আম কিনে সেগুলোর ভিডিও বা ছবি আপনার পেজে পোস্ট করবেন। বাংলাদেশের মধ্যে আমের রাজধানী হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এছাড়াও নওগাঁতেও বেশ ভালো পরিমাণে আম উৎপন্ন হয়ে থাকে।

তাই বাংলাদেশের অন্যান্য জেলাগুলোতে আমের মৌসুমে আমের চাহিদা ব্যাপক থাকে। আপনি যদি আমের মৌসুমে আমের ছবি বা ভিডিও ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন। তাহলে অন্যান্য জেলার মানুষগুলো খুব সহজেই আপনার কাছ থেকে ভালো মানের আম পেয়ে যাবে।

গ্রামের বাগান থেকে আম কেনার সময় নজর রাখবেন, যাতে আমের গুণগতমান ভালো হয়। অর্থাৎ ভালো মানের আম কেনার চেষ্টা করবেন। এভাবে আপনি খুব সহজে আমের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় কিভাবে করতে হয় তা সম্পর্কে জানতে পারেন।

  • প্রথম অবস্থায় আনুমানিক খরচঃ ৫,০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা।
  • প্রাথমিক অবস্থায় প্রতি মাসে ইনকাম হতে পারেঃ ১২,০০০ টাকা থেকে ১৫,০০০ টাকা। 

উৎপাদনমুখী আরো ৩টি ব্যবসায়িক আইডিয়া

মুরগির খামারের ব্যবসাঃ

আপনি চাইলে মুরগির খামারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য ৫০০০ টাকা হলেই শুরু করতে পারবেন। আপনি যদি খামারের ব্যবস্থা না করতে পারেন, তাহলে বাড়ির আশেপাশে নেট দিয়ে ছোট জায়গা জুড়ে মুরগি পালন শুরু করতে পারেন। তারপর মুরগির খাবারের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও পানির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রথম অবস্থায় অনেক বেশি মুরগী না কিনে অল্প মুরগি দিয়ে শুরু করতে পারেন। ধীরে ধীরে যখন আপনার ব্যবসা উন্নতি উন্নতি লাভ করবে, তখন অনেকগুলো মুরগি নিয়ে খামার দিয়ে বড় পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এভাবে আপনি উৎপাদনমুখী মুরগির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

মাদুরের ব্যবসাঃ

আপনি চাইলে হাতের তৈরি মাদুরের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। উৎপাদন মুখী ব্যবসা গুলোর মধ্যে এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ লাভজনক ব্যবসা। ৫ হাজার টাকার মধ্যে এই উৎপাদন মুখী ব্যবসাটা শুরু করা যেতে পারে। বর্তমানে বিভিন্ন কাজে মাদুর ব্যবহার হয়ে থাকে। বসার জন্য, নামাজ পড়ার জন্য, বিশ্রাম নেয়ার জন্য ইত্যাদি।

এই মাদুরের চাহিদা সবচাইতে বেশি গ্রামাঞ্চলের দিকে হয়ে থাকে। যেহেতু আপনার কাছে পুঁজির পরিমাণ কম রয়েছে, তাই আপনি বাড়িতে থেকেই এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বাড়িতে নিজে নিজে মাদুর তৈরি করে নিয়ে যারা মাদুরের ব্যবসা করে তাদের কাছে পাইকারি দামে বিক্রি করতে পারেন। এভাবে এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

মাটির জিনিসপত্র তৈরির ব্যবসাঃ 
 
আপনি চাইলে মাটির জিনিসপত্র তৈরির ব্যবসা শুরু করতে পারেন। গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহর অঞ্চলে মাটির তৈরি জিনিসপত্রের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার কাছে ৫০০০ টাকা থাকলেই খুব সহজেই শুরু করতে পারবেন। এই ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে মাটির জিনিসপত্র তৈরির কৌশল সম্পর্কে দক্ষ হতে হবে। তারপরে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মাটির জিনিস পত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ফুলের টব, হাড়ি, কাপ বা পিরিচ, নকশা করা মাছের প্লেট সহ আরো নানা জিনিস। এগুলো আপনি বাড়িতে তৈরি করে স্থানীয় বাজারে পাইকারি দামে বিক্রি করতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা 

আপনি চাইলে উপরের আলোচনা থেকে উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় কিভাবে করতে হয় তার বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন। এছাড়াও আপনারা উপরের আলোচনা থেকে মধু উৎপাদন ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে আসতে পারবেন। উৎপাদনমুখী নানা ধরনের ব্যবসা রয়েছে। এ সকল ব্যবসা করার জন্য পর্যাপ্ত মূলধনের প্রয়োজন হয়।

কিন্তু আপনি যেহেতু বলেছেন পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে কোন ব্যবসা গুলো শুরু করা যায় তাই আমি চেষ্টা করেছি উপরের আলোচনায় পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে অল্প পরিসরে যে সকল ব্যবসা করা যায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার। আপনারা যদি উপরের আলোচনা গুলো ভালোভাবে পড়তে পারেন, তাহলে অবশ্যই নানা ধরনের উৎপাদনমুখী ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আশা করছি উপরের আলোচনাটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url