সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় জেনে নিন
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া
উচিত। কেননা বর্তমান সময়ে সাইবার অপরাধের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এই
অবস্থায় আপনার সতর্ক থাকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের
দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই মূলত আপনারা
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের উপায় গুলো বিস্তারিত জানতে পারবেন।
সূচিপত্রঃ সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
- সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায়
- শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা
- পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারে সতর্ক থাকা
- ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্ক থাকা
- ইমেইল ব্যবহারে সতর্ক হওয়া
- ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষিত রাখা
- অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা
- অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা
- অনলাইনে বাড়তি তথ্য না দেওয়া
- আপডেট সফটওয়্যার ব্যবহার করা
- সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য শেয়ার এড়ানো
- সাইবার অপরাধী কারা
- সাইবার অপরাধের ধরন
- সাইবার অপরাধ দিন দিন বাড়ার কারণ
- সাইবার অপরাধের প্রকারভেদ
- সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের উপায়
- লেখকের শেষ কথা
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায়
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই
পর্বে আমরা সাইবার অপরাধ কি এবং এটি কিভাবে প্রতিরোধ করা যায় সেই সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। সাইবার অপরাধ বলতে এমন কিছু অপরাধকে বুঝাই
যা মূলত কম্পিউটার, মোবাইল, ইন্টারনেট বা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে
সংগঠিত হয়ে থাকে। আরো স্পষ্টভাবে বলতে গেলে বলা যায় যে অনলাইনের মাধ্যমে যে সকল
অপরাধ বা প্রতারণা সংগঠিত হয় সেগুলোই হচ্ছে মূলত সাইবার অপরাধ।
সাইবার অপরাধের মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য অপরাধ হলো একাউন্ট হ্যাক করা অর্থাৎ
ফেসবুক, ইমেইল বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ব্যাকমেইল করা, ভুল খবর ছড়িয়ে
দিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, অবৈধ লেনদেন বা টাকা হাতিয়ে নেওয়া, অনলাইন
এর মাধ্যমে হুমকি বা হয়রানি করা ইত্যাদি। তাই আজকের এই পর্বে আমরা সাইবার অপরাধ
প্রতিরোধের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবো। চলুন তাহলে
জেনে নেওয়া যাক।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা
আপনার যেকোন গুরুত্বপূর্ণ সাইট বা একাউন্টে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা
অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করলে একজন
হ্যাকার সহজেই আপনার সাইট বা অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে নিতে পারে। তাই বিভিন্ন সাইটের
জন্য বা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার চেষ্টা
করবেন।
আর এ সকল পাসওয়ার্ড গুলো যাতে সহজ না হয় সেই দিকে নজর রাখবেন। পাসওয়ার্ড এমন
রাখতে হবে যাতে সেই পাসওয়ার্ডে সংখ্যা, চিহ্ন সহ বিভিন্ন ছোট হাতের, বড় হাতের
লেটার এবং প্রতীক যুক্ত থাকে। আপনি আপনার পাসওয়ার্ড গুলোতে পরিবারের
সদস্যের নাম, জন্ম সাল, পাশের সন, রোল নম্বর ইত্যাদি রাখতে পারেন। উদাহরণ হিসেবে
বলা যায় (suity5557#&@yu5790#)।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুকের পাসওয়ার্ড কিভাবে দেখবো এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন
একই সঙ্গে আপনার অ্যাকাউন্ট বা সাইটের পাসওয়ার্ড নিয়মিত পরিবর্তন করতে হবে।
আপনার পাসওয়ার্ড গুলো যাতে ১০ সংখ্যার হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। এভাবে আপনি
আপনার সাইট বা একাউন্ট গুলোকে সাইবার অপরাধের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন।
পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারে সতর্ক থাকা
সাইবার অপরাধের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারে সতর্ক থাকা
অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আমরা অনেক সময় বিভিন্ন শপিংমল, ক্যাফে, রেস্তোরাঁ
কিংবা বিমানবন্দরের মতো জনাকীর্ণ জায়গায় ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করে থাকি। যেটি
মোটেও ভালো কথা নয়। আমরা এ সকল জায়গাগুলোতে কোন প্রকার ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড
ছাড়াই ওয়াইফাই কানেক্ট করে ফেলি।
ওয়াইফাই কানেক্ট করে আমরা বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন গেম খেলা কিংবা বিভিন্ন ধরনের
মুভি ডাউনলোড করা সহ আরো নানা কাজ করে থাকি। আমরা যখন এ সকল জায়গাগুলো থেকে
ফ্রিতে কোন পাসওয়ার্ড ছাড়াই আমাদের মোবাইলের সাথে ইন্টারনেট কানেক্ট করি, তখন
একজন হ্যাকার সহজেই আপনার মোবাইলের যাবতীয় ডাটা চুরি করে নিতে পারেন। এছাড়াও
আপনার সাইট কিংবা অ্যাকাউন্টের এক্সেস নিয়ে আপনার সমস্ত সাইট কিংবা অ্যাকাউন্টের
নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে।
তাই এ সকল পাবলিক ওয়াইফাই গুলো ব্যবহারের আগে সতর্ক থাকা উচিত। এছাড়াও তারা
আপনার সাইটে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ছড়াতে পারে। যা আপনার সাইটের জন্য ক্ষতিকর।
এজন্য আপনারা পাবলিক wi-fi ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনা
করা কিংবা আপনার গুরুত্বপূর্ণ কোন অ্যাকাউন্ট বা সাইটে লগইন করা থেকে বিরত থাকার
চেষ্টা করবেন। তাহলেই সাইবার অপরাধ থেকে রক্ষা পাবেন।
ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্ক থাকা
সাইবার অপরাধ থেকে বেঁচে থাকার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্ক থাকা অনেক বেশি
গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আমরা অনেক সময় বিভিন্ন অনিরাপদ ওয়েবসাইট ভিজিট করে থাকি।
যা মোটেও ভালো কথা নয়। ইন্টারনেটে কিছু ফিশিং ওয়েবসাইট রয়েছে, যেগুলোতে আপনি
যদি ঢোকেন তাহলে একজন হ্যাকার আপনার সহজেই যাবতীয় ডাটা চুরি করে নিতে পারে।
এজন্য আপনাকে ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়াও ইন্টারনেটে অনেক
পিডিএফ ও লিংক থাকতে পারে। সেগুলোতে যদি আপনি ক্লিক করেন তাহলে একজন হ্যাকার
আপনার যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবে। যার ফলে আপনার ক্ষতি করা তার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
তাছাড়াও অনলাইনে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে প্রবেশ করতে হলে লগইন করতে
হয়। আপনি যখন সেই সকল ওয়েবসাইটে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করবেন,
তখন আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য একজন হ্যাকার হ্যাক করে নিয়ে আপনার একাউন্টের
নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিবে।
আরো পড়ুনঃ ওয়াইফাই কানেক্ট কিন্তু নো ইন্টারনেট দেখাচ্ছে কেন বিস্তারিত জানুন
তারপর আপনার কাছে টাকা দাবি করতে পারে। এছাড়াও তারা আপনার ব্যাংক একাউন্টের
যাবতীয় তথ্য জানার মাধ্যমে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের টাকা অন্য একাউন্টে সরিয়ে
নিতে পারে। তাই ইন্টারনেট ব্যবহার করার আগে সতর্ক থাকতে হবে। যেকোনো লিংক,
পিডিএফ, অনিরাপদ ওয়েবসাইট, ফিশিং ওয়েবসাইট ইত্যাদি জায়গা গুলোতে প্রবেশ করা
থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলেই সাইবার অপরাধের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
ইমেইল ব্যবহারে সতর্ক হওয়া
সাইবার অপরাধ থেকে বেঁচে থাকার জন্য ইমেইল ব্যবহারে সতর্ক হওয়া অনেক বেশি
গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। কেননা আমরা অনেক সময় কোন একটি ইমেইল পেলেই সেখানে ঢুকে
পড়ি। যেটি মোটেও ভালো কাজ নয়। একটি ইমেইল কোথা থেকে এসেছে, কে পাঠিয়েছে তার
সবকিছু জেনেই সেই ইমেইলে প্রবেশ করা উত্তম। কারণ আপনি যখন কোন কিছু যাচাই ছাড়াই
কারো পাঠানো ইমেইলে প্রবেশ করে ফেলবেন, তখন হ্যাকাররা আপনার যাবতীয় তথ্য হ্যাক
করে নিবে। তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।
তারা অনেক সময় বিভিন্ন লিঙ্ক পাঠিয়ে বিভিন্ন সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে বলতে
পারে অথবা বিভিন্ন লিংক পাঠিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নিয়ে গিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য
চুরি করে নিতে পারে। এভাবেই মূলত তারা সাইবার অপরাধ পরিচালনা করে থাকে। আসুন এবার
আমরা একটি উদাহরণের মাধ্যমে ব্যাপারটা আরো ভালোভাবে পরিষ্কার হয়ে নিই। ধরুন একজন
হ্যাকার আপনাকে এমন একটি ইমেইল পাঠাবে যেটা দেখে মনে হবে আপনার পছন্দের কোন স্টোর
থেকে ইমেইলটি এসেছে।
এভাবেই আপনাকে একজন হ্যাকার বোকা বানিয়ে লিঙ্কে ঢুকিয়ে নেই। তাই এ সকল ইমেইলে
কখনোই প্রবেশ করবেন না। বরং আপনি যেটা করবেন নতুন ব্রাউজারের উইন্ডো বা ট্যাবের
মাধ্যমে ওই স্টোরের হোম পেজে গিয়ে ইমেইলটি দেখে নিবেন। এছাড়াও আপনারা অপরিচিত
কারো ইমেইল পাঠানো কোন সংযুক্তি বা অ্যাটাচমেন্ট কখনোই ওপেন করবেন না। তাছাড়াও
অনেক সময় দেখা যায় সংযুক্তিগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডাউনলোড হয়ে যায়। তাই এমন
কোন ইমেইল সেটিং করা থাকলে সেগুলোও বন্ধ করতে হবে। এভাবে আপনাকে সাইবার অপরাধ
থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষিত রাখা
সাইবার অপরাধ থেকে বেঁচে থাকার জন্য ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষিত রাখা প্রয়োজন।
কেননা কোন কোম্পানি বা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো আপনার পাসওয়ার্ড কখনোই জিজ্ঞাসা
করবে না। আর এজন্যই আপনি কখনোই ইমেইলে বা ফোনে কাউকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য বা
পাসওয়ার্ড দিবেন না। এছাড়াও আপনি কোন ইমেইলে লগইন পেজের লিংক দেওয়া থাকলে
সেখানে কখনোই ক্লিক করবেন না।
কারণ এখানে আপনি যদি ক্লিক করেন তাহলে হ্যাকাররা আপনার যাবতীয় তথ্য চুরি করে
নিতে পারে। তাই এটি কখনোই করবেন না। বরং আপনি যেটা করতে পারেন ব্রাউজারে তাদের
ওয়েবসাইটে গিয়ে সেখানে লগইন করবেন। এছাড়াও অনেক সময় হ্যাকাররা বিভিন্ন
কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের সেবা দানকারী হিসেবে আপনাকে ফোন করে আপনার ব্যক্তিগত
তথ্য জানতে চাইতে পারে।
আরো পড়ুনঃ মেসেঞ্জারে কেউ ব্লক করলে কিভাবে আনব্লক করবো জানুন বিস্তারিত
তাদেরকে কখনোই আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিবেন না। আগে আপনি চেষ্টা করবেন সেই
কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে আসলেই এ সকল তথ্য লাগবে কিনা
সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নিয়ে তারপর তাদের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিতে হবে।
এভাবে আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ করতে পারেন।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা
সাইবার অপরাধ থেকে বেঁচে থাকার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা অতীব
গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে
যেগুলোর সঠিক ব্যবহারের ফলে সাইবার অপরাধ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এজন্য আপনারা
আপনাদের কম্পিউটার, ফোন ও ট্যাবে ব্যবহৃত সফটওয়্যার গুলো হালনাগাদ করা আছে কিনা
সেই ব্যাপারে নজর রাখবেন।
হালনাগাদ করা না থাকলে সেগুলো হালনাগাদ করার ব্যবস্থা করতে হবে। বিভিন্ন সোশ্যাল
মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের একাউন্ট গুলোতে কিংবা যে সকল একাউন্টগুলোতে টু ফ্যাক্টর
অথেন্টিকেশন ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে সে সকল জায়গা গুলোতে এটি ব্যবহার করতে হবে।
এটি ব্যবহার করার ফলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা যায়।
টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন ব্যবহার করলে একজন হ্যাকার যখন আপনার কোন সোশ্যাল
মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের একাউন্টে প্রবেশ করতে চাই তখন আপনার কাছে হোয়াটসঅ্যাপ
কিংবা এসএমএসের মাধ্যমে কোড আসে সেই কোডটি যদি আপনি তাকে দেন তাহলেই সে একাউন্টে
প্রবেশ করতে পারবে। নয়তো পারবেনা। তাই আমার মতে টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন যে কোন
অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তাই অত্যন্ত কার্যকরী। আর এজন্যই সাইবার অপরাধ থেকে রক্ষা
পেতে এই প্রযুক্তিটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা
সাইবার অপরাধ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার
করা যেতে পারে। অপারেটিং সিস্টেম, বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার সহ আরো অন্যান্য
যন্ত্রাংশে নানা কারণে ভাইরাসের আক্রমণ হতে পারে। এছাড়াও অনেক সময় দেখা যায় যে
অনেক যন্ত্রে ক্ষতিকর প্রোগ্রামও থাকতে পারে। আর এ সকল ক্ষতিকর প্রোগ্রামগুলো
যন্ত্রের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে কমিয়ে দিতে পারে। আর এ সকল বিষয়গুলো হ্যাকাররা
নজরদারি করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ নাগরিক সেবা ও ই-কমার্সের সুবিধা ও অসুবিধা
তাই তাদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যন্ত্র গুলোকে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার
দিয়ে নিয়মিত স্ক্যান করতে হবে। অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার দুইভাবে পাওয়া যায়।
একটি হলো কিনে নিতে হয়। আরেকটি হলো বিনামূল্যে। তাই আপনি বিনামূল্যেও
অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে যন্ত্রাংশগুলোকে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস এর হাত থেকে
রক্ষা করে হ্যাকারদের কাছ থেকে নিরাপদে রাখতে পারেন। এভাবে
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে সাইবার অপরাধ থেকে রক্ষা পাওয়া
যায়।
অনলাইনে বাড়তি তথ্য না দেওয়া
সাইবার অপরাধ থেকে বেঁচে থাকতে হলে অনলাইনে বাড়তি তথ্য না দেওয়া থেকে বিরত
থাকতে হবে। অর্থাৎ অনলাইনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য চাইতে পারে সেগুলো না
দেওয়া থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে। আমরা যখন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করি
তখন বিভিন্ন ধরনের তথ্য চাই এসব তথ্য দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। তাছাড়াও
বিভিন্ন অনলাইন সেবা নেওয়ার জন্য অনেক ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হয়।
এসকল ওয়েবসাইট গুলোতে প্রবেশ করতে গেলেও না ধরনের তথ্য চাই এ সকল তথ্য দেওয়ার
ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া বাড়তি কোন তথ্য প্রদান করা
উচিত নয়। সাধারণত জন্ম তারিখ কিংবা আপনার ঠিকানা চাইলে এগুলো দেওয়া থেকে বিরত
থাকবেন। কারণ আপনি যদি সকল ঠিকানা গুলো সেখানে দিয়ে দেন তাহলে হ্যাকাররা সহজেই
আপনার এ সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো পেয়ে নিয়ে আপনার ক্ষতি করতে পারে। তাই এ সকল
যাবতীয় তথ্য কখনোই প্রয়োজন ছাড়া দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
আপডেট সফটওয়্যার ব্যবহার করা
সাইবার অপরাধ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপডেট সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিত। আপনি
যদি আপডেট সফটওয়্যার ব্যবহার করেন তাহলে হ্যাকাররা আপনার যাবতীয় তথ্য নিতে
বাধাগ্রস্ত হবে। তাই আপনার এই কাজটি করা অনেক বেসি গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। আপনার
কম্পিউটারের প্রোগ্রাম কিংবা অপারেটিং সিস্টেমকে নতুনভাবে সংস্করণ করতে পারলে
কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং একই সঙ্গে সাইবার অপরাধের হাত থেকে রক্ষা করা যায়।
সাধারণত পুরনো সফটওয়্যারে নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকে।
যার কারণে হ্যাকাররা সহজেই হ্যাক করতে পারে। কিন্তু নতুন সফটওয়্যারে নিরাপত্তার
ঝুঁকি থাকে না। যার কারণে হ্যাকাররা হ্যাক করতে পারে না। আপনার সফটওয়্যার আপডেট
করার ফলে সফটওয়্যার এর ত্রুটি গুলো দূর করা যায় এবং একই সঙ্গে আপনার যাবতীয়
ডাটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। সফটওয়্যার আপডেট করার ফলে ডিভাইসের চলার
প্রক্রিয়া আরো দ্রুত হয়।
সফটওয়্যার ডেভলপাররা অনেক সময় সফটওয়্যার এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য
সফটওয়্যার এর আপডেট ভার্সন প্রকাশ করে থাকে। তাই আপনি তাদের কাছ থেকে সময় মতো
সফটওয়্যার আপডেট করে নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। সাইবার অপরাধ থেকে বাঁচতে হলে
আপডেট সফটওয়্যার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজের মধ্যে পড়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য শেয়ার এড়ানো
সাইবার অপরাধ থেকে বেঁচে থাকতে হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য শেয়ার এড়ানো উচিত।
বর্তমান যুগের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো আমাদের জীবনের অতীব গুরুত্বপূর্ণ
একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে আমরা বিশ্বের যে কোন
প্রান্তের খবর তৎক্ষণাৎ জেনে যেতে পারছি।
কিন্তু আমরা এর মাধ্যমে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য ডাটা বন্ধু-বান্ধবসহ আরো নানা
জনের কাছে শেয়ার করে থাকি। যেটি মোটেও ভালো কথা নয়। আমরা অনেক সময় আবেগে
পড়ে আমাদের জন্ম তারিখ, ফোন নম্বর, লোকেশন, পরিবারের ছবিসহ সবকিছু সোশ্যাল
মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোতে শেয়ার করে দিই। বর্তমান সময় গ্লোবাল ভিলেজের যুগ।
তাই আমাদের তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ন্ত্রণ করা অনেক বেসি গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি
ফেসবুকের তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়ে নানা ধরনের সাইবার অপরাধ সংঘটিত হতে দেখা
যাচ্ছে। তাই এই বিষয়গুলোতে আরো সতর্ক থাকা উচিত।
সাইবার অপরাধের কারণে কোটি কোটি টাকা হারিয়ে যাচ্ছে। স্ক্যামার বা হ্যাকাররা
আপনার এ সকল যাবতীয় তথ্যগুলো কাজে লাগিয়ে আপনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ
অ্যাকাউন্টগুলো খুব সহজেই হ্যাক করে নিতে পারে। যার কারণে আপনার আর্থিক ক্ষতির
সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার অ্যাকাউন্টের অ্যাক্সেস নিয়ে তারা গুজব ছড়াতে পারে।
এছাড়াও আপনার পরিবারের শেয়ার করা ছবি এ আই টুলস এর মাধ্যমে এডিট করে বিভিন্ন
নোংরা ওয়েবসাইটে শেয়ার করে দিতে পারে। আর এজন্যই সামাজিক সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে
নিজেদের ব্যক্তিগত যাবতীয় তথ্য শেয়ার করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
তাহলেই সাইবার অপরাধ থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
সাইবার অপরাধী কারা
সাইবার অপরাধী কারা এই সম্পর্কে আপনাদের জেনে নেওয়া প্রয়োজন। সাইবার অপরাধ মূলত
কোন ব্যক্তির মাধ্যমে বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংগঠিত হতে পারে। এমন কিছু সাইবার
অপরাধী রয়েছে যারা অনেক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাইবার অপরাধ পরিচালনা
করে থাকে। আর এ সকল টেকনোলজিতে তারা খুবই দক্ষ হয়ে থাকে। সাইবার অপরাধীরা
সাধারণত ডার্ক ওয়েব এ একটিভ থাকে এবং এখানেই তারা তাদের সার্ভিস সরবরাহ করে
থাকে।
তবে সব সাইবার অপরাধীদের জন্য দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। এর কারণ হলো সব সাইবার
অপরাধীই হ্যাকিং এর সঙ্গে সংযুক্ত নয়। সাইবার অপরাধীরা এমনও অনেক ব্যক্তি হতে
পারে যারা অনলাইনে অবৈধ পূণ্যের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা
যায় অনেক সাইবার অপরাধীরা অনলাইনে ড্রাগসের ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে।
সাইবার অপরাধের ধরন
সাইবার অপরাধের ধরন বিভিন্ন রকম হতে পারে। আজকের এই পর্বে আমরা সাইবার অপরাধের
ধরণগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধ হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইমেইলের
মাধ্যমে প্রতারণা করা, ভুয়া পরিচয়ে একাউন্ট খোলা যা মূলত ব্যক্তিগত তথ্য চুরি
বা অন্য কোন কারণে ব্যবহার করা হয়, সাইবার বুলিং, ব্যাংক একাউন্ট করা বা কার্ডের
ডাটা চুরি, সেলস বা কর্পোরেট অফিসের ডাটা চুরি, সাইবার গোয়েন্দাগিরি করা,
কপিরাইট আইন অমান্য করা, অবৈধ জুয়া খেলা ইত্যাদি।
এ সকল যাবতীয় কাজগুলো সাইবার অপরাধের আওতাভুক্ত। তাই এগুলো থেকে আপনারা বিরত
থাকার চেষ্টা করবেন। মূলত সাইবার অপরাধীরা প্রথম অবস্থায় একটি কম্পিউটারকে
টার্গেট করে। তারপর সেটাকে তারা ম্যাাইওয়্যার দ্বারা সংক্রমিত করে এরপর
ডিভাইসটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করে বা ডিভাইসটির কাজকে ব্যাহত করার চেষ্টা
কর। তারপর ম্যাাইওয়্যার এর মাধ্যমে ডাটা ডিলিট করে দেয় বা চুরি করে নেয়।
এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি
উপায় এবং শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে নিতে
পারবেন।
সাইবার অপরাধ দিন দিন বাড়ার কারণ
সাইবার অপরাধ দিন দিন বাড়ার কারণ মূলত প্রযুক্তির কল্যাণের জন্য। দিন যত যাচ্ছে
প্রযুক্তির ততো উদ্ভব হচ্ছে। আর প্রযুক্তির উদ্ভব হওয়ার কারণে মানুষ প্রযুক্তির
প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। আর কিছু অসাধু মানুষ এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে
সাইবার অপরাধ সংগঠিত করছে। বর্তমান যুগে বেশিরভাগ মানুষই স্মার্টফোন ব্যবহার করে
থাকে। আর এখন স্মার্টফোনের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি সাইবার অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকে।
সাইবার অপরাধ হওয়ার পিছনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। নিচের আলোচনায়
সেগুলো তুলে ধরা হলোঃ
দুর্বল ডিভাইসের ব্যবহারঃ
দুর্বল ডিভাইস এবং দুর্বল নিরাপত্তার কারণেই সাইবার অপরাধ সবচাইতে বেশি বৃদ্ধি
পেয়ে থাকে। কেননা দুর্বল ডিভাইস কিংবা দুর্বল নিরাপত্তার কারণে সাইবার অপরাধীরা
সবচাইতে বেশি আক্রমণ করতে পারে। তাই বলা যেতে পারে দুর্বল ডিভাইসের কারণেই সাইবার
অপরাধ বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
অর্থনৈতিক কারণঃ
সাইবার অপরাধ হওয়ার পিছনে সব চাইতে বড় কারণ অর্থনীতিক। এই অপরাধটি সবচাইতে বেশি
সংগঠিত হয়ে থাকে অর্থনৈতিক কারণেই। কাউকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা হাতিয়ে নেই
সাইবার অপরাধীরা। তাই বলা যেতে পারে সাইবার অপরাধের পেছনে অর্থনীতিক কারণ সবচাইতে
বড় কারণ।
ব্যক্তিগত কারণেঃ
অনেক সময় দেখা যায় যে ব্যক্তিগত কারণেও সাইবার অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। কাউকে ছোট
করলে, অসম্মান করলে কিংবা সমাজে কারো ব্যক্তিত্ব নষ্ট করলে সাইবার অপরাধ সংগঠিত
হয়ে থাকে। তাই বলা যায় যে সাইবার অপরাধ মূলত ব্যক্তিগত কারণেও সংঘটিত হয়ে
থাকে।
সাইবার অপরাধের প্রকারভেদ
বিভিন্ন ধরনের সাইবার অপরাধ সংগৃহীত হয়ে থাকে। আজকের এ পর্বে আমরা বেশ কিছু
গুরুত্বপূর্ণ সাইবার অপরাধ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন
তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
ফিশিং - এই পদ্ধতিতে সাইবার অপরাধীরা প্রতারণামূলকভাবে ইমেইল বা
ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ব্যক্তিগত যাবতীয় তথ্য চুরি করে নেই। তাই এই বিষয়ে
ভালোভাবে আপনাদের জেনে সতর্ক থাকতে হবে।
হ্যাকিং - এই পদ্ধতিতে একজন সাইবার অপরাধী অন্যের কম্পিউটার সিস্টেম
এবং নেটওয়ার্কের অনুমোদিত এক্সপ্রেস নিয়ে নেই। যার কারণে সেই কম্পিউটারের
যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ তার হাতে চলে যায়।
অনলাইন জালিয়াতি - এই পদ্ধতিতে সাইবার অপরাধিরা ইন্টারনেট ব্যবহার
করে অন্যের যাবতীয় অর্থ লুট করে নেই।
ম্যালওয়্যার - এটি হচ্ছে মূলত কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কের ক্ষতি করার
জন্য ডিজাইন করা এক ধরনের সফটওয়্যার। যেটি একজন ব্যবহারকারীর কম্পিউটার বা
নেটওয়ার্কের ক্ষতি সাধন করে থাকে।
পরিচয় চুরি - অনেক সময় দেখা যায় সাইবার অপরাধীরা ব্যক্তিগত তথ্য
চুরি করে থাকে। তারা সামাজিক নিরাপত্তা নম্বর বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি করে
একজন ব্যবহারকারীকে নিঃস্ব করে দেয়।
ক্রিপ্টোজ্যাকিং - এই পদ্ধতিতে কারো সম্মতি ছাড়াই ক্রিপ্টোকারেন্সি
মাইন করতে কোন ব্যক্তির কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের উপায়
সাইবার অপরাধ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। এটি কিভাবে ঘটে তা জেনে নিজেকে এই ব্যাপারে
সচেতন হয়ে উঠতে হবে। তাহলেই সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ করা যাবে। সাইবার অপরাধ
প্রতিরোধের এটি প্রথম ধাপ। আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে নিজের ডিভাইস
সুরক্ষিত রাখা। অর্থাৎ আপনি যে ফোনটি ব্যবহার করেন বা ল্যাপটপটি ব্যবহার করেন
সেটিতে প্রবেশ করতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। যাতে কেউ খুব সহজেই আপনার
ডিভাইসে প্রবেশ না করতে পারে।
আপনার অনলাইনের বিভিন্ন ডাটার ব্যাকআপ রাখুন। কোনো কারণে কোনো কিছু হয়ে গেলে
আপনার যাতে আপনার যাবতীয় ডাটার ব্যাকআপ থাকে। এছাড়াও আপনি যদি কোন সন্দেহজন ক
কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন তাহলে তা কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করুন। এই কাজগুলো
করার মাধ্যমে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা
থেকে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে
পারবেন।
লেখকের শেষ কথা
উপরের আলোচনা থেকে আমরা সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় সম্পর্কে
বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার
করা সম্পর্কেও। বর্তমান সময়ে সাইবার অপরাধের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর
কারণ হলো বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির দিন দিন ব্যাপক উন্নতি সাধন। অর্থাৎ
প্রযুক্তির উন্নতির ফলে সাইবার অপরাধের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তাই আমাদের নিজেদের এই অপরাধ থেকে সুরক্ষিত রাখতে নিজেদের প্রত্যেকটি সোশ্যাল
মিডিয়া একাউন্ট, ব্যাংক একাউন্ট, অনলাইন এর বিভিন্ন ওয়েবসাইটের একাউন্ট সহ আরো
নানা একাউন্টগুলোতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। যাতে একজন হ্যাকার
সহজেই আপনার কোন একাউন্টের পাসওয়ার্ড বা কোন তথ্য না পাই। আমি উপরের আলোচনায়
সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের দশটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা
করেছি। আশা করছি আপনারা যদি উপরের আলোচনাটি ভালোভাবে পড়তে পারেন। তাহলে সাইবার
অপরাধ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারবেন।
রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url