দারুচিনি খাওয়ার ২২টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা দারুচিনি খাওয়ার ফলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা সাধিত হয়ে থাকে। একই সঙ্গে এটি খাওয়ার ফলে অপকারিতাও হয়ে থাকে।

দারুচিনি-খাওয়ার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা
দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই মূলত দারুচিনি খাওয়ার যাবতীয় উপকারিতা এবং অপকারিতা বিস্তারিত জানতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ দারুচিনি খাওয়ার যাবতীয় গুণাগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন 

দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা দারুচিনি খাওয়ার যাবতীয় উপকারিতা গুলো এবং অপকারিতাগুলো জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। দারুচিনি একটি মসলার নাম। এটি সাধারণত গাছের বাকল থেকে পাওয়া যায়। নিচের আলোচনায় দারুচিনির যাবতীয় উপকারিতা গুলো এবং অপকারিতা গুলো তুলে ধরা হলোঃ

দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা গুলোঃ

  1. দারুচিনিতে প্রোসিয়ানিডিন নামক এক ধরনের উপাদান রয়েছে। এই উপাদানটি চুলের ফলিকলগুলোকে দ্রুত বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে থাকে। একই সঙ্গে দারুচিনি চুলের ঝরে পড়া রোধ করে এবং টাক প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  2. অনেক সময় দেখা যায় যে বয়স হওয়ার কারণে মস্তিষ্কের কোষগুলোর কার্যক্ষমতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। দারুচিনি খাওয়ার ফলে এতে থাকা দুইটি যৌগ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য সহায়তা করে থাকে। যার ফলে পার্কিনসন্স এবং আলঝাইমার এর মতো অসুখ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  3. দারুচিনি দাঁতের ব্যথা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে। একই সঙ্গে নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও এটি সহায়তা করে থাকে। সেই সঙ্গে এটি মুখে অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি প্রতিহত করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  4. কার্ডিওভাসকুলার এক ধরনের রোগ। এ রোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে দারুচিনি খেতে পারেন।এটি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে এটি রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। যার কারণেই কার্ডিওভাসকুলার এর মতো রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
  5. ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় দারুচিনি ব্যবহার করতে পারেন। দারুচিনি ব্যবহার করার ফলে ত্বকের ব্রণের সমস্যা দূর হয়, ফুসকুড়ির সমস্যা দূর হয়। এমনকি ত্বকের প্রদাহ কমাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এজন্য আপনারা ত্বকের নানামুখী সমস্যায় দারুচিনিকে কাজে লাগাতে পারেন।  
  6. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে দারুচিনি বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কেননা এটি রক্তের প্রবাহে প্রবেশ করতে পারে এমন সকল গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। যার দরুন ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে।
  7. হজমের সমস্যা দূর করতে নিয়মিত দারুচিনি খাওয়া যেতে পারে। কেননা দারুচিনিতে রয়েছে প্রিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য। যা মূলত অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য ঠিক রাখার কাজে সহায়তা করে থাকে। যার দরুন হজমের সমস্যা ভালো হয়ে থাকে।
  8. শরীরের রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখার কাজে দারুচিনি সহায়তা করতে পারে। কেননা দারুচিনিতে কুমারিন নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ যৌগ রয়েছে। যা মূলত রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখার কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  9. হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত দারুচিনি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। কেননা এটি খাওয়ার ফলে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল দূর হয়ে যায়। যার ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একই সঙ্গে এটি নিয়মিত খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
  10. দারুচিনিতে সিনামালডিহাইড নামক এক ধরনের উপাদান রয়েছে। এই উপাদানটি মূলত ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  11. ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে দারুচিনি খেতে পারেন। এটি খাওয়ার ফলে এতে থাকা এন্টিব্যাকেরিয়াল গুণ এবং এন্টিফাঙ্গাল গুণ সংক্রমনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলে। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাস প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
  12. শরীরের নানা প্রদাহ কমাতে দারুচিনি খেতে পারেন। এতে থাকা বিশেষ গুণাবলী আর্থ্রাইটিস সহ শরীরের নানা অঙ্গ পতঙ্গের প্রদাহ কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
  13. দারুচিনিতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলী রয়েছে। যা মূলত শরীরের কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে এই গুণাবলীটি ক্যান্সারসহ আরো অন্যান্য ভয়াবহ রোগের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে থাকে।
  14. এসিডিটি, বদহজম, গ্যাস, পেট ফাঁপা ইত্যাদি নানা সমস্যায় দারুচিনি খাওয়া যেতে পারে। এটি এ ধরনের সমস্যা সহ পেটের ব্যথার মতো সমস্যায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। তাই আপনারা এ ধরনের সমস্যায় দারুচিনি খেতে পারেন।
  15. গর্ভকালীন সময়ে দারুচিনি খাওয়া যেতে পারে। কেননা এই সময় বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের ভয় রয়েছে। তাই এই সময় দারুচিনি খেলে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়।
  16. শরীরের হাড়কে মজবুত করার ক্ষেত্রে দারুচিনি খাওয়া যেতে পারে। কেননা এতে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা শরীরের হাড়কে শক্ত করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
  17. গবেষণায় দেখা গেছে যে দারুচিনি খাওয়ার ফলে এইচআইভি এবং বিভিন্ন ভাইরাসজনিত রোগ প্রতিহত হয়ে থাকে। কেননা দারুচিনিতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা মূলত এ ধরনের সমস্যায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  18. দারুচিনি খাওয়ার ফলে পেটের নানা সমস্যা প্রতিহত করা যায়। এটি খাওয়ার ফলে পাকস্থলীর আলসার সাড়ানো সম্ভব হয়। এমনকি এটি খাওয়ার ফলে ক্ষুধার পরিমাণ বাড়ানো যায়। এছাড়াও এটি বমি বমি ভাব প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  19. দারুচিনি ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আর এর ফলেই টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সহজ হয়।
  20. দারুচিনি খাওয়ার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। দারুচিনি বিপাক প্রক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে।যা শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও এটি খাওয়ার ফলে ক্ষুধার জ্বালা কমে থাকে। যার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
  21. রক্তে শর্করার মাত্রা ১০ থেকে ২৯৮ শতাংশ কমানোর ক্ষেত্রে দারুচিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে। কেননা দারুচিনির এন্টি ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা এমনভাবে কমানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করে থাকে।
  22. নিয়মিত দারুচিনি খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে সর্দি-কাশি, ফ্লু এর মতো অসুখ-বিসুখ প্রতিরোধ হয়ে থাকে।

দারুচিনি খাওয়ার অপকারিতা গুলোঃ
  • দারুচিনি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা এটি অতিরিক্ত খেলে লিভারের সমস্যা তৈরি হতে দেখা যায়। এছাড়াও যারা ডায়াবেটিসে রক্ত তরল করার ওষুধ নিয়মিত খান। তাদের জন্য এটি খাওয়া এ সময় নিরাপদ হবে না।
  • দারুচিনিতে কুমারিন নামক একটি উপাদান রয়েছে। এই উপাদানটি থাকার কারণে এটি অতিরিক্ত খেলে যকৃতের ক্ষতি সাধন হতে পারে ।
  • দারুচিনি খাওয়ার ফলে কারো কারো ক্ষেত্রে এলার্জি সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর এলার্জির সমস্যা তৈরি হলে চুলকানি, ফুসকুড়ি, লালচে ভাব এবং শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হতে পারে। এমনকি মুখ, জিহ্বা, ঠোঁট ফুলে যেতে পারে।
  • দারুচিনি রক্ত পাতলা করতে সহায়তা করতে পারে। যার ফলে দেখা যায় এটি খাওয়ার ফলে রক্তপাতে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও এটি অতিরিক্ত খেলে মুখে বা গলায় জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে।
  • দারুচিনি অতিরিক্ত খেলে এটি রক্তচাপের পরিমাণ আরো কমিয়ে দিতে পারে। তাছাড়াও এটি অতিরিক্ত গ্রহণ করার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা এটি আরো কমিয়ে দিতে পারে যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ক্ষতিকারক।
  • গর্ভকালীন সময়ে দারুচিনি গর্ভবতী মায়েদের অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। কেননা এই সময় এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে জরায়ুর সংকোচন এর মতো সমস্যা তৈরি হতে পারে।
  • লিভার সিরোসিস বা জন্ডিসের সমস্যায় আক্রান্ত থাকলে দারুচিনি বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। তবে এটি খেতে চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
  • যাদের মুখে ঘা এর সমস্যা রয়েছে, তাদের দারুচিনি বেশি মাত্রায় খাওয়া উচিত নয়। কেননা এটি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে তাদের এলার্জির সমস্যা তৈরি হতে দেখা যায়।
  • দারুচিনি শিশুদের খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্ক হতে হবে। কেননা এটি তাদের খাওয়ানোর ফলে তাদের শরীরের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই তাদের এটি খাওয়ানোর আগে সতর্ক হওয়া উচিত।
  • যাদের হাঁপানি সমস্যা রয়েছে তাদের দারুচিনি খাওয়ার আগে সতর্ক হতে হবে। কেননা এটি খাওয়ার ফলে তাদের বারবার কাশি সমস্যা কিংবা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা তৈরি হতে দেখা যায়।
  • গ্যাস্ট্রোপেরেসিস আক্রান্ত রোগীদের দারুচিনি খাওয়ার আগে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা এটি খাওয়ার ফলে তারা সহজে হজম করতে পারে না। এছাড়াও এটি বেশি মাত্রায় খেলে পেটের জ্বালাপোড়া সমস্যা তৈরি হয়। যা থেকে পাকস্থলীর আলসার কিংবা ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • অতিরিক্ত দারুচিনি খাওয়ার ফলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়, রক্তশূন্য হয়ে যেতে পারে, নিম্ন রক্তচাপ দেখা দিতে পারে। এমনকি ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারে।
  • হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীরা দারুচিনি বেশি পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। কেননা এটি তাদের ক্ষেত্রে হার্ট রেট বাড়িয়ে তুলতে পারে। 

দারুচিনি খাওয়ার নিয়ম

দারুচিনি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা দারুচিনি কিভাবে খেলে এর কি কি উপকারিতা পাওয়া যাবে তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। দারুচিনি খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। এ সকল নিয়ম মেনে দারুচিনি খেলেই এর যাবতীয় উপকারিতা পাওয়া যায়। নিচে নিয়ম গুলো দেওয়া হলোঃ
  • দারুচিনি বিভিন্ন খাবারের সাথে মিস করে খেতে পারেন। তাছাড়াও আপনারা চাইলে চায়ের সাথে দারুচিনি মিস করেও খেতে পারেন। দারুচিনি মূলত রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
  • ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস পানিতে দারুচুরির গুঁড়া মিস করে খেয়ে নিতে পারেন। এভাবে খাওয়ার ফলে রাতে দুর্দান্ত ঘুম হবে।
  • দারুচিনিকে প্রথমে গরম পানিতে ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর এই ফুটানো পানি ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে নিয়ে এর সাথে লেবুর রস এবং মধু মিক্স করে দিবেন। তারপর খেয়ে ফেলবেন। এভাবে খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন খুব দ্রুত কমে যায়।
  • আপনারা এক কাপ গরম পানি নিবেন তারপর তাতে দারুচিনি গুড়া এবং মধু মিস করে দিবেন। তারপর তা চায়ের মতো খেয়ে ফেলবেন। এভাবে খাওয়ার ফলে ঠান্ডা গলা ব্যথা এবং খুসখুসে কাশি প্রতিরোধ হয়ে থাকবে।
  • আপনারা দারুচিনি গুড়া এবং মধু নিয়ে এই দুইটি উপকরণকে একসঙ্গে করে ফেসপ্যাক তৈরি করে নিবেন। তারপর আপনারা এটি আপনাদের ত্বকে লাগাবেন এই ফেসপ্যাকটি ত্বকের নানা সমস্যায় ভূমিকা রাখবে।
  • আপনারা ৪ থেকে ৫টি দারুচিনিকে গরম পানিতে সেদ্ধ করে নিবেন। তারপর সেই পানি আপনাদের মুখে কিছুক্ষণ রাখবেন। এতে করে মুখের যাবতীয় দুর্গন্ধ খুব সহজে দূর করা যাবে। 
  • আপনারাতি ৫ গ্রাম মতো দারুচিনি গুড়ার সঙ্গে ১ চামচ মধু মিস করে দিনে ৩ বার সেবন করার চেষ্টা করুন। এভাবে সেবন করার ফলে পেট ফাঁপা ভাব দূর করা যাবে।
  • নিয়মিত দুধের সঙ্গে দারুচিনি মিস করে খেতে পারেন। এভাবে খাওয়ার ফলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়ে থাকে।
  • আরো পড়ুনঃ মৌরি খাওয়ার ১৯টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন          

  • আপনারা যদি অলিভ অয়েল এর সাথে মধু ও দারুচিনি গুড়া মিস করে পেস্ট তৈরি করে নেন। তারপর ৩০ মিনিট মতো মাথার স্কাল্পে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলেন। তাহলে আপনাদের চুল পড়া সমস্যা প্রতিরোধ হয়ে থাকবে।

রাতে দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা

রাতে দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা রাতে দারুচিনি খাওয়ার ফলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। রাতে দারুচিনি খাওয়ার ফলে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। নিচে সেগুলো আলোচনা করা হলোঃ
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দারুচিনি মেশানো জল খেতে পারেন। কেননা দারুচিনিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনোল এর মতো দুইটি গুরুত্বপূর্ণ যৌগ। যা রক্তে সুগারের মাত্রা কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এর ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে।
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক টুকরা দারুচিনি খাওয়ার ফলে বেশ প্রশান্তি ময় একটা ঘুম হবে। একই সঙ্গে ঘুমানোর সময় নিঃশ্বাসে যে দুর্গন্ধ হয় তা দূর হয়ে থাকবে।
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দারুচিনি মেশানো জল খাওয়ার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ভাব বৃদ্ধি পায়, ত্বক সুস্থ থাকে এবং ত্বকের ছিদ্র নিরাময় হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দারুচিনি মেশানো জল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। কেননা দারুচিনিতে রয়েছে অ্যান্টি-ভাইরাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল জাতীয় বৈশিষ্ট্য। যা মূলত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার কাজে সহায়তা করে থাকে।
  • সর্দি-কাশি নিরাময়ে দারুচিনি কাজ করে থাকে। এজন্য আপনারা রাতে গরম দুধের সাথে হাফ চামচ দারুচিনি গুড়া মিস করে খেয়ে ফেলবেন। এটি মূলত এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা আপনার সর্দি কাশি নিরাময় হতে সহায়তা করে থাকবে।
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মধু মিশ্রিত দারুচিনির জল খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে দারুচিনির এই জলটি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেতে পারেন।
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দারুচিনি মিশ্রিত জল খেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে যে কোন জিনিস খুব সহজে মনে থাকে। এছাড়াও এই জল রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে খেলে অ্যালজাইমার এবং পার্কিনসন্স এর মতো ভয়াবহ রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। 
  • বাত ব্যথা এবং আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে দারুচিনিকে কাজে লাগাতে পারেন। এজন্য আপনারা এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ দারুচিনি গুড়া মিস করে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে খেলে এ ধরনের ব্যথা প্রতিরোধ করা যাবে।
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দারুচিনি মিশ্রিত জল খাওয়ার ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়ে থাকে। কেননা এই জলে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধী বৈশিষ্ট্য। যা ক্যান্সার বৃদ্ধিকারী কোষকে ধীরগতি করে দেই। যার ফলে ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়ে থাকে।
  • রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে দারুচিনি খেতে পারেন। এটি খালি পেটে কিংবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দারুচিনি মিশ্রিত জল খাওয়ার ফলে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। এমনকি রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা থাকলে সেটিও প্রতিরোধ হয়ে থাকে। 

সকালে খালি পেটে দারুচিনি জল খাওয়ার উপকারিতা

সকালে খালি পেটে দারুচিনি জল খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা সকলে খালি পেটে দারুচিনি জল খাওয়ার ফলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা সাধিত হয়ে থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিজের আলোচনায় তা বিস্তারিত তুলে ধরা হলোঃ
  • সকালে খালি পেটে দারুচিনি জল খাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের আক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করা সম্ভব হয়। কেননা দারুচিনি মিশ্রিত এই জলে রয়েছে জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। যার ফলে এই জল এ ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে থাকে।
  • সকালে খালি পেটে দারুচিনি মিশ্রিত জল খাওয়ার ফলে নিঃশ্বাসের সাথে আসা দুর্গন্ধ প্রতিরোধ হয়ে থাকে। কেননা এই জলে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। যা এ ধরনের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  • সকালে খালি পেটে দারুচিনি জল খাওয়ার ফলে মেজাজ ভালো হয়ে থাকে। কেননা দারুচিনি মিশ্রিত এই জল মানসিক অবসাদ কমিয়ে মনকে ফুরফুরে করে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • সকালে খালি পেটে দারুচিনি মিশ্রিত জল খাওয়ার ফলে ত্বকের নানা উন্নতি হয়ে থাকে। এই জল খাওয়ার ফলে ত্বকে ব্রণের সমস্যা তৈরি হয় না। তাছাড়াও এই জল ত্বককে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে থাকে।
  • সকালে খালি পেটে দারুচিনি মিশ্রিত জল খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন জ্বালা যন্ত্রণা, ব্যথা প্রতিরোধ হয়ে থাকে। এমনকি এই জল খাওয়ার ফলে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগ ভালো করতে এটি দুর্দান্ত কাজ করে।
  • সকালে খালি পেটে দারুচিনি মিশ্রিত জল খাওয়ার ফলে বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। যার কারণে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি পুড়ে যায়। এর ফলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে।
  • সকালে খালি পেটে দারুচিনি মিশ্রিত জল খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। কেননা দারুচিনি মিশ্রিত এই জলে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
  • সকালে খালি পেটে নিয়মিত দারুচিনি মিশ্রিত জল খাওয়ার ফলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়, ট্রাইগ্লিসারাইড এর পরিমাণ কমে যায় এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
  • আরো পড়ুনঃ ধনিয়ার ১২টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন          

  • সকালে খালি পেটে দারুচিনি মিশ্রিত জল খাওয়ার ফলে শরীরের নানা ধরনের প্রদাহ কমে থাকে। কেননা এই জলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি যৌগ। যা এ ধরনের প্রদাহ কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী অবদান রাখে। 
  • সকালে খালি পেটে দারুচিনি মিশ্রিত জল খাওয়ার ফলে হজমের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। একই সঙ্গে গ্যাস এবং পেটের ফোলা ভাব প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়ে থাকে।
দারুচিনি মিশ্রিত জল বানানোর পদ্ধতিঃ

এজন্য প্রথমে আপনারা এ ক্লাস গরম পানি নিবেন। তারপর সেই পানিতে ১ চিমটি পরিমাণ দারুচিনি গুড়া মিস করে দিবেন। এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত এটি চামচ দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে গুলিয়ে নিন। এরপর তা আপনারা হালকা গরম থাকা অবস্থায় খেয়ে ফেলুন। এভাবে খুব সহজে আপনারা দারুচিনি মিশ্রিত জল বাড়িতে তৈরি করে খেতে পারেন।

দারুচিনি দিয়ে তৈরি চা খাওয়ার উপকারিতা

দারুচিনি দিয়ে তৈরি চা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা দারুচিনি দিয়ে চা খাওয়ার ফলে বেশ কিছু স্বাস্থ্যগুণ পাওয়া যায়। আজকের এই পর্বে আমরা দারুচিনি দিয়ে চা তৈরি করে খাওয়ার ফলে কি কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

দারুচিনি-দিয়ে-তৈরি-চা-খাওয়ার-উপকারিতা
  • দারুচিনি দিয়ে তৈরি চা নিয়মিত খাওয়ার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। আর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ হলে উচ্চ রক্তচাপ সহ আরো নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।
  • রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এটি মূলত একটি প্রদাহ জনিত রোগ। এই রোগটি সাধারণত বয়স বাড়ার সাথে সাথে মহিলাদের বেশি হতে দেখা যায়। নিয়মিত দারুচিনি চা খেলে এ ধরনের রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
  • দারুচিনি চা মহিলাদের মাসিকের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই চা খেলে মাসিকের সময় ব্যথা হওয়া, বমি বমি ভাব হওয়া কিংবা রক্তপাতের সমস্যা মোকাবেলা করতে সহায়তা করে।
  • দারুচিনি দিয়ে চা খাওয়ার ফলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। কেননা দারুচিনি দিয়ে তৈরিকৃত চায়ে অ্যান্টি ডায়াবেটিক প্রভাব রয়েছে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা ১০ থেকে ২৯৮ শতাংশ কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।
  • দারুচিনি দিয়ে তৈরি চা মূলত একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ চা। যার ফলে এই চা খাওয়ার ফলে অক্সিডেটিভ ড্যামেজ কিংবা নানা ক্ষতিকারক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
  • দারুচিনি দিয়ে তৈরিকৃত চা নানা ধরনের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে থাকে। এই চা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের পেসী, হাড় এবং টিস্যুতে হওয়া না ধরনের প্রদাহ কমাতে এটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • দারুচিনি দিয়ে তৈরিকৃত চা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান, তারা দারুচিনি মিশ্রিত চা সেবন করতে পারেন।
  • দারুচিনি মিশ্রিত চা মূলত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যার কারণে এই চা খাওয়ার ফলে শরীর থেকে যাবতীয় ক্ষতিকর পদার্থ খুব সহজে বের করে দেওয়া সম্ভব হয়।
  • দারুচিনি দিয়ে তৈরিকৃত চা খাওয়ার ফলে শরীর থেকে যাবতীয় খারাপ কোলেস্টেরল দূর করা যায়। সেই সঙ্গে শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ানো যায়। যা মূলত হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখার কাজে সহায়তা করে।
  • আরো পড়ুনঃ হরিতকির ৩টি অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন         

  • দারুচিনি দিয়ে তৈরিকৃত চা নানা রকম অসুখ-বিসুখের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। কেননা এই চা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। সেইসঙ্গে এই চা অ্যান্টি ভাইরাল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল সমৃদ্ধ। এই উপাদান গুলো থাকার কারণেই দারুচিনি চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে।
দারুচিনি চা তৈরি করার পদ্ধতিঃ

এজন্য আপনারা এক কাপ পরিমাণ গরম পানি নিবেন। তারপর এই পানির সাথে ১ চামচের ৪ ভাগের এক ভাগ দারুচিনি গুড়া মিস করে দিবেন। তারপর এটিকে ভালোভাবে জাল দিতে থাকবেন। এরপর ছাঁকনির সাহায্যে ছেঁকে এই চায়ের সাথে মধু এবং দু একটি পুদিনা পাতা দিয়ে দিবেন। তারপর তা খেয়ে ফেলবেন। এই চা দিনে দুইবারের বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন না।

তাছাড়াও যারা ডায়াবেটিসের রোগী রয়েছেন, তারা এই চা খাওয়ার সময় এতে মধু মিস করবেন না। এভাবে আপনারা খুব সহজে দারুচিনি দিয়ে চা তৈরি করে নিতে পারেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং দারুচিনি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা গর্ভকালীন সময়ে দারুচিনি খাওয়ার ফলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা সাধিত হয়ে থাকে। আজকের এই পর্বে গর্ভকালীন সময়ে যত ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।

সংক্রমনের ঝুঁকি কমাতে পারেঃ

গর্ভকালীন সময়ে সর্দি, কাশি, ফ্লু সহ আরো অন্যান্য সংক্রমনের ঝুঁকি থাকে। যার ফলে এই সময় দারুচিনি খেলে এ সকল রোগ ভালো হয়ে থাকে। একই সঙ্গে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। দারুচিনিতে রয়েছে পলিফেনল যা মূলত একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি গর্ভকালীন সময়ে ব্যাকটেরিয়া কিংবা ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে থাকে।

প্রদাহ কমাতে সহায়তা করেঃ

গর্ভকালীন সময়ে শরীরের উপর নানা চাপ পড়ে। যার ফলে জয়েন্টের ব্যথা, শরীরের ফোলাভাব কিংবা পেশীর ব্যথা হতে দেখা যায়। তাই এই সময় দারুচিনি খেলে এতে থাকা প্রদাহ বিরোধী উপাদান জয়েন্টের ব্যথা, শরীরের ফোলাভাব কিংবা পেশীর ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেঃ

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য গর্ভকালীন সময়ে দারুচিনি খাওয়া যেতে পারে। এতে থাকা সক্রিয় উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। যার ফলে গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মায়ের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুচিনি খাওয়া উচিত। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

দারুচিনির পুষ্টিগুণ

দারুচিনির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন আজকের এই পর্বে আমরা দারুচিনির যাবতীয় পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক দারুচিনি নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই সকল পুষ্টি উপাদান গুলো শরীরের নানা উপকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে নিচে দারুচিনির পুষ্টিগুণ গুলো দেয়া হলোঃ 

প্রতি ১০০ গ্রাম দারুচিনিতে রয়েছে

পুষ্টি উপাদান পরিমান
শর্করা ২১৭ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ৮০.৫৯ গ্রাম
প্রোটিন ৩.৯৯ গ্রাম
পানি ১০.৫৮ গ্রাম
এনার্জি ২৪৭ কিলোক্যালরি
ফ্যাট ১.২৪ গ্রাম
পটাশিয়াম ৪৩১ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম ১০ মিলিগ্রাম
চিনি ২.২ গ্রাম
ডায়েটারি ফাইবার ৫৩ গ্রাম

দারুচিনি ও মধুর উপকারিতা

দারুচিনি ও মধুর উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা দারুচিনি ও মধুর যাবতীয় উপকারিতা গুলো জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। দারুচিনি ও মধু একসঙ্গে খাওয়ার ফলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা পাওয়া যায়। নিচের আলোচনায় তা দেখানো হলোঃ

দারুচিনি-ও-মধুর-উপকারিতা
  • শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য দারুচিনি ও মধু একসঙ্গে খেতে পারেন। এজন্য নিয়মিত সকালে এক গ্লাস পানিতে মধু ও দারুচিনি গুড়া মিশিয়ে দিন। এরপর তা খেয়ে ফেলুন। এভাবে এটি নিয়মিত খেলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমানো সম্ভব হবে। যার ফলে দ্রুত ওজন নিয়ন্ত্রণে আসবে।
  • মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য দারুচিনি ও মধু বেশ উপকারি। এজন্য আপনারা নিয়মিত সকালে এক গ্লাস হালকা গরম পানির সাথে মধু ও দারুচিনি গুড়া মিস করে দিয়ে খেয়ে ফেলবেন। এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে মুখের যাবতীয় দুর্গন্ধ খুব সহজে দূর করা সম্ভব হয়। 
  • বাতের ব্যথা প্রতিরোধ করার জন্য দারুচিনি ও মধু খেতে পারেন। এজন্য আপনাদের হালকা গরম এক গ্লাস পানিতে ২ চামচ মধু এবং ১ চামচ দারুচিনি গুড়া মিস করে দিতে হবে। তারপর এটি প্রতিদিন সকালে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করতে হবে। এভাবে এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে বাতের ব্যথা প্রতিরোধ হবে।
  • পিত্তথলিতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমানোর জন্য দারুচিনি ও মধু খেতে পারেন। এজন্য আপনাদের প্রতিদিন এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ২ চামচ দারুচিনি গুড়া এবং ১ চামচ মধু মিস করে দিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত এটি খাওয়ার ফলে পিত্তথলিতে হওয়া ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ হয়ে থাকে।
  • সর্দি-কাশির সমস্যা মোকাবেলা করতে দারুচিনি ও মধু খেতে পারেন। এজন্য আপনাদের এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে ১ চামচ মধু এবং ১ চামচ এর ৪ ভাগের ১ ভাগ দারুচিনি গুড়া মিস করে খেতে হবে। টানা ৩ দিন এভাবে খাওয়ার ফলে সর্দি-কাশির সমস্যা প্রতিরোধ হয়ে থাকবে ।
  • দারুচিনি ও মধু শুধু খাওয়াতেই নয়। এটি ব্যবহার করার ফলেও বেশ উপকার পাওয়া যায়। দারুচিনি ও মধু ব্যবহার করে হেয়ার প্যাক তৈরি করলে চুল পড়া প্রতিরোধ হয়ে থাকে। এজন্য আপনারা ৪ চামচ দারুচিনি গুড়া নেন, ২ চামচ মধু নেন, ২ চামচ জলপাই তেল নেন। এর পর এই তিনটি উপকরণকে একসঙ্গে মিস করে মাথার ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট এভাবে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই হেয়ার প্যাকটি চুল পড়া প্রতিরোধ করে থাকে।
  • ত্বকের সমস্যায় দারুচিনি ও মধু কাজ করে থাকে। এজন্য আপনারা ৩ চামচ পরিমাণ দারুচিনি গুড়া এবং ২ চামচ পরিমাণ মধু নিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এরপর তা আপনার ত্বকে লাগান। এই ফেসপ্যাকটি ত্বকে লাগালে ত্বকের ব্রনের সমস্যা দূর হবে।
  • হজম শক্তি বাড়াতে দারুচিনি ও মধু বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এই দুইটি একসঙ্গে খাওয়ার ফলে পেট খারাপের সমস্যা দূর হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
  • দারুচিনি ও মধু একসঙ্গে খাওয়ার ফলে জয়েন্টের ব্যথা ভালো হয়, আর্থ্রাইটিসের সমস্যা দূর হয় এবং হাঁপানির মতো অসুখ প্রতিরোধ হয়ে থাকে।
  • শ্রবণ শক্তি বৃদ্ধি করতে দারুচিনি ও মধু খেতে পারেন। এটি একসঙ্গে করে সকালে ১ চামচ এবং রাতে ১ চামচ খাওয়ার ফলে শ্রবণশক্তি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
  • দারুচিনি ও মধু মিশ্রিত পেস্ট একসঙ্গে খাওয়ার ফলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো হয়ে থাকে। এই পেস্টি নিয়মিত খাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি থাকে না।
  • আরো পড়ুনঃ ত্রিফলার ১১টি উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন        

  • ডায়াবেটিসের সমস্যা প্রতিরোধ করতে দারুচিনি ও মধু খাওয়া যেতে পারে। এই দুইটি একসঙ্গে খাওয়ার ফলে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর ফলে টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর 

প্রশ্নঃ দারুচিনি কখন খাওয়া উচিত?

উত্তরঃ সকলে এক গ্লাস পানিতে দারুচিনি গুড়া মিস করে খেয়ে নিতে পারেন। এই সময় এটি খাওয়ার ফলে বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যাবে। এ সকল উপকারিতা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলোঃ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ হবে, প্রদাহ থাকলে তা ভালো হবে, হজম শক্তি দ্রুত হবে, হৃদপিন্ড সুস্থ থাকবে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে।

প্রশ্নঃ প্রতিদিন কতটুকু দারুচিনি খেলে ওজন কমে?

উত্তরঃ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে দারুচিনি সহায়তা করে থাকে। এটি নিয়মিত খাওয়ার ফলে ক্ষুধার পরিমাণ কমে যায়। যার ফলে আপনি কম খাওয়ার চেষ্টা করেন। আর কম খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ গ্রাম বা তার একটু বেশি দারুচিনি খাওয়া উচিত। তাহলেই শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব হবে।

প্রশ্নঃ দারুচিনি খেলে কি রক্তচাপ কমে?

উত্তরঃ দারুচিনি খাওয়ার ফলে শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। একই সঙ্গে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যার ফলে হৃৎপিণ্ড ভালো থাকে। এজন্য টানা ৪ সপ্তাহ যদি দারুচিনি খাওয়া হয়, তাহলে অবশ্যই রক্তচাপ কমে থাকবে।

প্রশ্নঃ দারুচিনি কখন খাওয়া যাবে না?

উত্তরঃ গর্ভকালীন সময়ে দারুচিনি খাওয়ার ফলে কিছু উপকারিতা হয়ে থাকে। তবে এই সময় এটি অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা। কেননা এই সময় এটি অতিরিক্ত খেলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়। একই সঙ্গে ভ্রুনের বিকাশে বাঁধাগ্রস্ত হয়। তাছাড়াও যাদের আগে থেকেই লিভারের রোগ রয়েছে, তাদের এটি না খাওয়াই ভালো হবে।
 
প্রশ্নঃ ঘুমানোর আগে দারুচিনি খেলে কি হয়?

উত্তরঃ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দারুচিনি মিশ্রিত পানি খাওয়ার ফলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা সাধিত হয়ে থাকে। এ সকল উপকারিতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলোঃ ভালো ঘুম হয়, মানসিক চাপ বা উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করে এবং নিঃশ্বাসে হওয়া দুর্গন্ধ দূর করে।

প্রশ্নঃ দারুচিনি মুখে মাখলে কি হয়?

উত্তরঃ দারুচিনি মুখে মাখার ফলে বেশ কিছু উপকার হয়ে থাকে। এ সকল উপকারের মধ্যে অন্যতম হলোঃ ত্বকের ছোপ ছোপ দাগ দূর হয়, ত্বকের বলিরেখা দূর হয়, ত্বককে আদ্র রাখতে সহায়তা করে, ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের ব্রণের সমস্যা দূর করে থাকে।

প্রশ্নঃ দারুচিনি কি চুলের জন্য উপকারী?

উত্তরঃ দারুচিনি চুলে ব্যবহার করার ফলে চুলের বেশ কিছু উপকার হয়ে থাকে। এ সকল উপকারের মধ্যে অন্যতম হলোঃ চুল পড়া প্রতিরোধ করে থাকে, টাকের সমস্যা দূর করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এ সকল হওয়ার কারণ এতে থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য।

প্রশ্নঃ ক্যাসিয়া দারুচিনির উপকারিতা কি?

উত্তরঃ ক্যাসিয়া দারুচিনির খাওয়ার ফলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা সাধিত হয়ে থাকে। এ সকল উপকারিতাগুলোর মধ্যে অন্যতম কিছু উপকারিতা হলোঃ বুকের ব্যথা সমস্যায় কাজ করে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সহায়তা করে, কিডনির ব্যাধি দূর করতে ভূমিকা রাখে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করতেও এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। 

প্রশ্নঃ দারুচিনি খেলে কি মুখ শুকিয়ে যায়?

উত্তরঃ হ্যাঁ, দারুচিনি খাওয়ার ফলে মুখ শুকিয়ে যেতে পারে। কেননা এটি একটি কস্টিক পদার্থ। যার কারণে এটি নিয়মিত চিবিয়ে খেলে কিংবা পান করার ফলে মুখ শুকিয়ে যেতে পারে। এমনকি জ্বালাপোড়ার সমস্যাও তৈরি হতে দেখা যায়।

প্রশ্নঃ দারুচিনি তেলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া?

উত্তরঃ দারুচিনি তেল ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। এই তেল ত্বকে ব্যবহার করার ফলে ত্বক জ্বালাপোড়া করতে পারে। এছাড়াও এই তেল খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া হতে পারে, বমি হতে পারে এবং মাথা ঘোরার মত সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই এই তেল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা দারুচিনি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি দারুচিনি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কেও। দারুচিনি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নানা উপকারিতা বয়ে আনে। একই সঙ্গে এটি খাওয়ার ফলে বেশ কিছু ক্ষতি হতে পারে। আমি উপরের আলোচনায় এটি কিভাবে খেতে হবে?

এটি কিভাবে খাওয়ার ফলে এর উপকারিতা গুলো পাওয়া যাবে? সেই সাথে এর কি কি অপকারিতা রয়েছে? তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা যদি উপরের আলোচনাটি বিস্তারিত ভাবে পড়তে পারেন, তাহলে অবশ্যই দারুচিনি খাওয়ার যাবতীয় নিয়মাবলী, উপকারিতা এবং অপকারিতা বিস্তারিত জেনে যেতে পারবেন। দারুচিনি দারুচিনি

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url