ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের ১১টি সুফল ও ৬টি কুফল জানুন

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানা প্রয়োজন। কারণ ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন যেমন উপকারী ভূমিকা রাখে। ঠিক তেমনি ক্ষতিকর ভূমিকাও রাখে। তাই এর সম্পর্কে জানা অতীব প্রয়োজন।

ছাত্র-জীবনে-মোবাইল-ফোনের-সুফল-ও-কুফল
ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিচের দেওয়া লেখাগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই মোবাইল ফোনের যাবতীয় দিকগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।

সূচিপত্রঃ ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের যাবতীয় ভালো দিক এবং খারাপ দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন 

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ভালো দিক এবং খারাপ দিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন আমাদের সকলের হাতে হাতে। পরিস্থিতি এমন হয়ে গেছে আমরা মোবাইল ছাড়া এক মুহূর্ত চলতে পারি না। আমাদের সব ক্ষেত্রেই মোবাইল ফোনকে ব্যবহার করতে হয়।

তবে এটি অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে নানা ধরনের ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনকে গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি এর অতিরিক্ত ব্যবহার তাদের জন্য খুবই ভয়াবহ। তাই আজকের এই পর্বে আমরা ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের যাবতীয় ভালো দিকগুলো এবং খারাপ দিকগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। তাহলে চলুন নিচের আলোচনা থেকে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক। 

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহারের যাবতীয় উপকারিতা গুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা রয়েছে। যেগুলো একজন ছাত্রকে একজন ভালো ছাত্র হতে সহায়তা করে থাকে। নিচের আলোচনায় সেই উপকারিতা গুলো দেওয়া হলোঃ

অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণঃ

বর্তমান সময় অনলাইনের যুগ। যার কারণে আজকাল শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের কাছে সরাসরি পড়তে না গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে তার সেই পড়াগুলো খুব সহজেই করে নেই। আর অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করতে হলে একটি স্মার্টফোনের প্রয়োজন রয়েছে। এই স্মার্ট ফোনকে ব্যবহার করেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইনে একজন শিক্ষার্থী প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষা নিতে পারে। তাই বলা যেতে পারে অনলাইন এর মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ মোবাইল ফোনের একটি ভালো উপকারিতা।

শিক্ষামূলক বিভিন্ন অ্যাপসঃ

অনলাইনে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন বিষয়, ভাষা এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষামূলক অ্যাপস রয়েছে। এই অ্যাপসগুলোর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়া, ভাষা শেখা, ক্লাস করা সহ আরো নানান কাজ খুব সহজেই করতে পারে। এই অ্যাপসগুলো শিক্ষার্থীদের প্রায়ই ইন্টারেক্টিভ শেখার অভিজ্ঞতা প্রদান করে থাকে। যার ফলে এটি তাদের অধ্যয়নকে আরো আকর্ষণ ও কার্যালয় করে তুলতে সহায়তা করে।

ই-লার্নিং সুবিধাঃ

অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা দরিদ্র ফ্যামিলি থেকে উঠে আসে। তাদের কাছে বই কেনার মতো টাকা থাকে না। তারা সাধারণত বিভিন্ন জায়গা থেকে বই সংগ্রহ করে পড়াশোনা চালিয়ে থাকে। তাদের জন্য অনলাইনে ই-বুক ব্যবস্থা রয়েছে। যার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী বই না কিনেও অনলাইন থেকেই বই পড়তে পারবে। ই-লার্নিং সুবিধার মাধ্যমে একজন দরিদ্র শিক্ষার্থী বই না কিনেও মোবাইলে ফোনের মাধ্যমে ই-বুক ডাউনলোড করে তার প্রয়োজনীয় জ্ঞান আহরণ করতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়ার সুবিধাঃ

বর্তমান যুগ সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। আজকাল ইউটিউব, ফেসবুক খুবই জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। এখনকার শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের কাছে সরাসরি পড়তে না গিয়ে এ সকল জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম গুলো থেকে তাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা ক্ষেত্রের বিভিন্ন ভিডিও দেখতে পারে। আর এ সকল ভিডিও গুলো ফ্রিতে দেখতে পারে। তাছাড়াও বর্তমান সময়ে শিক্ষকরা সরাসরি ক্লাস পরিচালনা না করে এসকল সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীর ক্লাস নিয়ে থাকে। যার কারণে মোবাইল ফোন বর্তমান সময়ে ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ সুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অনলাইনে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনাঃ

বর্তমান সময়ে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় না গিয়েও বিভিন্ন পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন, বেতন দেওয়া, পরীক্ষা ফি প্রদান, ফলাফল বের করা সহ নানান কাজ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করা যায়। একটি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইনেই এ সকল যাবতীয় একাডেমিক কার্যক্রম গুলো সম্পন্ন হয়ে থাকে। যা শিক্ষার্থীদের সময় এবং কষ্ট দুটোই বাঁচিয়ে থাকে। এছাড়াও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বেতন দেওয়া, পরীক্ষার ফি দেওয়া এখন খুবই সহজ হয়ে গেছে।

অনলাইনে কোর্স করাঃ

বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কোর্স থেকে শিক্ষা অর্জন করা যায়। এখনকার শিক্ষকরা বিভিন্ন বিষয়ের উপর বিভিন্ন ধরনের কোর্স তৈরি করে অনলাইনে দিয়ে দেই। আর শিক্ষার্থীরা সেই কোর্সটি বাড়িতে বসে খুব সহজে করে নেই। যা তাদের সময় এবং কষ্ট দুটোকেই বাঁচিয়ে থাকে। অনলাইনে ভাষা শিক্ষার কোর্স, এসএসসি পরীক্ষার কোর্স, এইচএসসি পরীক্ষার কোর্স, সাবজেক্ট ভিত্তিক বিভিন্ন কোর্স, এডমিশন কোর্স সহ নানান কোর্স চালু রয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক উপকারী।

তথ্য সংগ্রহের সুবিধাঃ

মোবাইল ফোন ব্যবহারের সবচাইতে বড় সুবিধা হলো বিপুল পরিমাণ তথ্যের তাৎক্ষণিক এক্সেস। একজন শিক্ষার্থী ইন্টারনেটের মাধ্যমে একাডেমিক জ্ঞান, রেফারেন্স সামগ্রী এবং অনলাইন লাইব্রেরীর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে থাকেন। যা তাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। মোবাইল ফোন ব্যবহারের এটি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা। 

যোগাযোগ এবং সহযোগিতাঃ

মোবাইল ফোন বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের যোগাযোগ এবং সহযোগিতার সুবিধা প্রদান করে থাকে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী তাদের বন্ধুদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে সহজেই জানতে সক্ষম হয়। তাছাড়াও শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে বিভিন্ন আলোচনার জন্য মেসেজিং অ্যাপ, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদি নানা প্লাটফর্মে তাদের মধ্যে যোগাযোগ সাধন হয়ে থাকে। মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের এ সকল নানা ক্ষেত্রে সহায়তা করে থাকে।

নিরাপত্তা ও জরুরি যোগাযোগঃ

মোবাইল ফোন শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক উভয়ের জন্যই নিরাপত্তার কাজ করে থাকে। কেননা জরুরি পরিস্থিতিতে একজন শিক্ষার্থী দ্রুত তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। তাছাড়াও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের অবস্থান ভালোভাবে জানতে পারে। শিক্ষার্থীরা কেমন পড়াশোনা করছে? কোথায় যাচ্ছে এ সকল যাবতীয় তথ্য অভিভাবকরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই জানতে পারে। যা শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের আরো একটি উপকারিতা।

সৃজনশীলতা বৃদ্ধিঃ

মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতার অভিব্যক্তিকে বুঝতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়াও একজন শিক্ষার্থী মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ফটোগ্রাফি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, মিউজিক, প্রোডাকশন বা ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি নানান কাজ পরিচালনা করতে পারে। বিশেষ করে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন গুলো সৃজনশীল সরঞ্জাম পরিসর অফার করে থাকে। যা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে থাকে।

ভাষা শেখার সুবিধাঃ

মোবাইল ফোন শিক্ষার্থীদের জন্য শক্তিশালী ভাষা শেখার হাতিয়ার হতে পারে। কেননা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী বিভিন্ন ধরনের ভাষা শিখতে পারে। মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। যেগুলো একজন শিক্ষার্থী মোবাইল ফোনে ইন্সটল করলে সহজেই তার প্রয়োজনীয় ভাষা শিখতে পারে। বিশেষ করে বাইরে পড়তে যাওয়ার জন্য ইংরেজি ভাষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তারা মোবাইলে অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ইংলিশ ভাষা উচ্চারণ সহ খুব সহজেই শিখে যেতে পারে। তাই বলা যেতে পারে ভাষা শেখার জন্য মোবাইল ফোন অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা

ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চেয়েছেন। আজকের এই পর্বে আমরা ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়ার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহারের যেমন নানা উপকারিত রয়েছে ঠিক তেমনি বেশ কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। যা ছাত্রছাত্রীদের জন্য অনেক ক্ষতিকর। নিজের আলোচনা থেকে সেই অপকারিতা গুলো আলোচনা করা হলোঃ

চোখের সমস্যাঃ

ইংল্যান্ডের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন মোবাইল ফোন জাতীয় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক স্ক্রিন ডিভাইস ব্যবহারের সময় চোখের পলক কম পড়ে এবং সেই সাথে এই সমস্ত ডিভাইস থেকে এক ধরনের তেজস্ক্রিয় ক্ষতিকর রশ্মি নির্গত হয়। যার কারণে মাথা ব্যথা, ঘাড় ব্যথা, মস্তিষ্ক যন্ত্রণা থেকে শুরু করে অনেক রকম সমস্যা সহ মাইগ্রেনের মত রোগ তৈরি হয়। আর এজন্য দৃষ্টিশক্তি সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। বেশিরভাগ সময় মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে না তাকিয়ে পরিবেশের আলো দিকে তাকাবেন। সেই সাথে আপনারা চেষ্টা করবেন আপনাদের ছেলেমেয়েদের মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে দূরে রাখতে।

ঘুমের সমস্যাঃ

ঘুমের মাধ্যমে একজন মানুষ শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকে। বিশেষ করে একজন ছাত্র ছাত্রীদের দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে এ সকল ছাত্রছাত্রীদের চোখে ঘুম নেই। তারা মোবাইলের প্রতি অনেক বেশি আসক্ত। তারা মোবাইলের অপব্যবহার বেশি করে থাকে। তারা মোবাইলে গেম খেলা থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বক্ষণ ডুবে থাকে। এছাড়াও তারা মোবাইলের ভিতর বিভিন্ন নোংরা ভিডিও, নোংরা সিনেমা, দেখে থাকে। এছাড়াও অনেকে বিভিন্ন শেয়ারিং এপ্লিকেশন দ্বারা ফটো, ভিডিও, মেসেজ আদান প্রদান করে থাকে। আর এ সকল কারণগুলো ঘুমের সমস্যা তৈরি করে থাকে। 

কানে কম শোনাঃ

মোবাইল ফোনের অপব্যবহারের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতিকর দিক হলো কানে কম শোনা। বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা হেডফোনের সাহায্যে স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে। যার কারণে কানে শোনার সমস্যা তৈরি হয়। এক বিশেষ গবেষণায় দেখা গেছে হেডফোন, ব্লুটুথ হেডফোনের মাধ্যমে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে এর রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি বেশি থাকায় শরীরের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

তাছাড়াও আরো একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে ১০০ ডেসিবেল অথবা তার বেশি শব্দ প্রতিদিনে মাত্র ১৫ মিনিট শুনলে স্থায়ীভাবে কানের সমস্যা তৈরি হয়। আর এটার বাস্তব উদাহরণ হলো ফোন বা হেডফোনের ভলিউম বাড়িয়ে গান শোনা। রাস্তায় চলতে গিয়ে স্মার্টফোনের ব্যবহারের ফলে অ্যাক্সিডেন্ট হওয়া এখন নিত্যদিনের ঘটনা। আর এই সকল কারণগুলোর কারণে কানে কম শোনার পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মস্তিষ্কের ক্ষতি সাধনঃ

সুইস গবেষকরা ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সি কিশোর কিশোরীদের ওপর একটি গবেষণা চালিয়েছে। সেই গবেষণা থেকে দেখা গেছে মোবাইল ফোন থেকে যে ক্ষতিকর রেডিয়েশন বের হয় তা তাদের মস্তিষ্কের বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। নিয়মিত মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে এর প্রতি বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্করা আসক্তি হয়ে পড়ছে।

বিভিন্ন তথ্যমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে যে এভাবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে থাকলে একসময় ব্রেন টিউমার, মস্তিষ্কের ক্যানসার এবং নার্ভের ক্ষতি সাধন হয়ে থাকবে। তাই এ সকল রোগ থেকে বেঁচে থাকতে হলে দিনের বেশিরভাগ সময় মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখতে হবে। এভাবে মস্তিষ্কের ক্ষতি সাধন রোধ করতে হবে।

মোবাইলের প্রতি আসক্তিঃ

আমেরিকার এক সম্প্রতি গবেষণা থেকে দেখা গেছে একজন কলেজ স্টুডেন্ট দিনে কমপক্ষে ১০ ঘন্টা ফোন ব্যবহার করে থাকে। সে সারাদিনে ইন্টারনেটে ব্রাউজিং, পিডিএফ ফাইল পড়া কিংবা মেসেজিং সহ বিভিন্ন কাজ করে থাকে। একটা মজার বিষয় হলো তারা মোবাইল ফোনে যে পরিমাণ সময় দেই সেই পরিমাণ সময় তারা সারাদিনে কারো সাথে কথা বলে না।

তারা বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট সহ বিভিন্ন জনের সাথে মেসেজের মাধ্যমে আদান-প্রদান করে থাকে। আরেকটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে প্রতি ৫ জন ব্যবহারকারীর মধ্যে তিনজনেই এক ঘন্টার বেশি একবারও ফোন চেক না করে থাকতে পারে না। সারা বিশ্বের সকলের মাঝেই এই ধরনের মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি রয়েছে। তাই এটি প্রতিরোধ করা দরকার।

উদ্বিগ্ন ও হতাশাঃ

মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার আপনার শুধু শারীরিক বা মানসিক সমস্যা তৈরি করে না বরং এটি আপনাকে মানসিকভাবে উদ্বিগ্ন ও হতাশাগ্রস্ত করে তোলে। আপনি সোশ্যাল সাইটগুলোতে যত বেশি যাবেন তত বেশি দেখবেন প্রতি মুহূর্তে আপডেট আসছে যা আপনার মাঝে ইনফিরিয়র কমপ্লেক্সিটি সহ নানা ধরনের মানসিক যন্ত্রণা তৈরি করবে।

আরো পড়ুনঃ কোন ভিপিএন সবচেয়ে ভালো জেনে নিন ১৭টি সেরা VPN সম্পর্কে    

সোশ্যাল মিডিয়ার এসকল নিত্য নতুন আপডেট আপনার মাঝে চেষ্টা করার শক্তি কমিয়ে দিবে। যা আপনাকে হতাশ করে তুলবে। এছাড়াও মোবাইল ফোনে গেম খেলা আপনার প্রয়োজনীয় কাজে বাঁধা তৈরি করবে। এছাড়াও মোবাইল ফোনের সকল অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ব্যবহার আপনার মানসিক বিকাশের পথে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে। তাই মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।

মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়

মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোনের প্রতি মানুষ আজকাল যে পরিমাণ আসক্তি হয়ে যাচ্ছে, তাই সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া অনেক বেশি জরুরী। আজকের এই পর্বে আমরা মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বেঁচে থাকার যাবতীয় উপায় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
  • মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বেঁচে থাকতে হলে আপনি সারাদিন মোবাইল ফোন ব্যবহার না করে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করুন। আর বাকি সময়গুলোতে আপনার পছন্দের কোন একটি কাজ করুন। এভাবে আপনি মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন।
  • মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বেঁচে থাকার জন্য আপনি আপনার ফোনটি আমার শরীরের কোন অংশে রাখবেন না। আপনি সব সময় চেষ্টা করবেন প্যান্টের পকেট, জামার বুক পকেট বা অন্য কোথাও না রেখে ফোনটিকে ব্যাগে রাখার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনি সহজেই মোবাইল ফোন হাতে পাবেন না। যার কারণে এর ক্ষতিকর দিক থেকে সহজেই বেঁচে থাকতে পারবেন।
  • মোবাইল ফোনের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন না। বিশেষ করে আপনার শিশুদের সামনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকবেন। কেননা তারা যদি আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহার করা দেখে তাহলে তারাও সেটির প্রতি আসক্তি হয়ে পড়বে।
  • অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে কি কি সমস্যাগুলো তৈরি হবে সেগুলো আগে নিজেই অবগত হন। তারপর নিজে এবং পরিবারকে মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যাবহার থেকে দূরে রাখুন।
  • অনেক বাবা মা আছে যারা শিশুদের হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেয়। এটি একদম করা যাবেনা। কারণ শিশুরা যদি একবার মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে যায়। তাহলে সেই মোবাইল ফোন দেখা থেকে তাদের দূরে সরানো খুব কঠিন হয়ে পড়বে। তাই শিশুদের হাতে কখনোই মোবাইল ফোন দেওয়া যাবে না। তাদের বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিতে হবে, বাইরে নিয়ে ঘোরাঘুরির ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু কোনমতেই তাদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না।
  • আমরা সাধারণত মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় মোবাইল ফোন কানে ধরে থাকি। কিন্তু আপনারা কথা বলার সময় মোবাইল ফোন কানে ধরার পরিবর্তে হেডফোন দিয়ে কথা বলবেন। এতে করে আপনাদের জন্য উপকার হবে। যার ফলে আপনারা ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন।
  • মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বেঁচে থাকার জন্য আপনারা যে কাজটি করতে পারেন সেটি হলো দিনে আপনারা কয় ঘন্টা মোবাইল ব্যবহার করছেন তা নোট করে রাখুন। এরপরে ধীরে ধীরে মোবাইল ফোন ব্যবহারের পরিমাণ কমিয়ে ফেলুন। দিনে যতক্ষণ ব্যবহার করার প্রয়োজন ততটুকুই ব্যবহার করুন। বেশি ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন।
  • আপনারা সাধারণত আপনাদের বাচ্চাদের চুপ করার জন্য মোবাইল ফোন দিয়ে থাকেন। কিন্তু ভুলেও এটা আপনারা করবেন না। কারণ শিশুরা একবার মোবাইলের প্রতি আসক্তি হয়ে গেলে তাদের এখান থেকে সরানো যাবে না। তাই তাদের মোবাইল ফোন দিয়ে চুপ করার বদলে তাদের বিভিন্ন গল্পের বই অথবা খেলনা সামগ্রী তাদের হাতে তুলে দিবেন। এতে তারা বিনোদনও পাবে আবার চুপও থাকবে।
  • আপনি যখন ঘুমাতে যাবেন বা গাড়ি ড্রাইভ করবেন, তখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকবেন। কারণ এই সময়গুলোতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা আপনার জন্য ক্ষতিকর হবে। তাই এই সময়গুলোতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
  • আপনারা যখন রাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন তখন নাইট মুড অন করে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এতে করে ফোনের ক্ষতিকর দিকগুলো থেকে রক্ষা পাবেন। 
  • মোবাইল ফোনে গেম খেলে সময় নষ্ট না করে অন্য যে কোন কাজ করতে পারেন। এতে করে খুব সহজেই আপনি মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।

দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত

দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো উচিত এই সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কেননা আমরা যদি দিনে নিয়মিত নিয়ম মেনে মোবাইল চালাতে পারি তাহলে মোবাইলের ক্ষতিকর দিক থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারবো। চলুন তাহলে আমরা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি দিনে কত ঘন্টা মোবাইল চালানো ঠিক হবে সেই সম্পর্কে।

দিনে-কত-ঘন্টা-মোবাইল-চালানো-উচিত
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির যুগকে মোবাইলের যুগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অনেক অভিভাবক আছেন যারা মোবাইল ডিভাইসগুলো সঠিকভাবে কিভাবে ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে অবগত নয়। যার কারণে তাদের সন্তানের ক্ষেত্রেও মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। আমাদের বেশিরভাগ অভিভাবকরা তাদের সন্তানকে শখের বসে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে ফেলে।
যার ফলে তাদের সন্তানেরা মোবাইল ফোনের প্রতি বেশি আসক্তি হয়ে পড়ে। এর কারণে তাদের ব্রেন এবং চোখের ক্ষতি হয়ে থাকে। এক সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে যে দৈনিক তিন ঘন্টা মোবাইল দেখা উচিত। এতে স্বাস্থ্য বা দৃষ্টি শক্তির তেমন কোন ক্ষতি হয় না। তবে সবচাইতে বেশি ভাল হয় আপনি যদি দৈনিক ২ ঘন্টা করে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সবচাইতে বেশি ভাল হবে। আর যারা ছাত্রছাত্রী আছে তাদের দৈনিক আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করা উচিত। কারণ অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা পড়ালেখার এবং স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

আরো পড়ুনঃ সাইবার অপরাধ প্রতিরোধের ১০ টি উপায় জেনে নিন     

মূলত মোবাইল ফোন ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখার ক্ষেত্রে সবচাইতে বেশি সমস্যা তৈরি করে। বিশেষ করে তাদের মনোযোগ নষ্ট করে। তাই আমার পরামর্শ হলো পড়াশোনা করার সময় মোবাইল ফোন হাতের কাছে রাখবেন না। দূরে রাখার চেষ্টা করবেন। আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন দিনে কয় ঘন্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করা উচিত সেই সম্পর্কে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

মোবাইলের স্কিনের ক্ষতিকারক আলো থেকে রক্ষা

মোবাইলের স্কিনের ক্ষতিকারক আলো থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনারা চাইলে জেনে নিতে পারেন। আজকের এই পর্বে আমরা মোবাইলের স্কিনের ক্ষতিকর আলো থেকে কিভাবে নিজেকে বাঁচাতে পারবো সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় মোবাইল ফোনকে নির্দিষ্ট দূরত্বে রাখার চেষ্টা করবেন। আপনারা চেষ্টা করবেন মোবাইল ফোনকে ২৫ সেন্টিমিটারের বেশি দূরে রাখা। এতে করে এর স্কিনের আলো থেকে চোখকে রক্ষা করতে পারবেন।
  • রাতে যখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন, তখন নাইট মুড অন করে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম হবে। কারণ মোবাইল ফোনের ক্ষতিকার আলো আপনার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। 
  • মোবাইলের স্কিনের ক্ষতিকর আলো থেকে নিজের চোখকে বাঁচাতে নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে পানি এবং শাকসবজি খাবেন। আর যে কোন কাজ করার সাথে সাথে ঘন ঘন চোখে পানি ঝাপটা দিবেন।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় অবশ্যই মোবাইল ফোনে থাকা ব্লু লাইট ফিল্টার ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। ফলে আপনার চোখ শতভাগ সুরক্ষিত থাকবে।
  • একটানা কখনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফাঁকে ফাঁকে নড়াচড়া করার চেষ্টা করবেন। এতে করে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর আলো আপনার চোখের ক্ষতি করতে পারবে না।
  • মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় প্রতি তিন থেকে চার সেকেন্ড পর পর একবার আপনার চোখের পাতা ফেলবেন বা পলক মারবেন। আপনি যতই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন না কেন চোখের পলক না ফেললে আপনার চোখের পাতার ঝিল্লি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

রাত জেগে মোবাইল চালালে কি হয়

রাত জেগে মোবাইল চালালে কি হয় এই সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। কেননা রাত জেগে মোবাইল চালানোর ফলে বেশ কিছু ক্ষতি হতে পারে। তাই রাত জেগে মোবাইল চালানোর ফলে কি ধরনের ক্ষতিগুলো হতে পারে সেই সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জেনে নেওয়া প্রয়োজন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। অধিক রাত ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে শরীরের ক্ষতি হয়।

রাত-জেগে-মোবাইল-চালালে-কি-হয়
একই সঙ্গে রাতে দেরিতে ঘুম আসে। যার কারণে সকালে উঠতে দেরি হয়। আর এর কারণে পড়ালেখা সহ দৈনন্দিন কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে। এছাড়াও দীর্ঘ রাত ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে ক্ষুধা লাগে। আর নিয়মিত এভাবে ক্ষুধা পেতে থাকলে আপনি নিয়মিত খাবার গ্রহণ করার অভ্যাস তৈরি করে ফেলবেন। আর এর ফলে ডায়াবেটিসহ ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তাছাড়াও অধিক রাত ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে চোখের ক্ষতি হয়। যার কারণে চোখ ব্যথা করে। এছাড়াও অধিক রাত ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার ফলে ঠিকমতো ঘুম হয় না। আর ঠিকমতো ঘুম না হওয়ার কারণে মন এবং মস্তিষ্কের ক্ষতি সাধন হয়ে থাকে। গবেষকরা মনে করেন মোবাইল ফোন থেকে আশা নীল আলো যখন ঘরের লাইট বন্ধ করে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় চোখে পড়ে।

আরো পড়ুনঃ ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করতে হয় কেন জানুন ১০টি কারণ      

তখন এটি চোখের ক্ষতির পাশাপাশি শরীরেরও নানা ক্ষতি করে থাকে। তাই দীর্ঘ রাত ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন।

মোবাইল ফোন ব্যবহারের নিয়ম

মোবাইল ফোন ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আপনারা চাইলে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। আজকের এই পর্বে আমরা মোবাইল ফোন ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করবো। চলুন তাহলে তা জেনে নেওয়া যাক। মোবাইল ফোন অনেক উপকারী। কিন্তু এটি সঠিকভাবে ব্যবহার না করতে পারলে ছাত্র জীবনে বা ব্যক্তিগত জীবনে নানা ক্ষতি হবে। তাই এটি ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানা দরকার। নিজের আলোচনায় তা তুলে ধরা হলোঃ

সময়সীমা নির্ধারণঃ 

মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হবে একটি নির্দিষ্ট টাইমে। এজন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে নিতে হবে। এটি করতে পারলে স্বাস্থ্য এবং মানসিক অবস্থার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আপনারা যখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন তখন একটানা ব্যবহার করবেন না। কিছুক্ষণ বিরতি নিবেন এর ফলে আপনাদের চোখ এবং মন বিশ্রাম পাবে। সপ্তাহে অন্তত একদিন মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এই একদিন আপনারা আপনাদের পরিবারকে সময় দিন।

স্বাস্থ্যকর অভ্যাসঃ

আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহারের কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। এজন্য আপনারা দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করার পর চোখ এবং মনকে বিশ্রাম দিন। কিছুক্ষণ বিরতি নেওয়ার পর গভীর শ্বাস নিন এবং চোখের ব্যায়াম করুন। এ ধরনের স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলুন।

নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ 

আপনার মোবাইল ফোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার দিকে নজর দিতে হবে। এজন্য আপনারা মোবাইল ফোনের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আইডি ব্যবহার করে নিরাপত্তাকে আরো জোরদার করবেন। তাছাড়াও আপনারা ফোনের সফটওয়্যার সব সময় আপডেট রাখবেন।

আরো পড়ুনঃ ওয়াইফাই কানেক্ট কিন্তু নো ইন্টারনেট দেখাচ্ছে কেন বিস্তারিত জানুন   

এতে নিরাপত্তা ফিচার সর্বদা সক্রিয় থাকবে। যার ফলে আপনি নতুন ধরনের সাইবার আক্রমণ থেকে নিরাপদে থাকবেন। এছাড়াও আপনারা চাইলে উপরের আলোচনা থেকে ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল এবং ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে আসতে পারেন। 

লেখকের শেষ কথা

উপরের আলোচনা থেকে আমরা ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এসেছি। আমরা আরো জানতে সক্ষম হয়েছি ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের উপকারিতা সম্পর্কেও। ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোন যেমন অনেক বেশি উপকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। ঠিক তেমনি এটি অতিরিক্ত ব্যবহার করার ফলে ছাত্রজীবনে শরীরের উপর নানা ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে থাকে।

তাই ছাত্রজীবনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে হলে এর ভালো দিকগুলো জেনে সেই রকম ভাবে ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই ভালো দিকগুলো গ্রহণ করা যাবে এবং খারাপ দিকগুলো বর্জন করা যাবে। আমি উপরের আলোচনায় ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের ভালো দিকগুলো এবং খারাপ দিকগুলো সহ কিছু বিষয় আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা যদি উপরের আলোচনাটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। তাহলে ছাত্র জীবনে মোবাইল ফোনের যাবতীয় বিষয়গুলি জেনে নিতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

রিটেক্স আইটি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url