আতা ফলের ২৯টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

আতা ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ আতা ফলের রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগুণ। যেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যা প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আতা-ফলের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
আতা ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই মূলত আপনারা আতা ফলের যাবতীয় গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ আতা ফল এর যাবতীয় গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন  

আতা ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা

আতা ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা আতা ফলের যাবতীয় উপকারিতা গুলো ও অপকারিতা গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। যতগুলো স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু ফল রয়েছে সেগুলোর মধ্যে আতা অন্যতম। নানা পুষ্টিগুনে ভরপুর এই আতা প্রাকৃতিকভাবেই মিষ্টি এবং অনেক ধরনের খাবারে ব্যবহার করার জন্য এটি উপযোগি।

এটি আপনারা ভেঙে খেতে পারেন কিংবা স্মুদিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। অর্থাৎ আপনারা যেভাবেই আতা ফল খান না কেন শরীরের জন্য নানা স্বাস্থ্যগুণ পাবেন। আতা ফলের যেমন নানা উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনি এর বেশ কিছু অপকারিতাও রয়েছে। তবে উপকারিতার থেকে অপকারিতা খুবই সামান্য। তাই আজকের এই পর্বে আমরা আতা ফলের যাবতীয় উপকারিতা গুলো এবং অপকারিতা গুলো নিচের আলোচনা থেকে বিস্তারিত জেনে নিবো।

আতা ফলের উপকারিতা 

আতা ফলের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা আতা ফলের যাবতীয় উপকারিতা গুলো বিস্তারিত জেনে নেওয়া চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে যায় নেওয়া যাক।

হাঁপানি সমস্যা দূরীকরণেঃ আতা ফলে ভিটামিন বি-৬ থাকে যেটি শ্বাসনালীর প্রদাহ কমিয়ে থাকে তাছাড়াও যাদের অ্যাজমার সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত আতা ফল খেতে পারেন আতা ফল অ্যাজমার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে তাই ভবিষ্যতে অ্যাজমার হাত থেকে রক্ষা পেতে চাইলে আতা ফল নিয়মিত খান।

ওজন বাড়াতেঃ যেসব ব্যক্তিরা স্বাস্থ্য ফেরাতে চাচ্ছেন বা একদমই রোগা টাইপের তারা চাইলে আতা ফল খেতে পারেন। কারণ আতা ফল খেলে গায়ে-গতরে মাংস লাগবে। যার ফলে শুকনা শরীরে ওজন বেড়ে শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকবে।

হার্টের সমস্যায়ঃ সাধারণত আতা ফলে ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। যেটি কার্ডিয়াম মাসেলকে আরাম দিতে সহায়তা করে থাকে। যার কারণে হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমে থাকে।

হাড়ের সুরক্ষায়ঃ আতা ফলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ভিটামিন ডি সংশ্লেষণে সহায়তা প্রদান করে থাকে। আর আপনারা জানেন ভিটামিন ডি হাড়ের মজবুত করণের জন্য ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

এনার্জি ফেরাতেঃ আতা ফলে পাওয়া যায় থিয়ামিন। মূলত এই থিয়ামিন খাবারকে এনার্জিতে রূপান্তর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। আর যার কারণে আতা খেলে শরীর এনার্জি ময় হয়ে ওঠে।

রক্তস্বল্পতা দূরীকরণেঃ যেসব ব্যক্তিরা অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন তাদের জন্য আতা দুর্দান্ত কাজ করে থাকে। এটি মূলত আয়রনে পরিপূর্ণ। সেই সাথে লোহিত রক্ত কণিকা বৃদ্ধিতে এটি সহায়তা করে থাকে। তাই রক্ত স্বল্পতা দূর করতে আতা খেতে পারেন।

দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতেঃ আতা ফলে রয়েছে ভিটামিন এ। যেটি কর্নিয়া ও রেটিনাকে সুরক্ষিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই চোখের সুরক্ষায় আতা ফল খেতে পারেন।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃ আতা ফলে পাওয়া যায় পটাশিয়াম। এই খনিজ উপাদানটি রক্তবাহের প্রাচীরকে আরাম দিতে সহায়তা করে থাকে। যার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

কোলেস্টেরল কমাতেঃ আতা ফলে পাওয়া যায় ফাইবার ও নিয়াসিন। এই উপাদান গুলো ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। পাশাপাশি এটি খারাপ কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে বের করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।  

অন্ত্রের জন্য উপকারীঃ আতা ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। যার কারণে এটি যে কোন খাবার সহজেই হজম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সুস্থ অন্ত্র শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেম, পুষ্টির ভালো শোষণ এবং সামগ্রিক সুস্থতার মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করে থাকে।

পুষ্টিতে ভরপুরঃ আতা ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। তাছাড়াও উচ্চমাত্রায় খনিজ পাওয়া যায়। আর এই উপাদানগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে, হৃদরোগের উন্নতি করতে এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক পেতে সহায়তা করে থাকে। তাছাড়াও এতে থাকা ভিটামিন বি-৬ মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।

ত্বক ও চুলের যত্নেঃ আতা ফলে থাকা পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিক্যাল নিয়ন্ত্রণ করে ত্বককে রক্ষা করে থাকে। এছাড়াও ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়া রোধ করে। আতা ফলে থাকা ভিটামিন এ এবং সি চোখ, চুল ও ত্বকের জন্য ব্যাপক উপকারী ভূমিকা রাখে।

হৃদরোগ প্রতিরোধেঃ আতা ফলে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম। যেটি মাংসপেশির জড়তা দূর করে হৃদরোগ প্রতিরোধ করে থাকে। এছাড়াও পটাশিয়াম ও ভিটামিন বি-৬ রক্তের উচ্চচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। সেই সাথে হৃদরোগ ও স্টকের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে থাকে।

হজম শক্তি বৃদ্ধিতেঃ আতা ফলে রয়েছে ফসফরাস। যেটি হজম শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে থাকে। তাছাড়াও এর খাদ্য আঁশ হজম শক্তি বৃদ্ধি করে ও পেটের সমস্যা দূর করে। তাই যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা নিঃসন্দেহে আতা ফল খেতে পারেন।

সর্দি-কাশি নিরাময়েঃ আতা ফলে থাকা ভিটামিন সি সমস্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে থাকে। এটি নিয়মিত খেতে পারলে সর্দি এবং ফ্লু থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই সুস্থ থাকতে আতা ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

আমাশয় প্রতিরোধেঃ আমাশয় প্রতিরোধে আতা ফলের গাছ দুর্দান্ত কাজ করে থাকে। এজন্য আতা গাছের মূলের ছাল নিতে হবে। তারপর সেটাকে রস করে ২০/২৫ ফোঁটা নিয়ে ৭/৮ চামচ দুধ সহ খেতে হবে। এই জায়গায় ছাগলের দুধ হলে সবচাইতে ভালো হয়। তাছাড়াও আতা ফলের গাছের মূলের ছাল চূর্ণ করে ২০০ মিলিগ্রামের মতো ১/২ বার খাওয়া যেতে পারে। এভাবে খেলে ২/৩ দিনের ভেতর আমাশয় ভালো হয়ে যায়।

রোগ প্রতিরোধেঃ আতা ফলে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে থাকে। তাছাড়াও আতা ফলের খাদ্য উপাদান অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে থাকে এবং দুরারোগ্য ব্যাধিকে তাড়িয়ে আপনাকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে থাকে।

ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে পেয়েছে আতার বেশ কিছু উপাদান রয়েছে। যেগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সাধারণ আতার পাশাপাশি বিশেষ প্রজাতির আতাও ক্যান্সার আটকাতে সহায়তা করে থাকে।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধেঃ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের জন্য আতা ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। আতায় থাকা উচ্চমাত্রার আঁশ রক্ত চিনি শোষণের গতি স্লথ করে দেয় যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ফুসফুস ভালো রাখেঃ নিয়মিত আতা ফল খাওয়ার ফলে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কেননা আতা ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি-৬ রয়েছে। যার ফলে নিয়মিত আতা খেলে ভবিষ্যতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে অনেকটাই রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে।

শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমায়ঃ আতা ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি-৬। যেটি শ্বাসনালির এবং শ্বাসকষ্টের প্রকোপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ যারা ইতিমধ্যেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তারা আতা খেতে পারেন। নিয়মিত আতা খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। বিশেষ করে ভারী খাবার খাওয়ার পরে আতা খেতে পারেন। এতে করে ধীরে ধীরে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে যাবে।

নিদ্রাহীনতা দূর করেঃ আতা ফলে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও ট্রিপটোফেন। এটি ঘুমের মান উন্নত করতে এবং নিদ্রাহীনতা দূর করতে সহায়তা করে থাকে। এটি শরীরকে শান্ত করে এবং রাতের ঘুমকে গভীর করে তুলতে কাজ করে থাকে।

ব্যথা ও প্রদাহ কমায়ঃ আতা ফলে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে থাকে। এটি মূলত প্রাকৃতিক পেইন রিলিভার হিসেবে কাজ করে থাকে। বিশেষ করে আর্থ্রাইটিস ও গাউটের এর মতো ব্যথা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে।

মেজাজ ভালো রাখতেঃ আতা ফল খাওয়ার ফলে মেজাজ ভালো থাকে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন নানা কারণে মেজাজ পরিবর্তন হয়ে থাকে। কিন্তু নিয়মিত খাদ্য তালিকায় আতা রাখতে পারলে এতে থাকা ভিটামিন সি মেজাজ ভালো রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।

স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ আতা ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি৬ রয়েছে যেটি মূলত স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। এটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত আতা ফল খেতে পারলে মনোযোগ ও শিক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকবে।  
 
উকুন থেকে মুক্তি দেয়ঃ আতা ফলে থাকা এনজাইম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো মাথার ত্বকে থাকা উকুনের সংক্রমণ থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। তাই আপনারা চাইলে মাথার ত্বকে আতা ফলের পেস্ট তৈরি করে মাথার ত্বকে দিতে পারেন। এতে মাথার ত্বককে এটি শক্তিশালী করে, স্বাস্থ্যকর রাখে এবং যাবতীয় পোকার আক্রমণ থেকে প্রতিরোধ করে থাকে।

আর্থ্রাইটিস বা বাতের ঝুঁকি কমায়ঃ আতা ফল মূলত ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ একটি ফল। আর এই ম্যাগনেসিয়াম শরীরে পানির ভারসাম্যকে সমান করতে সহায়তা করে থাকে। তাই জয়েন্ট গুলি থেকে এসিড নির্মূল হয়। যেটি মূলত বাত বাথা রোগের লক্ষণ গুলি কমাতে সাহায্য করে থাকে। এছাড়াও আতার ফলে থাকা ক্যালসিয়ামও হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

প্রদাহ কমাতেঃ আতাফল এ থাকা কয়েকটি অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি সহ বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ হৃদরোগ এবং ক্যান্সার সহ অনেক ধরনের অসুস্থতার ঝুঁকির সাথে এটি লড়াই করে থাকে।

আতা ফলের অপকারিতা

আতা ফলের অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা আতাফল এর যাবতীয় অপকারিতা গুলো আপনাদের সামনে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। আতা ফল এর যেমন নানা রকম গুণাগুণ রয়েছে ঠিক তেমন এর নানা ক্ষতিকর দিক রয়েছে। যেগুলো আমাদের জানা প্রয়োজন।

আতা ফল খাওয়া উপকারী হলেও এর বীজ খুবই বিষাক্ত। তাই আতা ফলের বীজ কাঁচা বা পাকা খেলে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া ইত্যাদি নানান সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই আতা ফল খাওয়ার সময় এর বীজগুলো ফেলে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাছাড়াও আতা ফল অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া, বমি ভাব ইত্যাদি নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে।

তাই এই ফলটি পরিমাণ মতো খাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাছাড়াও আতা ফল খেলে কারো কারো অ্যালার্জি হতে পারে। আর এলার্জির সমস্যা তৈরি হলে চুলকানি, ফুসকুড়ি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি নানান সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই যাদের আতা ফল খাওয়ার ফলে এলার্জি সমস্যা তৈরি হবে। তারা এই ফলটি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। আপনারা নিয়মিত আতা ফল খাওয়ার চেষ্টা করবেন না।

আরো পড়ুনঃ সফেদা ফলের ১৯টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন     

কারণ নিয়মিত আতা ফল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাছাড়াও কখনো কখনো ডায়রিয়াও হতে পারে। যেহেতু আতা ফল ঠান্ডা প্রকৃতির। তাই যাদের অল্পতে ঠান্ডা লেগে যায় তাদের আদা ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। তাই আতা ফল নিয়মিত না খেয়ে সপ্তাহে একদিন খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

আতা ফলের পুষ্টিগুণ

আতা ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা আতা ফলের যাবতীয় পুষ্টিগুণ গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। আতা ফল নানা পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ। এই পুষ্টিগুণগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিচের আলোচনায় সেই পুষ্টিগুণ গুলো দেখানো হলোঃ

প্রতি ১০০ গ্রাম আতা ফলে-

ভিটামিন এ রয়েছে ৩৩ আইইউ, শর্করা রয়েছে ২৫ গ্রাম, জল রয়েছে ৭২ গ্রাম, প্রোটিন রয়েছে ১.৭ গ্রাম, ভিটামিন সি রয়েছে ১৯২ মিলিগ্রাম, থিয়ামিন রয়েছে ০.১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম রয়েছে ৩০ মিলিগ্রাম, ফসফরাস রয়েছে ২১ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম রয়েছে ৩৮২ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম রয়েছে ৪ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাবিন রয়েছে ০.১ মিলিগ্রাম, নিয়াসিয়ান রয়েছে ০.৫ মিলিগ্রাম, আয়রন রয়েছে ০.৭ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে ১৮ মিলিগ্রাম।

আতা ফল খাওয়ার নিয়ম

আতা ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা আতা ফল খাওয়ার যাবতীয় নিয়ম আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। আতা ফল বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায়। নিচের আলোচনায় সেই উপায়গুলো দেওয়া হলোঃ

আতা-ফল-খাওয়ার-নিয়ম
জুস করে খাওয়াঃ আপনারা চাইলে আতা ফল পাকা অবস্থায় খাওয়ার পাশাপাশি এটিকে জুস করেও খেতে পারেন। জুস করে খেলেও এর স্বাদ দুর্দান্ত পাওয়া যায়। আতা ফলের জুস তৈরি করার জন্য আতা ফলের খোসা ছাড়িয়ে ফেলে দিন। এরপর এর ভেতরের বীজগুলো ফেলে দিন। তারপর একটি ব্লেন্ডার নিয়ে সেই ব্লেন্ডারে পাকা আতার অংশগুলো দিয়ে ব্লেন্ড করে দিতে হবে। এরপর ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে মিশ্রণটিকে ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু আতা ফলের জুস।

সরাসরি খাওয়াঃ আতা ফল পেকে গেলে এটি সরাসরি আপনারা খেতে পারেন। একটি পাকা আদা নিয়ে সেই আতার খোসা গুলো ফেলে দিবেন এবং সেই সাথে এর ভেতরের বীজগুলো ফেলে দিবেন। তারপর নরম ও রসালো অংশটুকু খেতে পারেন। এটি সরাসরি খাওয়ার ফলে এর দুর্দান্ত উপকারিতা গুলো আপনারা উপভোগ করতে পারবেন।

মিষ্টি তৈরি করাঃ আপনারা আতা ফল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জাতীয় জিনিস তৈরি করে খেতে পারেন। যেমনঃ আতা ফলের চকলেট, আতা ফল এর জেলি, আতা ফল এর আইসক্রিম ইত্যাদি নানা মিষ্টি জাতীয় খাবার বাড়িতেই খুব সহজে তৈরি করে পরিবারের সকলে মিলে উপভোগ করতে পারেন।
সালাদে ব্যবহার করাঃ আপনারা চাইলে আতা ফলকে সালাদে ব্যবহার করে খেতে পারেন। এজন্য প্রথমে আপনাদের আতা ফলের খোসা ছাড়িয়ে এর বীজগুলো ফেলে দিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। তারপর অন্যান্য সালাদ উপকরণ, যেমনঃ টমেটো, শসা, গাজর, লেবুর রস ইত্যাদি দিয়ে আতা ফল এর টুকরোগুলোকে মিশিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার সালাদ। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে আতা ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা  সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন। 

গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা গর্ভকালীন সময়ে আতা ফল খাওয়ার যাবতীয় উপকারিতা গুলো বিস্তারিতভাবে দেখে নেবো। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক। গর্ভকালীন সময়ে আতা ফল খাওয়ার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিত রয়েছে। উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতাও রয়েছে তাই নিচের আলোচনা থেকে আমরা এর সবকিছু জেনে নেবো।

কপার বা তামা গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ। কারণ ভ্রুণের সুরক্ষার জন্য কপারের ১০০ মিলি ডোজ প্রয়োজন পড়ে। আর আতা ফল এই ডোজের নির্দিষ্ট একটি পরিমাণ সরবরাহ করে থাকে। তাছাড়াও এটি গর্ভপাতের ঝুঁকি কমাতে বা অকালে প্রসবের সম্ভাবনা রোধ করতে ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও আতা ফল গর্ভবতী মায়ের দাঁতের সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

এতে থাকা ফাইবারের উপাদান গুলি দাঁতকে ঝকঝকে সাদা করে তুলতে এবং মাড়ির সমস্যা নিরাময়ে, দুর্গন্ধ দূর করতে দুর্দান্ত ভূমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে আতা ফল খাওয়ার ফলে এতে থাকা আন্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের বিষাক্ত পদার্থকে পরিষ্কার করে থাকে। তাই কিডনি ভালো অবস্থায় থাকে।

এছাড়াও আতা ফলে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান গুলো থাকায়, এই উপাদান গুলো ভ্রুনের ত্বক, টেন্ডার এবং রক্তনালিগুলির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়াও আতা ফলে রয়েছে ভিটামিন বি৬। যেটি গর্ভকালীন সময়ে বমি বমি ভাব দূর করতে সহায়তা করে থাকে। সাধারণত গর্ভকালীন সময়ে রক্তচাপ ওঠেনামা করতে থাকে। তাই এই সময় আতা ফল খেলে আতা ফলে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

এছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে আতা ফল খাওয়ার ফলে এতে থাকা ডায়েটারি ফাইবার ডায়রিয়া কমাতেও সহায়তা করে থাকে। আতা ফলে যেহেতু ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। তাই এই উপাদানটি গর্ভকালীন সময়ে পেশীগুলোকে সিথিল করে স্ট্রেস কমাতে এবং হৃদয়কে সুরক্ষা দিতে সহায়তা করে থাকে। এভাবে আতা ফল গর্ভকালীন সময়ে খাওয়ার ফলে এ সকল উপকারিতা গুলো পাওয়া যায়।

গর্ভকালীন সময়ে আতাফল খাওয়ার ঝুঁকি এবং নিয়মঃ

গর্ভকালীন সময়ে আতা ফল খেলে এর বীজগুলো ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ এর বীজগুলো খেলে পাচনতন্ত্রের বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। এছাড়াও আপনার যদি ঠান্ডা জাতীয় খাবারে এলার্জির সমস্যা থাকে, তাহলে আতা ফল গর্ভকালীন সময়ে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। তাছাড়াও আতা ফলে যেহেতু চিনির পরিমাণ বেশি রয়েছে, তাই যে সকল গর্ভবতী মা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।
তারা এটি এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও কাঁচা আতা কখনোই খাবেন না। খেলে পাকা আতা খাবেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে আতা ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন। 

আতা ফলের পাতার উপকারিতা

আতা ফলের পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা আতাফল এর পাতার যাবতীয় উপকারিতা গুলো আপনাদের সামনে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। আতাফল আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। পাশাপাশি এর পাতাও আমাদের শরীরের জন্য নানা উপকারিতা বয়ে আনে। চলুন সেই উপকারিতা গুলো দেখে আসি। 

চুল পড়া ও খুশকিতেঃ চুল পড়া ও খুশকি সমস্যায় আতা ফলের পাতা ব্যাপক কাজ করে থাকে। এজন্য আপনারা আতা ফলের পাতা বেটে মাথায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিবেন। তারপর ধুয়ে ফেলবেন। এই কাজটি করতে পারলে আপনাদের চুল পড়া বন্ধ হবে এবং মাথার খুশকি সমস্যা দূর হবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ আতা ফলের পাতায় রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ডায়াবেটিক উপাদান। যেটি মূলত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এজন্য আপনারা ৫ থেকে ৭টি পাতা ভালো করে ধুয়ে নিবেন। তারপর ১ গ্লাস পানিতে সিদ্ধ করে চা যেভাবে খান সেভাবে পান করবেন। এভাবে নিয়মিত খেতে পারলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে গিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

গেঁটে বাত বা ব্যথা উপশমেঃ এ ধরনের সমস্যায় আতা ফলের পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনারা প্রথমে আতা ফলের পাতা সংগ্রহ করে এটি পাত্রে গরম করে নিবেন। তারপর ব্যথা যুক্ত জায়গায় সেঁক দিবেন। তাহলেই এই ধরনের ব্যাথা থেকে আরাম পাবেন।

ঘুম না হওয়া ও মানসিক চাপ সমস্যায়ঃ নিয়মিত ঘুম না হলে কিংবা মানসিক চাপে ভুগলে আতা ফলের পাতা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। এজন্য আপনারা ২থেকে ৩টি আতা ফলের পাতার রস রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১ চামচ খাবেন। তাহলে দেখবেন ঘুম ভালো হবে। সেই সাথে আপনার মানসিক চাপ কমে যাবে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে আতা ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন। 

আতা ফলের গাছের ছালের উপকারিতা

আতা ফলের গাছের ছালের উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন। চলুন আজকের এই পর্বে আমরা আতা ফলের গাছের ছালের যাবতীয় উপকারিতা গুলো বিস্তারিতভাবে দেখে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক। মূলত আতা ফলের উপকারিতার পাশাপাশি এর গাছের ছালেরও ব্যাপক উপকারিতা রয়েছে। নিচের আলোচনায় তা দেখানো হলোঃ

আতা-ফলের-গাছের-ছালের-উপকারিতা
পেটের কৃমি দূর করতেঃ পেটের কৃমি দূর করার ক্ষেত্রে আতা ফলের গাছের ছালকে ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য প্রথমে আপনাদের এই গাছের ছাল ভালোভাবে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর গুঁড়ো করে নিয়ে ১/২ চামচ গরম জলে মিশিয়ে খেতে হবে। এভাবে খাওয়ার ফলে পেটের কৃমি দূর হয়ে যাবে।

চর্মরোগ ও ঘা সারাতেঃ আপনার যদি চর্মরোগ ও ঘা হয়ে থাকে, তাহলে আপনি আতা ফলের গাছের ছালকে ব্যবহার করে ভালো করতে পারেন। এজন্য আপনাকে প্রথমে এ গাছের ছালকে বেটে ঘা যুক্ত স্থানে লাগিয়ে দিতে হবে। তাহলে আপনার এ ধরনের রোগ থেকে মুক্তি মিলবে।
দাঁতের মাড়ি ও ইনফেকশন রোধেঃ আপনি যদি আপনার দাঁতের মাড়িকে সুস্থ রাখতে চান এবং ইনফেকশন দূর করতে চান, তাহলে আতা গাছের ছালকে ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য প্রথমে আপনাকে এই গাছের ছালের ক্বাথ তৈরি করে নিতে হবে। তারপর কুলি করতে হবে। এভাবে করার ফলে দাঁতের মাড়ি সুস্থ থাকবে এবং ইনফেকশন মুক্ত হবে। পাশাপাশি মুখের দুর্গন্ধ ভাব প্রতিরোধ করা যাবে।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ আতাফলে কোন কোন ভিটামিন রয়েছে?

উত্তরঃ আতা ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ভিটামিন এর নাম হলো ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ। এছাড়াও আতা ফলে প্রোটিন, শর্করা, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন রয়েছে।

প্রশ্নঃ আতা ফল কত প্রকার?

উত্তরঃ আতা ফলে ৩ ধরনের ফুল হয়ে থাকে। প্রথমটি হলো পুরুষ ফুল, দ্বিতীয়টি হলো মহিলা ফুল এবং তৃতীয়টি হলো নিউট্রাল ফুল। পুরুষ ফুলে পরাগ থাকে। যা মহিলা ফুলে পৌঁছাতে সহায়তা করে থাকে। মহিলা ফুল পরাগ গ্রহণ করার জন্য তৈরি থাকে এবং এটি ফল তৈরির জন্য দরকারি। নিউট্রাল ফুলে পুরুষ ও মহিলা উভয় উপাদান থাকে। যার কারণে এটি নিজেই পরাগিত হতে পারে।

প্রশ্নঃ আতা ফলের সিজন কখন? 

উত্তরঃ আতা ফল সাধারণত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে সংগ্রহ করা হয়। অর্থাৎ এই সময়েই আতা ফল পাওয়া যায়। এই ফলের ওজন ১০০ গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে দেখা যায়।

প্রশ্নঃ আতা ফল দাম?

উত্তরঃ আতা ফলের দাম একেক সময় একেক রকম হতে দেখা যায়। এই ফলের দাম সাধারণত প্রতি কেজি ১৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। জায়গা বুঝে দামের পার্থক্য দেখা দিতে পারে।

প্রশ্নঃ আতা ফলের বিচি খেলে কি হয়?

উত্তরঃ আতা ফলের বিচিতে এক ধরনের যৌগ থাকে। যেটি অনেক বিষাক্ত হয়ে থাকে। তাই আতা ফল খাওয়ার সময় এর বিচিগুলো ফেলে দিয়ে আতা ফল খেতে হবে। তাহলে এর যাবতীয় গুনাগুন গুলো খুব সহজেই পাওয়া যাবে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে আতা ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং আতা ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।  

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা আতা ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা  সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরও জানতে সক্ষম হয়েছি আতা ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কেও। আতা ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নানা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আতা ফলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য ব্যাপক কার্যকরী।

নিয়ম মেনে আতা খেতে পারলে শরীরের নানা রকমের সমস্যা দূর করা সহজ হয়। আমি উপরের আলোচনায় আতা ফলের যাবতীয় উপকারিতা গুলো এবং একই সঙ্গে যাবতীয় অপকারিতা গুলো বিস্তারিত আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি এটি কিভাবে খেলে এর সম্পূর্ণ উপকারিতা গুলো মিলবে সেটা নিয়েও গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনারা যদি উপরের আলোচনাটি ভালোভাবে পড়তে পারেন। তাহলে আতা ফলের যাবতীয় গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url