শেয়ার্ড হোস্টিং এর ১৩টি সুবিধা ও ৭টি অসুবিধা সম্পর্কে জানুন

শেয়ার্ড হোস্টিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য শেয়ার্ড হোস্টিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে। তাই এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।

শেয়ার্ড-হোস্টিং-এর-সুবিধা-ও-অসুবিধা
শেয়ার্ড হোস্টিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা পড়তে হবে। তাহলেই মূলত আপনারা শেয়ার্ড হোস্টিং সম্পর্কে যাবতীয় সুবিধা-অসুবিধা জেনে নিতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ শেয়ার্ড হোস্টিং এর যাবতীয় গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

শেয়ার্ড হোস্টিং কি 

শেয়ার্ড হোস্টিং কি এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা শেয়ার্ড হোস্টিং কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। শেয়ার্ড হোস্টিং বলতে সাধারণত একটি ওয়েব হোস্টিং পরিষেবাকে বোঝায় যেখানে একটি একক সার্ভার একাধিক ওয়েবসাইটের সাথে শেয়ার করা হয়।

এর মানে হলো প্রতিটি ওয়েবসাইট সার্ভারের রিসোর্স যেমন সিপিইউ, র‍্যাম, স্টোরেজ ইত্যাদি একসাথে অনেকগুলো ওয়েবসাইটের সাথে শেয়ার করা হয়ে থাকে। শেয়ার্ড হোস্টিং মূলত ওয়েবসাইটের জন্য একটি জনপ্রিয় এবং সাশ্রয়ী সমাধান হিসেবে বিবেচিত হয়। চলুন আমরা এবার একটি সুন্দর উদাহরণের মাধ্যমে শেয়ার্ড হোস্টিং কি তা বুঝে নিই। ধরুন আপনি রাজশাহীতে একটি ফ্লাট নিতে চাচ্ছেন। কিন্তু আপনার বাজেট কম।

তাই আপনি চিন্তা করছেন একটি ফ্ল্যাটের কিছু অংশ অন্যদের ভাড়া দিবেন। যেখানে আরো কয়েকজন ভাড়াটিয়া আপনার সাথে থাকবে। সবাই মিলে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস বিল ভাগাভাগি করে দিবেন। এতে আপনার খরচ অনেক কমে যাবে। শেয়ার্ড হোস্টিং এর বিষয়টা ঠিক তেমনি। আশা করি আপনারা শেয়ার্ড হোস্টিং কি তা বুঝতে পেরেছেন।

শেয়ার্ড হোস্টিং এর সুবিধা ও অসুবিধা

শেয়ার্ড হোস্টিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা শেয়ার্ড হোস্টিং এর যাবতীয় সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো আপনাদের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। শেয়ার্ড হোস্টিং এর যেমন নানা গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি এর নানা অসুবিধাও রয়েছে। তাই আপনি যদি শেয়ার্ড হোস্টিং এর সুবিধা এবং অসুবিধা গুলো ভালোভাবে জেনে যেতে পারেন। তাহলে শেয়ার্ড হোস্টিং সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়ে যাবেন। চলুন তাহলে দেখে নিই।

শেয়ার্ড হোস্টিং এর সুবিধাঃ 

শেয়ার্ড হোস্টিং এর সুবিধাগুলো নিচের আলোচনায় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো। নিচের আলোচনাগুলো ভালোভাবে পড়তে পারলে শেয়ার্ড হোস্টিং এর যাবতীয় সুবিধা গুলো একই সঙ্গে জানতে পারবেন।

কম মূল্যঃ

অন্যান্য হোস্টিং প্যাকেজের তুলনায় শেয়ার্ড হোস্টিং এর প্যাকেজের দাম তুলনামূলকভাবে কম হয়ে থাকে। শেয়ার্ড হোস্টিং এর দাম কম হওয়ার পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে শেয়ার্ড হোস্টিং প্যাকেজে ব্যবহারকারীরা একই সার্ভার একসাথে মিলে ব্যবহার করতে পারে।

যার কারণে অনেকগুলো ব্যবহারকারীকে একসঙ্গে ম্যানেজ করা সম্ভব হয়। এতে আলাদা করে মেইনটেন্সের প্রয়োজন পড়ে না। আর এ কারণেই পার্সোনাল ওয়েবসাইট বা স্মল ব্যবসার জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং এর প্যাকেজ বেশি উপযুক্ত হয়।

টেকনিক্যাল জ্ঞানের প্রয়োজন নেইঃ

সাধারণভাবে একটি সার্ভার সঠিকভাবে কনফিগার করতে গেলে টেকনিক্যাল জ্ঞানের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু শেয়ার্ড হোস্টিং এর ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল জ্ঞানের কোন দরকার পড়ে না। যেটি শেয়ার্ড হোস্টিং এর একটি অন্যতম বাড়তি সুবিধা।

সহজে সেটআপঃ

যে সকল সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ার্ড হোস্টিং এর সেবা প্রদান করে থাকে। সে সকল সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সহজেই সেটআপ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে। যার কারণে আপনি সহজেই একাউন্ট খুলে ওয়েবসাইট চালু করতে পারবেন।

সহজে আপগ্রেডঃ 

শেয়ার্ড হোস্টিং এর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইট বড় করতে চাইবেন বা আরো রিসোর্স আপনার প্রয়োজন হবে। তখন আপনি সহজেই আপনার ওয়েবসাইটকে উচ্চতর প্ল্যানে আপগ্রেড করতে পারবেন।

নিয়মিত ব্যাকআপঃ

শেয়ার্ড হোস্টিং এর অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা শেয়ার্ড হোস্টিং প্রোভাইডার নিয়মিত ব্যাকআপ সেবা প্রদান করে থাকে। যার ফলে আপনার ডেটা নিরাপদে থাকবে।

ম্যানেজড হোস্টিংঃ

অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা ম্যানেজড হোস্টিং সেবা প্রদান করে থাকে। যার কারণে আপনাকে সার্ভারের টেকনিক্যাল দিকগুলো নিয়ে বেসি চিন্তাভাবনা করার প্রয়োজন পড়বে না।

সহজে ব্যবহারযোগ্যঃ 

অন্যান্য হোস্টিংয়ের তুলনায় শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করা খুব সহজ। এমনকি এটি নতুন ব্যবহারকারীদের জন্যও ব্যবহার করা খুব সহজ।

বাড়তি সুবিধা প্রদানঃ

শেয়ার্ড হোস্টিং এ সাব ডোমেইন তৈরি করা যায়। তাছাড়াও ওয়েবসাইটের জন্য প্রয়োজনীয় বিজনেস ইমেইল তৈরি করা সহজ। এছাড়াও প্রত্যেকটি হোস্টিং এ কন্ট্রোল প্যানেলের সুবিধা দিয়ে থাকে। এমনকি SSL এর সুবিধাও পাওয়া যায়। তাছাড়াও শেয়ার্ড হোস্টিং বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য সরবরাহ করে থাকে। যেমন ইমেইল একাউন্ট, ডেটাবেস এবং ওয়েবসাইট তৈরি করার সুবিধা।

ব্র্যান্ডউইথ এবং কাস্টমাইজেশন ইমপ্রুভঃ

ছোট বা মাঝারি ধরনের ওয়েবসাইটের জন্য যতটুকু স্টোরেজ এর প্রয়োজন পড়ে ঠিক তার বেশি স্টোরেজ আপনি শেয়ার্ড হোস্টিং এ পেয়ে যাবেন। সাধারণত শেয়ার্ড হোস্টিং এ আপনি দুই থেকে পাঁচ জিবির বেশি স্টোরেজ পাবেন। আর একটি ছোট বা মাঝারি ধরনের বিজনেস করার জন্য যে ওয়েবসাইট প্রয়োজন হয় সেই ওয়েব সাইটের জন্য এই স্টোরেজ যথেষ্ট।

শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করতে তেমন কোনো ঝামেলা নেই খুবই সহজ। আপনাকে শুধুমাত্র আপনার ওয়েবসাইটের ফাইল গুলি আপলোড করতে হবে এবং আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি ডোমেইন নাম সেট করতে হবে তাহলেই হবে।

শেয়ার্ড হোস্টিং এর অন্যান্য সুবিধাগুলো হলোঃ
  • ফ্রি লাইফ টাইম এসএসএল।
  • ফ্রি ডোমেইন কন্ট্রোলার।
  • ফ্রি cPanel
  • ৯৯.৯% আপটাইম।
  • আনলিমিটেড ডেটাবেস।
  • আনলিমিটেড ইমেইল।
  • আনলিমিটেড সাব ডোমেইন।
  • শেয়ার্ড হোস্টিং এ cPanel ফুল কন্ট্রোল পাবেন।
  • আপনার ওয়েবসাইটের জন্য প্রয়োজনীয় বিজনেস ইমেইল তৈরি করতে পারবেন।
রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বঃ 

আপনাকে সার্ভার রক্ষণাবেক্ষণ, সফটওয়্যার আপডেট বা সিকিউরিটি প্যাচ সম্পর্কে চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ হোস্টিং প্রদানকারী কোম্পানি এ সমস্ত দায়িত্ব নিয়ে থাকবে। সাধারণত যাদের এই দায়িত্ব নেওয়ার সময় নাই। অথবা এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে জানেন না। তাদের জন্য এক্ষেত্রে শেয়ার্ড হোস্টিং সবচাইতে ভালো একটি উপায়। নিঃসন্দেহে এটি আপনারা নিতে পারেন।

একাধিক ওয়েবসাইট হোস্ট করা সুবিধাঃ  

শেয়ার্ড হোস্টিং এর অনেক প্যাকেজেই একাধিক ওয়েবসাইট হোস্ট করার সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। একটিমাত্র হোস্টিং দিয়ে একাধিক প্রজেক্ট চালানো সম্ভব হয়। যার কারণে অনেক ব্যবহারকারীরা ৫ জিবির একটি হোস্টিং কিনে ১০টি ওয়েবসাইট পরিচালনা করে থাকে।

প্রযুক্তিগত সহায়তাঃ

শেয়ার্ড হোস্টিং প্রধানকারী বেশিরভাগ কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবহারকারীদের ২৪/৭ কাস্টমার সাপোর্ট দিয়ে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলতে গেলে বলা যায় BengaliHost জার্মান ভিত্তিক একটি হোস্টিং প্রদানকারী কোম্পানি। যেটি তাদের কাস্টমারদের বিশ্বস্ততার সাথে সাপোর্ট প্রদান করে থাকে।

শেয়ার্ড হোস্টিং এর অসুবিধাসমূহঃ

শেয়ার্ড হোস্টিং এর যেমন নানা রকম সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি এর রয়েছে নানা অসুবিধা। আজকের এই পর্বে আমরা শেয়ার্ড হোস্টিং এর যাবতীয় অসুবিধা সমূহ বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

অনির্ভরযোগ্যঃ 

শেয়ার্ড হোস্টিং এর অনেকগুলো অসুবিধা রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি অসুবিধা হলো অনির্ভরযোগ্যতা। অর্থাৎ শেয়ার্ড হোস্টিং গুলো ম্যালওয়ার এবং ভাইরাস দ্বারা সহজেই সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর একটি সাইট আক্রান্ত হয়ে গেলে স্বাভাবিকভাবেই ওই সার্ভারের বাকি সাইডগুলোও আক্রান্ত হয়ে যাবে। যেহেতু তারা একই সার্ভার শেয়ার করছে এই কারণে।

লিমিটেড রিসোর্সঃ

বিশেষ করে যাদের বড় ওয়েবসাইট আছে এবং সেই ওয়েবসাইটে প্রতিমাসে প্রচুর ভিউটর আসে এবং সেই সাথে ডজন খানেক প্রোডাক্ট বা সার্ভিস আছে প্রতিটি পেজে তাদের জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং প্যাকেজ ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কারণ আপনাকে আপনার রিসোর্সগুলোকে অন্য অনেক ওয়েবসাইটের সাথে শেয়ার করতে হবে।

যার কারণে আপনাকে কিছু লিমিটেশন এর সম্মুখীন হতে হবে। আপনি যদি আপনার এলোটের চেয়ে বেশি রিসোর্স ব্যবহার করেন, তখন আপনার হোস্ট অতিরিক্ত ফি আদায় করতে চাইবে। যা আপনার বিজনেস সাইট শুরুর প্রাথমিক পর্যায়ে এক বিরাট চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়াবে।

নিরাপত্তাঃ

শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করলে অনেক সময় নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়তে হয়। কেননা আপনার সাইট অনেকগুলো ওয়েবসাইটের সাথে একই সাথে কানেক্ট থাকে। যার কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে হয়।যার ফলে একই সারভারের কোন ওয়েবসাইট কোন অ্যাটাকের আন্ডারে পড়লে ওই সার্ভারের সকল ওয়েবসাইট গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

একই সার্ভারে অনেকগুলো ওয়েবসাইট থাকার কারণে hacking এর আশঙ্কা বেশি থাকে শেয়ার্ড হোস্টিং এ। যা ডেডিকেটেড সার্ভারে সেই ঝুঁকি কম থাকে। তাই শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হন

কম পারফরম্যান্সঃ

শেয়ার্ড হোস্টিং এর বেলায় যেহেতু একই সার্ভার একাধিক ওয়েবসাইট শেয়ার করে থাকে। তাই সার্ভারে রিসোর্স সকলের মধ্যে ভাগ হয়। ফলে আপনার ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স কম হতে পারে।

কাস্টমাইজেশন সীমিতঃ

সাধারণভাবে শেয়ার্ড হোস্টিং এর সার্ভারে আপনার কাস্টমাইজেশন সীমিত থাকে। আপনি সার্ভারের কিছু নির্দিষ্ট অংশে পরিবর্তন করতে পারবেন না। এভাবে এটি কাজ করে থাকে।

আইপি শেয়ারিংঃ

শেয়ার্ড হোস্টিং এর বেলায় একই আইপি এড্রেস একাধিক ওয়েবসাইট শেয়ার করে থাকে। এর ফলে যদি একটি ওয়েবসাইট স্প্যামিং বা অন্য বেআইনি কাজ করে থাকে তাহলে সেই আইপি ব্লক হতে পারে। যা আপনার ওয়েবসাইটের উপরও নেগেটিভ প্রভাব ফেলতে পারে।

শেয়ার্ড হোস্টিং এর আরো অন্যান্য অসুবিধা গুলো হলোঃ
  • অন্যান্য হোস্টিং এর তুলনায় শেয়ার্ড হোস্টিং কিছুটা শ্লো কাজ করে থাকে। কারণ এর দাম সাধারণত কম হওয়ার কারণে ডেডিকেটেড হোস্টিংয়ের তুলনায় রিসোর্স অনেক কম থাকে। যার কারণে এমনটা হয়।
  • শেয়ার্ড হোস্টিং এ আপনার সার্ভার সেটিং এর উপর সীমিত নিয়ন্ত্রণ থাকে।
  • শেয়ার্ড হোস্টিং এ আগে অনেক কাস্টমাইজড করার সুযোগ ছিল। যা বর্তমান প্রোভাইডাররা দিচ্ছে না। ডেডিকেটেড সার্ভারের তুলনায় শেয়ার্ড হোস্টিং এ সুযোগ খুব কম।
  • হোস্টিং প্ল্যান অন্য অনেক ওয়েবসাইটের সাথে শেয়ার করার ফলে আপনার রিসোর্সের মধ্যে লিমিটেশন চলে আসবে। যার ফলে আপনার সাইট ওভারলোডেড সমস্যায় পড়বে। যদি একই সময়ে অন্য সাইটের ডিমান্ড রেট বেশি থাকে। আর এর ফলে আপনার সাইট ডাউন হয়ে যাবে এবং ভিজিটরা সেই সময় আর আপনার সাইটে ভিজিট করতে পারবেনা।

শেয়ার্ড হোস্টিং কাদের জন্য উপযুক্ত

শেয়ার্ড হোস্টিং কাদের জন্য উপযুক্ত এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলে আপনারাও জেনে যেতে পারবেন আপনার জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং নেওয়া ঠিক হবে না হবে না সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে বিস্তারিত জেনে নেই। আপনি যদি অনলাইনে নতুন হয়ে থাকেন বা আপনি যাচ্ছেন কোন একটা ছোট ব্যবসা করতে তাহলে আপনার জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং সবচাইতে ভালো হবে।

আর সবচাইতে বড় কথা হলো ব্যক্তিগত যে কোন ওয়েবসাইটের জন্য শেয়ার্ড হোস্টিংই সবচাইতে ভালো একটি উপায়। কারণ একদিকে এটি সস্তা দামে পাওয়া যায়। অন্যদিকে এর বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়েও এটি যথেষ্ট ভালো ফিচার প্রদান করে থাকে। তাই যারা নতুন আছেন এবং অনলাইনে একটি ওয়েবসাইট খোলার চিন্তা করছেন, তাদের জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং সবচাইতে ভালো হবে।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুকের পাসওয়ার্ড কিভাবে দেখবো এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন 

তবে আপনারা শেয়ার্ড হোস্টিং কেনার আগে একটি নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত কোম্পানী বেছে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে ভবিষ্যতে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সম্মুখীন আপনাদের হতে হবে না। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কাদের জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং ক্রয় করা উপযুক্ত হবে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে শেয়ার্ড হোস্টিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

শেয়ার্ড হোস্টিং কাদের জন্য উপযুক্ত নয়

শেয়ার্ড হোস্টিং কাদের জন্য উপযুক্ত নয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে ভালোভাবে ভিতরের লেখা গুলো পড়তে হবে। তাহলে আপনারা কাদের জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং উপযুক্ত নয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। যারা অনলাইনে ইতিমধ্যেই একটি সফল এবং বড় ব্যবসা দাঁড় করে দিয়েছেন, তাদের জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং উপযুক্ত নয়।

কারণ ব্যবসার প্রয়োজনে আপনাকে আরো বেশি সার্ভার রিসোর্স এবং কাস্টমাইজেশনের প্রয়োজন হতে পারে। যার কারণে উচ্চ ট্রাফিক ধারণ করা ওয়েবসাইটের জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং একেবারেই তখন উপযুক্ত হবে না। কারণ এটি খুব বেশি ট্রাফিক পরিচালনা করতে পারবে না। তবে আপনার সাইটে যদি প্রতিমাসে দুই থেকে তিন লাখ ট্রাফিক আসে তাহলে শেয়ার্ড হোস্টিং এই পরিমাণ ট্রাফিক পরিচালনা করার সক্ষমতা রাখবে।

আরো পড়ুনঃ মেসেঞ্জারে কেউ ব্লক করলে কিভাবে আনব্লক করবো জানুন বিস্তারিত  

এছাড়াও যাদের ই-কমার্স ওয়েবসাইট আছে, তাদের ক্ষেত্রেও শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করা উচিত হবে না। কারণ তাদের জন্য আরও বেশি নিরাপত্তা এবং আরও বেশি পারফরম্যান্সের প্রয়োজন রয়েছে। আর আপনারা জানেন শেয়ার্ড হোস্টিং নিরাপত্তার ব্যবস্থা খুব একটা বেশি জোরদার নয়। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কাদের জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করা উচিত হবে না। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে শেয়ার্ড হোস্টিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

শেয়ার্ড হোস্টিং কিভাবে কাজ করে

শেয়ার্ড হোস্টিং কিভাবে কাজ করে এ সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন। চলুন আজকের এই পর্বে আমরা শেয়ার্ড হোস্টিং কিভাবে কাজ করে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে তা জেনে নেওয়া যাক। শেয়ার্ড হোস্টিং এর কাজ করার ধরন খুবই সহজ। শেয়ার্ড হোস্টিং এর প্যাকেজে অনেক কিছুই অটোমেটিক হয়ে থাকে।

শেয়ার্ড-হোস্টিং-কিভাবে-কাজ-করেতাছাড়াও হোস্টিং প্রোভাইডার শেয়ার্ড হোস্টিং গুলো ম্যানেজ করে থাকে। যার কারণে এই প্যাকেজ ব্যবহার করা নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য অনেক সুবিধা জনক হয়ে থাকে। চলুন এবার আমরা দেখে আসি শেয়ার্ড হোস্টিং কিভাবে কাজ করে থাকে সেই সম্পর্কে। শেয়ার্ড হোস্টিং এ একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রিসোর্স ব্যবহারকারীরা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করে থাকে। অর্থাৎ একটি সার্ভার স্পেস এবং রিসোর্স ব্যবহারকারীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়।
এতে ব্যবহারকারীরা স্পেস এবং রিসোর্সগুলো সমান ভাগে ব্যবহার করতে পারে। বিশেষ করে ছোট বিজনেস বা পোর্টফোলিও ওয়েবসাইটের জন্য যে ধরনের প্যাকেজ প্রয়োজন হয় এবং যার দাম অনেক কম থাকবে তেমন প্যাকেজ বিবেচনা করলে শেয়ার্ড হোস্টিং এর প্যাকেজ সবচাইতে বেশি উপযোগী। কারণ এটি কম দামে পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃ সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় জেনে নিন   

যদিও এভাবে ওয়েবসাইটের পারফরমেন্সে অনেক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কিন্তু অল্প দামে হওয়াতে মানুষ শেয়ার্ড হোস্টিং প্যাকেজ সহজেই কিনতে আগ্রহী হয়। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে শেয়ার্ড হোস্টিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

শেয়ার্ড হোস্টিং এর মূল্য উপাদান

শেয়ার্ড হোস্টিং এর মূল্য উপাদান সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। আজকের এই পর্বে আমরা শেয়ার্ড হোস্টিং এর যাবতীয় মূল উপাদান গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। আপনি যদি একটি শেয়ার্ড হোস্টিং প্যাকেজ কিনেন তাহলে কি কি সেই প্যাকেজের ভিতরে অন্তর্ভুক্ত থাকবে চলুন তা দেখে নিই।

ডোমেইনঃ আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা, যেমন www.yourwebsitename.com। আবার অনেক প্যাকেজের ভেতর ফ্রি ডোমেইন অফার করা হয়ে থাকে। যা ব্যবহারকারীর জন্য আরো বেশি লাভজনক।

কন্ট্রোল প্যানেলঃ সাধারণত আপনার হোস্টিং অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করার জন্য একটি সহজ ইন্টারভিসের প্রয়োজন পড়ে। যেমন সেটা হতে পারে cPanel বা Plesk ইত্যাদি।

স্টোরেজঃ আপনার ইস্টোরেজের ভেতর আপনার ওয়েবসাইটের ফাইল, ছবি, ভিডিও সবকিছু জমা থাকে। একটি SSD (Solid State Drive) হলে ওয়েবসাইটের জন্য খুবই ভালো হয়। কারণ এটি ওয়েবসাইটের গতি বৃদ্ধি করে থাকে।

ব্র্যান্ডউইথঃ সাধারণভাবে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ভিজিটরদের কাছে ডেটা কত দ্রুত বা কত পরিমাণে পৌঁছাতে পারে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে এই ব্র্যান্ডউইথের উপর। মূলত ব্র্যান্ডউইথ এ সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যত বেশি ব্র্যান্ডউইথ তত বেশি ভিজিটর সামলানোর ক্ষমতা রাখবে সাইট।

ইমেইল একাউন্টঃ আপনার ডোমেইন নামের সাথে মিলিয়ে প্রফেশনাল ইমেল আইডি, যেমন info@yoursitename.com থাকতে পারে।

শেয়ার্ড হোস্টিং প্রোভাইডার নির্বাচন

শেয়ার্ড হোস্টিং প্রোভাইডার নির্বাচন সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। কারণ শেয়ার্ড হোস্টিং প্যাকেজ কেনার আগে কাদের কাছ থেকে এই প্যাকেজটি কিনবেন? কি দেখে কিনবেন? সেই সম্পর্কে আপনাদের আগাম ধারণা থাকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
বাংলাদেশে মূলত নানা হোস্টিং কোম্পানি রয়েছে। সঠিক প্রোভাইডার নির্বাচন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চলুন নিচের আলোচনা থেকে সেগুলো দেখে আসি।

কাস্টমার সাপোর্টঃ বাংলাদেশের যতগুলো হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানি রয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে যারা ২৪/৭ কাস্টমার সাপোর্ট দিয়ে থাকে। তাদের কাছ থেকে শেয়ার্ড হোস্টিং প্যাকেজ নিতে পারেন। তাহলে যে কোন সমস্যা হলে দ্রুত তাদের কাছে জানিয়ে সেটার সমাধান করা যাবে।

দামঃ আপনি এমন একটি হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানির খোঁজ করবেন, যে কোম্পানি আপনার বাজেটের মধ্যে সেরা ফিচারগুলো প্রোভাইড করে থাকে। শেয়ার্ড হোস্টিং প্যাকেজ কেনার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি লক্ষ্য রেখে প্যাকেজটি কিনতে পারেন।

স্পিডঃ হোস্টিং প্রোভাইডার নির্বাচন করার আগে দেখে নিবেন, কোন হোস্টিং প্রোভাইডারের সার্ভার কত দ্রুত চলে. কারণ হোস্টিং সার্ভার কত দ্রুত চলে তা আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিডকে প্রভাবিত করবে। তাই এই বিষয়টি দেখে নেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেই সাথে যে সকল হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানি SSD প্রোভাইড করে থাকে। তাদের বেশি প্রাধান্য দিবেন।

আপটাইমঃ সাধারণত আপনার ওয়েবসাইট কতক্ষণ অনলাইনে থাকে তা আপটাইম দ্বারা সহজেই বোঝা যায়। তাই শেয়ার্ড হোস্টিং প্যাকেট কেনার সময় এমন হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানির খোঁজ করবেন যারা ৯৯.৯% এর নিশ্চয়তা দেয়।

নিরাপত্তাঃ শেয়ার্ড হোস্টিং প্যাকেজ কেনার আগে এমন হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানির খোঁজ করতে হবে, যারা DDoS সুরক্ষা, SSL সার্টিফিকেট, ম্যালওয়ার স্ক্যানিংয়ের মতো নিরাপত্তা ফিচার প্রোভাইড করে থাকে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে।

কেন শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করবেন

কেন শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করবেন চলুন এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আপনি যদি নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন অথবা আপনার নতুন কোন ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে আপনি শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করতে পারবেন। কারণ নতুন ওয়েবসাইটে সাধারণত ভিজিটরদের সংখ্যা অনেক কম থাকে। যার কারণে আপনার ওয়েবসাইটের Data transfer এবং Website Load দুটোই তুলনামূলকভাবে কম থাকে।

এছাড়াও অনেক মানুষ আছে যারা শুরুর দিকে তেমন কোন টাকা খরচ করতে চায় না তাদের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত হোস্টিং হিসেবে শেয়ার্ড হোস্টিং সবচাইতে ভালো হবে। আর যখন আপনার ওয়েবসাইট ধীরে ধীরে গ্রো করবে এবং ওয়েবসাইটের ভিজিটর সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়বে। তখন আপনি আপনার হোস্টিং প্ল্যান আপগ্রেড করে নিতে পারেন।

আমাদের দেশে সাধারণত ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা দিয়ে শেয়ার্ড হোস্টিং কিনতে পারা যায়। হোস্টিং একটি সার্ভারে আপনার ওয়েবসাইট ফাইলগুলো স্থানান্তর করে রাখে এবং ওয়েবসাইটটি সঠিকভাবে কাজ করানোর জন্য নিচের দেওয়া সেবাগুলো প্রদান করে থাকে।

ইমেইল হোস্টিংঃ হোস্টিং সেবা সাধারণত আপনাকে ইমেইল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করে থাকে। আপনি ডোমেইন নাম সহ নিজের ইমেইল এড্রেসগুলো সহজেই তৈরি করতে পারবেন।

ডাটাবেস সমর্থনঃ হোস্টিং সেবা সাধারণত আপনাকে ডাটাবেস সমর্থন প্রদান করে থাকে। যাতে আপনি ডাটাবেস ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের তথ্য সংরক্ষণ এবং প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রাখেন।

ডোমেইন নামঃ হোস্টিং সেবা সাধারণত আপনাকে একটি ডোমেইন নাম প্রদান করে থাকবে। যাতে আপনি ওয়েবসাইটের ঠিকানা খুব সহজেই নির্দিষ্ট করতে পারেন।

ডিস্ক স্পেসঃ সাধারণভাবে হোস্টিং সেবা আপনাকে ডিস্ক স্পেস প্রদান করে থাকবে। যাতে আপনি ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো খুব সহজেই সংরক্ষণ করতে পারেন। এছাড়াও এটি আপনাকে সাধারণত ডিস্কের মাধ্যমে কিছু পরিমাণ জিবি থেকে শুরু করে বেশি ডিস্ক স্পেস প্রদান করে থাকবে।

ব্র্যান্ডউইথঃ হোস্টিং সেবা মূলত আপনাকে ব্র্যান্ডউইথ প্রদান করে থাকে। যা ওয়েবসাইটে ট্রাফিক সংক্রান্ত। এটি ব্রান্ডউইথ এর সীমানা নির্দিষ্ট করে। যেটি আপনার ওয়েবসাইট সংক্রান্ত ডাটা ট্রান্সফারের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

কখন শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করবেন 

কখন শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করবেন এই সম্পর্কে আপনারা জেনে নিতে পারেন। আজকের এই পর্বে আমরা কখন শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

কখন-শেয়ার্ড-হোস্টিং-ব্যবহার-করবেন
ছোট ব্যবসা বা ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রেঃ

আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট খুলে থাকেন বা আপনার ওয়েবসাইট যদি ছোট আকারের হয়, যেমন ধরেন ব্যক্তিগত পোর্টফলিও, ব্যক্তিগত ব্লগ, ছোট ই-কমার্স ওয়েবসাইট অথবা তথ্যমূলক ওয়েবসাইট তাহলে আপনার জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং সবচাইতে ভালো হবে। যেমন ধরুন আপনার ভিজিটর মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার, তাহলে আপনি খুব সহজেই শেয়ার্ড হোস্টিং ব্যবহার করতে পারেন। আপনার জন্য এই সময় শেয়ার্ড হোস্টিং সবচাইতে বেশি ভালো হবে।

নতুন ব্লগ বা পোর্টফোলিওঃ 

যদি ব্যাপারটা এমন হয় আপনি কেবল আপনার ওয়েবসাইট বা ব্যবসা শুরু করেছেন বা শুরুতে আপনি তেমন বেশি টাকা খরচ করতে চাচ্ছেন না বা আপনি ভাবছেন প্রথম অবস্থায় আপনার ওয়েবসাইটে বেসি ভিজিটর আসবেনা। তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে শেয়ার্ড হোস্টিং নিতে পারেন। যখন আপনার ব্যবসা বড় হবে তখন আপনি হোস্টিং প্যাকেজ চেঞ্জ করে নিতে পারেন। অথবা আপনি চাইলে VPS, Dedicated চলে যেতে পারেন। এটাই আপনার জন্য সবচাইতে বেশি ভালো হবে।

শেয়ার্ড হোস্টিং কোথা থেকে কিনবো 

শেয়ার্ড হোস্টিং কোথা থেকে কিনবো এই সম্পর্কে আপনারা জেনে নিতে পারেন। আজকের এই পর্বে আমরা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো কোথা থেকে শেয়ার্ড হোস্টিং প্যাকেজ কিনলে সবচাইতে ভালো হয়। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। বর্তমানে যতগুলো হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানি রয়েছে। তাদের প্রত্যেককেই শেয়ার্ড হোস্টিং বিক্রি করে থাকে।

আপনি চাইলে বিদেশি হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানি থেকে শেয়ার্ড হোস্টিং কিনতে পারবেন। অথবা দেশীয় হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানি থেকে শেয়ার্ড হোস্টিং কিনতে পারবেন। তবে সাধারণত হোস্টিং প্রোভাইডার কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বা বিশেষ দিনকে সামনে রেখে হোস্টিংয়ের অফার দিয়ে থাকে।

আপনি চাইলে সেখান থেকেও আপনার পছন্দের হোস্টিং প্যাকেজ ক্রয় করতে পারেন। তাছাড়াও ব্লাক ফ্রাইডে এবং সাইবার মানডে উপলক্ষে বিদেশি কোম্পানিগুলো দেশীয় কোম্পানির সাথে মিলে অনেক আকর্ষণীয় অফার দিয়ে থাকে। আপনি চাইলে সেই অফার গুলো লুফে নিতে পারেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের জনপ্রিয় হোস্টিং কোম্পানি itnuthosting  এ শেয়ার্ড হোস্টিং এর অনেক আকর্ষণীয় প্যাকেজ অফার করে থাকে।
আপনি চাইলে সেই প্যাকেজ গুলো নিতে পারেন। তবে আপনি যেখান থেকেই হোস্টিং কিনেন না কেন কিনার আগে অবশ্যই কোম্পানির রেপুটেশন এবং রিভিউ দেখে নিবেন। কারণ অনলাইনে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী রয়েছে যারা আপনার সাথে প্রতারণা করতে পারে। এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে শেয়ার্ড হোস্টিং কিনতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে শেয়ার্ড হোস্টিং এর সুবিধা ও অসুবিধা এবং শেয়ার্ড হোস্টিং কি এই সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা শেয়ার্ড হোস্টিং এর সুবিধা ও অসুবিধা  সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি শেয়ার্ড হোস্টিং কি এই সম্পর্কেও। সাধারণত একটি ওয়েবসাইটের জন্য হোস্টিং অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। এখন হোস্টিং অনেক ধরনের রয়েছে। আপনি কোন হোস্টিং কিনবেন সেটা নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার নিজের কাজের উপর।

অর্থাৎ আপনি যদি নতুন কোন ব্যবসা দাঁড় করানোর জন্য কোন নতুন ওয়েবসাইট খুলে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য শেয়ার্ড হোস্টিং সবচাইতে বেশি উপযুক্ত হবে। এছাড়াও ব্লগিং ওয়েবসাইটের জন্য, শিক্ষার্থীদের জন্য সবচাইতে উপযুক্ত হোস্টিং হচ্ছে শেয়ার্ড হোস্টিং।

আমি উপরের আলোচনায় শেয়ার্ড হোস্টিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা যদি উপরের আলোচনাটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। তাহলে শেয়ার্ড হোস্টিং এর বিষয়ে যাবতীয় সবকিছু বিস্তারিত জেনে যেতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url