লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয় জানুন বিস্তারিত তথ্য

লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয় এই সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা লবঙ্গ খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যের নানা গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হয়ে থাকে। তাই এর সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া একান্ত জরুরী।

লবঙ্গ-চিবিয়ে-খেলে-কি-হয়
লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই আপনারা লবঙ্গ খাওয়ার যাবতীয় গুনাগুন সম্পর্কে জেনে যেতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ লবঙ্গ খাওয়ার যাবতীয় গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন 

লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয়

লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয় এই সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার ফলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার ফলে বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়। নিচের আলোচনায় সেগুলো দেওয়া হলোঃ 
  • রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করেঃ লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার ফলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। কেননা লবঙ্গে রয়েছে ইউজেনল নামক একটি প্রদাহবিরোধী পদার্থ। যেটি শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করার কাজে সহায়তা করে থাকে। আর শরীরে রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে বৃদ্ধি পেলে শরীরে প্রয়োজনীয় পরিমাণ অক্সিজেন এবং পুষ্টি পাওয়া যায়। যা শরীরকে ভালো রাখার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
  • মুখের সমস্যা দূর করেঃ লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার ফলে এতে থাকা অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক গুণাবলী মুখের দুর্গন্ধ দূর করে দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ করে এবং দাঁতকে বিভিন্ন সংক্রমনের হাত থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি এটি দাঁতের মাড়ির রোগ, মাড়ির ফোলাভাব এবং দাঁতের ব্যথা দূর করতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ খাবার গ্রহণ করার পর লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে খাবার সহজে হজম হয়ে যায়। কেননা লবঙ্গে রয়েছে ইউজেনল নামক একটি যৌগ। যেটি খাবারকে সহজে হজম করিয়ে এসিডিটি, গ্যাস, বদহজম ইত্যাদি নানা পেটের সমস্যা থেকে রক্ষা করে থাকে।
  • লিভার পরিষ্কার রাখেঃ লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার ফলে এটি নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য প্রদান করে থাকে। লবঙ্গে থাকা ইউজেনল এবং থাইমল নামক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান লিভার থেকে যাবতীয় ক্ষতিকর টক্সিন উপাদান বের করে দিয়ে লিভারকে ভালো রাখতে সহায়তা করে থাকে।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধঃ লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার ফলে এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড, ফেনোলিক, ইউজেনল সহ আরো নানা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। এই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুলো শরীরের বিভিন্ন প্রদাহ কমিয়ে থাকে, হৃদরোগের ঝুঁকে থেকে রক্ষা করে থাকে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে। দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে সুস্থ করে তুলতেও সহায়তা প্রদান করে থাকে।
  • অসুখ বিসুখ দূরীকরণেঃ লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার ফলে বমি ভাব, সর্দি-কাশি, হাঁচি, মাথাব্যথা, হাঁপানি ইত্যাদি নানা অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পাশাপাশি এটি চিবিয়ে খাওয়ার ফলে গলায় আটকে থাকা কফ প্রতিরোধ হয়ে থাকে। এমনকি এটি গলার সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে থাকে।
  • মানসিক শান্তি পেতেঃ লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার ফলে মাথা থেকে মানসিক চাপ দূরে থাকে। শরীর ও মনের যাবতীয় ক্লান্তি দূর করতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এজন্য ১টি বা ২টি লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এটি খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার শরীর ও মন ফুরফুরে হয়ে যাবে।
  • আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধেঃ লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার ফলে আর্থারাইটিসের সমস্যা প্রতিরোধ হয়ে হয়ে থাকে। কেননা এতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুণাগুণ। এই গুণাগুণ থাকার কারণে জয়েন্টের ব্যথা, পেশী ও হাঁটুর ব্যথা, পিঠ ও হাড়ের ব্যথা প্রতিরোধ করতেও এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • ডায়াবেটিস প্রতিরোধেঃ লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার ফলে এতে থাকা এক ধরনের বিশেষ উপাদান ইন্সুলিনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যার ফলে ডায়াবেটিসের সমস্যা প্রতিরোধ হয়ে থাকে। 
  • রক্তকে পরিষ্কার করতেঃ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার ফলে এটি রক্ত থেকে যাবতীয় ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিয়ে রক্তকে পরিশোধন করে থাকে। যার ফলে রক্ত পরিষ্কার থাকে। 
  • অস্টিয়োপোরোসিসের ঝুঁকি কমাতেঃ রাতে লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার ফলে এতে থাকা এক ধরনের বিশেষ উপাদান হাড়ের জোর বৃদ্ধিতে এবং বোন ডেনসিটি বাড়িয়ে তুলতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।

লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা লবঙ্গ খাওয়ার ফলে যে সকল উপকারিতা পাওয়া যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। লবঙ্গ খাওয়ার বেশ কয়েকটি উপকারিতা রয়েছে। নিচের আলোচনায় সেগুলো দেখানো হলোঃ   
  • লবঙ্গের তেল ত্বকের উপকারের জন্য বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। লবঙ্গের তেলে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ। যা ত্বকের যাবতীয় ব্রণ দূর করতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • লবঙ্গতে থাকা সুগন্ধ মানসিক স্ট্রেস কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। পাশাপাশি এটি মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে লবঙ্গ খাওয়া যেতে পারে। এটি খাওয়ার ফলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে শুরু করে সর্দি কাশির সমস্যা প্রতিরোধ হয়ে থাকে। এমন কি এটি গলা ব্যথা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • লবঙ্গতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • লবঙ্গ খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা প্রতিরোধ হয়ে থাকে। যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা তৈরি হয় না, পেট ব্যথা সমস্যা তৈরি হয় না এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
  • লবঙ্গ খাওয়ার ফলে ব্রেস্ট ক্যান্সার এবং ওভারিয়ান ক্যান্সার ভালো হয়ে থাকে।
  • লবঙ্গতে রয়েছে ভোলাটাইল অয়েল। যা শরীর থেকে যাবতীয় ধরনের ক্ষতিকর টক্সিন উপাদান বের করে দিয়ে শরীরকে নানা রকম জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। 
  • লবঙ্গতে রয়েছে ভিটামিন কে এবং ভিটামিন ই। এই উপাদানগুলো এতটাই শক্তিশালী যে এই উপাদান গুলোর কারণে শরীরের যাবতীয় ক্ষতিকর ভাইরাস মরে যায়। আর এর ফলেই শরীরে ভাইরাল ফিবারের উৎপাত কমানো সম্ভব হয়।
  • লবঙ্গতে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুনাগুন শরীরের বিভিন্ন জীবাণু ধ্বংস করার কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। যার ফলে কলেরা, শরীরের বিভিন্ন ব্যথা, যকৃতের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধ হয়ে থাকে। 
  • পেটের রোগ, জ্বর সহ আরো অন্যান্য রোগ হলে খাবারের প্রতি অরুচি ভাব দেখা দেই। এই সমস্যা প্রতিরোধ করতে লবঙ্গের গুঁড়া খাওয়া যেতে পারে। এজন্য সকালে খালি পেটে এবং দুপুরের খাবারের পর লবঙ্গের গুঁড়া খেতে হবে। তাহলে এ ধরনের সমস্যা দূর হবে।
  • অনেক সময় বারবার পানির তৃষ্ণা পায়। এটি একটি তৃষ্ণা জনিত রোগ। এ রোগ প্রতিরোধ করতে সকালে ও বিকেলে লবঙ্গ খাওয়া যেতে পারে। তাহলে এ ধরনের সমস্যা দূর হবে।
  • অনেকের ঘন ঘন মাথা ব্যাথা দেখা যায় বা যাদের সাইনোসাইটিস এর সমস্যা রয়েছে তারা এ সকল সমস্যা দূর করার জন্য লবঙ্গ দিয়ে তৈরি চা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। তাহলে তাদের এ ধরনের সমস্যা প্রতিরোধ হবে।
  • রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে লবঙ্গ খাওয়া যেতে পারে। এটি ইন্সুলিনার সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যার ফলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে লবঙ্গ খাওয়া যেতে পারে। এমনকি এটি খাওয়ার ফলে রক্তচাপ কমে থাকে। পাশাপাশি রক্তনালীর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
  • পাকস্থলীতে আলসারের সমস্যা তৈরি হলে লবঙ্গ খেতে পারেন। এই সমস্যা প্রতিরোধে নিয়মিত ২টি লবঙ্গ খাবেন। তাহলে এই লবঙ্গ পাকস্থলীতে মিউকাস উৎপাদনের সহায়তা করবে। যার ফলে পাকস্থলীর আলসারের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
  • বুকের ব্যথা হলে লবঙ্গের তেল বুকে মালিশ করতে পারেন। লবঙ্গের তেল বুকে মালিশ করার ফলে বুকের ব্যথা প্রতিরোধ হয়ে থাকে।
  • লবঙ্গতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা শরীরে বয়সের ছাপ ধীর করে দিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • আরো পড়ুনঃ কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার ১৯টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন           

  • অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ফলে অনেক সময় বিষক্রিয়ার সম্মুখীন হতে পারেন। এ সময় আপনারা লবঙ্গ খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা লবঙ্গতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্যটি খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার জন্য যে সকল ব্যাকটেরিয়া দায়ী যেমনঃ কোলাই, স্টেপটোকক্কাস ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক

লবঙ্গের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা লবঙ্গ খাওয়ার ফলে যত ধরনের ক্ষতি হতে পারে তা সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। লবঙ্গ খাওয়ার ফলে যেমন উপকার হয়ে থাকে ঠিক তেমন এটি সঠিক মাত্রায় না খেলে কিছু ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে। নিচের আলোচনায় সেগুলো দেখানো হলোঃ
  • যে সকল ব্যক্তিদের রক্তে শর্করার মাত্রা কম রয়েছে, তারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত কখনোই লবঙ্গ খাবেন না। কেননা অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়ার ফলে হাইপারগ্লাইসিমিয়ার সমস্যা তৈরি হতে পারে।
  • লবঙ্গ খাওয়ার ফলে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা হয়, তারা লবঙ্গ খাওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন। কেননা এলার্জি আক্রান্ত ব্যক্তিদের ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি, জ্বালাপোড়া করা এবং শ্বাসকষ্ট সমস্যা তৈরি হতে পারে।
  • প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। কেননা এটি অতিরিক্ত খেলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে, খিচুনি দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি এতে থাকা ইউজেনল রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াকে ধির করে দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা তৈরি হয়। আর হজমের সমস্যা তৈরি হলে গ্যাস, ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব ইত্যাদি নানা সমস্যা তৈরি হতে দেখা যায়।
  • রক্তপাত জড়িত সমস্যায় আক্রান্ত থাকলে লবঙ্গ খাওয়া উচিত নয়। কেননা এই সময় এটি খাওয়ার ফলে রক্ত তরল করে দেয়। তাই এই সময় লবঙ্গ খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
  • দাঁতের মাড়িতে যদি সরাসরি লবঙ্গ তেল ব্যবহার করা হয়, তাহলে দাঁতের মাড়িতে ক্ষত কিংবা জ্বালাপোড়া করার সম্ভাবনা দেখা দেই। তাই এটি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • যে সকল ব্যক্তিরা হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত রয়েছে, তাদের জন্য এই সময় লবঙ্গ খাওয়া উচিত নয়। কেননা এই সময়ে এটি খেলে রক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে। তাই এই সময় এটি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
  • মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য নিয়মিত লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়া অথবা মুখে রাখা উচিত নয়। কেননা এটি নিয়মিত করলে বিষক্রিয়া তৈরি হয়। যা থেকে বমি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই কাজটি এড়িয়ে চলতে হবে।
  • শিশুদের লবঙ্গ তেল সরাসরি খাওয়াবেন না। কেননা এটি শিশুদের সরাসরি খাওয়ালে নানা ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

রাতে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা রাতে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। রাতে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। নিচের আলোচনায় সেগুলো দেখানো হলোঃ
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লবঙ্গ দিয়ে তৈরি চা পান করতে পারেন। এই চা খাওয়ার ফলে রাতে খুব সুন্দর ঘুম হবে। এমনকি রাতে লবঙ্গ দিয়ে তৈরি চা খেলে লবঙ্গতে থাকা প্রাকৃতিক সুগন্ধ মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে সহায়তা করে। ফলে সব ধরনের মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১ থেকে ২টি লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এ কাজটি করার ফলে এতে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান মুখের যাবতীয় দুর্গন্ধ তৈরি করার কাজে সহায়তাকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে ফেলে। যার ফলে সতেজ নিঃশ্বাস নেয়া সম্ভব হয়।
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা লবঙ্গ দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। রাতে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে এতে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, গলায় আটকে থাকা কফ প্রতিরোধ করে থাকে।
  • নিয়মিত রাতে এক চিমটি লবঙ্গ গুড়া পানির সাথে মিস করে খেয়ে নিতে পারেন। এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে থাকবে। একই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
  • রাতে লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন। অথবা আপনারা চাইলে দাঁতের মাড়িতে লবঙ্গ তেল লাগাতে পারেন। এ কাজগুলো করার ফলে দাঁতের ব্যথা প্রতিরোধ হয়ে থাকবে। পাশাপাশি মাড়িতে বিভিন্ন ইনফেকশনের সংক্রমণ হবে না।
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১টি লবঙ্গ এবং ১ গ্লাস পানি পান করতে পারেন। এ কাজটি করার ফলে হজম প্রক্রিয়া সহজ হবে। পাশাপাশি গ্যাস, এসিডিটি, বদহজম, পেট ফাঁপা, বুক জ্বালাপোড়া ইত্যাদি নানা সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১ থেকে ২টি লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এই কাজটি করার ফলে মুখের যাবতীয় ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে থাকবে। পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে তুলতে এটি সহায়তা করবে। 
  • আরো পড়ুনঃ তেজপাতার ১৮টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন            

  • নিয়মিত রাতে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। যার ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত চর্বি দ্রুত সময়ের মধ্যে গলে যায়। যার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা খুব সহজ হয়ে যায়।

গর্ভাবস্থায় লবঙ্গ খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় লবঙ্গ খাওয়া যাবে কি এই সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা গর্ভকালীন সময়ে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে ক্ষতি হয় না লাভ হয় তা সম্পর্কে জানা একান্ত প্রয়োজন। আজকের এই পর্বে আমরা গর্ভকালীন সময়ে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে কি হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

গর্ভাবস্থায়-লবঙ্গ-খাওয়া-যাবে-কি
গর্ভকালীন সময়ে লবঙ্গ খাওয়া তেমন একটি ক্ষতিকর নয়। তবে আপনার সন্দেহ হলে নিকটস্থ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। গর্ভকালীন সময়ে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়। নিচের আলোচনায় তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলোঃ

গর্ভকালীন সময়ে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতাঃ
  • গর্ভকালীন সময়ে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে এতে থাকা পর্যাপ্ত ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে। পাশাপাশি শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বৃদ্ধিতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • গর্ভকালীন সময়ে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে এতে থাকা ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস হাড়ের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই হাড়ের গঠনে এই সময় এটি খাওয়া যেতে পারে।
  • গর্ভকালীন সময়ে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে এতে থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। যার ফলে অকালে সন্তান প্রসব হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। পাশাপাশি এটি রক্ত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • গর্ভকালীন সময়ে গর্ভধারিনী মায়ের হজমের সমস্যা দূর করতে লবঙ্গ খাওয়া যেতে পারে। এতে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। যার ফলে গ্যাস, এসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি নানা সমস্যা থেকে এই সময় মুক্তি পাওয়া যায়।
  • গর্ভকালীন সময়ে বমি বমি ভাব কিংবা বমি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই আশঙ্কা দূর করতে লবঙ্গ খেতে পারেন। কেননা লবঙ্গ খাওয়ার ফলে এতে থাকা ইউজেনল নামক উপাদান গর্ভকালীন সময়ে বমি বমি ভাব কিংবা বমি দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • লবঙ্গতে রয়েছে ফ্লাভোনয়েড নামক প্রদাহ বিরোধী গুণাগুণ। এই গুণাগুণ থাকার কারণে গর্ভকালীন সময়ে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে গর্ভধারিনী মায়ের গর্ভকালীন সময়ে নানা রকম ব্যথা এবং যন্ত্রণার হাত থেকে রক্ষা করতে লবঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • গর্ভকালীন সময়ে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে এতে থাকা ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে পাওয়া যায়। যা ঠান্ডা এবং ফ্লু এর মতো সমস্যা মোকাবেলায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। 
  • গর্ভকালীন সময়ে লবঙ্গ খাওয়া যেতে পারে। কেননা লবঙ্গতে রয়েছে ভিটামিন ই নামক উপাদান। এই উপাদানটি পেশী গঠন করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। 
  • গর্ভকালীন সময়ে শিশুর সঠিক বিকাশের জন্য লবঙ্গ খাওয়া যেতে পারে। কেননা এতে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, সোডিয়াম এবং ফসফরাসের মতো নানা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। যা শিশুর সঠিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • গর্ভকালীন সময়ে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন পাওয়া যায়। এ সকল উপাদানগুলো শরীরকে শক্তি যোগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • গর্ভকালীন সময়ে নানা রকম রোগ হতে দেখা যায়। তাই এই সময় লবঙ্গ খাওয়ার ফলে এতে থাকা শক্তিশালী আন্টি এক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার কাজে সহায়তা করে।
  • লবঙ্গতে থাকা নানা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান গর্ভকালীন সময়ে ভ্রুনের বিকাশে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
গর্ভকালীন সময়ে বিশেষ সতর্কতাঃ
  • গর্ভকালীন সময়ে লবঙ্গ তেল অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। কেননা এই সময় এটি অতিরিক্ত খেলে অকালে সন্তান প্রসব হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এমনকি জরায়ুর সংকোচন দেখা দিতে পারে।
  • আরো পড়ুনঃ জায়ফল এর ১৪টি উপকারিতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানুন             

  • গর্ভকালীন সময়ে লবঙ্গ অতিরিক্ত খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। কেননা এটি এ সময় অতিরিক্ত গ্রহণ করার ফলে ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, পেট ফাঁপা, গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বদ হজম, শ্বাসকষ্ট, রক্তক্ষরণ সহ আরো অন্যান্য নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে।
  • গর্ভকালীন সময়ে লবঙ্গ তেল কখনোই ত্বকে ব্যবহার করবেন না। কেননা এটি এই সময় ব্যবহার করলে ত্বকে না ধরনের চুলকানি এবং জ্বালাপোড়ার সমস্যা তৈরি হতে পারে।
  • গর্ভকালীন সময়ে দাঁতের যন্ত্রণার কারণে বা সাধারণ কোন রোগে লবঙ্গ তেল ব্যবহার করা যাবেনা। কারন এই সময় এটি ক্ষতিকারক হতে পারে।
  • গর্ভকালীন সময়ে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে এলার্জি সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই যাদের আগে থেকেই এলার্জি সমস্যা রয়েছে, তারা এই সময় এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
গর্ভকালীন সময়ে লবঙ্গ খাওয়ার পদ্ধতিঃ 
  • গর্ভকালীন সময়ে আপনার যদি নাক বন্ধ থাকে তাহলে আপনি কিছু লবঙ্গ নিয়ে পানিতে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। তারপর এর গন্ধ নাখে নিন। তাহলেই আপনার বন্ধ নাখ খুলে যাবে।
  • গর্ভকালীন সময়ে হজম শক্তি বাড়াতে খাবার গ্রহণ করার পর ১ থেকে ২টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে খেতে পারেন। অথবা লবঙ্গের চা তৈরি করে খেতে পারেন।
  • গর্ভকালীন সময়ে রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্য রান্নায় হালকাভাবে লবঙ্গ গুড়া কিংবা গোটা লবঙ্গ ছিটিয়ে দিতে পারেন।

খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা পাওয়া যায়। নিচের আলোচনায় সেগুলো দেখানো হলোঃ
  • খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। একই সঙ্গে কাজের প্রতি মনোযোগী হওয়া যায়। পাশাপাশি এটি অলসতা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে থাকে।
  • সকালে খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে লিভারের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। পাশাপাশি এটি লিভার থেকে যাবতীয় ধরনের ক্ষতিকর টক্সিন উপাদান বের করে দেওয়ার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকেন, তারা সকালে খালি পেটে লবঙ্গ খেতে পারেন। খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। যার ফলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি গলে যায়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। পাশাপাশি এটি ক্ষুধা লাগার পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে।
  • নিয়মিত খালিপেটে লবঙ্গ খাওয়ার চেষ্টা করুন। কেননা খালি পেটে লবঙ্গ খেলে মাথা ব্যথার সমস্যা প্রতিরোধ হয়ে থাকে।
  • বমি বমি ভাব কমানোর ক্ষেত্রে খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়া অনেক বেশি জরুরী। কেননা পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে এটি মুখের লালার সঙ্গে মিশে যায়। যার ফলে কিছু পরিমাণ এনজাইম সৃষ্টি হয়ে থাকে। যার ফলে বমি বমি ভাব দূর হয়ে থাকে।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে এতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান মুখের ভেতর যাবতীয় ধরনের ব্যাকটেরিয়া সারাদিনের জন্য দূরে রাখতে সহায়তা করে। পাশাপাশি এটি সতেজ নিঃশ্বাস নিতে সহায়তা করে।
  • নিয়মিত সকালে খালি পেটে লবঙ্গের গুড়া খাওয়ার ফলে রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। একই সঙ্গে ইনসুলিনের পরিমাণ বৃদ্ধিতেও এটি সহায়তা করে। যার কারণে ডায়াবেটিসের সমস্যা প্রতিরোধ হয়।
  • লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান। এই উপাদান গুলো থাকার কারণে এটি সকালে খালি পেটে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
  • লবঙ্গ খালিপেটে চুষার ফলে মুখের যাবতীয় ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে থাকে। পাশাপাশি এটি মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে গ্যাটের ব্যথা এবং বাত ব্যথা প্রতিরোধ হয়ে থাকে।
  • খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
  • আরো পড়ুনঃ খালি পেটে এলাচ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন            

  • সকালে খালি পেটে লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে লালা উৎপন্ন হয়ে থাকে। এ সকল লালা থেকে হজমে সহায়তা করতে পারে এমন নানা উৎসেচক উপাদান বের হয়। যা পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে থাকে। আর এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা প্রতিরোধ হয়ে থাকে। 
খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার পদ্ধতিঃ
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ১ থেকে ২ টি লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে হবে। চিবিয়ে খাওয়ার পর হালকা গরম এক গ্লাস পানি খেয়ে নিতে হবে। এভাবে নিয়মিত ১ মাস লবঙ্গ খাওয়ার ফলে শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ উপকার সাধিত হয়ে থাকবে। এছাড়াও আপনারা উপরের আলোচনা থেকে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয় এবং লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা এই সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন। 

লবঙ্গ ব্যবহার করার নিয়ম

লবঙ্গ ব্যবহার করার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা লবঙ্গ ব্যবহার করার যাবতীয় নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। লবঙ্গ ব্যবহারের বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। নিচের আলোচনায় সেগুলো দেখানো হলোঃ
  • লবঙ্গ মূলত একটি শুকনো ফুল। এটি সারা বছর বিভিন্ন মুদির দোকানে, মসলার দোকানে পাওয়া যায়। এটিকে গুঁড়া না করে আস্ত খাওয়ায় সবচাইতে ভালো। সেই সাথে এটিকে বাতাস প্রবেশ করতে না পারে এমন পাত্রে রেখে সংরক্ষণ করতে হবে।
  • কুমড়োর পাই তৈরি করার সময় লবঙ্গকে কুঁচি কুঁচি করে কেটে এর সাথে যোগ করে দিন। তাহলে কুমড়োর পাইটি খেতে আরো সুস্বাদু হবে।
  • বাড়িতে যখন চা তৈরি করবেন তখন চায়ের সাথে ১ থেকে ২ টুকরা লবঙ্গ আস্ত দিয়ে দিবেন। তারপর এই চা খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতে লবঙ্গের গুণাগুণ গুলো পাওয়া যাবে।
  • বাড়িতে যখন বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরি করেন, সেই আচারে এখন থেকে লবঙ্গ ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এতে করে আচারের স্বাদ একদিকে যেমন বৃদ্ধি পাবে। তেমন অন্যদিকে লবঙ্গ ব্যবহার করা আচার খেলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
  • বাসা বাড়িতে দৈনন্দিন এর বিভিন্ন তরকারি রান্না করার সময় এতে লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে তরকারির স্বাদ আরো বৃদ্ধি পাবে।
  • মুল্ড ওয়াইন তৈরি করার সময় এর সাথে লবঙ্গ ছিটিয়ে দিবেন। তাহলে এর টেস্ট আরো ভালো পাবেন।
  • বাড়িতে যখন বিভিন্ন ধরনের মাংস রান্না করবেন, সেই রান্নাই এখন থেকে লবঙ্গ ঘষে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। তাহলেই মাংসের আসল টেস্ট পেতে পারবেন।
  • বাসা বাড়িতে মাছি তাড়ানোর ক্ষেত্রে লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি মথবলের গন্ধ দূর করার জন্যও চাইলে লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন। পাশাপাশি ড্রয়ারের লাইনগুলোতে লবঙ্গ ব্যবহার করার ফলে খুব সুন্দর একটি সুগন্ধ অনুভব করতে পারবেন।
  • মিড, সিডার এমনকি গরম চকলেট তৈরি করার কাজে লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন। 
  • বাসা বাড়িতে যখন কুমড়ো কিংবা স্কোয়াসের খাবার তৈরি করবেন, তখন এর সাথে লবঙ্গ দিতে পারেন। এর সাথে লবঙ্গ ব্যবহার করার ফলে এর স্বাদের সঙ্গে লবঙ্গ পুরোপুরি মিশে যায়।
  • কফি, ডুমুর বানানোর ক্ষেত্রে আপনারা লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন।
  • বাসা বাড়িতে কেক কিংবা মিষ্টান্ন জাতীয় কোন খাবার তৈরি করার সময় এই খাবারগুলোকে আরো মসলাদার স্বাদ যুক্ত করার জন্য এর সাথে লবঙ্গ গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন।
  • দাঁতে ব্যাথা হলে আগেই ডাক্তারের কাছে না গিয়ে ১ টি লবঙ্গ নিয়ে কামড়াতে থাকুন। তাহলেই দাঁতের ব্যথা ভালো হয়ে যাবে।

লবঙ্গের পুষ্টি উপাদান

লবঙ্গের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা লবঙ্গ খাওয়ার ফলে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। যা শরীরকে নানা রকম অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা করে থাকে। নিচের আলোচনায় লবঙ্গের যাবতীয় পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ দেওয়া হলোঃ

প্রতি ১ চামচ লবঙ্গে রয়েছে-

পুষ্টি উপাদান পরিমান
ফাইবার ০.৭২ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ১৩.৫৭ মিলিগ্রাম
আইরন ০.১৮ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ৫.৫৪ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ২.২ মিলিগ্রাম
পটাসিয়াম ২৩.১৪ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম ৫.১ মিলিগ্রাম
ভিটামিন এ ১১.১৩ আইইউ
প্রোটিন ০.১৩ গ্রাম
চর্বি ০.৪২ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ১.২৯ গ্রাম
দস্তা ০.০২ মিলিগ্রাম
ম্যাঙ্গানিজ ০.৬৩ মিলিগ্রাম
ভিটামিন ই ০.১৮ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি ১.৭ মিলিগ্রাম
ভিটামিন কে ২.৯৮ এমসিজি
কিলোক্যালোরি
চিনি ২.৪ গ্রাম
ভিটামিন ডি ০ গ্রাম
জিংক ০.০২ মিলিগ্রাম

চুলের যত্নে লবঙ্গ ব্যবহার করার উপকারিতা

চুলের যত্নে লবঙ্গ ব্যবহার করার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা লবঙ্গকে কাজে লাগিয়ে চুলের দারুন ভাবে উপকার সাধন হয়ে থাকে। আজকের এই পর্বে চুলের যত্নে লবঙ্গকে কিভাবে কাজে লাগাবেন এবং কি কি উপকার পাবেন তা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

চুলের-যত্নে-লবঙ্গ-ব্যবহার-করার-উপকারিতা
  • নতুন চুল গজাতে সাহায্য করেঃ চুলে লবঙ্গ ব্যবহার করার ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয়। এছাড়াও এটি চুলের রুক্ষ-শুষ্ক ভাব দূর করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি এটি বিভিন্ন ধরনের দূষণের হাত থেকে চুলের নষ্ট হওয়া রোধ করে। একই সঙ্গে এটি মাথায় নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে থাকে।
  • অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে পারেঃ বিভিন্ন কারণে চুল পড়তে দেখা যায়। এর মধ্যে অন্যতম হলো দুশ্চিন্তা, দূষণ, রোদ এবং ধূমপান। লবঙ্গতে রয়েছে পলিফেনল নামক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এই উপাদানটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। যার ফলে চুলে লবঙ্গ ব্যবহার করার কারণে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমে থাকে। আর এর ফলে অতিরিক্ত চুল উঠা বন্ধ হয়।
  • রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখেঃ লবঙ্গ চুলে ব্যবহার করার ফলে এতে থাকা ভিটামিন কে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। পাশাপাশি এটি চুলের বৃদ্ধিতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • খুশকি সমস্যা দূর করতেঃ চুলে লবঙ্গ ব্যবহার করার ফলে চুলের খুশকি সমস্যা দূর হয়ে থাকে। কেননা লবঙ্গতে রয়েছে অ্যান্টি ম্যাক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লামাটরি বৈশিষ্ট্য। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে চুলের খুশকি সমস্যা দূর হয়। পাশাপাশি মাথার তালুতে বা স্কাল্পে চুলকানি, ফুসকুড়ি ইত্যাদি নানা সমস্যা প্রতিরোধ হয়ে থাকে।
  • চুলের গোড়া মজুদ করেঃ চুলের গোড়া মজবুত করতে চুলে লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন। কেননা চুলে লবঙ্গ ব্যবহারে এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বিটা ক্যারোটিন নামক উপাদান পাওয়া যায়। যা চুলের গোড়া শক্ত করতে সহায়তা করে। পাশাপাশি চুলের ভঙ্গুর সমস্যা রোধ করে।
চুলে লবঙ্গ ব্যবহার করার পদ্ধতিঃ
এজন্য প্রথমে একটি পাত্র নিয়ে ৪ কাফ পরিমান পানি গরম করে নেন। তারপর এই পানিতে ১০টি লবঙ্গ ছেড়ে দিন। আপনারা চাইলে এর সাথে কিছু কারি পাতা ছেড়ে দিতে পারেন। এই মিশ্রণ গুলোকে একসাথে কিছুক্ষণ ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। এরপর পানি ঠান্ডা হলে কাচের শিশিতে করে ভরে হেয়ার প্যাকটি ফ্রিজে রেখে দিন।

এই হেয়ার প্যাকটি অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। যার ফলে চুলে ছত্রাক কিংবা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করতে পারে না। সপ্তাহে ২ বার এই হেয়ার প্যাকটি চুলে ব্যবহার করার ফলে চুলের খুশকি সমস্যা দূর হয় এবং চুল ঝরা প্রতিরোধ হয়ে থাকে। এছাড়াও আপনারা উপরের আলোচনা থেকে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

লবঙ্গ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ প্রতিদিন লবঙ্গ খেলে কি হয়?

উত্তরঃ প্রতিদিন লবঙ্গ খাওয়ার ফলে এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও নিয়মিত লবঙ্গ খাওয়ার ফলে সর্দি, কাশি, ফ্লু সহ আরো নানা অসুখ-বিসুখ খুব সহজে ভালো হয়ে থাকে। তাই আপনাদের উচিত নিয়মিত লবঙ্গ খাওয়া।

প্রশ্নঃ দিনে কতটুকু লবঙ্গ খাওয়া যাবে?

উত্তরঃ দিনে ২ থেকে ৩টি লবঙ্গ খাওয়া যেতে পারে। কিংবা আপনারা চাইলে দিনে ১ চামচ পরিমাণ লবঙ্গ গুড়া ব্যবহার করে চা তৈরি করে খেতে পারেন। এর থেকে বেশি দিনে লবঙ্গ খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। কেননা অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়ার ফলে পেটের নানা সমস্যা তৈরি হতে পারে।

প্রশ্নঃ বেশি লবঙ্গ খাওয়া কি ক্ষতিকর?

উত্তরঃ হ্যাঁ, অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। কেননা অতিরিক্ত লবঙ্গ খেলে পেট ফাঁপা, গ্যাস, এসিডিটি, বদহজম, ডায়রিয়া সহ নানা পেটের রোগ হতে পারে। তাছাড়াও এতে থাকা ইউজেনল নামক উপাদান অতিরিক্ত গ্রহণ করলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে। 

প্রশ্নঃ লবঙ্গ কোথা থেকে পাওয়া যায়?

উত্তরঃ লবঙ্গের উৎপত্তি হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। তবে এটি বর্তমানে পৃথিবীর সর্বত্রই চাষ হয়ে থাকে। ইন্দোনেশিয়া ও মাদাগাস্কার এর পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কাতে লবঙ্গের চাষ হয়ে থাকে। এই দেশগুলো থেকেই বর্তমানে লবঙ্গ পাওয়া যায়।

প্রশ্নঃ লবঙ্গ ভেজানো পানি খেলে কি হয়?

উত্তরঃ লবঙ্গ ভিজানো পানি খাওয়ার ফলে হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়। যার ফলে পেট ফাঁপা, এসিডিটি, বদ হজম ইত্যাদি নানা সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়াও এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হাওয়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। পাশাপাশি এটি মুখের ভেতরের বিভিন্ন জীবাণু ধ্বংস করে মুখের গন্ধ দূর করে।

প্রশ্নঃ লবঙ্গের পানি কিভাবে বানায়?

উত্তরঃ লবঙ্গের পানি তৈরি করার জন্য ২ থেকে ৩টি লবঙ্গ নিয়ে ১ গ্লাস পানিতে ছেড়ে দিতে হবে। এরপর এটি সাড়া রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপরে পরের দিন সকালে খালি পেটে এটি খেয়ে ফেলতে হবে। তাহলেই লবঙ্গের যাবতীয় গুনাগুন গুলো খুব সহজেই পেয়ে যেতে পারবেন।

প্রশ্নঃ লবঙ্গের পানি কতদিন থাকে?

উত্তরঃ লবঙ্গ দিয়ে তৈরিকৃত পানি ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায়। তবে এটি তৈরি করার আগে যে পাত্রে এটি তৈরি করা হবে তা পরিষ্কার হতে হবে এবং শুকনো হতে হবে। তারপর সেই পাত্রে লবঙ্গ পানি তৈরি করে ফ্রিজে রেখে প্রায় কয়েক সপ্তাহ সংরক্ষণ করে খাওয়া যেতে পারে।

প্রশ্নঃ লবঙ্গ খেলে কি কাশি কমে?

উত্তরঃ হ্যাঁ, লবঙ্গ খাওয়ার ফলে সর্দি-কাশি প্রতিরোধ হয়ে থাকে। এজন্য সামান্য ঠান্ডা লাগলেই এক চিমটি লবঙ্গের গুড়া এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খালি পেটে খেয়ে নিতে হবে। তাহলেই সর্দি-কাশি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে না।

প্রশ্নঃ লবঙ্গ মুখে মাখলে কি হয়?

উত্তরঃ মুখে লবঙ্গ তেল মাখার ফলে মুখের যাবতীয় ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া মরে যায়। তাছাড়াও এটি মুখে ব্যবহার করার ফলে এতে থাকা নানা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ত্বকের ব্রণের সমস্যা, ত্বকের নানা দাগ দূর করে থাকে। পাশাপাশি এটি মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিলে ত্বকের জেল্লা ভাব ফুটে ওঠে। 

প্রশ্নঃ লবঙ্গ তেল কীভাবে তৈরি করবেন?

উত্তরঃ লবঙ্গ তেল তৈরি করার জন্য ১ কাপ নারিকেল তেল নিতে হবে, নিতে হবে ১ মুঠো পরিমাণ লবঙ্গ। তারপর এই উপকরণগুলোকে একটি পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিতে হবে। ফুটিয়ে নেওয়ার পর এভাবেই কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। যখন এটি ঠান্ডা হবে তখন বাতাস প্রবেশ করতে না পারে এমন পাত্রে এই তেলটি সংরক্ষণ করতে হবে। এছাড়াও আপনারা উপরের আলোচনা থেকে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরও জানতে সক্ষম হয়েছি লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কেও। লবঙ্গ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারি। তাই এটি কখন কিভাবে খেতে হবে? এটি খাওয়ার ফলে কেমন ধরনের উপকার পাওয়া যাবে? বা এটি কি পরিমান খেলে উপকার হবে?

তার সবকিছুই আমি উপরের আলোচনায় বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা যদি উপরের আলোচনাটি ভালোভাবে পড়তে পারেন। তাহলে লবঙ্গ খাওয়ার যাবতীয় ভালো দিকগুলো এবং খারাপ দিকগুলো খুব সহজে জেনে যেতে পারবেন। যা আপনাদের দৈনন্দিন বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যায় অবশ্যই সাহায্য করবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url